Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

Tuesday, February 5, 2019

ধুনটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে সাংবাদিক পত্নী রোমানা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবনের পত্নী শিক্ষক রোমানা আফরোজ।
 



তিনি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার এবং নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নিচ্ছেন। রোমানা আফরোজ শিক্ষা জীবনে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

 বর্তমানে তিনি আনন্দপাঠ নামে স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার আলোয় সমাজ উন্নয়নের কর্মী হিসেবে কাজ করতে ভালবাসেন রোমানা আফরোজ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি।

রোমানা আফরোজ জানান, গ্রামীণ জনপদের নারীরা সমাজের অন্ধকারে বন্দি রয়েছে। শিক্ষার আলো ছাড়া এসব নারীর মুক্তি সম্ভব নয়। অধিকাংশ নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের আগেই ঝড়ে পড়ে। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে ধুনট উপজেলায় নারীর উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এজন্য ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবেন তিনি। 

রোমানা আফরোজ বলেন, সরকার নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মকান্ড গুলোর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নারীর শিক্ষা ছাড়াও ধুনট উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর কল্যাণে এবং মাদকমুক্ত উপজেলা গঠনে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

Saturday, February 2, 2019

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী রিজুর সমর্থনে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন

২ ফ্রেরুয়ারী, গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর কর্মী সমর্থকদের প্রায় ৬শতাধিক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়েছে।



শনিবার সকাল ১১টায় রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষে মহাস্থান হযরত শাহ্ সুলতান (রহ:) আলিম মাদ্রাসা মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল বহরের শোডাউন বের হয়ে উপজেলা ব্যাপী প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই আলিম মাদ্রসা মাঠে জড়ো হতে থাকে। 

বেলা ১২টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল শেষে প্রত্যেক মোটরসাইকেলে ২জন করে প্ল্যাকার্ড স্টিগার লাগিয়ে সারিবদ্ধভাবে এক যোগে শোভাযাত্রা শুরু করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান সময়ের তরুন নেতা ফিরোজ আহম্মেদ রিজুকে উপজেলা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে আমাদের হাজারো নেতা কর্মীবৃন্দদের এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়েছে। 

এলাকার জন্য সাধারণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিবগঞ্জ রায়নাগর ইউনিয়ন পরিষদের ২বার বিপুল ভোটে জয়ী ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ রিজু পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন ব্যক্তি। তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভোটে পাস করলে শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।



.. ... ... 

Wednesday, January 23, 2019

নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামীলীগ - মির্জা ফখরুল ইসলাম

বগুড়ায় মীর্জা ফখরুল ইসলাম – ৩০ ডিসেম্বর দেশে প্রকৃত পক্ষে দেশে কোন নির্বাচনই হয়নি, হয়েছে নির্বাচনের নামে প্রহসন






বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে প্রকৃত পক্ষে দেশে কোন নির্বাচনই হয়নি, হয়েছে নির্বাচনের নামে প্রহসন। ওই নির্বাচন আমরা সম্পুর্ণরুপে প্রত্যাক্ষান করেছি। 

বগুড়ার কয়েকটি আসনের নির্বাচন ই পাল্টিয়ে ফেলা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। এই সরকার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। 

এই সরকার বিশ্বাস করে যে করেই হোক ক্ষমতায় বসতে হবে। আমাদের অনেকগুলো কাজের মধ্যে আছে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা, দেশের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা থেকে রক্ষা করা। সেই সাথে গণতন্ত্রকে বজায় রাখা। আমাদের ঐক্যবদ্ধ ই থাকতে হবে। 

বুধবার দুপুরে ঢাকা যাওয়ার পথে বগুড়ার হোটেল মম ইন-এ যাত্রা বিরতীকালে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের পরিচালনায় আযোজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাডঃ মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জি এম সিরাজ, রেজাউল করিম বাদশা, মাহবুব উল শাহীন, মাহবুবর রহমান বকুল, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, আব্দুল খালেকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।শুভেচ্ছা সভায় মীর্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ , মন খুলে কথা পর্যন্ত বলতে পারছেনা। 

নির্বাচনের আগে সারাদেশে দলের নেতা কর্মিদের ওপর যে দমন পীড়ন অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে, নির্বাচনের পরও তা’ অব্যাহত রয়েছে। মীর্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অনুষ্ঠিত এই সংক্ষিপ্ত মত বিনিময় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন।



নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামীলীগ - মির্জা ফখরুল ইসলাম

প্রতিদিন তাজা নিউজ পেতে আমাদের চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ধন্যবাদ

প্রতিদিন  বস্তুনিষ্ঠ খবর দেখতে ভিজিট করুন :
http://www.bogurauttor.com


Like comment share

#Bogurauttor
#bogurauttorTv
#Bogurauttor.com

Sunday, January 20, 2019

ধুনটে উপজেলা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপর

বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দলীয় মনোনয়ন এবং নির্বাচনে জনসমর্থন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সক্রিয় রয়েছেন। 




আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক, সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন, সহসভাপতি কুদরত-ই খুদা জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খাঁন, এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা এম.এ তারেক হেলাল, উপজেলা আ.লীগ নেতা মাসুদুল হক বাচ্চু ও জেলা পরিষদের সদস্য আ.লীগ নেতা ফজলুল হক।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম মামুন এবং ধুনট পৌরসভার সাবেক প্রশাসক বিএনপি নেতা আকতার আলম সেলিম।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ সমর্থক হাফিজুর রহমান দুদু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি আততায়ীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় তাঁর পদটি শুন্য হয়। ১৯৮৮সালে ওই পদে উপ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। পরবর্তিতে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯০সালে দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত নেতা মুঞ্জুরুল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ২টি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী টিআইএম নূরুন্নবী তারিক, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন ও নাজনীন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ওই তিনটি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। বর্তমানে বিএনপি নেতা তৌহিদুল আলম মামুন চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বাচ্চু ও বিএনপি নেত্রী নূরজাহান আক্তার রিক্তা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

আসন্ন নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহসিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সাইফুল ইসলাম ও ধুনট ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ফেরদৌস আলম শ্যামল। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরথী ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পপি রানী। এ দু’টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপি-জামায়াতের কাউকে সক্রিয় পাওয়া যায়নি।

এবারের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের তিনটি পদ দখলে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগ। এই নির্বাচনে দলীয় একক প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় দলটি। আর এ কারনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা নেই। সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হ্যাভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দেখছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ গুছিয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন। দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মাঝে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। 

সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুল হাই খোকন বলেন, ২০০৯ সালে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। যার কারনে দীর্ঘদিন যাবত ধুনট উপজেলা তৃনমুল পর্যায়ের মানুষের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার বিজয় হবে। 

সম্ভাব্য প্রার্থী তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। তবে নির্বাচনী মাঠ গুছিয়ে নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছি। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি আবারো নির্বাচিত হবেন বলে প্রত্যাশা করেন।

....  

এমপি হতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অপু বিশ্বাস

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারে অংশ নেয়া চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রটি জমা দেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। 




মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর অপু বিশ্বাস বলেন, রোববার বিকাল ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী নই, আমি কাজের সুযোগপ্রত্যাশী।
তিনি বলেন, আমাদের মমতাময়ী মা ও দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় নারী ও শিশুদের উন্নয়নের পক্ষে। আমিও আগে থেকেই নারী ও শিশুদের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করেছি। আপা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, তাহলে আমি শতভাগ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব।
মিডিয়া জগতের অনেকেরই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়েছে এর আগে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে অনেকেই এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। যারা সরাসরি ভোটে এমপি হতে পারেননি, এমন অনেককে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি করার নজির রয়েছে। অনেকে মন্ত্রীও হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে নায়ক ফেরদৌস, রিয়াজের পাশাপাশি নায়িকা পপি, অপু বিশ্বাস, তারিন সোচ্চার ছিলেন। তারা দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে গিয়ে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে অংশ নেন। 
.... 

