Showing posts with label ভিডিও. Show all posts
Showing posts with label ভিডিও. Show all posts

Sunday, February 3, 2019

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী, পোড়াদহ মেলা, Poradaha Mela Bogra,Poradaha Mela


ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।


পুরো ভিডিও দেখতে পারেন .. 



স্থান: 
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া। 
সময়কাল ও ব্যাপ্তি: 
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।

প্রকৃতি ও বিবরণ: 
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। 

আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। 

এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন


ঐতিহাসিক পটভূমি

:মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। 

সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।

তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। 

বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।

সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।

ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।

গুরুত্ব: 
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।


Thursday, January 31, 2019

প্রকাশ হয়েছে অপূর্ব, তাহসান ও নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ (ভিডিওসহ)

জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ প্রকাশ হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’-এ ৬০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে।
  




এদিকে এটাই প্রথম  প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশো। ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’র মাধ্যমে তাদের তিনজনকে এক করেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।  

জানা গেছে, ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন তরুণের ভিন্নধর্মী সঙ্কটের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ওয়েব ফিল্মের কাহিনি।  নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘এই তিন তারকাকে একসঙ্গে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে গল্পের প্রয়োজনে প্রথমবারের মতো তারা এক হয়েছেন। নির্মাণের দিক দিয়ে কাজটি চলচ্চিত্রের আদলে করা হয়েছে।’ 

 তিনি আরও বলেন, ‘বিনোদনের ক্ষেত্রে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নতুন আইডিয়া ও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের উৎসাহিত করছে। প্রেম-ভালোবাসা ও জীবন দর্শনের মজাদার ও উপভোগ্য দিক নিয়ে নির্মিত নতুন ধরনের কাজটি আশা করি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।’ 

 অপূর্ব, তাহসান ও আফরান নিশোর পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন সানজীদা প্রীতি, রাইসা অর্পা, নাজিয়া হক অর্ষা, রিফাত জাহান ও আবুল হায়াত প্রমুখ।  ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ ওয়েব ফিল্মটি দেখতে নিচে  ক্লিক করুন

Sunday, January 27, 2019

Tuesday, January 22, 2019

বগুড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান- কয়েকজন মাদক বিক্রির অভিযোগে আটক

বগুড়া জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলছে 
বগুড়া জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে স্টেশন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ।

 ...
ভিডিও দেখুন ....

Tuesday, January 15, 2019

বগুড়ায় ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার আন্ত:জেলা দুই চোর সদস্যকে গ্রেফতার Bogura news

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শহরের মেরিনা মার্কেট এর ৩য় তলার গোডাউন থেকে ৩০ লক্ষ টাকার এলইডি টিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরির ঘটনায় পুলিশ আন্ত:জেলা চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।


 গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৩২ পিচ এলইডি টিভি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দাড়িয়াল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে বিপুল (৩২) ও একই গ্রামের লয়া মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩০)।

মেরিনা মার্কেট এর রাজ্জাক ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী শহরের নিশিন্দারা উত্তরপাড়ার আব্দুস সামাদ এর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক তার গোডাউন থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে উক্ত দুই চোর ও চোরাই মাল উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সাংবাদিকদের সামনে দেখানো হয়।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রহিম রানা জানান, উক্ত চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার এবং আরও চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এ ঘটনায় আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেছেন।

বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার দুই চোর সদস্যকে গ্রেফতার Bogura news

বগুড়া উত্তর ডটকম : বগুড়া সদর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান এর নেতৃত্বে নামুজা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা পেশাদার চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে ..




ভিডিও টি দেখুন  .....

