Showing posts with label আত্বহত্যা - Suicide. Show all posts
Showing posts with label আত্বহত্যা - Suicide. Show all posts

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Saturday, February 2, 2019

ডা আকাশ ও স্ত্রী ডা মিতুর জমকালো সেই বিয়ে Wedding Off Mitu And Akash Video

চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে ডা. আকাশের সঙ্গে তানজিলা চৌধুরী মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। আকাশ আত্মহত্যার পূর্বে তার ফেসবুকে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করে, যেখানে স্ত্রী মিতুর পরকীয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার পেছনে তাঁর স্ত্রী মিতুর বন্ধুদের প্ররোচনা আছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।






ডা. আকাশ ও স্ত্রী ডা. মিতুর জমকালো সেই বিয়ে । ১১ আগস্ট ২০১৬। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম। LIKE COMMENT SHARE SUBSCRIBE পরকিয়া আসক্ত সেই নারী গ্রেফতার। আত্মহত্যা করলো Dr Akash https://youtu.be/_mdBss13GU4







Friday, February 1, 2019

মায়ের ঝুলন্ত লাশ, বাচ্চার ফোন 'তাড়াতাড়ি এসো মা বিদেশ চলে গেছে'

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : মায়ের ঝুলন্ত লাশ, বাচ্চার ফোন 'তাড়াতাড়ি এসো মা বিদেশ চলে গেছে'  বগুড়ার শাজাহানপুরে মৌসুমী বেগম (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন।


দুই শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে দেন তিনি। তাদের বলে যান যে তিনি বিদেশ যাচ্ছেন। সন্তানরা ঘুমিয়ে গেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেন মৌসুমী। তিনি উপজেলার কচুয়াদহ গ্রামের রাজমিস্ত্রি আব্দুল বাকির স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ শয়ন ঘরের সিলিংয়ের তীরের সাথে রশি টাঙিয়ে গলায় ফাঁস দেন মৌসুমী। 

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৌসুমী বেগমের বড়ভাই রেজাউল করিম জানান, তার ভগ্নিপতি আব্দুল বাকি পেশায় রাজমিস্ত্রি। কাজের ব্যস্ততায় বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয় তাকে। তাদের ঘরে মুশফিক (৮) এবং আবু তালহা (৫) নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। 

দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার বলেই জানেন সবাই। শুক্রবার সকালে বড় ছেলে মুশফিক তার নানাকে ফোন করে বলে ‘নানা, মা বিদেশ চলে গেছে, তাড়াতাড়ি এসো’। পরে এসে এমন ঘটনা দেখেন তারা। রাতের বেলা মৌসুমী তার দুই পুত্র সন্তানকে পাশের ঘরে শুইয়ে রেখে বলেছিলেন, 'বাবা, তোমরা ঘুমাও। 

আমি বিদেশ চলে যাচ্ছি'। সকাল বেলা বড়ছেলে মুশফিক ঘুম থেকে উঠে মাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে নানাকে ফোন করে। প্রতিবেশীরা জানান, মৌসুমী বেগম খুবই ভালো মানুষ। তাদের সুখের সংসার। কারো সাথে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। 

আত্মহত্যা করার মতো কিছু কারো চোখে পড়েনি। থানার এসআই রুম্মান হাসান জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম শেষে স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Monday, January 28, 2019

বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শিবগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।


জানা যায় শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া তেলিপাড়া গ্রামের সাজুর  কন্যা সারমিন আক্তার (১৯) পরিবারের সদস্যর উপর অভিভান করে সোমবার দূপূর ১২ টার দিকে সবার  অগোচরে গলায় ওড়না দিয়ে তীরে সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। 

বিষয়টি শিবগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর  নির্দেশে এসআই আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের লোকজন জানায় বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে সারমিন আক্তার গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের নানা আশরাফ আলী থানায় ইউডি মামলা করেন। 

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। সারমিন এর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরবর্তী আপলোড পেতে কমেন্ট_এবং_শেয়ার করে পাশে থাকুন।

