Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Monday, March 18, 2019

বগুড়ায় ভোটার কম

বগুড়ায় ভোটার কম
মোর্শেদ নোমান ও আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া থেকে
১৮ মার্চ ২০১৯
 
বগুড়ায় সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আজ সোমবার সকাল থেকে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলার নয়টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। সকাল সাড়ে আটটায় শহরের পিটিআই কেন্দ্রে সাড়ে ৫ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র চারজন।


বগুড়ার সিটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫টি। সকাল নয়টায় শাহজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯০০ ভোটের মধ্যে ৪৮ ভোট পড়েছে। সকাল পৌনে দশটায় আড়িয়া রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৬টি।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বগুড়ায় ১২ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে শেরপুর ও আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। অন্য ১০টি উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ অন্য পদগুলোতে নির্বাচন হচ্ছে।


বিএনপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বগুড়ার ১২ উপজেলাতেই গত নির্বাচনে বিএনপি ৭টি ও জামায়াত ৫টি উপজেলায় নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ তখন একটিতেও জিততে পারেনি।

স্থানীয়রা বলছেন, ভোটার না থাকলেও যে অল্প কিছু ভোট পড়েছে সেগুলো আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ভাইস চেয়ারম্যানদের। তাঁরাই নির্বাচনকে কিছুটা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
তথ্য: প্রথম আলো অনলাইন

Sunday, March 3, 2019

জাতীয় পর্যায়ে র‌্যাংকিং সেরা ৩ এ সরকারি আজিজুল হক কলেজ




রাজশাহী অঞ্চলের সেরা কলেজের মধ্যে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ রয়েছে সেরা তিন নম্বর স্থানে। 

এছাড়াও বেসরকারি কলেজ এর মধ্যে সেরা ৫ এ রয়েছে সৈয়দ আহমদ কলেজ, সুখানপুর, বগুড়া (বেসরকারি)





অন্যদিকে, জাতীয় পর্যায়ে সেরা মহিলা কলেজ, জাতীয় পর্যায়ে সেরা সরকারি কলেজ এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে-রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ এবং রাজশাহী কলেজ।


এছাড়া ৮টি অঞ্চলভিত্তিক তালিকাভুক্ত কলেজের মধ্য থেকে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে স্কোর অনুযায়ী ৬৮টি সেরা কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে।

আজ ২ মার্চ ২০১৯ এ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ ক্যাটাগরির ৭৬টি কলেজকে সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কৃত করা হয়। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের মধ্য থেকে জাতীয়ভিত্তিক স্কোরের ভিত্তিতে প্রথম ৫টি সেরা কলেজ নির্বাচন করা হয়। তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের মধ্য থেকে জাতীয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী একটি সরকারি কলেজ, একটি মহিলা কলেজ এবং একটি বেসরকারি কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে। 

তাছাড়া ৮টি অঞ্চলভিত্তিক তালিকাভুক্ত কলেজের মধ্য থেকে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে স্কোর অনুযায়ী ৬৮টি কলেজ নির্বাচন করা হয়। নীতিমালার আলোকে সেরা কলেজসমূহের বিভাজন করা হয়েছে।