Monday, January 14, 2019

সম্পূর্ণ ফ্রিতে খাবার পাওয়া যায় যে হোটেলে

বিনামূল্যে খাবারের হোটেল! এমন কথা শুনলে অবাক হওয়ারই কথা। বর্তমান যুগে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। কিন্তু ক’জন এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন তা অজানাই থেকে যায়। 



যিনি এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি হলেন মরহুম আকবর আলী মিঞা। বিনামূল্যে খাবারের হোটেল তৈরি করে তিনিই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।সারাদিন হোটেলে উন্নতমানের খাবার বিক্রি করার পর রাতে গরিব, ভিক্ষুক, ভাসমান ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষদের মুখে বিনামূল্যে খাবার তুলে দেয়ার নজির স্থাপন করে আসছে সেই বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল।হোটেলটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আকবর আলী মিঞা। তার হোটেলে বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি রাতে দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে খাবার দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা চলবে বলে জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ 

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলটির কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই চলবে।হোটেলটি বগুড়া শহরের কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত। হোটেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ৯৬ বছর ধরে শহরের ভিক্ষুক, গরিব, ভাসমান, ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে আসছে। শহরের নাম-পরিচয়হীন মানুষদের একবেলা ভালোমানের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

একেবারে আলাদা রান্না করে খাবার বিতরণ করা হয়। এ খাবারের জন্য প্রতিদিন শহরের অভাবী মানুষ হোটেলে ভিড় করে থাকে। বিনিময়ে কোনো শ্রম বা দাম নেয়া হয় না।অভাবী মানুষদের খাবার বিতরণ করে মরহুম আকবর আলী মিঞা এক অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। প্রায় শত বছর ধরে এ ধরনের সেবামূলক কাজ করে আসছে আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ।জানা গেছে, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আকবর আলী মিঞা তৎকালীন ভারতের মুর্শীদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ভাগ্য অন্বেষণে সপরিবারে বাংলাদেশের পাকশী, সান্তাহার এবং পরে বগুড়ায় আসেন।

আকবর আলী মিঞা ভাইয়ের সঙ্গে মেকানিকের কাজ শুরু করেন। ওই সময় বগুড়া শহরে মুসলমানদের খাবারের কোনো হোটেল ছিল না। হিন্দু সম্প্রদায়ের হোটেলে মুসলমানরা যেত না। হিন্দুরা তাদের হোটেলের আসবাব মুসলমানদের ছুঁতেও দিত না।এ থেকেই হোটেল দেয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেন আকবর আলী মিঞা। কিন্তু হোটেল দেয়ার মত তার প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। হোটেল করার জন্য তিনি মিষ্টি তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি শুরু করেন। 

মিষ্টি বিক্রির পুঁজি নিয়ে শহরের চকযাদু রোডের মুখে মাসিক ৮ টাকা ভাড়ায় হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।বগুড়া শহরে সে সময় আকবর আলীর ছোট্ট পরিসরে হোটেল ছিল। মুসলমানদের একমাত্র খাবার হোটেল এটি। 

হোটেলের নাম-ডাক খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বগুড়ায় সে সময় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানে খদ্দেরের স্থান সংকুলান হতো না। পরে তিনি শহরের (বর্তমান) থানা রোডে হোটেলটি স্থানান্তর করেন। সে থেকেই আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল হিসেবে পরিচিতি পায়।চল্লিশ থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত তিনি তার হোটেলে মাসিক ১৫-২০ টাকায় তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দিতেন। সে সময় ঘি দিয়ে রান্না করা বিরিয়ানির দাম ছিল ১ টাকা প্লেট। বিদ্যুৎ না থাকলেও তিনি নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন।বগুড়ার সাদা সেমাইয়ের যে কদর দেশব্যাপী ছিল, তার মূলে ছিলেন আকবর আলী।

 সে সময় কলকাতা থেকে সেমাই আসতো বাংলাদেশে। এ অঞ্চলের মুসলমান বা সাধারণ মানুষকে অল্প দামে সেমাই খাওয়ানোর তাগিদে সেমাই তৈরি করেন তিনি। তাতে সফলও হন।ধর্মভীরু মানুষ আকবর আলী ব্যবসায় উন্নতি এবং প্রসারে ব্যাপক সফলতা পান। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে আয়ের একটা অংশ দিয়ে প্রতিদিন রাতে ফকির-মিসকিনদের খাওয়াতেন তিনি। সেটা তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে গেছেন।

