Showing posts with label ধুনট উপজেলা. Show all posts
Showing posts with label ধুনট উপজেলা. Show all posts

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,  দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। 


মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।

 দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা। 

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।

 মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়। 

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন

Tuesday, February 5, 2019

ধুনটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে সাংবাদিক পত্নী রোমানা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবনের পত্নী শিক্ষক রোমানা আফরোজ।
 



তিনি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার এবং নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নিচ্ছেন। রোমানা আফরোজ শিক্ষা জীবনে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

 বর্তমানে তিনি আনন্দপাঠ নামে স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার আলোয় সমাজ উন্নয়নের কর্মী হিসেবে কাজ করতে ভালবাসেন রোমানা আফরোজ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি।

রোমানা আফরোজ জানান, গ্রামীণ জনপদের নারীরা সমাজের অন্ধকারে বন্দি রয়েছে। শিক্ষার আলো ছাড়া এসব নারীর মুক্তি সম্ভব নয়। অধিকাংশ নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের আগেই ঝড়ে পড়ে। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে ধুনট উপজেলায় নারীর উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এজন্য ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবেন তিনি। 

রোমানা আফরোজ বলেন, সরকার নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মকান্ড গুলোর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নারীর শিক্ষা ছাড়াও ধুনট উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর কল্যাণে এবং মাদকমুক্ত উপজেলা গঠনে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

Tuesday, January 29, 2019

ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে মা আহত

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট  প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে এক মা সহ তিন জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে চৌকিবাড়ী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা হলো- চৌকিবাড়ী গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন শেখের স্ত্রী লতিরুন বেওয়া (৬৫), তার ছোট ছেলে জিলানী (৩৫) ও স্ত্রী আলেফা খাতুন (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতিরুন বেওয়া বলেন, বাড়ীর পাশে আমার বড় ছেলে লোকমান শেখ কিছু কলার গাছ রোপন করে। সেই কলার গাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় আমি রান্নার জন্য গাছের শুকনা পাতা জোগাড় করে ওই কলার গাছের পাশ দিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই। পরে তার বড় ছেলে লোকমান শেখ কলার গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে গালাগালি করতে থাকে। 
এসময় প্রতিবাদ করলে সে আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। আমার চিংকারে আমার ছোট ছেলে জিলানী ও তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সে মারপিটে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Thursday, January 10, 2019

বগুড়ায় শুরু হয়েছে নয় দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা

 

বগুড়ার ধুনট পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে নয় দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে পৌরসভার পূর্বভরনশাহী গ্রামে এ ইজতেমা শুরু হয়।

টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে এবারই প্রথম ধুনট পৌর এলাকায় এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন করেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান। 

এ দিকে বুধবার বিকাল থেকেই মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। ইজতেমার আশপাশে মুসল্লিদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের দোকানপাটও গড়ে উঠেছে। 

ইজতেমার সূরা সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নয় দিনব্যাপী দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে একরামগণ কুরআন ও হাদিসের আলোকে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বয়ান করবেন।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য পৌর মেয়র এজিএম বাদশাহ্ জানান, ইজতেমায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে চাঁদ, জর্ডান, তিউনিশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের বিদেশি মুসল্লিগণ এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিগণ জামাত বন্দি হয়ে অংশ নিচ্ছেন। ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লি এবং মহিলাদের জন্য পৃথক থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। 

শনিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আঞ্চলিক ইজতেমা। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, ইজতেমা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

Wednesday, January 9, 2019

ধুনট পৌর এলাকার ইজতেমা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু

বগুড়া উত্তর ডট কম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরনশাহী গ্রামে তিন দিন ব্যাপি আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর উদ্বোধনী আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। ঢাকার টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে এবারই প্রথম ধুনট পৌর এলাকায় বিশাল ময়দানে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 


বুধবার দুপুরে ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন করেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান। এদিকে বুধবার বিকাল থেকেই মুসল্লিগনের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। ইজতেমার আশপাশে মুসল্লিগনের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের দোকানপাটও গড়ে উঠেছে।
 
