Showing posts with label নারী. Show all posts
Showing posts with label নারী. Show all posts

Wednesday, February 6, 2019

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,  দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। 


মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।

 দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা। 

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।

 মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়। 

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন

Saturday, January 12, 2019

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্বামীকে হত্যা করলো স্ত্রী॥ স্ত্রী আটক

বগুড়া উত্তর ডটকম: নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর অতিরিক্ত যৌন চাহিদা থাকায় এবং অতিমাত্রায় যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেছে এক স্ত্রী। যৌন উত্তেজক ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এমন অত্যাচার করে আসছিলো ওই স্বামী। শনিবার ভোরে উপজেলার মশিন্দা মাছপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। 

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্বামীকে হত্যা করলো স্ত্রী॥ স্ত্রী আটক

মধ্য রাতে কোন এক সময় স্ত্রী রুমি খাতুন স্বামী কাবিল হোসেন (২২) এর পুরুষাঙ্গ কর্তন করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুন (১৭)কে আটক করেছে । নিহত কাবিল বিশ্বাস পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ধানকুড়িয়া গ্রামের নরশেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। রুমি খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর মেয়ে।

রুমি খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৪ মাস পূর্বে কাবিল হোসেনের সাথে ও রুমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কাবিল হোসেন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে স্ত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত দুই সপ্তাহ আগে রুমি খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।গতকাল শুক্রবার কাবিল হোসেন মাশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। 


রাতে পুনরায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যৌন নির্যাতন শুরু করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর একপর্যায়ে ভোরে স্ত্রী রুমি খাতুন ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামী কাবিল বিশ্বাসের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাবিল হোসেনের মৃত্যু হয়। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে এঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমি খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

এব্যাপরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Thursday, January 10, 2019

ধর্ষণচেষ্টা ব্যার্থ হয়েই ৩ ফুটফুটে শিশুকে হত্যা করে যৌনদস্যুরা


বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ নিউজ: চাঞ্চল্যকর সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করা শিশু ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহান (৪) হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হয়েছে। খেলারত ওই দুই শিশুকে লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার কথা বলে গোলাম মোস্তফা তার ঘরে নিয়ে যায়।


পূর্বেই তার ফুফাতো ভাই আজুিল বাওনিয়াকে ডেকে নিয়ে আসে মোস্তফা। এরপর তারা শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুরা চিৎকার করতে শুরু করে। আর চিৎকারের শব্দ যাতে বাইরে না যেতে পারে সে জন্য জোরে গান বাজায় মোস্তফা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তারা শ্বাসরোধে দুই শিশুকে হত্যা করে।

এদিকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় দুই বছরের শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে ৩তলা ভবনের জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। নাহিদের মেয়ে বুশরা পুলিশকে সহযোগিতা করার কারণে হত্যা রহস্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এই দুই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে।

মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে ডেমরায় দুই শিশু হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয় দোলা ও নুসরাত। তাদের খোঁজে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতে কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের মোস্তফার ঘর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরদিন মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ীর ভাঙাপ্রেস ও ডেমরার মোল্লাব্রিজ এলাকা থেকে মোস্তফা ও আজিজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধারের পর তাঁরা ধারণা করেছিলেন, অত ছোট বাচ্চাদের মুক্তিপণের জন্য হয়তো নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে দুজন বলেছে, ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে তারা নুসরাত আর দোলাকে সোমবার দুপুরে বাসায় নিয়ে যায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথমে তাদের বাসায় ডেকে আনা হয়। এরপর আজিজুল ও মোস্তফা ইয়াবা সেবন করে উচ্চশব্দে গান ছাড়ে। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুরা চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে দোলাকে গলাটিপে হত্যা করে আজিজুল এবং নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোস্তফা।

হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে যায় আর মোস্তফা দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে বাসায় থাকে। একপর্যায়ে খাটের নিচে মরদেহ রেখে দেয়। মোস্তফার স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী আঁখি সন্ধ্যার দিকে কারখানা থেকে বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। মেঝেতে শিশুদের সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যায় মোস্তফার স্ত্রী আঁখি বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। আঁখি প্রতিবেশীর বাসায় গেলে ওই ফাঁকে মোস্তফা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই বাসার খাটের নিচ থেকে মেয়ে দুটির লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা এবং আরো কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করে বলে জানায়। ’