ঢাকা অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
২. সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইল,
৩. তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
৪. সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
৫. লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
৬. সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
৭. সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর
৮. সরকারি গুরুদয়াল কলেজ
৯. হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
১০. আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা
২. ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী
৩. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
৪. সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
৫. ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
৬. নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
৭. হাটহাজারী কলেজ, চট্টগ্রাম
৮. সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম
৯. চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম
১০. চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর,
রাজশাহী অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
২. সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া
৩. সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা
৪. ভবানীগঞ্জ কলেজ, রাজশাহী
৫. সৈয়দ আহমদ কলেজ, সুখানপুর, বগুড়া (বেসরকারি)
৬. হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম কলেজ, সিরাজগঞ্জ ( বেসরকারি)
৭. সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
৮. দাওকান্দি কলেজ, রাজশাহী
৯. রাজশাহী কোর্ট কলেজ, রাজশাহী, (বেসরকারি)
১০. এন. এস. সরকারি কলেজ, নাটের
খুলনা অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, খুলনা
২. সরকারি এম এম কলেজ, যশোর
৩. কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া
৪. সীমান্ত আদর্শ কলেজ, সাতক্ষীরা, ( বেসরকারি)
৫. যশোর ক্যান্টমেন্ট কলেজ, যশোর, (বেসরকারি)
৬. ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ, যশোর, (বেসরকারি)
৭. এম.এস. জোহা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা, (বেসরকারি)
৮. কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সাতক্ষীরা (বেসরকারি)
৯. খানজাহান আলী আদর্শ কলেজ, খুলনা, (বেসরকারি)
১০.যশোর সরকারি মহিলা কলেজ, যশোর
বরিশাল অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, বরিশাল
২. সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল
৩. সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর
৪. ভোলা সরকারি কলেজ, ভোলা
সিলেট অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. এম সি কলেজ, সিলেট
২. দক্ষিণ সুরমা কলেজ, সিলেট
৩. মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীাজার
৪. বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ
৫. সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট
৬. মদনমোহন কলেজ, সিলেট
৭. সরকারি শ্রীমঙ্গল কলেজ, মৌলভীবাজার
রংপুর অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. কারমাইকেল কলেজ, রংপুর
২. দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
৩. রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর
৪. উত্তরবাংলা কলেজ, কাকিনা, লালমনিরহাট (বেসরকারি)
৫. হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ, লালমনিরহাট
৬. সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর
৭. কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম
৮. লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, লালমনিরহাট
৯. গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা
১০. কে বি এম কলেজ, দিনাজপুর, (বেসরকারি)
ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
২. জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ (বেসরকারি)
৩. মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়

Friday, March 1, 2019

বগুড়ায় "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন

কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশ বগুড়া কর্তৃক "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন করা হয়েছে। 


তৃতীয়বারের মতো পালিত হওয়া এ অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নিহত বগুড়া জেলার অধিবাসী ১৯ জন পুলিশ সদস্যের  স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুলিশ লাইন্স বগুড়ায় স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার।

 পিবিআই বগুড়ার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরিফ উদ্দীন।


এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং  নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদ্যদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Thursday, February 7, 2019

করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

সারাদেশের মত বগুড়াতেও ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি।
কারণ করোতোয়া নদী ভূমিদস্যুদের কবলে পরে হাজার হাজার বিঘা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়েছে । 

 
করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

আর সে কারণে ভূমি দস্যুদের অলৌকিক ক্ষমতার বলে প্রতিনিয়ত এই করোতোয়া নদীতে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছেন নদী দখলকারীরা।
অচিরেই যদি এই ভূমিদস্যুদের করোতোয়া নদী থেকে উচ্ছেদ করা না হয় বা করোতোয়া নদী কে দখলমুক্ত করা না হয় তাহলে দেশের মানচিত্র থেকে এই নদীটির নাম মিশে যাবে। হারিয়ে যাবে বগুড়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আমাদের এই প্রিয় নদীটি।

আরো পড়ুন:   করতোয়া এখন মৃত নদী Karatoya River 

আসুন নিজের মতো করে সবাই পাশে দাড়ায় 

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tuesday, February 5, 2019

ধুনটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে সাংবাদিক পত্নী রোমানা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবনের পত্নী শিক্ষক রোমানা আফরোজ।
 



তিনি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার এবং নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নিচ্ছেন। রোমানা আফরোজ শিক্ষা জীবনে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

 বর্তমানে তিনি আনন্দপাঠ নামে স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার আলোয় সমাজ উন্নয়নের কর্মী হিসেবে কাজ করতে ভালবাসেন রোমানা আফরোজ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি।

