Showing posts with label BNP. Show all posts
Showing posts with label BNP. Show all posts

Monday, March 18, 2019

বগুড়ায় ভোটার কম

বগুড়ায় ভোটার কম
মোর্শেদ নোমান ও আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া থেকে
১৮ মার্চ ২০১৯
 
বগুড়ায় সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আজ সোমবার সকাল থেকে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলার নয়টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। সকাল সাড়ে আটটায় শহরের পিটিআই কেন্দ্রে সাড়ে ৫ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র চারজন।


বগুড়ার সিটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫টি। সকাল নয়টায় শাহজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯০০ ভোটের মধ্যে ৪৮ ভোট পড়েছে। সকাল পৌনে দশটায় আড়িয়া রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৬টি।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বগুড়ায় ১২ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে শেরপুর ও আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। অন্য ১০টি উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ অন্য পদগুলোতে নির্বাচন হচ্ছে।


বিএনপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বগুড়ার ১২ উপজেলাতেই গত নির্বাচনে বিএনপি ৭টি ও জামায়াত ৫টি উপজেলায় নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ তখন একটিতেও জিততে পারেনি।

স্থানীয়রা বলছেন, ভোটার না থাকলেও যে অল্প কিছু ভোট পড়েছে সেগুলো আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ভাইস চেয়ারম্যানদের। তাঁরাই নির্বাচনকে কিছুটা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
তথ্য: প্রথম আলো অনলাইন

Saturday, December 8, 2018

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এরইমধ্যে ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি বেশ কয়েকজন সাবেক এমপিও।
বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করেন। অনেক বিক্ষুব্ধ কর্মী কার্যালয়ের ফটকে ইট-পাটকেল পর্যন্ত ছোড়েন।   
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিককেও কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১), নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি ছিলেন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বামপন্থি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে। 
ঢাকা-২০ আসনে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবার মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
নেত্রকোনা সদর আসনে আশরাফ উদ্দিন খান মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় নেই। তার স্থলে জায়গা পেয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন।
প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। যদিও তার আসনটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
খুলনা- ৪ আসনে ২০০৮ সালে দলের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।  যিনি ২০০৮ সালেনির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।
মনোনয়ন পাননি ২০০৮ সালের সংসদে নির্বাচিত মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির তার বাবার আসন পঞ্চগড়-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচন করছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল। 

রাজনীতি আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি  আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তার অাপিলের শুনানি হয়। ১২টা ৩৮ মিনিট থেকে ২২ মিনিট ধরে শুনানি করে কমিশন। শুরুতেই কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফেনী-১ আসনের ওপর শুনানি করতে চাইলে খালেদার আইনজীবীরা তিনটি আসনের ওপরেই শুনানির আবেদন জানান। পরে আইনজীবীদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীদের কাছে।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে মামলার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন, তিনি সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নন।
বারবার তিনি একই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তখন ইসি সচিব শুনানির রায় পরে দেওয়ার কথা বলেন।
তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, রিটার্নিং অফিসার যে অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, সে বেআইনি সিদ্ধান্তটা ইসি বাতিল করবেন।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। নামঞ্জুর হলো খালেদার আপিল।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ও বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ভোট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। 
বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ


৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচনে দেশের বড় দুই দল আওয়ামীলীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষের ভোট যুদ্ধে কে জয়ী হবেন তা নিয়েই এখন জনসাধারনের মাঝে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। তবে নির্বাচন নিয়ে দুই দলেই কিছুটা কোন্দল ও অভিমান থাকলেও বিএনপিতে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। 

জানাগেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া-৫ আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। শেরপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন এবং ধুনট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এই আসনের বর্তমান ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন। 

নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাগেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাংবাদিক আমানউল্লাহ্ খান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফেরদৌস জামান মুকুল, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী তালুকদার নির্বাচিত হন। 

এছাড়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে পর পর চার দফায় বিএনপির প্রার্থী শেরপুরের সন্তান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০০৮ নির্বাচনের আগে সংস্কারপস্থী নেতা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ায় গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। 