Thursday, January 24, 2019

নন্দীগ্রামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বগুড়া উত্তর ডটকম (ফিরোজ কামাল ফারুক, নন্দীগ্রাম প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর এলাকায় নাহিদ আকতার সুমন (২৭) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পৌরসভার ওমরপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। গত বুধবার রাতে নিজ শয়ন ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। 






স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে নিজ শয়ন ঘরে ফ্যানের সাথে নাহিদ আকতার সুমনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণেই এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন সুমনের আত্বহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Thursday, January 17, 2019

মহাস্থানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যাঃ লাশ নিতে এসে পুলিশ ও এলাকাবাসীদের মাঝে চরম উত্তেজনা

বগুড়া উত্তর ডটকম: ১৭ জানুয়ারী, গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গড়- মহাস্থান পূর্বপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে মনের ক্ষোভে ১০ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। 


বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। সে গড় মহাস্থান পূর্বপাড়া গ্রামের আইনুর ইসলামের মেয়ে জান্নাতি আক্তার (২০)। এবং স্থানীয় মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০শ্রেণীর ছাত্রী। 

তার পাশের গ্রামে আফজল হোসের ছেলে রাজুর সাথে বিয়ে হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। বিয়ের পর থেকে জান্নাতি বাবার বাড়িতেই থাকত।

 এদিকে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে এলাকাবাসী লাশ নিয়ে যেতে বাধাঁ দেয়। 

শুরু হয় পুলিশ ও এলাকাবাসীদের মাঝে চরম উত্তেজনা। এরপর শিবগঞ্জ থানার অপর একটি ফোর্স এসে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। 



এবিষয়ে  তদন্তকারী এসআই নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে, তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার গড়-মহাস্থান আইনুর ইসলামের মেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সে কাউকে কিছু না বলে বসতঘরে ঢুকে তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। 

কিছুক্ষণ পর তার মা ঘরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে মাটিতে নামিয়ে নেয়। আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি উল্লেখ করে এসআই কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে নিহতের কারণ জানা যাবে।

গড়- মহাস্থান জিয়ৎ কুপের পাশে গ্রামে গলায় ওড়না পেচিয়ে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

<<ব্রেকিং নিউজ>>
গড়-মহাস্থান পূর্বপাড়া গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসীর বাধাঁ।



পরিস্থিতি চরম উত্তেজনা ।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে: 

মহাস্থানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যাঃ লাশ নিতে এসে পুলিশ ও এলাকাবাসীদের মাঝে চরম উত্তেজনা 






Sunday, February 25, 2018

এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্বহত্যা "স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও"

স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও  উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)   
এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহিয়া আক্তার বাবলি তার মৃত্যুর জন্য হৃদয় নামে এক ছেলেকে দায়ী করে গেছে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্বহত্যা  "স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও"

বাবলি মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে যায়। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও।’  মেহিয়া আক্তার বাবলি ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

দুটি পরীক্ষা বাকি থাকা অবস্থায় বাবলি বুধবার রাতে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটী গ্রামের লোকমান হোসেনের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবলির মা পারুল বেগম বাদী হয়ে বাবলির সহপাঠী আছিয়া আক্তার জয়া, তার মা ফাতেমা আক্তার সুমি ও হৃদয়কে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মির্জাপুর থানা পুলিশ এ মামলায় বাবলির সহপাঠী জয়ার মা ফাতেমা আক্তার সুমিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।    

জানা গেছে, মেহিয়া আক্তার বাবলি ও তার সহপাঠী আছিয়া খাতুন জয়া ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী। জয়া বিক্রমপুরের লৌহজং এলাকার কলাপাড়া গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে।

মেহিয়া আক্তার বাবলির মা পারুল বেগম ঢাকায় পার্লারের ব্যবসা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা পারুল বেগম দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।

