Showing posts with label police- পুলিশ. Show all posts
Showing posts with label police- পুলিশ. Show all posts

Wednesday, August 21, 2019

বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন: স্বামী গ্রেফতার

বগুড়ায় মায়া খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধু স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া সদরের বার্ব্বাকপুর মধ্যপাড়া বাড়িতে ছুরিকাঘাতের পর বুধবার সকালে তার মৃত্য হয়। ওই হত্যাকান্ডে জড়িত মায়ার স্বামী রাকিবুল হাসানকে (২০) বুধবার সকালে গ্রেফতার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত মায়ার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি তদন্ত রেজাউল করিম রেজা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার বার্ব্বাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার আবু জাফরের ছেলে রাকিবুল হাসানের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে শিবগঞ্জ উপজেলার গৌরঘাট এলাকার তোজাম্মেল ওরফে বিশার মেয়ে মায়া খাতুনের বিয়ে হয়। রাকিবুল হাসান পেশায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী। তিনি বগুড়া পৌরসভায় মাস্টার রোলে কাজ করেন। তবে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। মঙ্গলবার মধ্য রাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। তারই এক পর্যায়ে রাকিবুল হাসান ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন। 

এতে তিনি চিৎকার দিলে শ্বাশুড়িসহ প্রতিবেশীরা মায়া খাতুনকে উদ্ধার করে টিএমএসএম মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যায় এবং মায়া খাতুনের জন্য তিন ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করে। কিন্তু তার পরেও তাকে বাঁচানো যায়নি। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, মায়া খাতুনকে ছুরিকাঘাতের খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ তার স্বামী রাকিবুল হাসানকে খুঁজছিল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে শহরের মাটিডালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিবুল জানিয়েছে দাম্পত্য কলজের জেরেই তিনি তার তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। ওই হত্যাকাণ্ডে এখনও মামলা হয়নি।

Friday, March 1, 2019

বগুড়ায় "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন

কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশ বগুড়া কর্তৃক "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন করা হয়েছে। 


তৃতীয়বারের মতো পালিত হওয়া এ অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নিহত বগুড়া জেলার অধিবাসী ১৯ জন পুলিশ সদস্যের  স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুলিশ লাইন্স বগুড়ায় স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার।

 পিবিআই বগুড়ার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরিফ উদ্দীন।


এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং  নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদ্যদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tuesday, February 19, 2019

বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বর্ণকারকে পিটিয়ে হত্যা


বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে রফিকুল ইসলাম মিঠু (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী হত্যাকারী সজিবকে (২৫) আটক করে পুলিশে দেয়। 


নিহত রফিকুল ইসলাম মিঠু সদর উপজেলার ধাওয়া পিকশন গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেন তালুকদারের ছেলে। ঘাতক সজীব হোসেন একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। তারা দুই জনই পেশায় স্বর্ণকার। 

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠু মারা যায়। 

স্থানীয়রা বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান, নিহত মিঠু এবং সজিব এক সঙ্গে স্বর্ণের গহনা তৈরির কাজ করে আসছিল। মিঠু ছোট ভাই ইমনের সঙ্গে সজিবের প্রবাসী ভাই এর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। 
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সজিব লোকজন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মিঠুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তারা পালাতে গেলে গ্রামবাসী সজিবকে আটক করে। 
রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় মিঠুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান,  এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইমন তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছে। 

Monday, February 18, 2019

সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ার অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার

বগুড়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক কলেজ ছাত্র অপহরণের শিকার হন । এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাতেই কৌশলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে । তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ভোরে ওই ছাত্র উদ্ধার করা হয়।
আবুল হাসান জোহা


ওই ছাত্রের নাম আবুল হাসান জোহা। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ছাত্র। বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার মনিনাগ গ্রামে। 

গ্রেফতার করা দুজন হলেন ফেরদৌস হাসান ও শিবলু।  তাদের বাড়ি বগুড়া শহরের পূর্ব পালশা এলাকায়। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আবুল হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের কামারগাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এ সময় ১০/১২ জন যুবক একটি দল তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মোটরবাসে তুলে নিয়ে যান ।
পরে তাকে পূর্ব পালশা এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারী চক্রের একজন আবুল হাসান  জোহা'র ফোন থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।।