ডিসি বলেন, শিশুরা চিৎকার করলেও উচ্চশব্দে গান বাজানোর কারণে বাইরের কেউ শুনতে পায়নি। শিশু দুটি নার্সারিতে পড়ত। তাদের সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নেয় মোস্তফা।

ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোস্তফা ফোন করে আগেই আজিজুলকে বাসায় ডেকে নেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এখানে কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল। তারা একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই।
তিনি আরো জানান, পেশায় সিরামিক মিস্ত্রি মোস্তফার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতিচেষ্টার একটি মামলা রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর, আর আজিজুলের বাড়ি ফরিদপুরে। এ ঘটনায় প্রথমে মোস্তফার স্ত্রী আঁখি ও শ্যালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আয়েশাকে হত্যা করে নাহিদ গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের পাশে দীননাথ সেন রোডের একটি বাসায় গত শনিবার শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে তিনতলার জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাহিদের মেয়ে বুশরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার লাশ পাওয়ার পরদিন নিহত আয়েশার বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ এনে প্রতিবেশী নাহিদকে আসামি করে গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার আসামি নাহিদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে নিজ বাসার তৃতীয় তলার খোলা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে তার দুই পা ভেঙে যায়। নাহিদ এখন পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফরিদ উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ জানিয়েছে, প্রতিবেশী শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নেয় সে। পরে শিশুটিকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যা করে। তার থেকে এর বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সে অনেক বেশি অসুস্থ। ’

ডিসি জানান, শিশু আয়েশা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে এগিয়ে আসে গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাহিদের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে বুশরা। গত মঙ্গলবার বাবার কুকর্মের কথা তুলে ধরে আদালতে জবানবন্দি দেয় সে। আদালতে বুশরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাসার বারান্দায় বসে ছিল সে। এ সময় বাবার শোবার কক্ষ থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সে। এরপর সে বাবার কক্ষে যায়। দরজা খুলে দেখে, তার বাবা বিছানায় আর আয়েশা তার কোলে কাঁদছে। তখন নাহিদ বুশরাকে ধমক দিয়ে বলে, ‘এই তুই এখানে এসেছিস কেন?’ তখন বুশরা অন্য রুমে চলে যায়। এরপর নাহিদ আয়েশাকে তিনতলার খোলা জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। ’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচ বছর আগে নাহিদের স্ত্রী মারা যায়। এরপর সে আর বিয়ে করেনি। ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে নাহিদ ওই বাসার তৃতীয় তলায় থাকে। আর গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডের একটি টিনশেড বাড়িতে বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা (২)। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে চলে যেতেন। আর দিনের বিভিন্ন সময় গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে চারতলা ভবনের সামনে খেলা করত সে।

Sunday, November 18, 2018

শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই জন আহত অতঃপর থানায় অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন, নামুজা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্টে প্রতিপক্ষের মারপিটে মহিলাসহ আহত-২ অতঃ পর থানায় অভিযোগ। 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মাঝিহট্ট ইউপির সৈয়দ দামগাড়া পশ্চিশ পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম শেখের পুত্র এনামুল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া বেগম এবং মোজাম শেখের পুত্র তরিকুল শেখ, 

পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রেবেকা বিবি (৪০) ও তার পুত্র সজিব শেখ (১৭) কে গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে কাপড় শুকানোর জন্য বাড়ির বাহিরে বের হলে উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের মারপিট করে। প্রতিপক্ষের মারপিটে মা ও ছেলে আহত হয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় রেবেকার স্বামী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় এনামুল হোসেন, মোছাঃ আলেয়া বেগম ও তরিকুল শেখকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ১৮ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানার এসআই আহসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Wednesday, September 19, 2018

