Showing posts with label বিএনপি. Show all posts
Showing posts with label বিএনপি. Show all posts

Saturday, December 8, 2018

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এরইমধ্যে ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি বেশ কয়েকজন সাবেক এমপিও।
বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করেন। অনেক বিক্ষুব্ধ কর্মী কার্যালয়ের ফটকে ইট-পাটকেল পর্যন্ত ছোড়েন।   
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিককেও কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১), নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি ছিলেন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বামপন্থি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে। 
ঢাকা-২০ আসনে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবার মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
নেত্রকোনা সদর আসনে আশরাফ উদ্দিন খান মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় নেই। তার স্থলে জায়গা পেয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন।
প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। যদিও তার আসনটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
খুলনা- ৪ আসনে ২০০৮ সালে দলের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।  যিনি ২০০৮ সালেনির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।
মনোনয়ন পাননি ২০০৮ সালের সংসদে নির্বাচিত মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির তার বাবার আসন পঞ্চগড়-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচন করছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল। 

রাজনীতি আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি  আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তার অাপিলের শুনানি হয়। ১২টা ৩৮ মিনিট থেকে ২২ মিনিট ধরে শুনানি করে কমিশন। শুরুতেই কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফেনী-১ আসনের ওপর শুনানি করতে চাইলে খালেদার আইনজীবীরা তিনটি আসনের ওপরেই শুনানির আবেদন জানান। পরে আইনজীবীদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীদের কাছে।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে মামলার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন, তিনি সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নন।
বারবার তিনি একই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তখন ইসি সচিব শুনানির রায় পরে দেওয়ার কথা বলেন।
তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, রিটার্নিং অফিসার যে অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, সে বেআইনি সিদ্ধান্তটা ইসি বাতিল করবেন।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। নামঞ্জুর হলো খালেদার আপিল।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

Sunday, November 18, 2018

বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মহিতকে মনোনয়ন না দিতে লন্ডনে অপর ছয়জনের চিঠি


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে মনোনয়ন না দিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বিএনপির অপর ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। 

লন্ডনে পাঠানো চিঠিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত পরিবারের ওই সদস্যের পরিবর্তে তাদের যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে অনুরোধ করেছেন। তাহলে আসনটি বিএনপি ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।


বিএনপি’র মনোনয়নপত্র ক্রয়সূত্রে জানা, ওই আসনের প্রার্থী হতে এখন পর্যন্ত ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরইমধ্য কেউ কেউ জমাও দিয়েছেন। তারা হলেন; বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, যুগ্নসাধারন সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হীরু, 

জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ মকলেছুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের উপদেষ্টা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী আমির চৌধুরী, সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান, 

সাধারন সম্পাদক ও সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু,কেন্দ্রিয় নির্মান শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক লায়ন ফরিদ আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ও তার সহধর্মীনী মাসুদা মোমিন এবং তার ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার।


এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলালসহ ৬মনোনয়ন প্রত্যাশী আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছেন। তাকে মনোনয়ন না দিতে তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

ওই আবেদনে উল্লেখ থাকে যে, আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত। বগুড়া বিএনপির এলাকা হওয়া সত্ত্বেও খোকা ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সামান্য ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে খোকা ও তার পরিবার এলাকায় অত্যন্ত ঘৃণিত। 

তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। খোকার ভাই মহিত তালুকদার জাসদ করতেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মহিত দল বদল করেন। মহিত ২০১৩ সালে ধানের শীষ প্রতীকে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে কোনও আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি সব কর্মসূচি পালন করেন। 

তাই যুদ্ধাপরাধী খোকার ভাই মহিত তালুকদারকে ওই আসনে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তারা তাদের মধ্যে যেকোনও একজনকে মনোনয়ন দিতে তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। 

গত রবিবার সকাল ১০টায় বগুড়া-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সান্তাহার পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফিরোজ মো: কামরুল হাসান ওই অভিযোগ করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে একাধিক বার ফোন দিলে রিসিভ করে কোনো কথা বলেননি তিনি।

Sunday, November 11, 2018

নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

সরকারের পদত্যাগ আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিকে সামনে রেখেই আগামী একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। 

শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটটির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতাই বক্তব্য রাখতে রাজি হননি।  

জোটের অন্যতম একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে জোটটি তার সাত দফা দাবি থেকে সরে আসেনি। শেষ সময় পর্ন্ত সাত দফা দাবি নিয়ে মাঠে থাকার কথা জানান তিনি। 

জোটের আরেক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, নির্বাচনে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে নির্বাচনে না গিয়ে বিকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছি।’  এদিকে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান জানাতে রোববার দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন জোটের নেতারা। জোটের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে জোটের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।  

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএনপির মহাসচিব ও জোটটির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে। দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামীকাল দুপুর ১টায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান জানাবেন।’  

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিত্রদলগুলোর প্রধানদের মতামত জানতে চান। বৈঠকে উপস্থিত গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্যের শীর্ষ নেতারা তাদের মতামত দেন। পক্ষে বিপক্ষে মতামত ও যুক্তি আসে। তবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মতামত ও যুক্তি গ্রহণযোগ্য হওয়ায় নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।  

এর আগে পুরোনো শরীকদলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন সদ্য ২০ দল থেকে ২৩ দলে রূপ নেওয়া বিএনপি জোট। সেখানে জোটের প্রধান শরীক জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধান্ত জানাতে একদিন সময় নেয়। অন্যদিকে জোটের একটি অংশ মনে করেন নির্বাচনে যাওয়া আত্মঘাতী হবে। কারণ এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিবর্তে আন্দোলনের কথা বলেন। তবে শরীকদলগুলোর আর একটি অংশ নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। 

তাদের দাবি, এবার নির্বাচনে অংশ না নিলে এবং আন্দোলন করে দাবি আদায় না হলে তা জোট ও বিএনপির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনবে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঝুঁকি নেওয়া কতটা ঠিক হবে তাও মনে করিয়ে দেন তারা।  এর আগে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ডাকা বৈঠকের আগেই দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। দু’তিনজন সদস্য কোনোভাবেই খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যেতে চান না। সোয়া ৫টায় বেঠক শুরু হলেও সেই বৈঠকে যোগ দেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কার্যালয়ে আসেন তিনি। 

তিনি শুরু থেকেই এই সরকারের অধীনে এবং খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলে আসছেন। তার সঙ্গে আরো দু’জন নেতাও নির্বাচন যেতে চান না। তবে স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য মনে করেন নির্বাচন থেকে দূরে সরে আন্দোলনে নামলে তা দলের জন্য আরো বড় ক্ষতি হবে। বরং নির্বাচনে যাওয়ার মাধ্যমেই দাবি স্বপক্ষে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার কথা বলেন তারা।  তবে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্রের দাবি, নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থান করা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবুজ সংকেত দিয়েছেন।

আরো খবর পড়ুনঃ>>


>>>>    নৌকায় উঠছে ১৬ দল, ধানের শীষে ১১


>>>> বগুড়া-৩ ॥ ধানের শীষ মনোনয়ন ফরম কিনলেন ১০ প্রত্যাশী 

 

>>>> আ.লীগের মনোনয়ন নিলেন মাশরাফি

 

>>>> নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট