বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে রফিকুল ইসলাম মিঠু (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী হত্যাকারী সজিবকে (২৫) আটক করে পুলিশে দেয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম মিঠু সদর উপজেলার ধাওয়া পিকশন গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেন তালুকদারের ছেলে। ঘাতক সজীব হোসেন একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। তারা দুই জনই পেশায় স্বর্ণকার।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠু মারা যায়।
স্থানীয়রা বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান, নিহত মিঠু এবং সজিব এক সঙ্গে স্বর্ণের গহনা তৈরির কাজ করে আসছিল। মিঠু ছোট ভাই ইমনের সঙ্গে সজিবের প্রবাসী ভাই এর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সজিব লোকজন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মিঠুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তারা পালাতে গেলে গ্রামবাসী সজিবকে আটক করে।
রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় মিঠুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইমন তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
বগুড়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক কলেজ ছাত্র অপহরণের শিকার হন । এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাতেই কৌশলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে । তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ভোরে ওই ছাত্র উদ্ধার করা হয়।
ওই ছাত্রের নাম আবুল হাসান জোহা। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ছাত্র। বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার মনিনাগ গ্রামে।
গ্রেফতার করা দুজন হলেন ফেরদৌস হাসান ও শিবলু। তাদের বাড়ি বগুড়া শহরের পূর্ব পালশা এলাকায়। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আবুল হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের কামারগাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এ সময় ১০/১২ জন যুবক একটি দল তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মোটরবাসে তুলে নিয়ে যান ।
পরে তাকে পূর্ব পালশা এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারী চক্রের একজন আবুল হাসান জোহা'র ফোন থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।।
মুক্তিপণ না দিলে হাসান কে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আবুল হাসানের বাবা মোঃ হারেছ এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিষয়টি বগুড়া সদর পুলিশের কাছে জানান । ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কে অনুরোধ করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীদের মুঠোফোন নম্বর ট্রাক করে একপর্যায়ে ফেরদৌস ও শিবলু কে গ্রেফতার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে কলেজ ছাত্র আবুল হাসান জোহা কে উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার পালিত হচ্ছে ১৮তম সুন্দরবন দিবস।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর উদ্যেগে । সকাল ১১ টায় পুরো ক্যাম্পাসে এক শোভায়াত্রার আয়োজন করা হয়। শোভায়াত্রাটি কলেজের মূল ভবন থেকে বের হয়ে আবার মূল ভবনে এসে শেষ হয়।
উক্ত শোভায়াত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: শাহজাহান আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফজলুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন তীরের উপদেষ্টা জনাব মোঃ মতিউর রহমান, জনাব মোস্তাফিজুর রহমান , জনাব শাহ জাহান আলী, জনাব এটিএম মাহবুবুল হাসান, জনাব অরপ রতন পাল, তীরের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী জুয়েল, সহ অত্র কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীর” এর সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান, সাধারন সম্পাদক মোঃজাহিদুর রহমান, সহ তীর এর সদস্য বৃন্দ।
জানা যায়, সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে
সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির
উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির
পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।
বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়। পুলিশ সপ্তাহ পরবর্তী মাদক বিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ মামলায় ৪৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এর মধ্যে সদর থানার ৮ মামলায় আটক হয়েছে ২৮ জন । উদ্ধার হয়েছে ২২৫ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি গাঁজা ২.৫ গ্রাম হেরোইন ।
পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার) জানিয়েছেন মাদক ব্যবসা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলতে থাকবে। এ ব্যাপারে গতকালের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে সুধী সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।
বগুড়া উত্তর ডটকম : ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ , এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।
সময়কাল ও ব্যাপ্তি:
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।
প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার।
এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন
ঐতিহাসিক পটভূমি: মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়।
বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।
সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।
ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।
সারাদেশের মত বগুড়াতেও ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি।
কারণ করোতোয়া নদী ভূমিদস্যুদের কবলে পরে হাজার হাজার বিঘা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ।
আর সে কারণে ভূমি দস্যুদের অলৌকিক ক্ষমতার বলে প্রতিনিয়ত এই করোতোয়া নদীতে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছেন নদী দখলকারীরা।
অচিরেই যদি এই ভূমিদস্যুদের করোতোয়া নদী থেকে উচ্ছেদ করা না হয় বা করোতোয়া নদী কে দখলমুক্ত করা না হয় তাহলে দেশের মানচিত্র থেকে এই নদীটির নাম মিশে যাবে। হারিয়ে যাবে বগুড়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আমাদের এই প্রিয় নদীটি।
বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।
দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।
রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়।
এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।
রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।
দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।
রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।
রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস।
এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন
বগুড়া উত্তর ডটকম: রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চলমান দাখীল/এসএসসি সমমান পরিক্ষায় তিন শিক্ষার্থী বহিস্কার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সোমবার সারিয়াকান্দি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কেন্দ্রে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আরবী দ্বিতীয় পত্র পরিক্ষার সময় পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন কালে নকল করার দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ।
এব্যাপারে সারিয়াকান্দি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ কেন্দ্র সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, বহিস্কৃতদের বিরুদ্ধে আমরা উপর মহলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এবারের পরিক্ষায় নকলের কোন সুযোগ নেই।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ জানান, নকল মুক্ত পরিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলতেই এই বহিস্কার। যে শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেনা সে তো নকল করবেই। মান সম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই, তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের যত্নবান হতে হবে। যাতেকরে তারা নকলের উপর নির্ভর না করে।
বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবনের পত্নী শিক্ষক রোমানা আফরোজ।
তিনি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার এবং নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নিচ্ছেন। রোমানা আফরোজ শিক্ষা জীবনে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
বর্তমানে তিনি আনন্দপাঠ নামে স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার আলোয় সমাজ উন্নয়নের কর্মী হিসেবে কাজ করতে ভালবাসেন রোমানা আফরোজ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি।
রোমানা আফরোজ জানান, গ্রামীণ জনপদের নারীরা সমাজের অন্ধকারে বন্দি রয়েছে। শিক্ষার আলো ছাড়া এসব নারীর মুক্তি সম্ভব নয়। অধিকাংশ নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের আগেই ঝড়ে পড়ে। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে ধুনট উপজেলায় নারীর উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এজন্য ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবেন তিনি।
রোমানা আফরোজ বলেন, সরকার নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মকান্ড গুলোর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নারীর শিক্ষা ছাড়াও ধুনট উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর কল্যাণে এবং মাদকমুক্ত উপজেলা গঠনে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
বাংলাভাষার কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাঙালির গৌরবের নাম তাই
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান কবির স্মৃতিধন্য। কুষ্টিয়ার
কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রাম কবির ব্যক্তি, কর্ম ও কাব্যজীবনের
অনেকাংশের সাক্ষী হয়ে আছে। পদ্মা ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এই কুঠিবাড়ি
কবির উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের সুতিকাগার বলা চলে।
কবির বিভিন্ন রচনার
প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে কবির বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে
নিভৃত পল্লী শিলাইদহের নাম সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিলাইদহের মুগ্ধকর পরিবেশে
কবি বহু প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প রচনা করেছেন। তাঁর এসব লেখনীর মধ্যে সোনার
তরী, মানসসুন্দরী, উর্বশী, চিত্রা, ক্ষনিকা, গীতাঞ্জলীসহ অনেক গান ও কবিতা
নিভৃত এই পল্লীর পরিবেশেই রচিত হয়েছিল।
১৮৯১ সালে কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী পরিচালনার জন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। এই
কুঠিবাড়ি থেকে তিনি পতিসর ও শাহজাদপুরের জমিদারিও দেখাশুনা করতেন। এখানে
আসার পর শিলাইদহ গ্রামের ছায়াঘেরা অপরূপ দৃশ্য এবং পদ্মা-গড়াই নদী কবিকে
বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। শিলাইদহ গ্রামে কবি রবীন্দ্রনাথ, জমিদার
রবীন্দ্রনাথ এবং কৃষিবিদ রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব এক বিচিত্র সমন্বয় ঘটেছিল।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে পদ্মা নদীর তীরে বড় বড় নীলকুঠি তৈরি করা
হয়েছিল। ওই সময় নীলের ব্যবসা ছেড়ে সাহেবরা চলে গেলে নীলকুঠির নিচতলা
জমিদারির কাচারি ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীকালে নদীর ভাঙনে ওই
নীলকুঠি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ১৮৯২ সালে পদ্মার তীর থেকে প্রায় এক
কিলোমিটার দূরে শিলাইদহ গ্রামে ৩২ বিঘা জায়গা নিয়ে তিনতলার বর্তমান
কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি
পরিচালনার জন্য কবি শিলাইদহ গ্রামে থেকেছেন। পদ্মা-গড়াইয়ের মধ্যবর্তী স্থান
ছিল ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ
দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৯ সালে এই জমিদারি ক্রয় করেন। এই গ্রামের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য ও জনজীবন অবলোকন করে কবি অনেক রচনা লিখেছেন।
৩২ বিঘা
জায়গা ঘিরে পৌনে চার বিঘা জমির উপর ঢেউ আকৃতির প্রাচীরবেষ্টিত শিলাইদহের
কুঠিবাড়ি প্রতিষ্ঠিত। তিনতলা এই কুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮টি। এর নিচতলায়
৯টি কামরা, দোতলায় ৭টি ও তিনতলায় দুটি কামরা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে কবির
ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে
৮০টিরও অধিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহূত খাট, ইজি চেয়ার, লেখার
টেবিল, স্পিড বোট, দুই বেহারার পালকি, ঘাষ কাটা মেশিন, গদি চেয়ার, নৌকাসহ
অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুঠিবাড়ি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে। কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানকার জমিদারির হাত বদল