ইজতেমার সূরা সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ইজতেমা ময়দানে তিনদিন ব্যাপি দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে একরামগণ কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহ্র ইবাদত বন্দেগী, নবী রাসুলের তরিকা ও সুন্নত সহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বয়ান করবেন।
 
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য পৌর মেয়র এজিএম বাদশাহ্ জানান, ইজতেমায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে চাঁদ, জর্ডান, তিউনিশিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশের বিদেশী মুসল্লিগন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিগণ জামাত বন্দি হয়ে অংশ নিচ্ছেন। ইজতেমায় বিদেশী মুসল্লিগণ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শনিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
 
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, ইজতেমা প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

Saturday, December 8, 2018

বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ও বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ভোট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। 
বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ


৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচনে দেশের বড় দুই দল আওয়ামীলীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষের ভোট যুদ্ধে কে জয়ী হবেন তা নিয়েই এখন জনসাধারনের মাঝে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। তবে নির্বাচন নিয়ে দুই দলেই কিছুটা কোন্দল ও অভিমান থাকলেও বিএনপিতে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। 

জানাগেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া-৫ আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। শেরপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন এবং ধুনট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এই আসনের বর্তমান ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন। 

নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাগেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাংবাদিক আমানউল্লাহ্ খান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফেরদৌস জামান মুকুল, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী তালুকদার নির্বাচিত হন। 

এছাড়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে পর পর চার দফায় বিএনপির প্রার্থী শেরপুরের সন্তান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০০৮ নির্বাচনের আগে সংস্কারপস্থী নেতা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ায় গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। 

পরবর্তীতে জানে আলম খোকা বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জানে আলম খোকাকে পরাজিত করে ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় আবারও হাবিবর রহমান বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। 

এদিকে পরপর দুইবার এই আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থান তৈরী করে আওয়ামীলীগ। গত দশ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে এখনও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা সর্বত্র রয়েছে বলে দাবি করছে নেতাকর্মীরা। 

আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ধুনট-শেরপুর এলাকায় যে উন্নয়ন কোন সরকার করতে পারেনি। সেই উন্নয়ন আওয়ামীলীগ সরকারের একজন এমপি হয়ে আমি করতে পেরেছি। আগামীতে আবারও এমপি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি গ্রামকে শহরে পরিনত করব। তাই আসন্ন এই নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এদিকে বিএনপির চার বারের সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজেরও রয়েছে পুরানো জনপ্রিয়তা। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জানে আলম খোকার সাথে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে পৌছেছে। জানে আলম খোকার পক্ষে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অবস্থান নিয়েছে। 

সংবাদপত্রের মাধ্যমেও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে অবাঞ্চিতও ঘোষনা করেন জানে আলম খোকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এভাবেই হেভিওয়েট দুই নেতার কোন্দন প্রকোশ্যে রুপ নেয়। তাই ওই দুই নেতার সমঝোতা না হলে এই আসনটি আবারও হাত ছাড়া হতে পারে বলে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশংকা করেছেন।


বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা বলেন, দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই নির্বাচনী কাজ করছে। তবে দলীয় কোন্দল সমঝোতা করতে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও তার (জানে আলম খোকা) সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে যোগাযোগ না করলেও তিনি ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবেন।

এবিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, দলের মধ্যে কোন কোন্দাল নেই। তাই সাবাইকে সাথে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব এবং বিজয় নিশ্চিত হবে।

Monday, November 19, 2018

‘চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত’ বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ ?

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট প্রতিনিধি) : বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ? দেশের বড় দুই দলের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এখন সর্বস্তরে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। সাধারন ভোটার সহ সাধারন মানুষের মুখে মুখে চলছে নির্বাচনী আলাপ। 

‘চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত’ বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ ?

