Showing posts with label ধর্ষন. Show all posts
Showing posts with label ধর্ষন. Show all posts

Thursday, January 10, 2019

ধর্ষণচেষ্টা ব্যার্থ হয়েই ৩ ফুটফুটে শিশুকে হত্যা করে যৌনদস্যুরা


বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ নিউজ: চাঞ্চল্যকর সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করা শিশু ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহান (৪) হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হয়েছে। খেলারত ওই দুই শিশুকে লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার কথা বলে গোলাম মোস্তফা তার ঘরে নিয়ে যায়।


পূর্বেই তার ফুফাতো ভাই আজুিল বাওনিয়াকে ডেকে নিয়ে আসে মোস্তফা। এরপর তারা শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুরা চিৎকার করতে শুরু করে। আর চিৎকারের শব্দ যাতে বাইরে না যেতে পারে সে জন্য জোরে গান বাজায় মোস্তফা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তারা শ্বাসরোধে দুই শিশুকে হত্যা করে।

এদিকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় দুই বছরের শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে ৩তলা ভবনের জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। নাহিদের মেয়ে বুশরা পুলিশকে সহযোগিতা করার কারণে হত্যা রহস্য বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এই দুই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে।

মিন্টো রোডে পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে ডেমরায় দুই শিশু হত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ডেমরার কোনাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয় দোলা ও নুসরাত। তাদের খোঁজে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাতে কোনাপাড়ার শাহজালাল রোডের মোস্তফার ঘর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরদিন মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ীর ভাঙাপ্রেস ও ডেমরার মোল্লাব্রিজ এলাকা থেকে মোস্তফা ও আজিজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধারের পর তাঁরা ধারণা করেছিলেন, অত ছোট বাচ্চাদের মুক্তিপণের জন্য হয়তো নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে দুজন বলেছে, ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে তারা নুসরাত আর দোলাকে সোমবার দুপুরে বাসায় নিয়ে যায়। লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রথমে তাদের বাসায় ডেকে আনা হয়। এরপর আজিজুল ও মোস্তফা ইয়াবা সেবন করে উচ্চশব্দে গান ছাড়ে। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুরা চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে দোলাকে গলাটিপে হত্যা করে আজিজুল এবং নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোস্তফা।

হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে যায় আর মোস্তফা দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে বাসায় থাকে। একপর্যায়ে খাটের নিচে মরদেহ রেখে দেয়। মোস্তফার স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী আঁখি সন্ধ্যার দিকে কারখানা থেকে বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। মেঝেতে শিশুদের সেন্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যায় মোস্তফার স্ত্রী আঁখি বাসায় ফিরে স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। আঁখি প্রতিবেশীর বাসায় গেলে ওই ফাঁকে মোস্তফা বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই বাসার খাটের নিচ থেকে মেয়ে দুটির লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা এবং আরো কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করে বলে জানায়। ’

ডিসি বলেন, শিশুরা চিৎকার করলেও উচ্চশব্দে গান বাজানোর কারণে বাইরের কেউ শুনতে পায়নি। শিশু দুটি নার্সারিতে পড়ত। তাদের সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নেয় মোস্তফা।

ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কি না জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোস্তফা ফোন করে আগেই আজিজুলকে বাসায় ডেকে নেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এখানে কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল। তারা একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই।
তিনি আরো জানান, পেশায় সিরামিক মিস্ত্রি মোস্তফার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতিচেষ্টার একটি মামলা রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর, আর আজিজুলের বাড়ি ফরিদপুরে। এ ঘটনায় প্রথমে মোস্তফার স্ত্রী আঁখি ও শ্যালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আয়েশাকে হত্যা করে নাহিদ গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের পাশে দীননাথ সেন রোডের একটি বাসায় গত শনিবার শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাহিদ। পরে সে তিনতলার জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাহিদের মেয়ে বুশরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ডিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার লাশ পাওয়ার পরদিন নিহত আয়েশার বাবা ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ এনে প্রতিবেশী নাহিদকে আসামি করে গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার আসামি নাহিদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে নিজ বাসার তৃতীয় তলার খোলা জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে তার দুই পা ভেঙে যায়। নাহিদ এখন পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফরিদ উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ জানিয়েছে, প্রতিবেশী শিশু আয়েশাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নেয় সে। পরে শিশুটিকে তিনতলা থেকে ফেলে হত্যা করে। তার থেকে এর বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি, কারণ সে অনেক বেশি অসুস্থ। ’

ডিসি জানান, শিশু আয়েশা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে এগিয়ে আসে গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাহিদের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে বুশরা। গত মঙ্গলবার বাবার কুকর্মের কথা তুলে ধরে আদালতে জবানবন্দি দেয় সে। আদালতে বুশরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাসার বারান্দায় বসে ছিল সে। এ সময় বাবার শোবার কক্ষ থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সে। এরপর সে বাবার কক্ষে যায়। দরজা খুলে দেখে, তার বাবা বিছানায় আর আয়েশা তার কোলে কাঁদছে। তখন নাহিদ বুশরাকে ধমক দিয়ে বলে, ‘এই তুই এখানে এসেছিস কেন?’ তখন বুশরা অন্য রুমে চলে যায়। এরপর নাহিদ আয়েশাকে তিনতলার খোলা জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। ’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, পাঁচ বছর আগে নাহিদের স্ত্রী মারা যায়। এরপর সে আর বিয়ে করেনি। ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে নাহিদ ওই বাসার তৃতীয় তলায় থাকে। আর গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডের একটি টিনশেড বাড়িতে বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা (২)। প্রতিদিন সকালে আয়েশার মা-বাবা কাজে চলে যেতেন। আর দিনের বিভিন্ন সময় গেণ্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে চারতলা ভবনের সামনে খেলা করত সে।

Monday, April 16, 2018

বগুড়া গোকুল চাঁদমুহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সাথে দৌহিক সম্পর্কের নগ্ন ভিডিও ধারণ আলোচিত সেই লম্পট শিক্ষকের সেচ্ছায় আদালতে আত্ন সমর্ম্পন জামিন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ

এস আই সুমন মহাস্থান(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ  বগুড়া সদরের গোকুল চাঁদমুহা সরলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর জনৈক এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান শিক্ষক বগুড়া সদরের রজাকপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর পুত্র ফারুক হোসেন বাবু কর্তৃক ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারন আলোচিত সেই লম্পট শিক্ষক আজ সোমবার বগুড়া আদালতে সেচ্ছায় আত্ন সমর্ম্পন  করলে আদালত তাকে জামিন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।

বগুড়া গোকুল চাঁদমুহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সাথে দৌহিক সম্পর্কের নগ্ন ভিডিও ধারণ আলোচিত সেই লম্পট শিক্ষকের সেচ্ছায় আদালতে আত্ন সমর্ম্পন জামিন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ

ঐ ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ ২ বছর পূর্ব থেকে তার সাথে দৌহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে লম্পট শিক্ষক ফারুক হোসেন বাবু মোবাইলে নগ্ন  ভিডিও ধারণ করে রাখে। ভিডিওটি গত কয়েকদিন পূর্বে প্রকাশ পেলে  ৮ই এপ্রিল  রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লম্পট বাবুর ফাঁসীর দাবিতে বেলা ১২ টা থেকে ১২ টা ৩০ মি: পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের সামনে নামুজা বগুড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে।

সংবাদ পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর এ সার্কেল সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি)এমদাদ হোসেন, ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া ও গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট শিক্ষক বাবুকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান, ছাত্রী মীম আক্তার, ৭ ম শ্রেণীর ছাত্রী ইশা মনির সাথে কথা বললে তারা জানান, লম্পট নারী লোভী হায়েনা লাইব্রেরীয়ান শিক্ষক ওমর ফারুক বাবুর ফাসী চাই। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাহবুব মোরশেদ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতন ও প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তারা জানান, বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ভুক্ত ভোগী ঐ ছাত্রীর পিতা সরলপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ডাবলু মিয়া, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চাঁদমুহা সরলপুর যুব সংঘের নেতৃবৃন্দের বরাবরে লম্পট বাবুর শাস্তি চেয়ে পৃথক পৃথক ২ টি আবেদন করেছিলেন ।

এব্যাপারে সচেতন অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে আসছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জোর প্রচেস্টা চালিয়ে আসছিলেন ঘটনার বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল ফুৃসে উঠছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত সেই লম্পট শিক্ষক ফারুক হোসেন বাবু আজ সোমবার সেচ্ছায় বগুড়া আদালতে আত্ন সম্পর্পন করলে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে কোর্ট তাকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়ে  জামিন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।

এ ব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহল লম্পট শিক্ষক ফারুক হোসেন বাবুর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

Sunday, April 8, 2018

বগুড়ায় ধর্ষক শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে রাস্তা অবরোধ

এম আই মিরাজ : বগুড়া সদরের চাদমুহা সরলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর জনৈক এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীয়ান সদরের রজাকপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর পুত্র ফারুক হোসেন বাবু দীর্ঘ ২ বছর পূর্ব থেকে দৌহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লিল ভিডিও ধারণ করে রাখে। 

বগুড়ায় ধর্ষক শিক্ষকের শাস্তির  দাবীতে রাস্তা অবরোধ


ভিডিওটি গত ২ দিন পূর্বে প্রকাশ পেলে রবিবার বিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রীরা লম্পট বাবুর ফাসীর দাবিতে বেলা ১২ টা থেকে ১২ টা৩০ মি: পর্যন্ত বি: সামনের নামুজা বগুড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে। 

সংবাদ পেয়ে সদর এ সার্কেল সনাতন চক্রবর্তী, ওসী এমদাদুল হক, (তদন্ত) কামরুজ্জামান, ও গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সবুজ ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট বাবুকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 


এ ব্যাপারে বি: ১০ শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী, ছাত্রী মীম, ৭ ম শ্রেণীর ছাত্রী ইশামনির সাথে কথা বললে তারা জানান লম্পট নারীলোভী হায়েনা লাইব্রেরীয়ান বাবুর ফাসী চাই।

 বি: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী রেজা তোতন ও প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তারা জানান বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বি: পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারের ভুক্ত ভোগীর পিতা সরলপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ডাবলু মিয়া বি: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চাদমুহা সরলপুর যুব সংঘের নেতৃবৃন্দের বরাবর লম্পট বাবুর শাস্তি চেয়ে পৃথক পৃথক ২ টি আবেদন করেছে। 

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ঐ বি: আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক শিক্ষককে ( বাবুর ভায়রা) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ।

Sunday, March 11, 2018

ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করেই রাতভর ধর্ষন

ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করেই রাতভর ধর্ষন করেছে দিনাজপুরের ৫ বছরের শিশু পূজাকে..!!
ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করেই রাতভর ধর্ষন


সারারাত ধরে ২ টা জানোয়ার টানা ধর্ষন করে, সকালে বাড়ির কাছে ফেলে রেখে গিয়েছিলো তাকে.! বিচার হয়নি, বাকিটা ইতিহাস....... 

আশেপাশে রেল লাইন থাকলে হয়তো পূজার বাবাও মেয়েকে নিয়ে সেদিন আত্মহত্যা করতো.!!!  আচ্ছা... ছোট্ট ফাতেমার কি দোষ ছিলো.?? একটি ছোট শিশুকে তুলে নিয়ে গেল, ধর্ষন করলো.! 

বাবা বিচার চাইতে গেল থানায়, ১০০০ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কিনতে চাইলো ফাতেমার হারানো ইজ্জত!! আমি মনে করি, রমজান আলী তার মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে ভালোই করেছে.! কারন, যে পুলিশের কাছে সে বিচার চাইতে গিয়েছিল, সে পুলিশ-ই তার দুইদিন পর এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতভর ধর্ষন করেছে!!  

এটি দেখলে রমজান আলী হয়তো দুইবার আত্মহত্যা করতো..!! অবশ্য মেয়েটি এখনো আত্মহত্যা করেনি, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে..! রমজান আলী থানা থেকে গিয়েছিলো ক্ষমতাসীন দলের অফিসে বিচার চাইতে.! কিন্তু সে হয়তো জানতো না, তার ঠিক ১ সপ্তাহ আগেই মুন্সীগঞ্জে এই ক্ষমতাশীল দলেরই এক মেম্বার VGF কার্ডের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে ফাতেমার বয়সী আরেকটি বাচ্চাকে.!! 

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় এখনো প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে শিশুটি.!! খবর নিয়ে দেখতে পারেন.! এটা জানতে পারলে হয়তো রমজান আলী আরো একবার সুইসাইড করতেন অতি দুঃখে.!! রমজান আলী আজ ইতিহাস হবার পথে.......  

গত পরশু দিনের কাহিনী তো বলাই হয়নি আপনাদের!! রাজধানীর জুরাইনে ১১ বছরের একটি মেয়েকে স্কুল কক্ষে আটকে রেখে ৮ জন মিলে রাতভর ধর্ষন করেছে.! মেয়েটির আত্মচিৎকার ৪ দেয়ালের বাইরে আসেনি বলে ভালোই হয়েছে..! 

বাইরে এলে রাষ্ট্র হয়তো তাঁর সেই চিৎকার শুনেও হাততালি-ই দিতো!!  আপনারা কি ঐ কাহিনীও ভুলে গেছেন??? বাসায় মা-মেয়েকে একা পেয়ে কিছু জানোয়ার বাসায় ঢুকে মা'কে বেঁধে রেখে ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে ধর্ষন করেছিলো!! নিরুপায় মা বারবার চিৎকার করে বলেছিলো, 'বাবারা, ও ছোট, এক জন একজন করে যাও'! কেউই শুনেনি মায়ের আর্তনাদ!! 

বিচার হয়নি, হয়েছে ইতিহাস.....  কিন্তু এভাবে আর কত??? আর কত পূজা কিংবা ফাতেমারা ইতিহাস হবে? ফেভিকলের আঠাযুক্ত নরম গদির মানুষেরা মানবতাবাদী, প্রগতিশীল, সভ্য মানুষ। তাই তারা এসব আধুনিক সমাজের সামান্য দুষ্টামি বলে চালিয়ে দেয়। সুশীলেরাও আজ চুপ। চেতনাধারী অচেতনরা আজ অন্ধ।
..........
নিউজ অনলাইন ডেস্ক । 
নিউজ পড়ে কমেন্টশেয়ার করলে ভাল লাগে। আপনাদের মতামত জানাবেন।