রোমানা আফরোজ জানান, গ্রামীণ জনপদের নারীরা সমাজের অন্ধকারে বন্দি রয়েছে। শিক্ষার আলো ছাড়া এসব নারীর মুক্তি সম্ভব নয়। অধিকাংশ নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের আগেই ঝড়ে পড়ে। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে ধুনট উপজেলায় নারীর উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এজন্য ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবেন তিনি। 

রোমানা আফরোজ বলেন, সরকার নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মকান্ড গুলোর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নারীর শিক্ষা ছাড়াও ধুনট উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর কল্যাণে এবং মাদকমুক্ত উপজেলা গঠনে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য পদ্মা ও গড়াই পাড়ের কুঠিবাড়ি

বাংলাভাষার কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাঙালির গৌরবের নাম তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান কবির স্মৃতিধন্য। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রাম কবির ব্যক্তি, কর্ম ও কাব্যজীবনের অনেকাংশের সাক্ষী হয়ে আছে। পদ্মা ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এই কুঠিবাড়ি কবির উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের সুতিকাগার বলা চলে।




কবির বিভিন্ন রচনার প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে কবির বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নিভৃত পল্লী শিলাইদহের নাম সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিলাইদহের মুগ্ধকর পরিবেশে কবি বহু প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প রচনা করেছেন। তাঁর এসব লেখনীর মধ্যে সোনার তরী, মানসসুন্দরী, উর্বশী, চিত্রা, ক্ষনিকা, গীতাঞ্জলীসহ অনেক গান ও কবিতা নিভৃত এই পল্লীর পরিবেশেই রচিত হয়েছিল।

১৮৯১ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী পরিচালনার জন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। এই কুঠিবাড়ি থেকে তিনি পতিসর ও শাহজাদপুরের জমিদারিও দেখাশুনা করতেন। এখানে আসার পর  শিলাইদহ গ্রামের ছায়াঘেরা অপরূপ দৃশ্য এবং পদ্মা-গড়াই নদী কবিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। শিলাইদহ গ্রামে কবি রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ এবং কৃষিবিদ রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব এক বিচিত্র সমন্বয় ঘটেছিল।




ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে পদ্মা নদীর তীরে বড় বড় নীলকুঠি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সময় নীলের ব্যবসা ছেড়ে সাহেবরা চলে গেলে নীলকুঠির নিচতলা জমিদারির কাচারি ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীকালে নদীর ভাঙনে ওই নীলকুঠি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ১৮৯২ সালে পদ্মার তীর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শিলাইদহ গ্রামে ৩২ বিঘা জায়গা নিয়ে তিনতলার বর্তমান কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করা হয়। 

১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনার জন্য কবি শিলাইদহ গ্রামে থেকেছেন। পদ্মা-গড়াইয়ের মধ্যবর্তী স্থান ছিল ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৯ সালে এই জমিদারি ক্রয় করেন। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনজীবন অবলোকন করে কবি অনেক রচনা লিখেছেন।

৩২ বিঘা জায়গা ঘিরে পৌনে চার বিঘা জমির উপর ঢেউ আকৃতির প্রাচীরবেষ্টিত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি প্রতিষ্ঠিত। তিনতলা এই কুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮টি। এর নিচতলায় ৯টি কামরা, দোতলায় ৭টি ও তিনতলায় দুটি কামরা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮০টিরও অধিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহূত খাট, ইজি চেয়ার, লেখার টেবিল, স্পিড বোট, দুই বেহারার পালকি, ঘাষ কাটা মেশিন, গদি চেয়ার, নৌকাসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুঠিবাড়ি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানকার জমিদারির হাত বদল ঘটে। পরে ঢাকার ভাগ্যকূল জমিদার শিলাইদহের এস্টেট কিনে নেন। এরপর ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের মালিকানায় আসে।