গত মঙ্গলবার বাবলির মা ফোনে জয়ার মা ফাতেমাকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাবলিকে ঢাকায় তার কাছে পাঠাতে বলেন। পরে ফাতেমা বেগম বাবলিকে টাকা দিলে বিকেল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় বাবলি মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় ফিরে আসে এবং ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইলে কথা বলতে বলতে তার কক্ষে ঢুকে।

সময় বেশি নেয়ায় ফাতেমা ও তার মেয়ে জয়ার সন্দেহ হয়। পরে বাসার মালিককে খবর দিলে দরজা ভেঙে বাবলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা।

খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাবলির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।     রোববার সকালে বাসার মালিক বাবলির ফাঁসি দেয়া কক্ষটি পরিষ্কার করতে গেলে বাবলির ক্লাসের একটি খাতা দেখতে পান।

পরে খাতার পাতা উল্টে একটি চিরকুট পান। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু.... মাফ করে দিও।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার সরকার বলেন, চিরকুট পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি।

তবে এখনো হাতে পাইনি। চিরকুট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এস এম এরশাদ/এএম/আরআইপি

Tuesday, February 20, 2018

বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা

শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান: বগুড়ার শাজাহানপুরে সানু আকতার নিশি (১৩) নামের এক মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।


সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার শৈলধুকড়ি পূর্বপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিশি শুকনা মরিচ ব্যবসায়ী নান্টু মিয়ার বড় মেয়ে।

সে শৈলধুকড়ি আয়েজ উদ্দিন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে থানার এসআই মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করেন এবং পোস্টমর্টেমের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠান। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিশির মা সালমা বেগম জানান, নিশির বাবা শুকনা মরিচের ব্যবসা করেন। ব্যবসার কারণে সে মাসে ২০-২৫ দিন বাড়ির বাহিরে থাকেন।

প্রায় ১ মাস পূর্বে নিশির দাদী মারা যায়। নিশি তার দাদীকে খুব বেশী ভালবাসতো। দাদী মারা যাওয়ার আগে দাদীর খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখাশোনা নিশিই করতো।

দাদী মারা যাওয়ার পর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে নিশি। দাদীর ঘরেই নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত করতো নিশি। সোমবার সন্ধায় দাদীর ঘরে মাগরিবের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত শেষে তার ঘরে এসে মা ও ছোট বোনের সাথে টিভি দেখছিল।

একপর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নিশি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে ফিরে না আসায় খুজতে গিয়ে নিশিকে তার দাদীর ঘরের তীড়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে তার মা।

ততক্ষনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নিশি। নিশির বাবা নান্টু মিয়া আহাজারি করে বলেন, আমার মা (নিশির দাদী)’ই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে।

মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্নে মা এসে গালে চড় দিয়ে বলে তোর মেয়েকে দে। আমাকে ঔষধ খাওয়াবে কে। মা ই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে।

অপরদিকে নিশির মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা জানান, নিশি একজন মেধাবী, ন¤্র, ভদ্র ও পর্দানশিন মেয়ে ছিল। সব সময় মাথা নিচু করে চলাফেরা করতো।

তার সম্পর্কে অশালিন কোন কথা বা কর্মকান্ড কোনদিন কারো চোখে পড়েনি। এরকম একটি মেয়ে হঠাৎ করে আত্মহত্যা করায় শিক্ষক, সহপাঠি ও প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার প্রমান পাওয়া গেলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
বগুড়া সংবাদ / Bogra News

Monday, February 19, 2018

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে


আত্মহত্যার কারন ডিপ্রেশন। পরীক্ষায় ফেল করেছে কয়েকবার। স্যারদের অপমান, হ্যাংলা পাতলা গায়ের রং নিয়ে বন্ধুরা হাসাহাসি করতো। 

ছয়তালা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  ভালো করেছে। এই নষ্ট সমাজ, নষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর একজিস্ট না করাই বেটার। রুমে সবার সামনে ছাত্রকে অপমান করতে পারা অনেক স্যারদের কাছে একটা বিকৃত আনন্দের বিষয়। 

ছেলেটা ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ, সাবজেক্ট বদল করতেও চেয়েছিলো।  আর জাতি হিসেবে আমরা রেসিস্ট। গায়ের রং নিয়ে আমাদের ভেদাভেদ করা, পচানো, কটূক্তি করা একটা ফ্যাশন। 

বৃটিশরা শাদা চামড়ার লোভ আমাদের রক্তের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে।  আর আমাদের দেশে টিচার স্টুডেন্ট রিলেশনশিপ? 