শহর ও গ্রামগঞ্জের চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত হয়েছে। জানাগেছে, একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল শেরপুর ও ধুনট উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৫ আসন। 

কিন্তু ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এছাড়া ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় বিনা ভোটে আবারও আওয়ামীলীগের দখলে থাকে এ আসনটি। 

তাই পরপর দুইবার এ আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোই এখনও বিএনপির ঘাঁটিতে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবারও বিজয়ী হবে বলে নেতাকর্মীরা আশাবাদি। 

এদিকে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া জেলার প্রায় সব কয়টি আসনই ছিল বিএনপির ঘাঁটি। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ ও বগুড়া-৫ এই দুইটি আসনই আওয়ামীলীগের দখলে চলে যায়। 

তন্মধ্যে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনটি ছিল অতি গুরুত্বপর্ণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় আবারও এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে থাকে। তাই এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। 

অপরদিকে এ আসনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পাশাপাশি রাজনৈতিক নির্বাচনী মাঠে রয়েছে জাতীয়পার্টি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক এমএ হান্নান ও শেরপুর শহর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহমিনা জামান হিমিকা। 

অপরদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জানে আলম খোকা, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম শফিউজ্জামান খোকন ও মাহবুবুর রহমান হারেজ। 

এছাড়া জাতীয়পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক জজ এ্যড. তাজ মোহাম্মদ ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. শাহজাহান আলীও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান: নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এই আসনে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। 

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন তিনি। পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ধুনট ও শেরপুর উপজেলায় অনেক ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সেক্টেরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তিনি। তৃনমূল আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতেও তিনি অসাধারন অবদান রেখেছেন। 

একারনে বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে ধুনট-শেরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভীত আরো মজবুত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাই তিনি আশাবাদী এবারও দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে আবারও বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে তিনি জানান। 

এছাড়া আওয়ামী লীগের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু। তিনিও ধুনট ও শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠনিক করতে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের দুসময়ে তিনি অসাধারন অবদান রেখেছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। 

তবে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু জামায়াতের প্রার্থী দবিবর রহমানের কাছে ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এরপর থেকেই তিনি নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদী। 

এছাড়া ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিকও নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনসাধারনের কাছে তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। 

তাছাড়া আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী ধুনটের সন্তান বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তিনিও আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনসাধারনের কাছে তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। 

নির্বাচনী মাঠে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান: নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংস্কার পস্থী হওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে বাদ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পান বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকেই তিনি এলাকায় নির্বাচনী মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। 

দলের নেতাকর্মীদেরকে আগলে রেখে তিনি দলকে সুসংগঠিত করছেন। তাই দল তাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি আশাবাদী। অপর প্রার্থী হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল আলম মামুনও নির্বাচনী মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। 

তিনি ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এবার সংসদ নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। 

এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে নিজের অবস্থান তৈরী করেছেন। এছাড়া এক সময়কার সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিএনপির তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বর্তমানে দলে ভীরেছেন। তিনিও এবার দলের শক্তিশালী প্রার্থী। তিনিও এলাকায় তার পুরনো নির্বাচনী আমেজ তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছেন। 

তিনি আশাবাদী তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে বিএনপির হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। এদিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধুনট ও শেরপুর উপজেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ধুনট উপজেলায় ৮৭টি ভোট কেন্দ্রের ৪১৯টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। 

এই উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৫৪৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়া শেরপুর উপজেলায় ৯২টি ভোট কেন্দ্রে ভোগ গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৮ জন। 

এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩৩জন। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনের আগমূহুর্তে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।

ধুনটে নিখোঁজ স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ:  বগুড়ার ধুনটে নিখোঁজ স্ত্রী মেরিনা খাতুন (২১) ও মেহেদী হাসান (২) নামের শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক নির্মাণ শ্রমিক।

আজ সোমবার দুপুরে ধুনট মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত সম্মেলন করেন চান্দারপাড়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল মেমিন। 

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঢাকায় নির্মান শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে গত তিন বছর আগে নীলফামারী জেলা সদরের নতুন পুলিশ লাইন্স এলাকার রুস্তম আলীর মেয়ে মেরিনা খাতুনকে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমাদের দাম্পত্য জীবনে মেহেদী হাসান নামের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। 

গত এক বছর আগে আমরা সন্তান সহ ঢাকা থেকে ধুনট উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে বসবাস শুরু করি। কিন্তু গত এক মাস আগে আমার স্ত্রী মেরিনা আকতার ও ছেলে মেহেদী হাসান নীলফামারী যাওয়ার পথে সৈয়দপুরএলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।