Saturday, January 19, 2019

শাজাহানপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

বগুড়া উত্তর ডটকম (জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর প্রতিনিধি: আসন্ন শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ বগুড়া বারের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এড. রেজাউল হক রজব মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে শোভাযাত্রা করেছেন বের করেন। 


শাজাহানপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা


শনিবার সকালে উপজেলার নয়মাইল এলাকা থেকে মটরসাইকেলের বহর নিয়ে দিনব্যাপী সমগ্র উপজেলা ঘুরে বেড়ান এবং দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। 

এ সময় তার শোভাযাত্রায় খরনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনসহ খরনা, গোহাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন । এড. রেজাউল হক রজব প্রায় দু’সপ্তাহ পূর্ব থেকে উপজেলার হাট বাজার ও বন্দর এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ।

Saturday, January 12, 2019

সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে সংসদ নির্বাচন করব : হিরো আলম

বগুড়া উত্তর ডটকম: দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে আবারও সংসদ নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ পদপ্রার্থী ও জনপ্রিয় মডেল আশরাফুজ্জামান আলম অরফে হিরো আলম। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রসুলপুর তাহিরন নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় মায়া ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হিরো আলম। 

সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে সংসদ নির্বাচন করব : হিরো আলম

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে সংসদ নির্বাচন করব : হিরো আলমনির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি ইউপি নির্বাচনে মেম্বর পদে নির্বাচনের পর এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দিগ্রাম) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসে তাহলে আমি আবার সংসদ নির্বাচন করব।

সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে সংসদ নির্বাচন করব : হিরো আলম

শীত বস্ত্র বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গরীবের সন্তান। গরীবের দুঃখে কষ্টে সবসময় আমি পাশে থাকার চেষ্টা করব।ফাউন্ডেশনের সভাপতি মনোয়ার পারভেজ মানিকের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকার বিপুল সংখ্যক হিরো আলম ভক্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Wednesday, January 9, 2019

৩০শে জানুয়ারি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে আগামী ৩০শে জানুয়ারি। ওই দিন বিকেল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধিবেশন আহ্বান করেন।


সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম ও বছরের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। পরে রাষ্ট্রপতির ওই ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব জানাতে সাধারণ আলোচনা হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৭৪ অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। এ জন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। একজন প্রস্তাবক, একজন সমর্থক ও প্রার্থীর সম্মতি লাগে।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৪ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। 

Saturday, December 8, 2018

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এরইমধ্যে ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি বেশ কয়েকজন সাবেক এমপিও।
বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করেন। অনেক বিক্ষুব্ধ কর্মী কার্যালয়ের ফটকে ইট-পাটকেল পর্যন্ত ছোড়েন।   
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিককেও কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১), নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি ছিলেন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বামপন্থি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে। 
ঢাকা-২০ আসনে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবার মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
নেত্রকোনা সদর আসনে আশরাফ উদ্দিন খান মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় নেই। তার স্থলে জায়গা পেয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন।
প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। যদিও তার আসনটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
খুলনা- ৪ আসনে ২০০৮ সালে দলের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।  যিনি ২০০৮ সালেনির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।
মনোনয়ন পাননি ২০০৮ সালের সংসদে নির্বাচিত মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির তার বাবার আসন পঞ্চগড়-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচন করছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল। 

রাজনীতি আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি  আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তার অাপিলের শুনানি হয়। ১২টা ৩৮ মিনিট থেকে ২২ মিনিট ধরে শুনানি করে কমিশন। শুরুতেই কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফেনী-১ আসনের ওপর শুনানি করতে চাইলে খালেদার আইনজীবীরা তিনটি আসনের ওপরেই শুনানির আবেদন জানান। পরে আইনজীবীদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীদের কাছে।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে মামলার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন, তিনি সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নন।
বারবার তিনি একই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তখন ইসি সচিব শুনানির রায় পরে দেওয়ার কথা বলেন।
তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, রিটার্নিং অফিসার যে অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, সে বেআইনি সিদ্ধান্তটা ইসি বাতিল করবেন।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। নামঞ্জুর হলো খালেদার আপিল।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ও বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ভোট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। 
বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ


৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচনে দেশের বড় দুই দল আওয়ামীলীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষের ভোট যুদ্ধে কে জয়ী হবেন তা নিয়েই এখন জনসাধারনের মাঝে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। তবে নির্বাচন নিয়ে দুই দলেই কিছুটা কোন্দল ও অভিমান থাকলেও বিএনপিতে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। 

জানাগেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া-৫ আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। শেরপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন এবং ধুনট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এই আসনের বর্তমান ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন। 

নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাগেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাংবাদিক আমানউল্লাহ্ খান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফেরদৌস জামান মুকুল, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী তালুকদার নির্বাচিত হন। 