উল্লেখ্য, শিলাইদহ থেকে জমিদারি ছেড়ে যাওয়ার পরও কবি বেশ কয়েকবার শিলাইদহে এসেছেন। কবির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনই এই কুঠিবাড়িতে প্রাণের টানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। প্রতি বছরের মত এবারো কবির জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে শিলাইদহে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবির জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Sunday, February 3, 2019

বগুড়ায় কুলখানি দাওয়াত খেয়ে ৩৪ ব্যক্তি হাসপাতালে

বগুড়া উত্তর ডটকম:  (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কুলখানি দাওয়াত খেয়ে ৩৪ জন ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফুড পয়জনিং হয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।


কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ও নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে।
 
নন্দীগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসুস্থ রফিকুল ইসলাম, হারুন, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ আলম জানান, গত শুক্রবার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের চিরতা গ্রামে মরহুম আকতারুজ্জামানের কুলখানি (মজলিস) অনুষ্ঠিত হয়। 

সেখানে প্রায় তিন হাজার এলাকার লোকজন কুলখানির খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে এসে পরদিন থেকে পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হতে থাকেন তারা। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের ভর্তি করা হয় কাহালু ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে। রোববার ভোরে থেকে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ব্যক্তি ভর্তি হয়।
 
জামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম কামাল বলেন, কুলখানি দাওয়াত খেয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ফুড পয়জনিংয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
 
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল মাহমুদ জানান, দাওয়াত খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৭ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফুড পয়জনিংয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Saturday, February 2, 2019

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী রিজুর সমর্থনে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন

২ ফ্রেরুয়ারী, গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর কর্মী সমর্থকদের প্রায় ৬শতাধিক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়েছে।



শনিবার সকাল ১১টায় রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষে মহাস্থান হযরত শাহ্ সুলতান (রহ:) আলিম মাদ্রাসা মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল বহরের শোডাউন বের হয়ে উপজেলা ব্যাপী প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই আলিম মাদ্রসা মাঠে জড়ো হতে থাকে। 

বেলা ১২টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল শেষে প্রত্যেক মোটরসাইকেলে ২জন করে প্ল্যাকার্ড স্টিগার লাগিয়ে সারিবদ্ধভাবে এক যোগে শোভাযাত্রা শুরু করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান সময়ের তরুন নেতা ফিরোজ আহম্মেদ রিজুকে উপজেলা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে আমাদের হাজারো নেতা কর্মীবৃন্দদের এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়েছে। 

এলাকার জন্য সাধারণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিবগঞ্জ রায়নাগর ইউনিয়ন পরিষদের ২বার বিপুল ভোটে জয়ী ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ রিজু পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন ব্যক্তি। তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভোটে পাস করলে শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।



.. ... ... 

ডা আকাশ ও স্ত্রী ডা মিতুর জমকালো সেই বিয়ে Wedding Off Mitu And Akash Video

চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে ডা. আকাশের সঙ্গে তানজিলা চৌধুরী মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। আকাশ আত্মহত্যার পূর্বে তার ফেসবুকে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করে, যেখানে স্ত্রী মিতুর পরকীয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার পেছনে তাঁর স্ত্রী মিতুর বন্ধুদের প্ররোচনা আছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।






ডা. আকাশ ও স্ত্রী ডা. মিতুর জমকালো সেই বিয়ে । ১১ আগস্ট ২০১৬। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম। LIKE COMMENT SHARE SUBSCRIBE পরকিয়া আসক্ত সেই নারী গ্রেফতার। আত্মহত্যা করলো Dr Akash https://youtu.be/_mdBss13GU4







Friday, February 1, 2019

বগুড়ার শাজাহানপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  বগুড়া শাজাহানপুরের বগুড়া-নাটোর সড়কের দু’পাশে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান চালিয়েছে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।


বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বীরগ্রাম থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তা বিকেল পর্যন্ত চলে। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ঢাকা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী (উপসচিব)। 

উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফুয়ারা খাতুন, সওজ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল বারি ইবনে কুদ্দুস, শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা লিজা, শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম। 

এ সময় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান, দমকল বাহিনী, ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। সওজ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া-নাটোর সড়কের বীরগ্রাম, রানীহাট বন্দর এলাকায় সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিনের গড়ে উঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তারপরও নিয়ম রক্ষার্থে উচ্ছেদের দশদিন পূর্বে নোটিশ, গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করার পরও অবৈধ দখলদাররা কর্ণপাত করেনি।

Thursday, January 31, 2019

দুপচাঁচিয়ায় ফার্নিচারের কারখানায় অগ্নিকান্ড।। ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি আবু রায়হান) : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ রোডে মন্ডলপাড়ার সামনে অবস্থিত টুটুল কাঠ এন্ড স্টিল ফার্নিচারের ঢেউটিন দিয়ে তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ডে কাঠ, পারটেক্স বোর্ড ও স্টিলের তৈরি আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে পাশের ভবনের মালিক আগুন দেখতে পেয়ে কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুলকে মোবাইল ফোনে জানান। টুটুল কারখানায় উপস্থিত হয়ে আগুনের তীব্রতা দেখে দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দিলে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কাহালু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইউনিটকে খবর দিলে দুই ইউনিট মিলে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। ততক্ষণে কারখানাসহ কারখানায় রাখা সকল আসবাবপত্র, কাঠ ও পারটেক্স বোর্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
 
কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুল বলেন, তার বাড়ি ও শো-রুমের পিছনে কারখানায় অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১৬ হতে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
 
দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর ইউনিট লিডার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Monday, January 28, 2019

এক ঘর পালানো কন্যা ও তার বাবার গল্প


বগুড়া উত্তর ডটকম: ২৬ জানুয়ারি রাত দশটা। নিজ অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছিলেন বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী। তার মুখে শোনা কথো গুলোই এখানে তুলে ধরা হলো, এমন সময় অফিসে এলো ছোটভাই সাংবাদিক নৃত্যশিল্পী সজল   এবং পরিচিত আরেক ভদ্রলোক হামিদ ভাই। তাদের সাথে এক ভদ্রলোক একজন ভদ্রমহিলা এবং একটি বোরকাচ্ছাদিত বালিকা। বয়স ১৩/১৪ । 

সজলকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা কি? তখন সাথের লোকটি কথা বলা শুরু করলেন। তার ভাষ্যমতে তার নাম মোঃ সৌখিন মিয়া। তিনি বগুড়া ময়মনসিংহ রুটের যুগান্তর বাসের একজন সুপারভাইজার। বাড়ি বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নে। 

গত ১৭ তারিখে তার বাস ময়মনসিংহ থেকে ছাড়ার সময় এই মেয়েটি উঠেছিল পাবনা যাবার নাম করে। মেয়েটির হাটিকুমরুল চাররাস্তা (সিরাজগঞ্জ রোড) মোড়ে নামার কথা ছিল। আসার পথে এলেঙ্গা এবং অন্যান্য এলাকায় যানজটের কারনে গাড়ি সিরাজগঞ্জ রোডে আসতে রাত ১১ টা বেজে যায়। 

নামার সময় মেয়েটা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সে নামতে রাজি না হওয়ায় সুপারভাইজার তাকে জিজ্ঞেস করে যে তার সাথে যাবে কিনা। মেয়েটা রাজি হয়ে তার সাথে তার বাড়িতে চলে আসে।   


সুপারভাইজার সাহেবের দুই মেয়ে একছেলে। ছেলেটা প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তার স্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন। মেয়েটি সেই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মেয়ের মতো মিশে গেল। রান্নাবান্না ঘরকন্না সবই করছিল। 

