Showing posts with label entertainment. Show all posts
Showing posts with label entertainment. Show all posts

Sunday, February 3, 2019

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী, পোড়াদহ মেলা, Poradaha Mela Bogra,Poradaha Mela


ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।


পুরো ভিডিও দেখতে পারেন .. 



স্থান: 
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া। 
সময়কাল ও ব্যাপ্তি: 
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।

প্রকৃতি ও বিবরণ: 
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। 

আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। 

এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন


ঐতিহাসিক পটভূমি

:মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। 

সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।

তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। 

বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।

সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।

ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।

গুরুত্ব: 
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।


Thursday, January 31, 2019

প্রকাশ হয়েছে অপূর্ব, তাহসান ও নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ (ভিডিওসহ)

জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ প্রকাশ হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’-এ ৬০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে।
  




এদিকে এটাই প্রথম  প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশো। ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’র মাধ্যমে তাদের তিনজনকে এক করেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।  

জানা গেছে, ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন তরুণের ভিন্নধর্মী সঙ্কটের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ওয়েব ফিল্মের কাহিনি।  নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘এই তিন তারকাকে একসঙ্গে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে গল্পের প্রয়োজনে প্রথমবারের মতো তারা এক হয়েছেন। নির্মাণের দিক দিয়ে কাজটি চলচ্চিত্রের আদলে করা হয়েছে।’ 

 তিনি আরও বলেন, ‘বিনোদনের ক্ষেত্রে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নতুন আইডিয়া ও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের উৎসাহিত করছে। প্রেম-ভালোবাসা ও জীবন দর্শনের মজাদার ও উপভোগ্য দিক নিয়ে নির্মিত নতুন ধরনের কাজটি আশা করি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।’ 

 অপূর্ব, তাহসান ও আফরান নিশোর পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন সানজীদা প্রীতি, রাইসা অর্পা, নাজিয়া হক অর্ষা, রিফাত জাহান ও আবুল হায়াত প্রমুখ।  ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ ওয়েব ফিল্মটি দেখতে নিচে  ক্লিক করুন

Monday, January 28, 2019

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।



ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।





স্থান:
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া।সময়কাল ও ব্যাপ্তি:প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।

প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। 

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন। 

মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।


ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


ঐতিহাসিক পটভূমি:
মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন। 

কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত। 

এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।

সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


যোগাযোগের ব্যবস্থা:
বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।

ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।

 গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।

Thursday, January 24, 2019

হিরো আলম সুস্থ আছে, মৃত্যুর গুজব ছাড়বেন না

আপনিও যেকোন মুহুর্তে অসুস্থ হতে পারেন, তাই বলে জীবিত মানুষকে ইন্তেকাল দেখিয়ে মিথ্যা গুজব কেন ?
হিরো আলম সুস্থ আছে, ভালো আছে।
- - - -



সোমবার (২১ জানুয়ারী) বিকাল ৫ টার দিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ও নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিরো আলমকে ফুলেল সংবর্ধনা দেয় সংগঠনের ঢাকা মহানগর মিরপুর জোন কমিটির নেতৃবৃন্দ। এরপর সংগঠনের অর্ধশত নেতৃবৃন্দ সহ হিরো আলম ঘুরতে যায় সংসদ ভবনের পাশেই নব থিয়েটারে।

নব থিয়েটারে প্রবেশের আগেই হিরো আলমের শতশত ভক্ত ছুটে আসে। হিরো আলমের অসংখ্য ভক্তরা ছবি তুলতেছিল। এসময় হঠাতই হিরো আলম অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেখানে আমিও ছিলাম।।

সেখান থেকে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় আল রাজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তারের রেফার করলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকেও রেফার করা হয় অন্য হাসপাতালে।

পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে হিরো আলমকে ভর্তি করা হয়। সাথে সাথে ডাক্তারো যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং হিরো আলম খুব দ্রুত সুস্থ হয়। হিরো আলমের পাশে থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করেছেন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সহ নেতৃবৃন্দ। হিরো আলমের জ্ঞান ফেরা পর্যন্ত সবাই সেখানে উপস্থিত ছিল। হিরো আলম বাসায় ফিরেছে, বর্তমানে সে সুস্থ আছে, ভালো আছে।

এটাই ছিল ওই দিনের বাস্তব সত্য ঘটনা। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লো ‘হিরো আলম মারা গেছে’, হিরো আলমকে হত্যা’, হিরো আলমের হত্যার বিচার চাই’,। এরকম মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা  খুবই দুঃখজনক। আপনিও যেকোন মুহুর্তে অসুস্থ হতে পারেন, তাই বলে জীবিত মানুষকে ইন্তেকাল দেখিয়ে মিথ্যা গুজব কেন ?

Friday, January 18, 2019

গানের শুটিং করতে গিয়ে হিরো আলম আহত

শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এই সময়ের আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম। শুটিংয়ের সময় তার বাম হাতে একটি রড ঢুকে যায়। এরপর তাকে নেয়া হয় রাজধানীর বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে।


প্রথমে এক্সরে করানোর পর  হিরো আলমের হাতে ব্যাণ্ডেজ পরানো হয়।  ব্যথানাশক ইনজেকশন ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুনরায় শুটিংয়ে অংশ নেন হিরো আলম ।

হিরো আলম জানান,  আমিরুল মোমেনীন মানিকের কথা, সুর ও কণ্ঠের গান নিয়ে ‘সাহসী হিরো আলম’ শিরোনামের একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম নির্মিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী রামপুরা ও মহাখালী ডিওএইচএস এ গানটির শুটিং হয়। 

Monday, January 14, 2019

পপিকে বিয়ে করতে চান হিরো আলম!

২০১৮ এর শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানো এবং পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে আসা নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন হিরো আলম। 
সিংহ মার্কায় দাঁড়ানো ব্যতিক্রমী এই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে জমে উঠেছিলো বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। তবে নির্বাচনের পরে নায়িকা পপিকে বিয়ে করতে চেয়ে আবারো আলোচনায় উঠে এলেন তিনি।



একটি 'ইউটিউব শো'তে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপিকে বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। সম্প্রতি অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঞ্চালনায় এক 'ইউটিউব শোয়ে' অংশ নিয়ে হিরো আলম এ ইচ্ছা পোষণ করেন। 

ওই ভিডিওতে হিরো আলম বলেন, বাংলাদেশে অনেক নায়িকা আছে, যারা 'বিয়ে করুম', 'বিয়ে করুম' বলতেছে; কিন্তু এরা বিয়ে করতেছে না। কোনো নায়িকার যদি দায়িত্ব নিতে হয়, তা হলে নিতে পারি।  

সেই সময় সঞ্চালক জয় প্রশ্ন করেন, প্রস্তাব দিলে কোনো নায়িকাকে আপনি বিয়ে করতে চান?

জবাবে হিরো আলম বলেন, পপির কথাই বলি। 'খালি বলে বিয়ে করুম, বিয়ে করুম।' এখনও বিয়ে করতেছে না।

এ সময় কলকাতা থেকেও তাকে অনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হিরো আলম বলেন, না আমার স্ত্রী সন্তান আছে বিয়ে করব না।'

প্রেমে পড়া বা ভালোবাসা নিয়ে কিছু ‘ভুল’ ধারণা

ছেলেটি আপনার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর এতেই আপনার হৃৎকম্পন শুরু হয়ে গেছে। ধরে নিলেন প্রেমে হয়ে গেছে! এরকম কিছু ভুল ধারণার কথা থাকলো আজ। 



সুন্দর নারী-পুরুষের সহজে প্রেম হয় 
‘‘এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে মনের মিল হবে- এই চাওয়ার কথা আমরা সকলেই জানি। তবে প্রেমিক-প্রেমিকারা দৈহিক সৌন্দর্য্যের দিকেও নিজেদের চেহারার সাথে মানানসই কাউকেই্ বেশি চান। তাছাড়া অনেকে চান নিজের কাছের মানুষ বা ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয় এমন চেহারার কাউকে।’’ এই মন্তব্য জার্মান সাইকোলজিস্ট মিশায়েল লুকাস ম্যুলারের।  

‘গভীর’ ভালোবাসা থাকলে কথা বা ভাষা জরুরি নয়! 
 এমন কথা শোনা যায় বটে, তবে তা ভুল। প্রথমদিকে তেমন অসুবিধা না হলেও পরে ‘সঠিক’ ভাষা বা কথা বলা ছাড়া ভালোবাসার সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। কারণ, কথা বলার মধ্য দিয়েই কেবল স্বামী-স্ত্রী বা পার্টনারের মধ্যে হওয়া নানা রকম ভুল বোঝাবুঝি এবং দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানো সম্ভব। 

‘সন্দেহ’ ছাড়া ভালোবাসার সম্পর্ক? 
 অনেক প্রেমিকা-প্রেমিকা গর্ব করে বলেন যে, তাঁরা কেউ কাউকে সন্দেহ করেন না। এটাও একেবারেই ভুল! কারণ, ভালোবাসার মূলমন্ত্র হচ্ছে ‘বিশ্বাস’। তবে দু’জনের সম্পকের মধ্যে যদি সন্দেহ বা খানিকটা ঈর্ষা না থাকে, তাহলে মনে হতে পারে যে, একে অপরের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। একটু আধটু সন্দেহ থাকা ভালোবাসারই নামান্তর।  

যৌনমিলন যত বেশি, সম্পর্ক তত স্থিতিশীল 
এটাও একটি ভুল ধারণা। দাম্পত্যজীবনে যৌনমিলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ–এ কথা ঠিক। তবে যৌনমিলন বেশি হলেই যে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সম্পর্ক হবে সুখের বা স্থিতিশীল, তা কিন্তু বলা যায় না। কারণ, সুখের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেকরকম। 

প্রেম একবারই আসে জীবনে 
এ ধারণাও ভুল। তবে একবার প্রেমে ব্যর্থ হলে বা কষ্ট পেলে অনেকে আর নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে চায় না, এ কথা ঠিক। যদিও ব্যর্থ প্রেমের পর নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে কিছুদিন সময় লাগে, তবে ভালোবাসা হতে পারে একাধিকবার। জার্মান সাইকোলজিস্ট মিশায়েল লুকাস ম্যুলারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে জার্মান ম্যাগাজিন ‘লেয়া’। ডিডাব্লিউ থেকে

Sunday, January 13, 2019

সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কন্ঠে "কারার ঐ লৌহকপাট"



১২ই জানুয়ারি ২০১৯ তে সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কাজি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট





Karar oi louho kopat-- nobleman saregamapa

#nobleman_saregamapa #saregamapa_nobel
#Karar_oi_louho_kopat

Monday, February 19, 2018

"বড় ছেলে" "বেকার" -প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন

আবারও প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন 18/ফেব্রুয়ারি/2018
"বড় ছেলে" "বেকার" -প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন

বিনোদন ডেস্ক: বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয় করে জুটি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অপূর্ব ও মেহজাবিন।

ইউটিউবে এরইমধ্যে নাটকটি ১ কোটি ৩৯ লাখের উপরে দেখা হয়েছে। তাই এ জুটির দর্শকপ্রিয়তা নাটকের অন্যান্য জুটির চেয়ে একটু বেশিই।

বড় ছেলের পর আরো অনেক নাটকেই জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা। এর মধ্যে আরো একটি নাটক দিয়ে আলোচনায় এ জুটি।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ইউটিউবে প্রকাশিত হয় এ জুটির নাটক ‘বেকার’।  তরুণ মেধাবী নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ পরিচালিত নাটকটি মাত্র দুই দিনেই ১০ লাখ ভিউর মাইলফলক স্পর্শ করে।

মুক্তির চারদিনে নাটকটি এখনও পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৬ লাখেরও বেশি বার।  নাটকটি প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারো প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন।

টিভিতে প্রচারের পর ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে নাটকটি। সেখানেও দর্শক নাটকটি দেখে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন।

এ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, এতে জীবনের গল্প আছে, আবেগ-অনুভূতির গল্প আছে। এমন ভালো কাজের জন্য কষ্ট করতেও আনন্দ হয়।

এবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নাটকটি দর্শক পছন্দ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল।

মেহজাবিন বলেন, দর্শকদের কাছ থেকে আবারো দারুণ সাড়া পাচ্ছি। বিশ্বাস ছিল দুটি নাটকই দর্শকের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

কারণ স্ক্রিপ্ট পড়েই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। দুটি নাটকের গল্পই দারুণ ছিল। 

Wednesday, February 14, 2018

ঐতিহাসিক পোড়াদহের মাছের মেলা ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঐতিহাসিক_পোড়াদহের_মাছের_মেলা


ঐতিহাসিক পোড়াদহের মাছের মেলা ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮

#সময়ঃ- ২দিন ( ১মদিন মাছের মেলা, ২য়দিন বউ মেলা )
#তারিখঃ ১৪ এবং ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮
#স্থানপোড়াদহ মাছের মেলা, পোড়াদহ, গাবতলি, বগুড়া।

কিভাবে_যাবেন: 

আপনি দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বগুড়া শহরে ......... 

আসবেন। তারপর রিক্সা (ভাড়া ১৫-২০ টাকা) বা লোকাল ইজিবাইকে (৫ টাকা) করে চলে যাবেন ফতেহ আলি ব্রিজ। এলাকার লোকজন অবশ্য এইটাকে চেলোপাড়া ব্রিজ নামেই চেনে। তারপর ব্রিজের পাশেই পাবেন মেলায় যাওয়ার সরাসরি সিএনজি 
অথবা লেগুনা পাবেন, ভাড়া পড়বে ৩০-৩৫ টাকার মত।

কোথায়_থাকবেন:
বগুড়া শহরের ভিতরে এবং আসে পাশে বেশ কিছু আধুনিক এবং মানসম্মত থাকার হোটেল আছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হোটেল মম ইন(৪ তারকা), নাজ গার্ডেন(৪ তারকা), নর্থওয়ে মোটেল, পর্যটন মোটেল, হোটেল মিডসিটি, হোটেল সিয়েস্তা ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে ৫০০-১৫০০০ এর মধ্যে।

বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। 

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। 

আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন। 

মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। 

তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।
-
কিছু_প্রয়োজনীয়_তথ্য:

১। মেলার পাশাপাশি আপনি দেখে আসতে পারেন ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। শহর থেকে খুব কাছেই।
২। বগুড়া শেরপুরের বিখ্যাত দই খাওয়ার কথা যেন ভুলবেন না।
৩। নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরির সময় অবশ্যই দরদাম আগে থেকে জেনে নিবেন।
৪। স্থানিয়রা অনেক হেল্পফুল আছে কিন্তু তবুও তাদের সাথে অযথা বিরোধে জড়াবেন না।
৫। দর্শনীও স্থানগুলো অবশ্যই পরিস্কার পরিছন্ন রাখবেন।
............

ভাল লাগলে নীচে কমেন্ট করুন......... ও শেয়ার করুন

Friday, January 26, 2018

ঐতিহাসিক পোড়াদহের মাছের মেলা ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঐতিহাসিক_পোড়াদহের_মাছের_মেলা

#সময়ঃ- ২দিন ( ১মদিন মাছের মেলা, ২য়দিন বউ মেলা )
#তারিখঃ ১৪ এবং ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮
#স্থান: পোড়াদহ মাছের মেলা, পোড়াদহ, গাবতলি, বগুড়া।

ঐতিহাসিক_পোড়াদহের_মাছের_মেলা_14_ই_ফেব্রুয়ারি_2018


কিভাবে_যাবেন: 

আপনি দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বগুড়া শহরে .........