Showing posts with label Shibganj news. Show all posts
Showing posts with label Shibganj news. Show all posts

Thursday, January 10, 2019

ধর্ষণচেষ্টা ব্যার্থ হয়েই ৩ ফুটফুটে শিশুকে হত্যা করে যৌনদস্যুরা


বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ নিউজ: চাঞ্চল্যকর সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করা শিশু ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহান (৪) হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হয়েছে। খেলারত ওই দুই শিশুকে লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার কথা বলে গোলাম মোস্তফা তার ঘরে নিয়ে যায়।


পূর্বেই তার ফুফাতো ভাই আজুিল বাওনিয়াকে ডেকে নিয়ে আসে মোস্তফা। এরপর তারা শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুরা চিৎকার করতে শুরু করে। আর চিৎকারের শব্দ যাতে বাইরে না যেতে পারে সে জন্য জোরে গান বাজায় মোস্তফা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তারা শ্বাসরোধে দুই শিশুকে হত্যা করে।

এদিকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় দুই বছরের শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে ৩তলা ভবনের জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। নাহিদের মেয়ে বুশরা পুলিশকে সহযোগিতা করার কারণে হত্যা রহস্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এই দুই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে।

মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে ডেমরায় দুই শিশু হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয় দোলা ও নুসরাত। তাদের খোঁজে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতে কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের মোস্তফার ঘর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরদিন মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ীর ভাঙাপ্রেস ও ডেমরার মোল্লাব্রিজ এলাকা থেকে মোস্তফা ও আজিজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধারের পর তাঁরা ধারণা করেছিলেন, অত ছোট বাচ্চাদের মুক্তিপণের জন্য হয়তো নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে দুজন বলেছে, ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে তারা নুসরাত আর দোলাকে সোমবার দুপুরে বাসায় নিয়ে যায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথমে তাদের বাসায় ডেকে আনা হয়। এরপর আজিজুল ও মোস্তফা ইয়াবা সেবন করে উচ্চশব্দে গান ছাড়ে। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুরা চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে দোলাকে গলাটিপে হত্যা করে আজিজুল এবং নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোস্তফা।

হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে যায় আর মোস্তফা দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে বাসায় থাকে। একপর্যায়ে খাটের নিচে মরদেহ রেখে দেয়। মোস্তফার স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী আঁখি সন্ধ্যার দিকে কারখানা থেকে বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। মেঝেতে শিশুদের সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যায় মোস্তফার স্ত্রী আঁখি বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। আঁখি প্রতিবেশীর বাসায় গেলে ওই ফাঁকে মোস্তফা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই বাসার খাটের নিচ থেকে মেয়ে দুটির লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা এবং আরো কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করে বলে জানায়। ’

ডিসি বলেন, শিশুরা চিৎকার করলেও উচ্চশব্দে গান বাজানোর কারণে বাইরের কেউ শুনতে পায়নি। শিশু দুটি নার্সারিতে পড়ত। তাদের সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নেয় মোস্তফা।

ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোস্তফা ফোন করে আগেই আজিজুলকে বাসায় ডেকে নেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এখানে কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল। তারা একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই।
তিনি আরো জানান, পেশায় সিরামিক মিস্ত্রি মোস্তফার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতিচেষ্টার একটি মামলা রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর, আর আজিজুলের বাড়ি ফরিদপুরে। এ ঘটনায় প্রথমে মোস্তফার স্ত্রী আঁখি ও শ্যালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আয়েশাকে হত্যা করে নাহিদ গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের পাশে দীননাথ সেন রোডের একটি বাসায় গত শনিবার শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে তিনতলার জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাহিদের মেয়ে বুশরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার লাশ পাওয়ার পরদিন নিহত আয়েশার বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ এনে প্রতিবেশী নাহিদকে আসামি করে গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার আসামি নাহিদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে নিজ বাসার তৃতীয় তলার খোলা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে তার দুই পা ভেঙে যায়। নাহিদ এখন পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফরিদ উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ জানিয়েছে, প্রতিবেশী শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নেয় সে। পরে শিশুটিকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যা করে। তার থেকে এর বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সে অনেক বেশি অসুস্থ। ’