বিষয়টা যে থানাতে অবগত করা উচিৎ তা সুপারভাইজার বা তার পরিবারের কারো মাথাতেই আসে নাই। দশদিন পর তাদের কানে পানি যায়। বিষয়টা সজলকে জানালে সজল তাদের নিয়ে আমার অফিসে আসে। 


আমি মেয়েটির সাথে কথা শুরু করলাম। খুবই লাজুক, কথাই বলতে চায় না। কোন রকমে তার মুখ দিয়ে বের করালাম তার নাম, পিতার নাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের আরোংবাজ। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালি ময়মনসিংহের সাথে কথা বললাম। তিনি খুব দৃঢ়তার সাথে বললেন এই নামে ময়মনসিংহ সদরে কোন জায়গা নাই। ফুলবাড়ি ফাড়ির ইনচার্জ আমবারকে বললাম খোঁজ নিতে। সে অনেকদিন সেখানে ছিল। সেও খোঁজখবর নিয়ে বলল এই নামের কোন জায়গা ময়মনসিংহে নাই।  


মেয়েটির সাথে আবার কথা বলা শুরু করলাম। এবার তার কাছ থেকে জানলাম সে একটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার নাম নারায়ণডহর। জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে বড় কোন বাজার আছে। সে বলল পূর্বধলা বাজার আছে। গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার পাশে নারায়ণডহর পাওয়া গেল। 

ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। খুলে বললাম ঘটনা। তিনি একটু সময় নিলেন। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললেন ১৯ জানুয়ারি একটা মিসিং জিডি হয়েছে। ভিক্টিমের নাম মিলে গেল কিন্তু বাবার নাম মিলল না।  


মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। এবার আমার সাথে যোগ দিলেন ওসি সদর জনাব এসএম বদিউজ্জামান। দুজনের সম্মিলিত জিজ্ঞাসাবাদে সে বাবার নামের কথা স্বীকার করল, কেন বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাও বলল। আবার ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। জানালাম সবকিছু। তিনি মেয়েটির বাড়িতে খবর দিলেন। 


২৭ তারিখ সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা তার সাথে দুইজন লোক নিয়ে থানায় এসে হাজির। বাবা মেয়ের মিলন হলো, সৃষ্টি হলো এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। বাবার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি গাজীপুরে একটা ছোট চায়ের দোকান চালান, তার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করে। মেয়েটা তার দাদার সাথে গ্রামের বাড়ি লাউজানা, পূর্বধলায় থাকে।

 দাদা বকা দেয়ায় সে অভিমান করে মা বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ভুল করে বগুড়ার গাড়িতে উঠে পড়ে। বাবার ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটা হারানোর পর থেকে তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। 


(ছবিতে মেয়েটিকে তার বাবার সাথে এবং আমার সাথে দেখা দেখা যাচ্ছে, বাবা মেয়ের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবি প্রকাশ করা হলো)

Sunday, January 27, 2019

সারিয়াকান্দির হাসনাপাড়ায় পিসি দোকানে আগুন

বগুড়া উত্তর ডটকম: (রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন) : বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারে একটি কম্পিউটার সর্ভিসিং দোকানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। 


রবিবার ভোরে হাসনাপাড়া বাজারের পঙ্কজের কম্পিউটার সার্ভিসিং এবং মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে এঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী ধারনা করছেন যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।
এদিকে এঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করেছেন দোকানের পরিচালক পঙ্কজ মিয়া।

বগুড়ার মহাস্থান দই-মিষ্টি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই প্রায় ৮০/৯০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

বগুড়া উত্তর ডটকম: (এস আই সুমন) : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান দই- মিষ্টি ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা অনুমান করলেও এলাকাবাসীরা অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন।



স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শনিবার ভোর ৫টায় মহাস্থান মাছ বাজারের পাশে দই মিষ্টির দোকানের একটি চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর আগুন মুহুর্তই পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা হলো মীর আলম, আমিনুর ইসলাম, মিষ্টার, ফারুক, আনিছার। 

