আদমদীঘি প্রতিনিধি সাগর খান : সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইতে আওয়ামীলীগ সরকার যখন ব্যস্ত ঠিক তখন কেঁদে উঠলেন দুই বিধবা নারী.
হামরা মরার পর পাব সরকারে দেয়া বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড কেউ হামাকরোর একটা কার্ড করে দিচ্ছে না এই কথাগুলো প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, বগুড়ার আদমদীঘির জিনইর বাউস্ত পাড়া গ্রামের দুই বিধবা নারী।
কেউ আামাদের কথা শোনে না কাকে বললে কার্ড হবে। একাধিকবার মেম্বারের কাছে ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয়নি।
জানা যায়, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের জিনইর গ্রামের বাউস্ত পাড়ার মৃত করিম প্রামানিকের বিধবা স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭১), তার স্বামী করিম উদ্দীন ১৬/১৭ বছর পূর্বে মারা যায়।
এরপর সুফিয়া মানুষ সেবায় বাড়ী বাড়ী ঝিয়ের কাজ করেন। তার ৭১ বছর বয়স হলেও অদ্য বধি পর্যন্ত তার নামে কোন বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ড জুটলো না।
একই পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী জইদা বেওয়ার (৭৩) তার স্বামী আবুল হোসেন মারা যায় ১৩/১৪ বছর পূর্বে তার কপালেও জুটলো না বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড।
এই দুই নারী বয়স্ক বা বিধবা ভাতা কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। বিধবা সুফিয়া বেওয়া ও জইদা বেওয়া এই প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িন কন্ঠে আবদার করেন হামা করোর একটা কার্ড সরকার দিবে না।
তাদের কাছে জনপ্রতিনিধির কথা বললে তারা জানায়, কত বার মেম্বার চেয়ারম্যান কে বলেছে কার্ড দেয় না এমনকি গ্রামের মেম্বার কে ছবি আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়েছি তবু কোন কার্ড করে দেয় নি।
হামরা মরার পর কি কার্ড পাব ? এই অকুতি দুই বয়স্ক নারীর।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি সমাজ সেবা অফিসার শরিফ উদ্দীন জানান, চলতি বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রদানের আগে মাঠ পর্যায়ে মাইকিং করে যাচাই বাচাই করে ভাতা প্রদান করা হবে।
বিধবা ভাতা সর্ম্পক জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম নীতি অনুসারে সে বিধবা ও গরীব হতে হবে, বয়সের কোন ব্যবধান নেই।
তথ্য সুত্র : বগুড়া সংবাদ