Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments:

Post a Comment