পরে স্থানীয়রা শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে প্রথমে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় তাদের রিজার্ভকৃত পানি ফুরিয়ে গেলে তারা বগুড়া সদর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এরপর বগুড়া সদর ফায়ার সার্ভিস ও শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট মহাসড়কের পাশে একটি ডোবা থেকে তাদের সরঞ্জাম দিয়ে পানি উত্তোলণ করে। তারা প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। 

এবিষয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হামিদ জানান, রাত সাড়ে ৫টায় সংবাদ পেয়ে আমাদের ইউনিট আগুন নিভাতে আসে। কিন্তু আমাদের মজুদ পানি শেষ হলে আগুন নিভাতে হিমশিম খেতে হয়। বগুড়ার ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ সরোয়ার হোসাইন জানান, আগুন পুরো মার্কেটে লাগার কারণে অনেক দুর থেকে পানির সংযোগ দিয়ে আগুন নিভাতে হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, মহাস্থান একটি ঐতিহাসিক এলাকা। 

এখানে অনেক দোকানপাট ও বসতবাড়ি রয়েছে। অতচ এখানে নিরাপত্তার স্বার্থে আগুন নিয়ন্ত্রণের পানি রিজার্ভের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনি মহাস্থান হাট ইজারাদার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার্থে পানি বোরিং রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে নিজেদের একমাত্র রুজির পথ শেষ পুঁজি হারিয়ে ব্যবসায়ীদের মাটিতে লুটিয় আহাজারি করতে দেখা গেছে। অনেকেই এখন সরকারি অনুদান আশা করছেন। অগ্নিকান্ডের কারণে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা সকল যানচলাচল বন্ধ ছিল। এলাকাবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

Thursday, January 24, 2019

বগুড়ায় নবগঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন

সাইবার অপরাধ দমনে বগুড়ায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিট (সিপিবি) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

ভিডিও দেখুন :




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানো জানানো হয়, ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটার-এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোসহ মোট ২১ ধরনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সাইবার পুলিশ বগুড়া (সিপিবি) ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টিম ওই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট ‘সাইবার পুলিশ বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জেলায় সাইবার অপরাধের উপর প্রথম কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮টি অভিযোগ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে হবে। পরে সেই অভিযোগের কপি বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত সিপিবি ইউনিটে জমা দিতে হবে।’
সিপিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি বা মামলায় ফেসবুক আইডির ইউআরএল লিঙ্ক ও নিউমেরিক ভ্যালু অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি অপরাধ সংশ্লিষ্ট পেইজের স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করতে হবে। তাছাড়া কোন আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও থাকলে তার কপি এবং লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।
বগুড়ায় পুলিশের সাইবার ইউনিটের উদ্বোধন করে উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকেই সাইবার অপরাধ বাড়তে শুরু করেছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। তিনি বলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অধীন অন্যান্য জেলাতে সাইবার ইউনিট গঠিত হলেও বগুড়ার পুলিশ সবচেয়ে সক্রিয়। আশা করছি তারা সাইবার অপরাধ দমনে আরও সফল হবে এবং এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


যে ২১টি কর্মকাণ্ডকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও, মিথ্যা তথ্য, বিভিন্ন ধরণের গুজব ইত্যাতি ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো।
২. ওয়েব ফিশিং বা অন্য কোন উপায়ে তথ্য চুরি করে ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা।
৩. হ্যাকিং-এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠিত দল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে ভীতি বা শক্তি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও তথ্য ছিনতাই সংক্রান্ত অপরাধ।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারণা এবং সমর্থক সদস্য সংগ্রহ করা।
৬. ইউটিউবে আপত্তিকর ও অশালীন খারাপ ভিডিও প্রচার করা।
৭. বিভিন্ন ধরনের পর্ণো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন পর্ণো সােইটে প্রচার করা।
৮. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু পর্ণোগ্রাফি প্রচার।
৯. অবৈধ, অশ্লীল, ধর্মীয় অবমাননা হয় এমন কোন কনটেন্ট প্রকাশ বা প্রচার করা।
১০. সরকার বিরোধী কোন গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করা।
১১. ভূয়া অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও গুজব ছড়ানো।
১২. বিকাশ বা রকেট-এর মত মোবাইল ব্যাংকিং এর মেবায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
১৩. মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করা।
১৪. মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লটারী বা পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা।
১৫. অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা করা।
১৬. পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে এটিএম কার্ড ও পিওএস জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা
১৭. অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত অপরাধ।
১৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করা।
১৯. ভূয়া বা মিথ্যা ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
২০. ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
২১. পাইরেসির মাধ্যমে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির ক্ষতি সাধন।