ডিসি জানান, শিশু আয়েশা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে এগিয়ে আসে গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাহিদের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে বুশরা। গত মঙ্গলবার বাবার কুকর্মের কথা তুলে ধরে আদালতে জবানবন্দি দেয় সে। আদালতে বুশরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাসার বারান্দায় বসে ছিল সে। এ সময় বাবার শোবার কক্ষ থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সে। এরপর সে বাবার কক্ষে যায়। দরজা খুলে দেখে, তার বাবা বিছানায় আর আয়েশা তার কোলে কাঁদছে। তখন নাহিদ বুশরাকে ধমক দিয়ে বলে, ‘এই তুই এখানে এসেছিস কেন?’ তখন বুশরা অন্য রুমে চলে যায়। এরপর নাহিদ আয়েশাকে তিনতলার খোলা জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। ’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচ বছর আগে নাহিদের স্ত্রী মারা যায়। এরপর সে আর বিয়ে করেনি। ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে নাহিদ ওই বাসার তৃতীয় তলায় থাকে। আর গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডের একটি টিনশেড বাড়িতে বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা (২)। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে চলে যেতেন। আর দিনের বিভিন্ন সময় গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে চারতলা ভবনের সামনে খেলা করত সে।

Sunday, November 18, 2018

শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই জন আহত অতঃপর থানায় অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন, নামুজা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্টে প্রতিপক্ষের মারপিটে মহিলাসহ আহত-২ অতঃ পর থানায় অভিযোগ। 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মাঝিহট্ট ইউপির সৈয়দ দামগাড়া পশ্চিশ পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম শেখের পুত্র এনামুল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া বেগম এবং মোজাম শেখের পুত্র তরিকুল শেখ, 

পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রেবেকা বিবি (৪০) ও তার পুত্র সজিব শেখ (১৭) কে গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে কাপড় শুকানোর জন্য বাড়ির বাহিরে বের হলে উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের মারপিট করে। প্রতিপক্ষের মারপিটে মা ও ছেলে আহত হয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় রেবেকার স্বামী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় এনামুল হোসেন, মোছাঃ আলেয়া বেগম ও তরিকুল শেখকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ১৮ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানার এসআই আহসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Saturday, November 17, 2018

শিবগঞ্জ পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত সদস্য আটক

শিবগঞ্জ পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত সদস্য আটক
শিবগঞ্জ (বগুড়া ) প্রতিনিধিঃ রশিদুর রহমান রানা:  বগুড়ার শিবগঞ্জে ডাকাতি করার প্রস্তুতি কালে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক ৭ ডাকাত সদস্য আটক।শিবগঞ্জ পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত সদস্য আটকজানা যায়, গতকাল শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) মোঃ আলহাজ উদ্দিন, এসআই (নিঃ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান-১, এসআই (নিঃ)

মোঃ আনোয়ার হোসেন, এসআই (নিঃ) মোঃ আহসানুল হক, এসআই (নিঃ) মোঃ আবু সাঈদ খান, এএসআই (নিঃ) মোঃ মামুনুর রশিদ, এএসআই (নিঃ) মোঃ আশরাফুল ইসলাম,এএসআই (নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ ফোর্স সহ   শিবগঞ্জ আটমূল ইউনিয়নের আতাহার গ্রামের পশ্চিম পাশে কোয়াটার মাইল দুরে খুলুপুকুর নামক স্থান জনৈক মোঃ শামসুল হক এর পুকুর পারে ১২/১৩ জনের একটি ডাকাত দল সমবেত হইয়া পুকুর পারে বসিয়া ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহনের শলাপরামর্শ করাকালীন  সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় শিবগঞ্জ থানার আতাহার উত্তরপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম এর পুত্র  মোঃ জাকারিয়া (৩৮),  একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম এর পুত্র মোঃ নুর নবী (২৫), মৃত: গিয়াছ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র মোঃ মাসুদ রানা  আব্দুর রহিম, আতাহার দক্ষিণপাড়া গ্রামের পিতা-মৃত রহিম উদ্দিন, এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫০), আটমূল পূর্বপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল কাজী এর পুত্র মোঃ আশিকুল ইসলাম (৩৫), নান্দুরা গ্রামের মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এর পুত্র মোঃ আঃ খালেকমোশারফ হোসেন (৩৫), কুড়াহার আয়নাপাড়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিন প্রাং পুত্র মোঃ বাচ্চু প্রামানিক (৫০) কে আটক করে ।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, আটকৃতরা ডাকাত দলের সদস্য। তারা গরু চুরি সহ রোড ডাকাত করে  থাকে।


