Showing posts with label আত্বহত্যা. Show all posts
Showing posts with label আত্বহত্যা. Show all posts

Thursday, January 24, 2019

নন্দীগ্রামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বগুড়া উত্তর ডটকম (ফিরোজ কামাল ফারুক, নন্দীগ্রাম প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর এলাকায় নাহিদ আকতার সুমন (২৭) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পৌরসভার ওমরপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। গত বুধবার রাতে নিজ শয়ন ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। 






স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে নিজ শয়ন ঘরে ফ্যানের সাথে নাহিদ আকতার সুমনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণেই এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন সুমনের আত্বহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Sunday, February 25, 2018

এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্বহত্যা "স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও"

স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও  উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)   
এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহিয়া আক্তার বাবলি তার মৃত্যুর জন্য হৃদয় নামে এক ছেলেকে দায়ী করে গেছে।

এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্বহত্যা  "স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও"

বাবলি মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে যায়। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু, মাফ করে দিও।’  মেহিয়া আক্তার বাবলি ভারতেশ্বরী হোমস থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।

দুটি পরীক্ষা বাকি থাকা অবস্থায় বাবলি বুধবার রাতে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটী গ্রামের লোকমান হোসেনের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবলির মা পারুল বেগম বাদী হয়ে বাবলির সহপাঠী আছিয়া আক্তার জয়া, তার মা ফাতেমা আক্তার সুমি ও হৃদয়কে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মির্জাপুর থানা পুলিশ এ মামলায় বাবলির সহপাঠী জয়ার মা ফাতেমা আক্তার সুমিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।    

জানা গেছে, মেহিয়া আক্তার বাবলি ও তার সহপাঠী আছিয়া খাতুন জয়া ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী। জয়া বিক্রমপুরের লৌহজং এলাকার কলাপাড়া গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে।

মেহিয়া আক্তার বাবলির মা পারুল বেগম ঢাকায় পার্লারের ব্যবসা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা পারুল বেগম দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।

গত মঙ্গলবার বাবলির মা ফোনে জয়ার মা ফাতেমাকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাবলিকে ঢাকায় তার কাছে পাঠাতে বলেন। পরে ফাতেমা বেগম বাবলিকে টাকা দিলে বিকেল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় বাবলি মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় ফিরে আসে এবং ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইলে কথা বলতে বলতে তার কক্ষে ঢুকে।

সময় বেশি নেয়ায় ফাতেমা ও তার মেয়ে জয়ার সন্দেহ হয়। পরে বাসার মালিককে খবর দিলে দরজা ভেঙে বাবলির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা।

খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ বাবলির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।     রোববার সকালে বাসার মালিক বাবলির ফাঁসি দেয়া কক্ষটি পরিষ্কার করতে গেলে বাবলির ক্লাসের একটি খাতা দেখতে পান।

পরে খাতার পাতা উল্টে একটি চিরকুট পান। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য হৃদয় দায়ী। স্যরি আম্মু.... মাফ করে দিও।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন কুমার সরকার বলেন, চিরকুট পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি।

তবে এখনো হাতে পাইনি। চিরকুট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এস এম এরশাদ/এএম/আরআইপি

Tuesday, February 20, 2018

বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা

শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান: বগুড়ার শাজাহানপুরে সানু আকতার নিশি (১৩) নামের এক মেধাবী মাদ্রাসা ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।


সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার শৈলধুকড়ি পূর্বপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিশি শুকনা মরিচ ব্যবসায়ী নান্টু মিয়ার বড় মেয়ে।

সে শৈলধুকড়ি আয়েজ উদ্দিন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে থানার এসআই মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করেন এবং পোস্টমর্টেমের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠান। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিশির মা সালমা বেগম জানান, নিশির বাবা শুকনা মরিচের ব্যবসা করেন। ব্যবসার কারণে সে মাসে ২০-২৫ দিন বাড়ির বাহিরে থাকেন।

প্রায় ১ মাস পূর্বে নিশির দাদী মারা যায়। নিশি তার দাদীকে খুব বেশী ভালবাসতো। দাদী মারা যাওয়ার আগে দাদীর খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখাশোনা নিশিই করতো।