 কিন্তু এরপর থেকেই আমার স্ত্রী ও সন্তানের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আব্দুল মোমিন: ০১৭১০-৯৬৮২০৯।

Thursday, November 15, 2018

ঢাকায় অপহৃত নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধুনট থেকে উদ্ধার

ধুনট প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন : ঢাকা থেকে অপহৃত ফাতেমাতুজ জহুরা (১৭) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অপহৃত ওই নারীকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ধুনট থানা পুলিশ। 


পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের ফকিরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে ফাতেমাতুজ জহুরা ফাতেমা ঢাকার কাফরুল থানা এলাকায় তার পরিবারের সাথে বাসা ভাড়া নিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে আসছে। 

গত ১২ নভেম্বর সে গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। কিন্ত এরপর সে বাসায় ফিরে না এলে তার পরিবারের লোকজন ঢাকার কাফরুল থানায় একটি জিডি করে। গত ১৩ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রাম থেকে গার্মেন্টস কর্মী ফাতেমাকে উদ্ধার করেছে। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারীরা আগেই পালিয়ে যায়।


এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল জানান, অপহারনকারীরা ফাতেমাকে নিয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শৈলমারী গ্রাম থেকে পুলিশের সহযোগিতায় ফাতেমাকে উদ্ধার করা হলেও অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে অপহৃত নারী গার্মেন্টস কর্মীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো খবর পড়ুন : 

বগুড়ায় দেলওয়ারা সেখ সরিফ মার্কেটে চাঁদা না পেয়ে অফিস ভাংচুর, টাকা লুট : থানায় মামলা

 

ঢাকায় অপহৃত নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধুনট থেকে উদ্ধার


বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কলেজ ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

 



Saturday, September 22, 2018

বগুড়ায় ৩১ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া:  আর মাত্র দেড় থেকে দুই মাস পরেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীদের বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা।



কিন্তু বন্যার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি অভিভাবকরাও এ দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বগুড়া জেলার ৩টি উপজেলায় ৩১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, যমুনা নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল বেষ্টিত এই তিনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সারিয়াকান্দি উপজেলা।

এই উপজেলায় সোমবার পর্যন্ত ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১টি ও মাধ্যমিক একটি। সোনাতলা উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে ধুনট উপজেলায় ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।


সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, উপজেলায় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ১০টি বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে প্লাবিত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের উঁচু স্থানে কোনো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। 

বিশেষ করে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদানের চেষ্টা চলছে। এই উপজেলায় মাধ্যমিকে কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। 

সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুগুমারী এলাকার বাসিন্দা ও এক স্কুলছাত্রের অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার বাকি আর মাত্র দেড়মাস। আর এখনোই বন্যার কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। তারা ভালো ফলাফল করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। শিক্ষকদের উচিৎ এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার। লিমন বাসার/আরএ/জেআইএম

Tuesday, September 18, 2018

ধুনটে মানাস নদী পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই গ্রামবাসীর ভরসা

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের মানাস নদীতে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকোই কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। আর নদীতে পানি বাড়লে একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে নৌকা। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীদের নদী পারাপার হতে হয়।
সরেজমিনে জানাযায়, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান মানাস নদী। স্থানীয় লোকজন ঐ নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মান করেছে। প্রতিদিন ঐ সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে চিকাশী, জোড়শিমুল, গোসাইবাড়ী, পূর্ব গুয়াডহুরী ও গজারিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী সহ হাজারো লোকজন যাতায়াত করে। সাঁকোর উপর দিয়ে লোকজন পারাপার হলেও মালামাল ও কৃষি পন্য পরিবহনে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া অতিরিক্ত চলাচলের কারনের সাঁকোটি মাঝে মধ্যে ভেঙ্গে গেলে বা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে নৌকায় পারাপার হতে হয়। নড়বড়ে সাঁকোটির উপর দিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কয়েকটি গ্রামের ছেলে মেয়েদের গোসাইবাড়ী কলেজ ও স্কুলে যাতায়াত করতে হয়।
এছাড়া মালামাল ও কৃষিপন্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গোসাইবাড়ী মনিং সান স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র শ্রী সুফল কুমার বলেন, স্কুলে যেতে এই সাঁকোর উপর দিয়েই পারাপার হতে হয়। তবে নদীতে পানি বাড়লে নৌকায় করে যেতে আরো দূর্ভোগ বেড়ে যায়। উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, ওই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
ইমরান হোসেন ইমন