আরো খবর পড়ুনঃ>>

>>>>  বগুড়ায় দেলওয়ারা সেখ সরিফ মার্কেটে চাঁদা না পেয়ে অফিস ভাংচুর, টাকা লুট : থানায় মামলা

 

>>>> পতিতা নিয়ে বিরোধেই খুন হয় নাইম 

 

>>>>  শিবগঞ্জ পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত সদস্য আটক 

 

>>>>  ঢাকায় অপহৃত নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধুনট থেকে উদ্ধার

 

>>>>  বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কলেজ ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

Sunday, September 23, 2018

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে স্বর্ণকারের মৃত্যু

গোলাম রব্বানী শিপন: ২৩.সেপ্টেম্বর ২০১৮ বগুড়ার শিবগঞ্জে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে এক স্বর্ণকার কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোর শিবগঞ্জ উপজেলার পার আচলাই নামাপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার পুত্র বাবু মিয়া (১৭) স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মুকুল সে পার্শ্ববর্তী একটি জুয়েলার্সের দোকানে স্বর্ণকারের কাজ করত। 

এ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতের ত্যাঁরের সাথে জরিয়ে পরে। এরপর স্থানীয়রা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত কিশোর স্বর্ণকার ছিল। 

স্বর্ণের কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে দিয়ে অসাবধানতা বসত বিদ্যুতে জড়িয়ে তার আকষ্মিক মৃত্যু হয়। এদিকে কিশোর মিলনের আকষ্মিক মৃত্যুর খবর তার গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে শুরু হয় শোকের মাতম।

Saturday, February 24, 2018

বগুড়ার গোকুলে নিহত নেতা সনি'র জানাযার নামাজ সম্পূূর্ণ

ফলোআপঃ বগুড়ার গোকুলে  রাম দায়ের কোপে নিহত সেচ্ছাসেবক দল নেতা সনি'র জানাযার নামাজ সম্পূূর্ণ 

বগুড়ার গোকুলে নিহত নেতা সনি'র জানাযার নামাজ সম্পূূর্ণ

এস আই সুমনঃ মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদরের গোকুল ছ'মিল বন্দরে যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের দলীয় কোন্দলে প্রতিপক্ষের রাম দা'য়ের কোপে নিহত 

ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক সনি'র জানাযার নামাজ শনিবার বাদ আছর গোকুল মধ্যপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেন বগুড়া জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শাহ মেহেদী হাসান হিমু, 

জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আমিনুল ইসলাম ডাবলু,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক সাইমুম ইসলাম, 

সরকারী আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহব্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক,ছাত্রনেতা নাহিদ,যুবনেতা বুলু মিয়া,

সাংবাদিক এস আই সুমন সহ মরহুমের আত্নীয় স্বজন সহ দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ ও এলাকার বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জানাযার নামাজ শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

জানাযার নামাজ পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু মরহুম সনি'র আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান,

সেই সাথে সনি'র হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানান।

বগুড়ার গোকুলে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩ নিহত ১

গোলাম রব্বানী শিপন: মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শহরতলির গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সনি (২৬) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বগুড়ার-গোকুলে-২-গ্রুপের-সংঘর্ষে-আহত-৩-নিহত-১