দাদী মারা যাওয়ার পর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে নিশি। দাদীর ঘরেই নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত করতো নিশি। সোমবার সন্ধায় দাদীর ঘরে মাগরিবের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত শেষে তার ঘরে এসে মা ও ছোট বোনের সাথে টিভি দেখছিল।

একপর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নিশি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে ফিরে না আসায় খুজতে গিয়ে নিশিকে তার দাদীর ঘরের তীড়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে তার মা।

ততক্ষনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নিশি। নিশির বাবা নান্টু মিয়া আহাজারি করে বলেন, আমার মা (নিশির দাদী)’ই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে।

মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্নে মা এসে গালে চড় দিয়ে বলে তোর মেয়েকে দে। আমাকে ঔষধ খাওয়াবে কে। মা ই আমার মেয়েকে নিয়ে গেছে।

অপরদিকে নিশির মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা জানান, নিশি একজন মেধাবী, ন¤্র, ভদ্র ও পর্দানশিন মেয়ে ছিল। সব সময় মাথা নিচু করে চলাফেরা করতো।

তার সম্পর্কে অশালিন কোন কথা বা কর্মকান্ড কোনদিন কারো চোখে পড়েনি। এরকম একটি মেয়ে হঠাৎ করে আত্মহত্যা করায় শিক্ষক, সহপাঠি ও প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার প্রমান পাওয়া গেলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
বগুড়া সংবাদ / Bogra News

Monday, February 19, 2018

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে


আত্মহত্যার কারন ডিপ্রেশন। পরীক্ষায় ফেল করেছে কয়েকবার। স্যারদের অপমান, হ্যাংলা পাতলা গায়ের রং নিয়ে বন্ধুরা হাসাহাসি করতো। 

ছয়তালা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  ভালো করেছে। এই নষ্ট সমাজ, নষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর একজিস্ট না করাই বেটার। রুমে সবার সামনে ছাত্রকে অপমান করতে পারা অনেক স্যারদের কাছে একটা বিকৃত আনন্দের বিষয়। 

ছেলেটা ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ, সাবজেক্ট বদল করতেও চেয়েছিলো।  আর জাতি হিসেবে আমরা রেসিস্ট। গায়ের রং নিয়ে আমাদের ভেদাভেদ করা, পচানো, কটূক্তি করা একটা ফ্যাশন। 

বৃটিশরা শাদা চামড়ার লোভ আমাদের রক্তের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে।  আর আমাদের দেশে টিচার স্টুডেন্ট রিলেশনশিপ? 

আমার সার্জারি ডিপারট্মেন্টে পারসেন্টেজ ছিলো না। আমি পুনরায় ক্লাস করতে চাই, জাস্ট এই পারমিশন নিতে আপ্লিকেশন নিয়ে ডিপার্টমেন্ট হেডের কাছে গিয়েছি। শ্রদ্ধেয় স্যার আমাকে গুনে গুনে ৬ বার বের করে দিয়েছে তার রুম থেকে। 

এইটা তার ক্রেডিট। হয়তো সে গল্প করতো, আমি এভাবে বের করে দেই। এভাবে নষ্ট হয়েছে এক মাস। শেষে গার্জিয়ান ডাকিয়ে বলেছিলো, 'এমন ছেলে আমার হলে সে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন।' 

আব্বা খুব মন খারাপ করছিলো সেদিন। আমার পারসেন্টেজ কম সে কারনে না, আমাকে এই স্যারের সাথে প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে, এর হাতে প্রফ দিতে হবে এগুলো ভেবে। কেমন স্যার, যে ছাত্রর মৃত্যুর কথা বলে অবলীলায়?  

অথচ সেদিন যদি স্যার শুধু বলতেন, তুই চেষ্টা কর। তুই পারবি। কি এমন ক্ষতি হত?  আমাদের দেশের স্যারদের গুটিকয়েক পছন্দের ছাত্র থাকে। স্যাররা তাদের নিয়েই ভাবে সারাদিন। পিছিয়ে পড়া ছেলেটা হয়ে যায় বেমানান। খুবই অপছন্দের।  

কয়েকদিন আগেও শুনলাম এক মেয়ের কথা। মেডিকেল পড়ুয়া। আমার নিজের সিনিয়র ভাই আত্মহত্যা করেছে কমুনিটি মেডিসিনে টানা ফেল করে। আত্মহত্যার পরের দিন কমুনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট হেড এসে লেকচারে বলে, ' শুনলাম কে মারা গেছে, আর দোষ আমার ডিপার্টমেন্টের। 

চাপ না নিতে পারলে ভর্তি হয় কেন? আমি করিয়েছি ভর্তি?' কোন সহানুভূতি নেই কন্ঠে, কোন দুঃখবোধ নেই। মৃত্যুর পরও যাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়, বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে কি পরিমাণ অপমান সইতে হয়েছে তাহলে ? 

 সবাই ফাইট করতে পারে না। সবার মন এক না। আমি পেরেছি। সার্জারি ডিপার্টমেন্টের হেড এখন কাগজে কলমে আমার কলিগ। স্যারকে একদিন বলবো, স্যার, পা মাটিতে ফেলে দেইখেন একদিন। একটা দিন একজন ছাত্রের মাথা হাত রাইখা সাহস দিয়েন সামনে যাবার। 

 এগুলা খুন, আত্মহত্যা না। একটা ছেলের বা মেয়ের, মেডিকেল, ডিইঊ পর্যন্ত আসতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে ভেবে দেখেছেন? তার ফ্যামিলি কতটা কষ্টে এখানে এনেছে। বিনিময়ে কি পাচ্ছে? 

একটা জীবনের মুল্য। দে আর জাস্ট মারডারিং ইনোসেন্ট স্টুডেন্টস। প্রতিদিন মারছে, মানসিক ভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে ।  

ক্রেডিট: Tanzir Islam Bitto  
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে তারা তাকে নিয়ে মজা করার।  (তথ্যসূত্রঃ ফেসবুকে তার পরিচিত লোকজন) 
 #FROM_INBOX

Sunday, February 18, 2018

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা। 

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা

ঘটনাটি দু’টি ঘটেছে শনিবার ভোরে বগুড়ার শহরের দক্ষিন কাটনারপাড়া (বাদুড়লা) ও নন্দিগ্রামে ।  

নিহত ফারাদিন হক(১৫) বগুড়া শহরের বড়গোলা টিনপট্রি এলাকার কোটিপতি ব্যবসায়ী ও দক্ষিন কাটনারপাড়া (বাদুড়তলা) এলাকার বাসিন্দা ,

বগুড়া চেম্বরের সদস্য কোটিপতি আলহাজ এমদাদুর হক মাসুমের ছেলে এবং বগুড়া চেম্বার এন্ড কমার্স এর পরিচালক এনামুল হক দুলালের ভাতিজা ।  

সে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও পরে বগুড়া সেন্ট্রাল স্কুলে ১০ শ্রেণী অধ্যায়নরত করছিল । আগামী বছর তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবার কথা ছিল । এদিকে ফারদিন এর আত্মহত্যার কারন সমপর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

ফারদিন হক শনিবার ভোরে বাবার সাথে মসজিদ থেকে ফযরের নামাজ পড়ে বাসায় আসে। এর কিছু সময় পর সে নিজের ঘড়ে গ্যাস ট্রাবলেট খেয়ে অশুস্থ হয়ে পড়ে । 

মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকের কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।  

বাদ আসর জানাজা নামাজ শেষে শহরের শৈলেনপাড়া পারীবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় । এঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।  

এদিকে নিহতের একটি ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , ফারদিন হককে শনিবার ভোরে বেশ কিছু সময়ে ফেসবুকে অবস্থান করতে দেখা গেছে । ধারনা করা হচ্ছে সে এর পরেই কোন কারনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। 

গ্যাস ট্যাবলেটের বিষয়টি নিহতের ঘনিষ্টজনেরা জানালেও তার আত্মহত্যার প্রকৃত কারন সমপর্কে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পৃথক এক ঘটনায় নন্দিগ্রামে মানিক মিয়া (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। 

উপজেলার ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে স্থানীয় কোশাষ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। 

মানিক মিয়া শুক্রবার রাতে খাবারের পর ১০ টার দিকে শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি(শনিবার ) ভোর ৫ টার দিকে তাকে ছটফট করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। 

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। সে সবার অজান্তেই গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছিল বলে তার পরিবার জানায়।  

এ বিষয়ে ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই পরিবারের কিছুটা আর্থিক সঙ্কট ছিল। এছাড়াও তার পরীক্ষা ভালো হয়নি এমন শঙ্কায় সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
সংবাদ সংস্থা এফএনএস থেকে সংগৃহীত -