Thursday, April 5, 2018

ধুনটে ব্রিজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই ট্রাক খাদে: আহত ৩

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাঠপাড়া বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে চালক ও হেলপার সহ তিন জন আহত হয়েছে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ধুনটে ব্রিজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই   ট্রাক খাদে: আহত ৩

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ধুনট-শেরপুর সড়কের মাঠপাড়া ব্রিজ ভেঙ্গে এঘটনা ঘটে। এতে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জনসাধারনের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  

স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮৮ সালের পরবর্তী সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধায়নে ধুনট-শেরপুর সড়কের মাঠপাড়া খালের ওপর একটি স্টিলের বেইলী ব্রিজ নির্মান করা হয়। কিন্তু প্রায় ১০ বছর যাবত ওই ব্রিজের ট্রামজাম, পাটাতন ও ষ্টিল টেকিং সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে থাকে। 

তাই স্টিল ব্রিজের সরঞ্জামাদি সরবরাহ না থাকায় ব্রিজের পাতাটন খুলে বা ভেঙ্গে গেলে জোড়াতালি দিয়েই মেরামত করা হয়। এভাবে ওই ব্রিজটিতে অসংখ্যবার জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একাধিকবার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। তাই এনিয়ে তিনবার ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে ট্রাক খাদে পড়ার ঘটনা ঘটলো।


মাঠপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পাথর বোঝাই একটি ট্রাক (বগুড়া-ট ১১-১২৯৩) ধুনটের উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার সময় মাঠপাড়া বেইলী ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন চালক ও হেলপার সহ তিন জনকে উদ্ধার করে বগুড়ার হাসপাতালে প্রেরন করে। 

এদিকে ধুনট-শেরপুর সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কাজিপুর, ধুনটের মথুরাপুর, সোনাহাটা, গোসাইবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী সহ ১০/১৫টি রুটের যানবাহান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ধুনট সহ পাশ্ববর্তী কাজিপুর উপজেলার লাখো মানুষকে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। 


এবিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, অনেক বছর আগে থেকেই ষ্টিলের বেইলী সেতুর ট্রামজাম ও ষ্টিল টেকিং সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। একারনে স্টিলের ব্রিজগুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। 


তবে মাঠপাড়া ব্রিজটি যেভাবে ভেঙ্গে গেছে তা মেরামতের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আমরা জাপানী সরকারের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপাড়া এলাকায় একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মানের জন্য চেষ্টা করছি। তাই আপাতত অন্য উপজেলার খুলে রাখা একটি স্টিলের ব্রিজ সেখানে বসিয়ে দেওয়া হবে। 

সূত্র http://www.bograsangbad.com/10333

Wednesday, February 21, 2018

শহীদ মিনার আছে, কলেজ বন্ধ, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান হয়নি

বগুড়া জেলার ধুনট থানার মথুরাপুর ইউনিয়ন এ স্থাপিত জি এম সি ডিগ্রি কলেজ এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যা ২০১৬ সালে তিন লক্ষ টাকা ব্যায় করে নির্মাণ করা হয়েছিল|| 

শহীদ মিনার আছে, কলেজ বন্ধ, ভাষা শহীদদের প্রতি জানান হয়নি শ্রদ্ধা   

শহীদ মিনার এর উপর পরে আছে ঝরা পাতা। নেই কোন সংস্করণ।

আজকে ২১-শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস। কিন্তু আজকে সেই দিন টাকে পালন করার পরিবর্তে কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে?  সকল শহীদের অপমান করছে জি এম সি ডিগ্রি কলেজ কতৃপক্ষ। -



আশা করি সবাই এর প্রতিবাদ জানাবেন এবং আমাদের শহীদের সম্মান রক্ষা করবেন!!


শহীদ মিনার আছে, কলেজ বন্ধ, ভাষা শহীদদের প্রতি জানান হয়নি শ্রদ্ধা

তথ্য দিয়েছে ; মোঃ নাইম ইসলাম