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, ও তার স্ত্রী সালমা আকতার নিশা এবং সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুল হাকিম। 

পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান কে আশংকাজন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোকুল ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপুলের বিরোধ চলে আসছিল। 

গত ২-৩ দিন পূর্বে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপুলের গ্রুপের লোকজন সভাপতি মিজানুর রহমানের গ্রুপের ওপর বিবাদমান হামলা চালায়। 

এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিজানুর গ্রুপের মিজানুর, তার স্ত্রী নিশা, আবদুল হাকিম ও কর্মী গোকুল মধ্যপাড়া গ্রামের জামাত আলীর ছেলে সনি আহত হন। 

পরে এলাকাবাসী তাদের দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেচ্ছাসেবক কর্মী সনি মারা যান। 

ওসি আরও বলেন, নিহত সনির লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় শুক্রবার বিকাল নাগাদ পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Thursday, February 22, 2018

বগুড়ায় ছাত্রীর শ্লিলতাহানীর ঘটনায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

বগুড়ার শিবগঞ্জ রহবল উচ্চ বিদ্যালয়ের আনোয়ার হোসেন রুবেল নামের এক লম্পট শিক্ষকের নারী কেলেংকারী ঘটনায় আটক করা হয়েছে।  

বগুড়া-ছাত্রী-শ্লিলতাহানী-ঘটনায়-স্কুল-শিক্ষক-গ্রেপ্তার

আনোয়ার হোসেন রুবেল উপজেলার কৃষনপুর মধুপুর গ্রামের আব্দুল হাইযের পুত্র এবং রহবল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ।  

সম্প্রতি পিকনিকে যাওয়া এক ছাত্রীকে বাসের মধ্য একা পেয়ে শ্লিলতাহানীর ঘটনায় ফুঁসে ওঠা শিক্ষার্থীরা স্কুলে তালালাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্লাক বর্জন করায় ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ ।  

জানা গেছে , ইতি পূর্বে এলাকায় একাধিক নারী কেলেংকারী ঘটনার পরও শিক্ষকতায় যোগ দেন আনোয়ার হোসেন রুবেল । কিন্তু চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী । পবিত্র পেশায় আশার পর সে বিভিন্ন সময়ে নারী কেলেংকারী ঘটনায় জরিয়ে পরে । 

এ নিয়ে বহুবার বিচার শালিশে তাকে সতর্ক করা হলেও লম্পট ওই শিক্ষক নিজেকে শোধরাতে পারেননি ।  তারই ধারাবাহিকতায় , গত ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে স্কুলের বাৎসরিক পিকনিকের জন্য স্কুললের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহে গাড়ো পাহাড়ে যায় । 

সেখানে যাওয়ার পর সেখানে অশুস্থ্যবোধ করা এক ছাত্রীকে বাসে একা বসে থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে শ্লিলতাহানী করার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক । বিষয়টি তৎক্ষনাৎ ভাবে টের পেয়ে তাকে হাতে নাতে আটক করা হয় । 

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা । পরে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ তার বিচারের নিশ্চিয়তা দিলে শান্ত হয় শিক্ষার্থী।  পিকনিক থেকে ফিরে আসার পর আবারো ওই শিক্ষকের বিচার দাবী করে সোচ্চার হয় শিক্ষার্থীরা । 

গত কয়েক দিনের চাপা ক্ষোভ অবশেষে বিস্ফোরন ঘটে বৃহস্পতিবার । এসময় শত শত শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পরে । অবস্থার বেগতিক দেখে শিক্ষক রুবেলকে সাসপেন্ড করার কথা জানান প্রধান শিক্ষক । 

কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না আসায় পুলিশে খবর দেয়া হয় । পরে শিবগঞ্জ মোকামতলা বিশেষ ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক রুবেলকে আটক করে নিয়ে আসে।  

এ ব্যপারে মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ী পুলিশের ইনর্চাজ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, আটক শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে শিক্ষক রুবেলের বিচারের দাবীতে গোটা এলাকায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।  

সূত্র -এফএনএস