আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ‘নৌকা’ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে মোট দলের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে আটটি দল নিবন্ধিত। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে মোট দলের সংখ্যা ১১টি।
গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে জোটভুক্ত এমন ১৫টি দলের নাম নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ১৫টি দল হচ্ছে—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (বাসদের অনিবন্ধিত অংশ), জাতীয় পার্টি (জেপি মঞ্জু), ইসলামী ফ্রন্ট ( বাহাদুর শাহ), বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া), কৃষক শ্রমিক পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি (হুদা)।
এদিকে, গত ১১ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের জোট ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে লড়বে। তখন তালিকায় আটটি দলের নাম দেওয়া হয়েছিল।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ফ্রন্টের দলগুলোও অভিন্ন প্রতীক নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়াই করবে।
তখন ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে লড়াই করবে এমন আরো তিনটি দলের নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়। ফলে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১১-তে। পরে গতকালই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
‘ধানের শীষ’ প্রতীকে যে দলগুলো লড়াই করবে সেগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম—বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
আরো খবর পড়ুনঃ>>
আরো খবর পড়ুনঃ>>
No comments:
Post a Comment