মুক্তিপণ না দিলে হাসান কে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আবুল হাসানের বাবা মোঃ হারেছ এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিষয়টি বগুড়া সদর পুলিশের কাছে জানান । ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কে অনুরোধ করেন। 

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীদের মুঠোফোন নম্বর ট্রাক করে একপর্যায়ে ফেরদৌস ও শিবলু কে গ্রেফতার করে। 

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে কলেজ ছাত্র আবুল হাসান জোহা কে উদ্ধার করা হয়।

Monday, February 11, 2019

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়। পুলিশ সপ্তাহ পরবর্তী মাদক বিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ মামলায় ৪৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এর মধ্যে সদর থানার ৮ মামলায় আটক হয়েছে ২৮ জন । উদ্ধার হয়েছে ২২৫ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি গাঁজা ২.৫ গ্রাম হেরোইন । 

https://www.youtube.com/channel/UCUJADqUZV2Xg0QxOaA_X8yg?sub_confirmation=1




পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার) জানিয়েছেন মাদক ব্যবসা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলতে থাকবে। এ ব্যাপারে গতকালের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে সুধী সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,  দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। 


মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।

 দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা। 

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।

 মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়। 

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন

Sunday, February 3, 2019

বগুড়ায় জমি লিখে না দেওয়ায় মাকে হত্যার সেই ঘাতক ছেলের ফাঁসির দণ্ডাদেশ



বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টার (বগুড়া) বগুড়ায় জমিজমা লিখে না দেওয়া বিরোধের জের ধরে মাকে হত্যার দায়ে সেই ঘাতক ছেলে আবু রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত।




 ..
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে আসামি রায়হান উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার কাহালু উপজেলার কাজীপাড়ার আব্দুর রহমান বাচ্চুর ছেলে রায়হান বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই সকালে সে বাড়িতে এসে মা রওশন আরার কাছে তার নামে জমি লিখে দেওয়ার দাবি করে।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন বাঁচাতে এগিয়ে এলে ঘাতক রায়হান তাদেরও মারধর করে।
পরে রওশন আরাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা ছেলে রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বোন রাবেয়া রায়হানকে একমাত্র আসামিকরে কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাহালু থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল আলম মামালাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে আসামি তার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে একই বছরের ৩১ অক্টোবর রায়হানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলাটি বিচারের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এ স্থানান্তর করা হয়। সেই মামলায় ২০১০ সালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন

পরে আসামি রায়হান রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে আবারো বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক পুনির্বিবেচনার রায়েও তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার আদেশ দেন।

Thursday, January 31, 2019

বগুড়ার শাজাহানপুরে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি আটক

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলেন, হিউম্যান হলার চালক উপজেলার রহিমাবাদ দক্ষিনপাড়ার মৃত মোবারক আলীর পুত্র হুমায়ন কবির (৩২) এবং হেলপার কাটাবাড়িয়া গ্রামের ইমতিয়াজ আলীর রাজু আহমেদ (২৪)।
এ ঘটনায় থানার এসআই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মাদক মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসআই রুম্মান হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাঝিড়াবন্দর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলারের চালকের সিটের নীচ থেকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের নিয়মিত মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Monday, January 28, 2019

বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শিবগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।


জানা যায় শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া তেলিপাড়া গ্রামের সাজুর  কন্যা সারমিন আক্তার (১৯) পরিবারের সদস্যর উপর অভিভান করে সোমবার দূপূর ১২ টার দিকে সবার  অগোচরে গলায় ওড়না দিয়ে তীরে সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। 

বিষয়টি শিবগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর  নির্দেশে এসআই আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের লোকজন জানায় বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে সারমিন আক্তার গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের নানা আশরাফ আলী থানায় ইউডি মামলা করেন। 

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। সারমিন এর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরবর্তী আপলোড পেতে কমেন্ট_এবং_শেয়ার করে পাশে থাকুন।

এক ঘর পালানো কন্যা ও তার বাবার গল্প


বগুড়া উত্তর ডটকম: ২৬ জানুয়ারি রাত দশটা। নিজ অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছিলেন বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী। তার মুখে শোনা কথো গুলোই এখানে তুলে ধরা হলো, এমন সময় অফিসে এলো ছোটভাই সাংবাদিক নৃত্যশিল্পী সজল   এবং পরিচিত আরেক ভদ্রলোক হামিদ ভাই। তাদের সাথে এক ভদ্রলোক একজন ভদ্রমহিলা এবং একটি বোরকাচ্ছাদিত বালিকা। বয়স ১৩/১৪ । 

সজলকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা কি? তখন সাথের লোকটি কথা বলা শুরু করলেন। তার ভাষ্যমতে তার নাম মোঃ সৌখিন মিয়া। তিনি বগুড়া ময়মনসিংহ রুটের যুগান্তর বাসের একজন সুপারভাইজার। বাড়ি বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নে। 

গত ১৭ তারিখে তার বাস ময়মনসিংহ থেকে ছাড়ার সময় এই মেয়েটি উঠেছিল পাবনা যাবার নাম করে। মেয়েটির হাটিকুমরুল চাররাস্তা (সিরাজগঞ্জ রোড) মোড়ে নামার কথা ছিল। আসার পথে এলেঙ্গা এবং অন্যান্য এলাকায় যানজটের কারনে গাড়ি সিরাজগঞ্জ রোডে আসতে রাত ১১ টা বেজে যায়। 

নামার সময় মেয়েটা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সে নামতে রাজি না হওয়ায় সুপারভাইজার তাকে জিজ্ঞেস করে যে তার সাথে যাবে কিনা। মেয়েটা রাজি হয়ে তার সাথে তার বাড়িতে চলে আসে।   


সুপারভাইজার সাহেবের দুই মেয়ে একছেলে। ছেলেটা প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তার স্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন। মেয়েটি সেই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মেয়ের মতো মিশে গেল। রান্নাবান্না ঘরকন্না সবই করছিল। 

বিষয়টা যে থানাতে অবগত করা উচিৎ তা সুপারভাইজার বা তার পরিবারের কারো মাথাতেই আসে নাই। দশদিন পর তাদের কানে পানি যায়। বিষয়টা সজলকে জানালে সজল তাদের নিয়ে আমার অফিসে আসে। 


আমি মেয়েটির সাথে কথা শুরু করলাম। খুবই লাজুক, কথাই বলতে চায় না। কোন রকমে তার মুখ দিয়ে বের করালাম তার নাম, পিতার নাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের আরোংবাজ। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালি ময়মনসিংহের সাথে কথা বললাম। তিনি খুব দৃঢ়তার সাথে বললেন এই নামে ময়মনসিংহ সদরে কোন জায়গা নাই। ফুলবাড়ি ফাড়ির ইনচার্জ আমবারকে বললাম খোঁজ নিতে। সে অনেকদিন সেখানে ছিল। সেও খোঁজখবর নিয়ে বলল এই নামের কোন জায়গা ময়মনসিংহে নাই।  


মেয়েটির সাথে আবার কথা বলা শুরু করলাম। এবার তার কাছ থেকে জানলাম সে একটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার নাম নারায়ণডহর। জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে বড় কোন বাজার আছে। সে বলল পূর্বধলা বাজার আছে। গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার পাশে নারায়ণডহর পাওয়া গেল। 

ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। খুলে বললাম ঘটনা। তিনি একটু সময় নিলেন। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললেন ১৯ জানুয়ারি একটা মিসিং জিডি হয়েছে। ভিক্টিমের নাম মিলে গেল কিন্তু বাবার নাম মিলল না।  


মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। এবার আমার সাথে যোগ দিলেন ওসি সদর জনাব এসএম বদিউজ্জামান। দুজনের সম্মিলিত জিজ্ঞাসাবাদে সে বাবার নামের কথা স্বীকার করল, কেন বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাও বলল। আবার ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। জানালাম সবকিছু। তিনি মেয়েটির বাড়িতে খবর দিলেন। 


২৭ তারিখ সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা তার সাথে দুইজন লোক নিয়ে থানায় এসে হাজির। বাবা মেয়ের মিলন হলো, সৃষ্টি হলো এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। বাবার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি গাজীপুরে একটা ছোট চায়ের দোকান চালান, তার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করে। মেয়েটা তার দাদার সাথে গ্রামের বাড়ি লাউজানা, পূর্বধলায় থাকে।

 দাদা বকা দেয়ায় সে অভিমান করে মা বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ভুল করে বগুড়ার গাড়িতে উঠে পড়ে। বাবার ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটা হারানোর পর থেকে তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। 


(ছবিতে মেয়েটিকে তার বাবার সাথে এবং আমার সাথে দেখা দেখা যাচ্ছে, বাবা মেয়ের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবি প্রকাশ করা হলো)

বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-১৯ শুরু

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করা হয়েছে।  সোমবার সকাল ১০ টায়  বেলুন  উড়িয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।  উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহীদ খোকন পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।






শোভাযাত্রায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্রাফিক পুলিশের প্রায়  ৪ শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেয়। পাশাপাশি জেলা মোটর শ্রমিকের নেতাকর্মীরাও শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহ রবিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ পর্যন্ত চলবে। 


‘পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় এসময় জনসাধারণের কাছে পুলিশের নানামুখি সেবা সমূহ উপস্থাপন করা হয়। সেবা সমূহের মাঝে প্ল্যাকার্ডে উল্লেখযোগ্য ছিল- জনতার পুলিশ, আপনার থানা, আসতে যেতে নেইকো মানা, পুলিশ জনতা সবাই মিলে সমাজ গড়ি তিলে তিলে, টিপলে ফোনে তিনটি ৯৯৯ এসে হাজির হয়, থানার জিডির মাধ্যমে সেবা প্রদান, আইন মেনে চলুন, 

নিরাপদ দেশ গড়ে তুলুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করুন, মাদককে না বলুন, যৌতুক দিবেন না, যৌতুক নিবেন না, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করুন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করুন,যে কোন জরুরী অবস্থায় ৯৯৯ (টোল ফ্রি) এ ডায়াল করুন, জঙ্গী কর্মকান্ডে প্রতিরোধে পুলিশকে সহায়তা করুন ইত্যাদি। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য পুলিশের বিভিন্ন কাজ নিয়ে  লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

subscribe করুন : http://bit.do/eGTMs

Thursday, January 24, 2019

বগুড়ায় নবগঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন

সাইবার অপরাধ দমনে বগুড়ায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিট (সিপিবি) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

ভিডিও দেখুন :




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানো জানানো হয়, ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটার-এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোসহ মোট ২১ ধরনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সাইবার পুলিশ বগুড়া (সিপিবি) ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টিম ওই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট ‘সাইবার পুলিশ বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জেলায় সাইবার অপরাধের উপর প্রথম কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮টি অভিযোগ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে হবে। পরে সেই অভিযোগের কপি বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত সিপিবি ইউনিটে জমা দিতে হবে।’
সিপিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি বা মামলায় ফেসবুক আইডির ইউআরএল লিঙ্ক ও নিউমেরিক ভ্যালু অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি অপরাধ সংশ্লিষ্ট পেইজের স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করতে হবে। তাছাড়া কোন আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও থাকলে তার কপি এবং লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।
বগুড়ায় পুলিশের সাইবার ইউনিটের উদ্বোধন করে উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকেই সাইবার অপরাধ বাড়তে শুরু করেছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। তিনি বলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অধীন অন্যান্য জেলাতে সাইবার ইউনিট গঠিত হলেও বগুড়ার পুলিশ সবচেয়ে সক্রিয়। আশা করছি তারা সাইবার অপরাধ দমনে আরও সফল হবে এবং এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


যে ২১টি কর্মকাণ্ডকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও, মিথ্যা তথ্য, বিভিন্ন ধরণের গুজব ইত্যাতি ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো।
২. ওয়েব ফিশিং বা অন্য কোন উপায়ে তথ্য চুরি করে ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা।
৩. হ্যাকিং-এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠিত দল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে ভীতি বা শক্তি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও তথ্য ছিনতাই সংক্রান্ত অপরাধ।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারণা এবং সমর্থক সদস্য সংগ্রহ করা।
৬. ইউটিউবে আপত্তিকর ও অশালীন খারাপ ভিডিও প্রচার করা।
৭. বিভিন্ন ধরনের পর্ণো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন পর্ণো সােইটে প্রচার করা।
৮. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু পর্ণোগ্রাফি প্রচার।
৯. অবৈধ, অশ্লীল, ধর্মীয় অবমাননা হয় এমন কোন কনটেন্ট প্রকাশ বা প্রচার করা।
১০. সরকার বিরোধী কোন গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করা।
১১. ভূয়া অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও গুজব ছড়ানো।
১২. বিকাশ বা রকেট-এর মত মোবাইল ব্যাংকিং এর মেবায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
১৩. মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করা।
১৪. মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লটারী বা পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা।
১৫. অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা করা।
১৬. পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে এটিএম কার্ড ও পিওএস জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা
১৭. অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত অপরাধ।
১৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করা।
১৯. ভূয়া বা মিথ্যা ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
২০. ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
২১. পাইরেসির মাধ্যমে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির ক্ষতি সাধন।