এছাড়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে পর পর চার দফায় বিএনপির প্রার্থী শেরপুরের সন্তান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০০৮ নির্বাচনের আগে সংস্কারপস্থী নেতা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ায় গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। 

পরবর্তীতে জানে আলম খোকা বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জানে আলম খোকাকে পরাজিত করে ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় আবারও হাবিবর রহমান বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। 

এদিকে পরপর দুইবার এই আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থান তৈরী করে আওয়ামীলীগ। গত দশ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে এখনও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা সর্বত্র রয়েছে বলে দাবি করছে নেতাকর্মীরা। 

আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ধুনট-শেরপুর এলাকায় যে উন্নয়ন কোন সরকার করতে পারেনি। সেই উন্নয়ন আওয়ামীলীগ সরকারের একজন এমপি হয়ে আমি করতে পেরেছি। আগামীতে আবারও এমপি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি গ্রামকে শহরে পরিনত করব। তাই আসন্ন এই নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এদিকে বিএনপির চার বারের সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজেরও রয়েছে পুরানো জনপ্রিয়তা। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জানে আলম খোকার সাথে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে পৌছেছে। জানে আলম খোকার পক্ষে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অবস্থান নিয়েছে। 

সংবাদপত্রের মাধ্যমেও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে অবাঞ্চিতও ঘোষনা করেন জানে আলম খোকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এভাবেই হেভিওয়েট দুই নেতার কোন্দন প্রকোশ্যে রুপ নেয়। তাই ওই দুই নেতার সমঝোতা না হলে এই আসনটি আবারও হাত ছাড়া হতে পারে বলে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশংকা করেছেন।


বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা বলেন, দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই নির্বাচনী কাজ করছে। তবে দলীয় কোন্দল সমঝোতা করতে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও তার (জানে আলম খোকা) সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে যোগাযোগ না করলেও তিনি ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবেন।

এবিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, দলের মধ্যে কোন কোন্দাল নেই। তাই সাবাইকে সাথে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব এবং বিজয় নিশ্চিত হবে।

Sunday, November 18, 2018

বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মহিতকে মনোনয়ন না দিতে লন্ডনে অপর ছয়জনের চিঠি


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে মনোনয়ন না দিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বিএনপির অপর ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

লন্ডনে পাঠানো চিঠিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত পরিবারের ওই সদস্যের পরিবর্তে তাদের যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে অনুরোধ করেছেন। তাহলে আসনটি বিএনপি ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।


বিএনপি’র মনোনয়নপত্র ক্রয়সূত্রে জানা, ওই আসনের প্রার্থী হতে এখন পর্যন্ত ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরইমধ্য কেউ কেউ জমাও দিয়েছেন। তারা হলেন; বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, যুগ্নসাধারন সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হীরু, 

জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ মকলেছুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের উপদেষ্টা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী আমির চৌধুরী, সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান, 

সাধারন সম্পাদক ও সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু,কেন্দ্রিয় নির্মান শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক লায়ন ফরিদ আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ও তার সহধর্মীনী মাসুদা মোমিন এবং তার ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার।


এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলালসহ ৬মনোনয়ন প্রত্যাশী আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছেন। তাকে মনোনয়ন না দিতে তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

ওই আবেদনে উল্লেখ থাকে যে, আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত। বগুড়া বিএনপির এলাকা হওয়া সত্ত্বেও খোকা ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সামান্য ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে খোকা ও তার পরিবার এলাকায় অত্যন্ত ঘৃণিত। 

তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। খোকার ভাই মহিত তালুকদার জাসদ করতেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মহিত দল বদল করেন। মহিত ২০১৩ সালে ধানের শীষ প্রতীকে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কোনও আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি সব কর্মসূচি পালন করেন। 

তাই যুদ্ধাপরাধী খোকার ভাই মহিত তালুকদারকে ওই আসনে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তারা তাদের মধ্যে যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। 

গত রবিবার সকাল ১০টায় বগুড়া-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সান্তাহার পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান ওই অভিযোগ করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে একাধিক বার ফোন দিলে রিসিভ করে কোনো কথা বলেননি তিনি।

Tuesday, May 22, 2018

দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতিকে বিদায়


দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতিকে বিদায়

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১৪৯ ভোটে পরাজিত