বগুড়া জলেশ্বরীতলায় “জিভে জল” রেষ্টুরেন্টের উদ্বোধন


বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শহরের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত জলেশ্বরীতলায় সম্পূর্ন ভিন্নধমী আধুনিক সাজে পরিবার পরিজন নিয়ে রসনা বিলাস মেটানোর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সর্বোত্তম সেবা দেবার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে “জিভে জল” নামের নতুন একটি রেষ্টুরেন্ট । 


বুধবার (২৩ জানুয়ারি ) সন্ধ্যায় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে নতুন রেষ্টুরেন্ট “জিভে জল “ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক মাসুদুর রহমান মিলন ।

এর আগে “জিভে জল” এর ব্যবস্থাপণা পরিচালক ইসতিয়াক হায়দার এর পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হায়দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কর্নেল (অবঃ) ফতেহ আলম ইবনে তাবিব । বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাড. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাংসদ নূরুল ইসলাম ওমর , জ্বলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল বারী ঈসা সহ প্রমুখ । 
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক সম্পর্কে অতিতিদেও অবহিত করেন “জিভে জল” এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসতিয়াক হায়দার, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিল্লোল তৌহিদ, পরিচালকবৃন্দেও মধ্যে মমতা আলম, মিথিলা নাহিদ , মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ ও আজমি আকতার ।
“জিভে জল” এর চেয়ারম্যান কর্নেল (অবঃ) ফতেহ আলম ইবনে তাবিব জানান, বগুড়ায় অনেক রেষ্টুরেন্টের ভেিড় এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যতিক্রমি পরিবেশ এবং খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা নিয়ে আসবে । বিশেষ করে এই রেষ্টুরেন্টে কাবাব , বিভিন্ন ধরনের নান সহ ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের মানসম্মত রুচিমীল দেশী বিদেমি কাবার গ্রাহকদেও সরবরাহ করবে । সেইসাথে হোম ডেলিভারি সার্ভিস থাকবে । 
এককথায় রাজধানী ঢাকা সহ দেশ বিদেশের বড় বড় শহরের রেষ্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ বগুড়াতেই ঘরে বসেই গ্রহণ করতে পারবেন ইচ্ছে করলেই । জিভে জল সেই সুযোগটি করে দিতেই যাত্রা শুরু করলো ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসতিয়াক হায়দার জানান, গ্রাহকদেরকে পুষ্টি ও মানসম্মত খাবার পরিবেশনের নিশ্চয়তা দিয়ে যাত্রা শুরু করা এই রেষ্টুরেন্টের রান্নাঘরটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে । যাতে করে যে কোন গ্রাহক তার খাবারটি কোন পরিবেশে তেরি হচ্ছে সেটি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন । সেইসাথে থাকছে একঝাঁক দক্ষ কর্মি , যারা গ্রাহকের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করবে । 
জিভে জল রেষ্টেুরেন্টে একবার যিনি আসবেন , খাবার খাবার পর সত্যিই তার জিভে যেন জল লেগে থাকে পুনরায় আসবার জন্য এমটিই নিশ্চিত করার ইচ্ছে রয়েছে কর্তৃপক্ষের ।