ধর্ষণের অভিযোগে ৫ম শ্রেণির দুই ছাত্র গ্রেফতার

বগুড়া উত্তর ডটকম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামে নয় বছর বয়সী এক বাক প্রতিবন্ধীকে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।




এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতার হলেন, সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের দুলালের ছেলে আবির হাসান আশিক (১০) ও একই গ্রামের আশাদুলের ছেলে সিহাব ওরফে সৌরভ (১১)। তারা দুজনই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ, রোববার বিকেলে তার নয় বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত গুদাম ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আশিক ও সৌরভ। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই শিশুকে পাশবিক নির্যাতন করে তারা। পরে ওই শিশু অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Wednesday, January 23, 2019

সোনাতলায় ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন আটক

বগুড়া উত্তর ডটকম (মোশাররফ হোসেন, সোনাতলা  সংবাদদাতাঃ  বগুড়ার সোনাতলায় ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু (২৭) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। 

সোনাতলায় ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন আটক

থানার এসআই কামাল পারভেজ জানান মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার হাঁসরাজ গ্রামের আনসার গাড়িয়ালের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর বটগাছের নীচ থেকে চাল ভর্তি একটি বস্তা থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পিন্টুকে আটক করা হয়। 

তিনি আরো জানান ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি (২) ধারা মোতাবেক আটককৃত পিন্টুর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। সে সোনাতলা উপজেলার ভিকনেরপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে। বস্তার চালগুলো থানায় জব্দ করে রাখা হয়েছে।

Tuesday, January 22, 2019

বগুড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান- কয়েকজন মাদক বিক্রির অভিযোগে আটক

বগুড়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলছে 
বগুড়া জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে স্টেশন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ।

 ...
ভিডিও দেখুন ....

Saturday, January 19, 2019

কমিউনিটি সেন্টারে অনৈতিক কার্যকলাপ - নারীসহ ৪৭ জন গ্রেপ্তার

বগুড়া উত্তর ডটকম (সাগর খান, আদমদীঘি প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পালকি নামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ শুক্রবার গভীর রাতে ৭ নারী’সহ ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।



 
এদের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়েরের পর দুপুরে বগুড়া আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা বগুড়া শহর ও আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মচারি ও ব্যবসায়ি বলে জানা গেছে। পিকনিক করার নামে এ সকল ব্যক্তিরা ওই কমিউনিটি সেন্টারে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সান্তাহার শহর পুলিশ অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করে ।
 
পুুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সান্তাহার শহরের শিমুল, বগুড়া শহরের শামসুল হক, জাহিদুল ইসলাম, জহুরুল হক, ওয়াহেদুজ্জামান, সেলিম হোসেন,ফারুক হোসেন, মোকছেদ আলী, মাসুদ মিয়া, রিপন পাইকার, নাটোরের শিউলী আক্তার, শরীয়তপুরের শিরিন আক্তার, ঢাকার সোনালী বেগম ও আলো আক্তার সহ ৪৭ জন বগুড়া থেকে একটি বাসযোগে আদমদীঘির সান্তাহার শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন পালকী কমিউনিটি সেন্টারে পিকনিক করতে আসেন।

পিকনিক করার নামে এ সকল ব্যক্তিরা গভীর রাতে সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এ সময় গোপন সংবাদ পেয়ে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) আব্দুল ওয়াদুদ পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন ।
 
আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে ২৯০ ধারায় মামলা দায়েরের পর ওই ৪৭ জন কে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে ।

Tuesday, January 15, 2019

বগুড়ায় ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার আন্ত:জেলা দুই চোর সদস্যকে গ্রেফতার Bogura news

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শহরের মেরিনা মার্কেট এর ৩য় তলার গোডাউন থেকে ৩০ লক্ষ টাকার এলইডি টিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরির ঘটনায় পুলিশ আন্ত:জেলা চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।


 গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৩২ পিচ এলইডি টিভি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দাড়িয়াল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে বিপুল (৩২) ও একই গ্রামের লয়া মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩০)।

মেরিনা মার্কেট এর রাজ্জাক ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার আব্দুস সামাদ এর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক তার গোডাউন থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে উক্ত দুই চোর ও চোরাই মাল উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সাংবাদিকদের সামনে দেখানো হয়।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রহিম রানা জানান, উক্ত চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার এবং আরও চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এ ঘটনায় আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেছেন।

বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার দুই চোর সদস্যকে গ্রেফতার Bogura news

বগুড়া উত্তর ডটকম : বগুড়া সদর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান এর নেতৃত্বে নামুজা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা পেশাদার চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে ..




ভিডিও টি দেখুন  .....

বগুড়া র‌্যাব ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাদক সেবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

বগুড়া উত্তর ডটকম : র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখ ১৩: ৩০ ঘটিকা হতে ১৯: ০০ ঘটিকা পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপার এস,এম, জামিল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার, স্পেশাল কোম্পানী, র‌্যাব-১২, বগুড়া এবং বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী বগুড়া দ্বয়ের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকায় মাদক সেবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন।


২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ধারা মোতাবেক মাদক সেবনের অপরাধে বিজ্ঞ ভ্রাম্যমান আদালত ধৃত আসামী ১। মোঃ রাসেল (২২), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-তালোড়া সন্ধাবাড়ী, থানা- ধুপচাঁচিয়া জেলা-বগুড়া, ২। মোঃ জনি (২৯), পিতা- শফিক হোসেন, সাং-লতিফপুর কালোনী , ৩। মোঃ জাকারিয়া রকি (৩০), পিতা-আঃ সামাদ আজাদ, সাং-লতিফপুর পশ্চিমপাড়া, উভয় থানা ও জেলা-বগুড়া, ৪। শ্রী বিপ্লব রায় (১৯), পিতা-বিনয় রায়, সাং-জোড়া হিন্দু পাড়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়া, 

৫। মোঃ রাজু (৪০), পিতা-মৃত ইউনুস আলী, সাং-উত্তর ঠেলোপাড়া, ৬। মোঃ শিফাত হোসেন (১৯), পিতা-মৃত আসলাম উদ্দিন, সাং-বৃন্দাবন দক্ষিণ পাড়া, ৭। অমিত হাসান (২৮), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, সাং-রিয়াজ বাড়ীলেন সুত্রাপুর ৮। মোঃ শামিম হোসেন (২৬), পিতা-মৃত মাহাযুজার রহমান, সাং-সুত্রাপুর, এবং 

৯। মোঃ মেহেদী হাসান (২৫), পিতা-বোরাজুল ইসলাম, সাং-ঠনঠনিয়া পশ্চিম পাড়া, উভয় থানা ও জেলা বগুড়াদেরকে সর্বমোট ১৯,০০০/- টাকা অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করলে তাদের অভিবাবকগণ জরিমানার টাকা জমা প্রদান করায় তাদের জামিনে মুক্তি প্রদান করেন। 

অপর ধৃত আসামী ১০। মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মোঃ নুর ইসলাম, সাং-দত্তবাড়ী, ১১। মোঃ মানিক শেখ (৪০), পিতা- মোঃ তারা শেখ, সাং-মাল গ্রাম মধ্যপাড়া, ১২। শ্রী বাঁধন চন্দ্র দাস (২০), পিতা- বিনয় চন্দ্র দাস, সাং- লাহিড়ী পাড়া(মহাস্থান), ১৩। মোঃ আঃ মজিদ (৫৫), পিতা-মৃত বাল্টু শেখ, সাং-নাটাই পাড়া এবং 

১৪। মোঃ আঃ লতিফ (৪৫), পিতা-মৃত নয়া মিয়া, সাং-দক্ষিণ কাটনার পাড়া উভয় থানা ও জেলা বগুড়াদেরকে প্রত্যেককে ২০০০/- টাকা করে সর্বমোট ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডসহ প্রত্যেককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করিলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত কারাদন্ডের কয়েদের পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগার বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়।

বগুড়া সংবাদ থেকে সংগৃহীত