৮-০ গোলে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা। ৮-০ গোলে হারতে হয় লেবাননকে। 
৮-০ গোলে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরাআজ বুধবার বেলা ১১টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। খেলা শুরুর ১৪ মিনিট পর মনিকার বাড়ানো বল গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন সাজেদা।
এর ফলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০ মিনিটের মাথায় ফের জটলার মধ্যে থেকে সাজেদার পাসে তহুরার শট গোলকিপারের গায়ে লাগার পর ডিফেন্ডার মারিয়া ইসলামের পায়ে লেগে প্রতিপক্ষের জালে জড়ায়। এতে গোল ব্যবধান দ্বিগুন হয়। এর ঠিক তিন মিনিট পর লেবাননের জালে ফের বল জড়ান তহুরা।  আখিঁ খাতুনের লম্বা করে বাড়ানো বল তহুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন। এতে স্কোরলাইন দাড়ায় ৩-০। 
২৬ মিনিটের মাথায় আবারও আখিঁর বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের ভিতরে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোল করেন আনাই মোগিনী। ১৪ মিনিট পর আবারও আক্রমণে আসেন আখিঁ। তার বাড়ানো বল থেকে আসে পঞ্চম গোল। 
পাঁচ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৪৭ মিনিটে ষষ্ঠ গোল তুলে নেয় শামসুন্নাহার জুনিয়র। এবার তিনি প্রতিপক্ষের গোলকিপারের পাশ দিয়ে এবার লক্ষ্যভেদ করেন। ৬৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা সুলতানার নিচু ক্রসে সাইড ভলিতে আবারও জাল কাঁপান শামসুন্নাহার। ৭০ মিনিটে ইলা মনির মাইনাসে রোজিনা আক্তার ফের প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান। এতে স্কোর দাড়ায় ৮-০। এর পর আর কোনো গোল করতে না পারলেও বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। অপরদিকে লেবানন লজ্জাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
জানা গেছে, এর আগে বাহরাইনকেও ১০-০ গোলে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল এই মেয়েরা।

Sunday, April 8, 2018

বগুড়ায় ধর্ষক শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে রাস্তা অবরোধ

এম আই মিরাজ : বগুড়া সদরের চাদমুহা সরলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর জনৈক এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান সদরের রজাকপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর পুত্র ফারুক হোসেন বাবু দীর্ঘ ২ বছর পূর্ব থেকে দৌহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে রাখে। 

বগুড়ায় ধর্ষক শিক্ষকের শাস্তির  দাবীতে রাস্তা অবরোধ


ভিডিওটি গত ২ দিন পূর্বে প্রকাশ পেলে রবিবার বিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রীরা লম্পট বাবুর ফাসীর দাবিতে বেলা ১২ টা থেকে ১২ টা৩০ মি: পর্যন্ত বি: সামনের নামুজা বগুড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে। 

সংবাদ পেয়ে সদর এ সার্কেল সনাতন চক্রবর্তী, ওসী এমদাদুল হক, (তদন্ত) কামরুজ্জামান, ও গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সবুজ ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট বাবুকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 


এ ব্যাপারে বি: ১০ শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী, ছাত্রী মীম, ৭ ম শ্রেণীর ছাত্রী ইশামনির সাথে কথা বললে তারা জানান লম্পট নারীলোভী হায়েনা লাইব্রেরীয়ান বাবুর ফাসী চাই।

 বি: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী রেজা তোতন ও প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তারা জানান বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বি: পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারের ভুক্ত ভোগীর পিতা সরলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ডাবলু মিয়া বি: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চাদমুহা সরলপুর যুব সংঘের নেতৃবৃন্দের বরাবর লম্পট বাবুর শাস্তি চেয়ে পৃথক পৃথক ২ টি আবেদন করেছে। 

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ঐ বি: আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক শিক্ষককে ( বাবুর ভায়রা) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।

Thursday, March 8, 2018

বগুড়ায় 10 হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী আটক

অনলাইন ডেক্স : বগুড়ায় দশ হাজার ইয়াবাসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বগুড়ায় 10 হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী আটক

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নূর এ আলম সিদ্দিকী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের রহমান নগরের বাড়ি থেকে ২৭ বছর বয়সী বাঁধন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বাঁধন শহরের বাদুরতলা এলাকার শাহিনুর রহমানের স্ত্রী। ওসি নূর এ আলম বলেন, বাঁধন দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। 

গোপনে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রহমান নগরে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। 

পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার ২০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান। বাঁধনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।