আমার সার্জারি ডিপারট্মেন্টে পারসেন্টেজ ছিলো না। আমি পুনরায় ক্লাস করতে চাই, জাস্ট এই পারমিশন নিতে আপ্লিকেশন নিয়ে ডিপার্টমেন্ট হেডের কাছে গিয়েছি। শ্রদ্ধেয় স্যার আমাকে গুনে গুনে ৬ বার বের করে দিয়েছে তার রুম থেকে। 

এইটা তার ক্রেডিট। হয়তো সে গল্প করতো, আমি এভাবে বের করে দেই। এভাবে নষ্ট হয়েছে এক মাস। শেষে গার্জিয়ান ডাকিয়ে বলেছিলো, 'এমন ছেলে আমার হলে সে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন।' 

আব্বা খুব মন খারাপ করছিলো সেদিন। আমার পারসেন্টেজ কম সে কারনে না, আমাকে এই স্যারের সাথে প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে, এর হাতে প্রফ দিতে হবে এগুলো ভেবে। কেমন স্যার, যে ছাত্রর মৃত্যুর কথা বলে অবলীলায়?  

অথচ সেদিন যদি স্যার শুধু বলতেন, তুই চেষ্টা কর। তুই পারবি। কি এমন ক্ষতি হত?  আমাদের দেশের স্যারদের গুটিকয়েক পছন্দের ছাত্র থাকে। স্যাররা তাদের নিয়েই ভাবে সারাদিন। পিছিয়ে পড়া ছেলেটা হয়ে যায় বেমানান। খুবই অপছন্দের।  

কয়েকদিন আগেও শুনলাম এক মেয়ের কথা। মেডিকেল পড়ুয়া। আমার নিজের সিনিয়র ভাই আত্মহত্যা করেছে কমুনিটি মেডিসিনে টানা ফেল করে। আত্মহত্যার পরের দিন কমুনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট হেড এসে লেকচারে বলে, ' শুনলাম কে মারা গেছে, আর দোষ আমার ডিপার্টমেন্টের। 

চাপ না নিতে পারলে ভর্তি হয় কেন? আমি করিয়েছি ভর্তি?' কোন সহানুভূতি নেই কন্ঠে, কোন দুঃখবোধ নেই। মৃত্যুর পরও যাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়, বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে কি পরিমাণ অপমান সইতে হয়েছে তাহলে ? 

 সবাই ফাইট করতে পারে না। সবার মন এক না। আমি পেরেছি। সার্জারি ডিপার্টমেন্টের হেড এখন কাগজে কলমে আমার কলিগ। স্যারকে একদিন বলবো, স্যার, পা মাটিতে ফেলে দেইখেন একদিন। একটা দিন একজন ছাত্রের মাথা হাত রাইখা সাহস দিয়েন সামনে যাবার। 

 এগুলা খুন, আত্মহত্যা না। একটা ছেলের বা মেয়ের, মেডিকেল, ডিইঊ পর্যন্ত আসতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে ভেবে দেখেছেন? তার ফ্যামিলি কতটা কষ্টে এখানে এনেছে। বিনিময়ে কি পাচ্ছে? 

একটা জীবনের মুল্য। দে আর জাস্ট মারডারিং ইনোসেন্ট স্টুডেন্টস। প্রতিদিন মারছে, মানসিক ভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে ।  

ক্রেডিট: Tanzir Islam Bitto  
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে তারা তাকে নিয়ে মজা করার।  (তথ্যসূত্রঃ ফেসবুকে তার পরিচিত লোকজন) 
 #FROM_INBOX