আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তার অাপিলের শুনানি হয়। ১২টা ৩৮ মিনিট থেকে ২২ মিনিট ধরে শুনানি করে কমিশন। শুরুতেই কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফেনী-১ আসনের ওপর শুনানি করতে চাইলে খালেদার আইনজীবীরা তিনটি আসনের ওপরেই শুনানির আবেদন জানান। পরে আইনজীবীদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীদের কাছে।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে মামলার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন, তিনি সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নন।
বারবার তিনি একই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তখন ইসি সচিব শুনানির রায় পরে দেওয়ার কথা বলেন।
তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, রিটার্নিং অফিসার যে অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, সে বেআইনি সিদ্ধান্তটা ইসি বাতিল করবেন।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। নামঞ্জুর হলো খালেদার আপিল।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
No comments:
Post a Comment