ঐতিহাসিক_পোড়াদহের_মাছের_মেলা
#সময়ঃ- ২দিন ( ১মদিন মাছের মেলা, ২য়দিন বউ মেলা )
#তারিখঃ ১৪ এবং ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮
#স্থান: পোড়াদহ মাছের মেলা, পোড়াদহ, গাবতলি, বগুড়া।
কিভাবে_যাবেন:
আপনি দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বগুড়া শহরে .........
আসবেন। তারপর রিক্সা (ভাড়া ১৫-২০ টাকা) বা লোকাল ইজিবাইকে (৫ টাকা) করে চলে যাবেন ফতেহ আলি ব্রিজ। এলাকার লোকজন অবশ্য এইটাকে চেলোপাড়া ব্রিজ নামেই চেনে। তারপর ব্রিজের পাশেই পাবেন মেলায় যাওয়ার সরাসরি সিএনজি
অথবা লেগুনা পাবেন, ভাড়া পড়বে ৩০-৩৫ টাকার মত।
কোথায়_থাকবেন:
বগুড়া শহরের ভিতরে এবং আসে পাশে বেশ কিছু আধুনিক এবং মানসম্মত থাকার হোটেল আছে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হোটেল মম ইন(৪ তারকা), নাজ গার্ডেন(৪ তারকা), নর্থওয়ে মোটেল, পর্যটন মোটেল, হোটেল মিডসিটি, হোটেল সিয়েস্তা ইত্যাদি। ভাড়া পড়বে ৫০০-১৫০০০ এর মধ্যে।
বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।
মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়।
তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।
তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।
-
কিছু_প্রয়োজনীয়_ তথ্য:
১। মেলার পাশাপাশি আপনি দেখে আসতে পারেন ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। শহর থেকে খুব কাছেই।
২। বগুড়া শেরপুরের বিখ্যাত দই খাওয়ার কথা যেন ভুলবেন না।
৩। নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরির সময় অবশ্যই দরদাম আগে থেকে জেনে নিবেন।
৪। স্থানিয়রা অনেক হেল্পফুল আছে কিন্তু তবুও তাদের সাথে অযথা বিরোধে জড়াবেন না।
৫। দর্শনীও স্থানগুলো অবশ্যই পরিস্কার পরিছন্ন রাখবেন।
............
ভাল লাগলে নীচে কমেন্ট করুন.........
............
ভাল লাগলে নীচে কমেন্ট করুন.........
No comments:
Post a Comment