পরবর্তীতে জানে আলম খোকা বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জানে আলম খোকাকে পরাজিত করে ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় আবারও হাবিবর রহমান বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। 

এদিকে পরপর দুইবার এই আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থান তৈরী করে আওয়ামীলীগ। গত দশ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে এখনও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা সর্বত্র রয়েছে বলে দাবি করছে নেতাকর্মীরা। 

আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ধুনট-শেরপুর এলাকায় যে উন্নয়ন কোন সরকার করতে পারেনি। সেই উন্নয়ন আওয়ামীলীগ সরকারের একজন এমপি হয়ে আমি করতে পেরেছি। আগামীতে আবারও এমপি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি গ্রামকে শহরে পরিনত করব। তাই আসন্ন এই নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এদিকে বিএনপির চার বারের সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজেরও রয়েছে পুরানো জনপ্রিয়তা। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জানে আলম খোকার সাথে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে পৌছেছে। জানে আলম খোকার পক্ষে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অবস্থান নিয়েছে। 

সংবাদপত্রের মাধ্যমেও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে অবাঞ্চিতও ঘোষনা করেন জানে আলম খোকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এভাবেই হেভিওয়েট দুই নেতার কোন্দন প্রকোশ্যে রুপ নেয়। তাই ওই দুই নেতার সমঝোতা না হলে এই আসনটি আবারও হাত ছাড়া হতে পারে বলে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশংকা করেছেন।


বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা বলেন, দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই নির্বাচনী কাজ করছে। তবে দলীয় কোন্দল সমঝোতা করতে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও তার (জানে আলম খোকা) সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে যোগাযোগ না করলেও তিনি ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবেন।

এবিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, দলের মধ্যে কোন কোন্দাল নেই। তাই সাবাইকে সাথে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব এবং বিজয় নিশ্চিত হবে।

Monday, November 19, 2018

‘চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত’ বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ ?

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট প্রতিনিধি) : বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ? দেশের বড় দুই দলের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এখন সর্বস্তরে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। সাধারন ভোটার সহ সাধারন মানুষের মুখে মুখে চলছে নির্বাচনী আলাপ। 

‘চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত’ বগুড়া-৫ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা-ধানের শীষ ?

শহর ও গ্রামগঞ্জের চা স্টলগুলো এখন নির্বাচনী টক শোতে পরিনত হয়েছে। জানাগেছে, একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল শেরপুর ও ধুনট উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৫ আসন। 

কিন্তু ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এছাড়া ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় বিনা ভোটে আবারও আওয়ামীলীগের দখলে থাকে এ আসনটি। 

তাই পরপর দুইবার এ আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলোই এখনও বিএনপির ঘাঁটিতে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবারও বিজয়ী হবে বলে নেতাকর্মীরা আশাবাদি। 

এদিকে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া জেলার প্রায় সব কয়টি আসনই ছিল বিএনপির ঘাঁটি। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ ও বগুড়া-৫ এই দুইটি আসনই আওয়ামীলীগের দখলে চলে যায়। 

তন্মধ্যে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনটি ছিল অতি গুরুত্বপর্ণ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় আবারও এ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে থাকে। তাই এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। 

অপরদিকে এ আসনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পাশাপাশি রাজনৈতিক নির্বাচনী মাঠে রয়েছে জাতীয়পার্টি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক এমএ হান্নান ও শেরপুর শহর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহমিনা জামান হিমিকা। 

অপরদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জানে আলম খোকা, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম শফিউজ্জামান খোকন ও মাহবুবুর রহমান হারেজ। 

এছাড়া জাতীয়পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক জজ এ্যড. তাজ মোহাম্মদ ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. শাহজাহান আলীও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান: নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এই আসনে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। 

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন তিনি। পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ধুনট ও শেরপুর উপজেলায় অনেক ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সেক্টেরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তিনি। তৃনমূল আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করতেও তিনি অসাধারন অবদান রেখেছেন। 

