বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ রিপোর্টার (বগুড়া) বগুড়ায় জমিজমা লিখে না দেওয়া বিরোধের জের ধরে মাকে হত্যার দায়ে সেই ঘাতক ছেলে আবু রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন মহামান্য আদালত।
..
রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে আসামি রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার কাহালু উপজেলার কাজীপাড়ার আব্দুর রহমান বাচ্চুর ছেলে রায়হান বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই সকালে সে বাড়িতে এসে মা রওশন আরার কাছে তার নামে জমি লিখে দেওয়ার দাবি করে।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পিঠে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন বাঁচাতে এগিয়ে এলে ঘাতক রায়হান তাদেরও মারধর করে।
পরে রওশন আরাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা ছেলে রায়হানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বোন রাবেয়া রায়হানকে একমাত্র আসামিকরে কাহালু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কাহালু থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল আলম মামালাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে আসামি তার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে একই বছরের ৩১ অক্টোবর রায়হানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলাটি বিচারের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এ স্থানান্তর করা হয়। সেই মামলায় ২০১০ সালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রায়হানকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।
পরে আসামি রায়হান রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলে আবারো বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক গোলাম ফারুক পুনির্বিবেচনার রায়েও তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখার আদেশ দেন।
No comments:
Post a Comment