১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগে তিনি ছেলেদের হোটেলের আয় থেকে ফকির, মিসকিন, গরিবদের খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়ে যান। আজও সে কথার এতটুকু নড়চড় হয়নি। পিতার আদেশ মেনে তার ছেলেরা আজো তা পালন করে যাচ্ছেন।আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের এখন চারটি শাখা শহরেই। কবি নজরুল ইসলাম সড়কে আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল, ইয়াকুবিয়ার মোড়স্থ মিষ্টি মেলা, কোর্ট চত্বরে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও শজিমেক হাসপাতালে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। 

এসব শাখায় সংযোজন করা হয়েছে আবাসিক, বেকারি, চাইনিজ, থাই ও ফাস্টফুড, লাচ্ছা-সেমাই, দই। কর্মচারী রয়েছেন অন্তত সহস্রাধিক। আকবর আলীর সেই লাচ্ছা-সেমাই এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রফতানি হয়।বগুড়া শহরে ভিক্ষা করা ধুনট উপজেলার বৃদ্ধা ছমিরন নেছা সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে স্টেশনের পাশে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন। ১৮-১৯ বছর ধরে রাতে আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে যাচ্ছেন তিনি।

৬৫ বছরের বৃদ্ধ রমজান আলী বেপারী আয় রোজগার করতে পারায় আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে থাকেন।মরহুম আকবর আলী মিঞার ছোট ছেলে ও আকবরিয় গ্রুপের পরিচালক মো. হাসান আলী আলাল বাবার নিয়ম পালন করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এক মণেরও বেশি চাল আলাদাভাবে রান্না করে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। 

রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হোটেলের সামনের রাস্তায় খাবার বিতরণ করা হয়।১৯১৮ সালের আগে আকবর আলী মিঞা প্রথম গরিব মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবার নিয়ম পালন করে যাচ্ছেন তার ছেলে।লত খাবার বিতরণ শুরু হয়েছিল মুসাফিরদের জন্য। কালক্রমে মুসাফিরের জায়গায় এখন দীনহীন মানুষকে খাবার দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে যে কেউ খাবার নিতে পারে।

Sunday, January 13, 2019

সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কন্ঠে "কারার ঐ লৌহকপাট"



১২ই জানুয়ারি ২০১৯ তে সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কাজি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট





Karar oi louho kopat-- nobleman saregamapa

#nobleman_saregamapa #saregamapa_nobel
#Karar_oi_louho_kopat

Thursday, January 10, 2019

বগুড়ার রানার প্লাজা প্রথম তালায় অপ্সরী ফ্যাশানে চুরি (ভিডিও সহ)

বগুড়ার রানার প্লাজা প্রথম তালায় অপ্সরী ফ্যাশানে চুরি

.. সবাই সাবধানে থাকুন এই কামনায়।

... ভিডিও দেখুন এখানে 



Tuesday, January 8, 2019

বগুড়ায় সকাল ৮ টায় মোবাইল শোরুমে চুরি। ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি


আল আমিন কম্প্লেক্স বগুড়া অবস্থিত একটি মোবাইলের শোরুম সর কার স্মার্ট গ্যালারি যাহা গত ৮ জানুয়ারী ২০১৯ সকাল আটটার সময় চুরি হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মোবাইল স্যামসাং সিম্ফোনি এম আই শাওমি মোবাইল।

শোরুমের মালিক জানিয়েছেন "কারো কাছে যদি চোরাই ফোন বা এই ধরণের মোবাইল বিক্রি করতে যায় তাহলে তাকে ধরিয়ে দেন, তাকে যদি কেউ চিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন আমাদের মোবাইল নাম্বার দেয়া হলো, সঠিক সন্ধানকারী কে বড় ধরনের পুরস্কৃত করা হবে!   ০১৭১১৮৭৫১৮৬ ০১৭২৩১৪৩৩৩২


চুরির দৃশ্য সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা ভিডিও



আপনার এলাকার কোন রকম ঘটনা ঘটলে আমাদের কমেন্ট করে বা ফেসবুকে মেসেজ বা মেইলে করে ও জানাতে পারেন।
সবাই সাবধানে থাকুন নিরাপদে থাকুন।

চোরদের ধরিয়ে দিতে নিউজ টি শেয়ার করুন সবার সাথে।