বগুড়ার প্রাণ করতোয়া নদী। শুনেছি একসময় খরস্রোতা ছিল এই করতোয়া নদী যা আজকে রাস্তার পাশের একটা ড্রেনের মতো হয়ে গেছে।
শহরের বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্য, ঘরবাড়ির ময়লা আবর্জনা নদীতে জমা হয়ে বগুড়ার প্রাণের এই করতোয়া নদী আজকে প্রায় মৃত। এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই করতোয়া নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অথচ করতোয়ার দূষণ নিয়ে বিশেষ কোনো কাজই হয় না।
আমার ছোটবেলা থেকে করতোয়ার এই দুরাবস্থা দেখে আসছি। করতোয়া নিয়ে আমাদের মাথাব্যথ্যা খুব কম।
শুধু ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আজকাল করতোয়ার দরকার হয়। আমরা বড্ড বেশি স্বার্থপর, যে করতোয়া নদী আমাদের মায়ের মতো, আমাদেরই অযত্নে মৃতপ্রায় সেই করতোয়ার দিকে আজ ফিরেও তাকাই না। তাকিয়েও ফিরবো কোথায়? ময়লাটা তো ফেলতেই হবে। আর কোথায় ফেলবো?
করতোয়াই তো হাতের কাছে সহজলভ্য একমাত্র ভাগাড়! কল-কারখানার বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি আরেকটা বিষয় আছে, সেটা হলো ‘নদী দখল’। কতিপয় ক্ষমতাধর অসাধু লোকজনের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে করতোয়া নদীর দিকে।
এই দুর্বৃত্তায়ন এতোটাই বেড়ে গেছে যে ইচ্ছে হল দখল করলাম, ইচ্ছে হলেই নদীর পাশে কল-কারখানা দিয়ে নদীটাকে ড্রেন হিসেবে ব্যবহার করলাম! শুনেছি এই নদীটি পার্বতীকে বিয়ে করার সময় শিবের হাতে ঢালা পানি থেকে তৈরি হয়েছিল।
ঐতিহাসিক করতোয়া নদীতে প্রাণ ফিরে আসুক, সবার ভিতর পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি হোক এই প্রত্যাশা। পূর্ব প্রকাশিত: bdnews24.com
No comments:
Post a Comment