ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাঠপাড়া বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে পাথর বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে চালক ও হেলপার সহ তিন জন আহত হয়েছে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ধুনট-শেরপুর সড়কের মাঠপাড়া ব্রিজ ভেঙ্গে এঘটনা ঘটে। এতে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জনসাধারনের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮৮ সালের পরবর্তী সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধায়নে ধুনট-শেরপুর সড়কের মাঠপাড়া খালের ওপর একটি স্টিলের বেইলী ব্রিজ নির্মান করা হয়। কিন্তু প্রায় ১০ বছর যাবত ওই ব্রিজের ট্রামজাম, পাটাতন ও ষ্টিল টেকিং সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে থাকে।
তাই স্টিল ব্রিজের সরঞ্জামাদি সরবরাহ না থাকায় ব্রিজের পাতাটন খুলে বা ভেঙ্গে গেলে জোড়াতালি দিয়েই মেরামত করা হয়। এভাবে ওই ব্রিজটিতে অসংখ্যবার জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একাধিকবার সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। তাই এনিয়ে তিনবার ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে ট্রাক খাদে পড়ার ঘটনা ঘটলো।
মাঠপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পাথর বোঝাই একটি ট্রাক (বগুড়া-ট ১১-১২৯৩) ধুনটের উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার সময় মাঠপাড়া বেইলী ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন চালক ও হেলপার সহ তিন জনকে উদ্ধার করে বগুড়ার হাসপাতালে প্রেরন করে।
এদিকে ধুনট-শেরপুর সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কাজিপুর, ধুনটের মথুরাপুর, সোনাহাটা, গোসাইবাড়ী, ভান্ডারবাড়ী সহ ১০/১৫টি রুটের যানবাহান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ধুনট সহ পাশ্ববর্তী কাজিপুর উপজেলার লাখো মানুষকে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এবিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, অনেক বছর আগে থেকেই ষ্টিলের বেইলী সেতুর ট্রামজাম ও ষ্টিল টেকিং সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। একারনে স্টিলের ব্রিজগুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে।
তবে মাঠপাড়া ব্রিজটি যেভাবে ভেঙ্গে গেছে তা মেরামতের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। আমরা জাপানী সরকারের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠপাড়া এলাকায় একটি আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মানের জন্য চেষ্টা করছি। তাই আপাতত অন্য উপজেলার খুলে রাখা একটি স্টিলের ব্রিজ সেখানে বসিয়ে দেওয়া হবে।
সূত্র http://www.bograsangbad.com/10333
No comments:
Post a Comment