একারনে বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে ধুনট-শেরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভীত আরো মজবুত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাই তিনি আশাবাদী এবারও দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে আবারও বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে তিনি জানান। 

এছাড়া আওয়ামী লীগের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু। তিনিও ধুনট ও শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠনিক করতে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের দুসময়ে তিনি অসাধারন অবদান রেখেছেন। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। 

তবে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু জামায়াতের প্রার্থী দবিবর রহমানের কাছে ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এরপর থেকেই তিনি নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে বলে তিনি আশাবাদী। 

এছাড়া ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিকও নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনসাধারনের কাছে তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। 

তাছাড়া আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী ধুনটের সন্তান বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি পরিষদের সাধারন সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তিনিও আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনসাধারনের কাছে তুলে ধরে গণসংযোগ করছেন। 

নির্বাচনী মাঠে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান: নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংস্কার পস্থী হওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে বাদ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পান বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকেই তিনি এলাকায় নির্বাচনী মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। 

দলের নেতাকর্মীদেরকে আগলে রেখে তিনি দলকে সুসংগঠিত করছেন। তাই দল তাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি আশাবাদী। অপর প্রার্থী হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল আলম মামুনও নির্বাচনী মাঠে সক্রীয় রয়েছেন। 

তিনি ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এবার সংসদ নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। 

এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে নিজের অবস্থান তৈরী করেছেন। এছাড়া এক সময়কার সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিএনপির তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বর্তমানে দলে ভীরেছেন। তিনিও এবার দলের শক্তিশালী প্রার্থী। তিনিও এলাকায় তার পুরনো নির্বাচনী আমেজ তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছেন। 

তিনি আশাবাদী তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। তাই দলীয় মনোনয়ন পেলে বিএনপির হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। এদিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধুনট ও শেরপুর উপজেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ধুনট উপজেলায় ৮৭টি ভোট কেন্দ্রের ৪১৯টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। 

এই উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৫৪৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়া শেরপুর উপজেলায় ৯২টি ভোট কেন্দ্রে ভোগ গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৮ জন। 

এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩৩জন। ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচনের আগমূহুর্তে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।

Sunday, November 18, 2018

বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মহিতকে মনোনয়ন না দিতে লন্ডনে অপর ছয়জনের চিঠি


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে মনোনয়ন না দিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বিএনপির অপর ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

লন্ডনে পাঠানো চিঠিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত পরিবারের ওই সদস্যের পরিবর্তে তাদের যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে অনুরোধ করেছেন। তাহলে আসনটি বিএনপি ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।


বিএনপি’র মনোনয়নপত্র ক্রয়সূত্রে জানা, ওই আসনের প্রার্থী হতে এখন পর্যন্ত ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরইমধ্য কেউ কেউ জমাও দিয়েছেন। তারা হলেন; বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, যুগ্নসাধারন সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হীরু, 

জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ মকলেছুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের উপদেষ্টা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী আমির চৌধুরী, সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান, 

সাধারন সম্পাদক ও সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু,কেন্দ্রিয় নির্মান শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক লায়ন ফরিদ আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ও তার সহধর্মীনী মাসুদা মোমিন এবং তার ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার।


এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলালসহ ৬মনোনয়ন প্রত্যাশী আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছেন। তাকে মনোনয়ন না দিতে তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

ওই আবেদনে উল্লেখ থাকে যে, আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত। বগুড়া বিএনপির এলাকা হওয়া সত্ত্বেও খোকা ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সামান্য ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে খোকা ও তার পরিবার এলাকায় অত্যন্ত ঘৃণিত। 

তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। খোকার ভাই মহিত তালুকদার জাসদ করতেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মহিত দল বদল করেন। মহিত ২০১৩ সালে ধানের শীষ প্রতীকে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কোনও আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি সব কর্মসূচি পালন করেন। 

তাই যুদ্ধাপরাধী খোকার ভাই মহিত তালুকদারকে ওই আসনে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তারা তাদের মধ্যে যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। 