ঘটে। পরে ঢাকার ভাগ্যকূল জমিদার শিলাইদহের এস্টেট কিনে নেন। এরপর ১৯৫২ সালে
জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের
মালিকানায় আসে।
উল্লেখ্য, শিলাইদহ থেকে জমিদারি ছেড়ে যাওয়ার পরও
কবি বেশ কয়েকবার শিলাইদহে এসেছেন। কবির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছাড়াও
প্রতিদিনই এই কুঠিবাড়িতে প্রাণের টানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। প্রতি
বছরের মত এবারো কবির জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে শিলাইদহে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ
তিন দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবির
জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বগুড়া উত্তর ডটকম: "এক পেরিয়ে দুই, চলো স্বপ্ন ছুঁয়""ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা" এর এক বছর পূর্ন হলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে মাত্র ২০ টি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিন্ন দৃষ্টি এর উদ্যোগে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া রেলওয়ে বস্তি সংলগ্ন শিশু পার্কে শুরু হয়েছিল এই পাঠশালা।
স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগীতায় ঠিক এক বছরের মাথায় বর্তমানে পাঠশালার শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬৪ জন। একই সাথে শিশু শিক্ষার পাশাপাশি বয়স্কশিক্ষা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টি'র স্বেচ্ছাসেবীরা। শুধু শিক্ষায় না, শিক্ষার পাশাপাশি তাদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টি।
ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা এর ১ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি পাঠশালাতে একটি ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে কেক কেটে দিনটি উৎযাপন করা হয়।উল্লেখ, ভিন্ন দৃষ্টি একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গত ৩ বছর যাবত তারা সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে নানা ধরনের কাজ করে আসছে।
বগুড়া উত্তর ডটকম: (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কুলখানি দাওয়াত খেয়ে ৩৪ জন ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফুড পয়জনিং হয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।
কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ও নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে।
নন্দীগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসুস্থ রফিকুল ইসলাম, হারুন, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ আলম জানান, গত শুক্রবার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের চিরতা গ্রামে মরহুম আকতারুজ্জামানের কুলখানি (মজলিস) অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে প্রায় তিন হাজার এলাকার লোকজন কুলখানির খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে এসে পরদিন থেকে পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হতে থাকেন তারা। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের ভর্তি করা হয় কাহালু ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে। রোববার ভোরে থেকে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ব্যক্তি ভর্তি হয়।
জামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম কামাল বলেন, কুলখানি দাওয়াত খেয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ফুড পয়জনিংয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল মাহমুদ জানান, দাওয়াত খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৭ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফুড পয়জনিংয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টার (বগুড়া) বগুড়ায় জমিজমা লিখে না দেওয়া বিরোধের জের ধরে মাকে হত্যার দায়ে সেই ঘাতক ছেলে আবু রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত।
..
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে আসামি রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার কাহালু উপজেলার কাজীপাড়ার আব্দুর রহমান বাচ্চুর ছেলে রায়হান বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই সকালে সে বাড়িতে এসে মা রওশন আরার কাছে তার নামে জমি লিখে দেওয়ার দাবি করে।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন বাঁচাতে এগিয়ে এলে ঘাতক রায়হান তাদেরও মারধর করে।
পরে রওশন আরাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা ছেলে রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বোন রাবেয়া রায়হানকে একমাত্র আসামিকরে কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাহালু থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল আলম মামালাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে আসামি তার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে একই বছরের ৩১ অক্টোবর রায়হানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলাটি বিচারের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এ স্থানান্তর করা হয়। সেই মামলায় ২০১০ সালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।
পরে আসামি রায়হান রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে আবারো বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক পুনির্বিবেচনার রায়েও তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার আদেশ দেন।
নামুজা বার্তাঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূলে মসজিদের জায়গা দখলের চেষ্টা ও গাছ কর্তৃন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ৩ ফেব্র“য়ারি রবিবার সকাল ৯ টায় আটমূল ইউপির মোঘইলপাড়া গ্রামের জনৈক মফিজ উদ্দিন ও তার দুই পুত্র মিলে জামে মসজিদের ৩ শতক জায়গা দখলের জন্য টিনের বেড়া ভেঙ্গে মসজিদের লাগানো ১১ টি আম গাছ কর্তন করতে থাকে। এ সময় মসজিদ কমিটির লোকজন ও গ্রামবাসী তাদের বাধা প্রদান করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উক্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই জন আহত হয়। আহতরা হলেন মফিজ উদ্দিন ও মোছাঃ তানজিলা খাতুন। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ওইদিন দুপুরে ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। ০৩.০২.২০১৯
বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।
প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার।
এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন
ঐতিহাসিক পটভূমি
:মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়।
বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।
সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।
ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।
বগুড়া উত্তর ডটকম ( মহাস্থান প্রতিনিধি: শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরি সংঘঠিত ৩০/৪০ হাজার টাকার ক্ষতি।
সরেজমিনে শনিবার দুপুরে জানা গেছে,বগুড়া সদরের আশোকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা ক্লিনিকের গ্রীলের তালা আটকিয়ে থাকা গ্রীল কেটে ১২ টা প্লাস্টিকের চেয়ার, সৌর বিদ্যুতের ৩০ হাজার টাকার ১ টি ব্যাটারী চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মাসুদ রব্বানীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ও সিএইচসিপি মৌসুমী আকতার প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অফিসে এসে দেখতে পাই যে, অফিসের বারান্দার গ্রীলের তালা আটকিয়ে রাখার গ্রীল কেটে অফিসে ঢুকে কে বা কারা ঐ সব সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়েছে এবং সদর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বগুড়া উত্তর ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ) শিক্ষার কোন বয়স নেই, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহনের কোন বিকল্প নেই-এসব কথা নিজের মনের মধ্যে লালন করে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশের জন্য এবং বয়সটাকে তুচ্ছ করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন পঞ্চাশোর্ধ এক শিক্ষানুগারী ব্যাক্তি শফিকুল ইসলাম।
মেয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী হলেও অনেকটা নাতি-নাতনির বয়সীদের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ উদ্যোম দেখা যাচ্ছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এবছর অনুষ্ঠিত এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ এই শিক্ষার্থীকে।
সরেজমিনে জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ সেখের ৫২ বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করে এবছর দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। যার রেজি নং ১৬৩৯১৫, রোল নং ৩০৩৪৪৩।
এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত, মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে অধ্যায়রত এবং ছোট মেয়েও স্কুলে লেখাপড়া করে। পারিবারিকভাবে সকলেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, তাহলে আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বিরত থাকবো। তাই তাদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি শিক্ষা জীবন শুরুর পর্যায়ে এবছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছি।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, অত্র কেন্দ্রে ২১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন সমাজের অনেক স্বল্প শিক্ষিতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বগুড়া উত্তর ডটকম (স্পেশাল কোম্পানী, র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এস,এম, জামিল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অদ্য ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখ ১৮১৫ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন চান্দের বাজারস্থ জনৈক আলম শাকিদা এর চায়ের দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৮ ( আঠার) পিস মাদকদ্রব্য ইয়াবা,
০১ টি মোবাইল ফোন, ০২টি সীম এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১১,০০০/-(এগার হাজার) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ আমিনুর ইসলাম (৩৫) পিতা -মৃত জামাতুল্লা প্রামানিক সাং শাখারিয়া নামাবালা থানা ও জেলা বগুড়াকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা রুজু হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর এর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়া উত্তর ডটকম ( শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ১ম দিনে ৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে এসএসসি ও দাখিল সম্মানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৯০ জন, ছাত্র ৩৪০, ছাত্রী ২৫০ জন, অনুপস্থিত ৪ জন।
পরীক্ষা তদারকি করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্ ও ভেটেনারী সার্জন আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রে সচিব অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান মন্ডল, হল সুপার সাইফুল ইসলাম।
শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন কিচক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুল ইসলাম।
গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৫১২ জন পরীক্ষার্থী, ছাত্র ২৪৮, ছাত্রী ২৬৩ জন, অনুপস্থিত ১জন। এ কেন্দ্রে তদারকি করেন উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,কেন্দ্র সচিব ছিলেন প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৫২৮জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এদের মধ্যে ছাত্র ২৮১, ছাত্রী ২৪৭ জন, অনুপস্থিত ১ জন।
একেন্দ্র তদারকি করেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ তোজাম্মেল হক। মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
আলিয়ারহাট ডি ইউ ফাযিল মাদ্রাসায় ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়,এ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপজেলা ইনন্সক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, হল সুপার ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালাম, শিবগঞ্জ ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় মোট ৬১৪ জন ছাত্রছাত্রী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়, এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েত রশিদ, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ এনামুল হক, হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু রায়হান। এসব পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেন ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীর ও সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মৌলি মন্ডল।