বগুড়ার শিবগঞ্জ রহবল উচ্চ বিদ্যালয়ের আনোয়ার হোসেন রুবেল নামের এক লম্পট শিক্ষকের নারী কেলেংকারী ঘটনায় আটক করা হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন রুবেল উপজেলার কৃষনপুর মধুপুর গ্রামের আব্দুল হাইযের পুত্র এবং রহবল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ।
সম্প্রতি পিকনিকে যাওয়া এক ছাত্রীকে বাসের মধ্য একা পেয়ে শ্লিলতাহানীর ঘটনায় ফুঁসে ওঠা শিক্ষার্থীরা স্কুলে তালালাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্লাক বর্জন করায় ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ ।
জানা গেছে , ইতি পূর্বে এলাকায় একাধিক নারী কেলেংকারী ঘটনার পরও শিক্ষকতায় যোগ দেন আনোয়ার হোসেন রুবেল । কিন্তু চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী । পবিত্র পেশায় আশার পর সে বিভিন্ন সময়ে নারী কেলেংকারী ঘটনায় জরিয়ে পরে ।
এ নিয়ে বহুবার বিচার শালিশে তাকে সতর্ক করা হলেও লম্পট ওই শিক্ষক নিজেকে শোধরাতে পারেননি । তারই ধারাবাহিকতায় , গত ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে স্কুলের বাৎসরিক পিকনিকের জন্য স্কুললের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহে গাড়ো পাহাড়ে যায় ।
সেখানে যাওয়ার পর সেখানে অশুস্থ্যবোধ করা এক ছাত্রীকে বাসে একা বসে থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে শ্লিলতাহানী করার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক । বিষয়টি তৎক্ষনাৎ ভাবে টের পেয়ে তাকে হাতে নাতে আটক করা হয় ।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা । পরে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ তার বিচারের নিশ্চিয়তা দিলে শান্ত হয় শিক্ষার্থী। পিকনিক থেকে ফিরে আসার পর আবারো ওই শিক্ষকের বিচার দাবী করে সোচ্চার হয় শিক্ষার্থীরা ।
গত কয়েক দিনের চাপা ক্ষোভ অবশেষে বিস্ফোরন ঘটে বৃহস্পতিবার । এসময় শত শত শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পরে । অবস্থার বেগতিক দেখে শিক্ষক রুবেলকে সাসপেন্ড করার কথা জানান প্রধান শিক্ষক ।
কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না আসায় পুলিশে খবর দেয়া হয় । পরে শিবগঞ্জ মোকামতলা বিশেষ ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক রুবেলকে আটক করে নিয়ে আসে।
এ ব্যপারে মোকামতলা পুলিশ ফাঁড়ী পুলিশের ইনর্চাজ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, আটক শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে শিক্ষক রুবেলের বিচারের দাবীতে গোটা এলাকায় তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সূত্র -এফএনএস