গত রবিবার সকাল ১০টায় বগুড়া-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সান্তাহার পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান ওই অভিযোগ করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে একাধিক বার ফোন দিলে রিসিভ করে কোনো কথা বলেননি তিনি।

বগুড়া-৪ আসনে জামায়াত নেতা তায়েব আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী


 বগুড়া-৪ আসনে জামায়াত নেতা তায়েব আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন। বগুড়ার কাহালু উপজেলা পরিষদের ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাও. তায়েব আলী। এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। 
বগুড়া-৪ আসনে জামায়াত নেতা তায়েব আলী স্বতন্ত্র প্রার্থীইতোমধ্যই তিনি মনোনয়নপত্র ফরম উত্তোলন করেছে। বগুড়া-৪ আসনে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মাও. তায়েব আলী ফ্যাক্টর হতে পারে। এমনটাই চিন্তা ভাবনা করছে কাহালু-নন্দীগ্রাম এলাকার ভোটাররা। স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মাও. তায়েব আলী নির্বাচনে বিজয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামবেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাসদের নৌকা নিয়ে লড়াই





নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাসদের নৌকা নিয়ে লড়াই চলছে। এ আসনের বর্তমান এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীক লাভের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।  


গত ২৮শে অক্টোবর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা জাসদের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বগুড়া-৪ আসনের এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করে তাকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছে। 

অপরদিকে ৮ই নভেম্বর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিলে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার কথা বলেছে। 

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের জন্য ফরম উত্তোলন করে জমা দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইউনুস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. হেলালুর রহমান, কামাল উদ্দিন কবিরাজ, এ্যাড. রেজাউল হক, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক আহছানুল হক ও হাটকড়ই ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক জাহিদুর রহমান। 

১৪ দলের অন্যতম শরিকদল হচ্ছে জাসদ। সে কারণে বর্তমান এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

এ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ আসন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৭ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৪ জন। 

এ আসনটি বিএনপির ফেভারিট আসন হিসেবে গণ্যকরা হয়। এ আসনে যতবার বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, ততবারই জয়লাভ করেছে। তারপরেও আওয়ামী লীগ ও জাসদ এ আসনে এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করতে চায়। 

এ দিকে বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধার করতে তৎপর রয়েছে। এ আসনে অন্যান্য দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও থাকছে ভোট যুদ্ধে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কাহালু-নন্দীগ্রাম সরগরম হয়ে উঠেছে। সব জায়গায় বইছে ভোটের হাওয়া।

Friday, November 16, 2018

নৌকায় উঠছে ১৬ দল, ধানের শীষে ১১

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ‘নৌকা’ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।


সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে মোট দলের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে আটটি দল নিবন্ধিত। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে মোট দলের সংখ্যা ১১টি।

গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে জোটভুক্ত এমন ১৫টি দলের নাম নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়। 

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ১৫টি দল হচ্ছে—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (বাসদের অনিবন্ধিত অংশ), জাতীয় পার্টি (জেপি মঞ্জু), ইসলামী ফ্রন্ট ( বাহাদুর শাহ), বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া), কৃষক শ্রমিক পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি (হুদা)। 

এদিকে, গত ১১ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের জোট ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে লড়বে। তখন তালিকায় আটটি দলের নাম দেওয়া হয়েছিল। 

এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ফ্রন্টের দলগুলোও অভিন্ন প্রতীক নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়াই করবে। 

তখন ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে লড়াই করবে এমন আরো তিনটি দলের নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়। ফলে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১১-তে। পরে গতকালই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। 

‘ধানের শীষ’ প্রতীকে যে দলগুলো লড়াই করবে সেগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম—বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।


আরো খবর পড়ুনঃ>>

বগুড়া-৩ ॥ ধানের শীষ মনোনয়ন ফরম কিনলেন ১০ প্রত্যাশী 

 

আ.লীগের মনোনয়ন নিলেন মাশরাফি

 

নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

 

নির্বাচন করছেন না সাকিব