শীত আর কুয়াশায় বগুড়ায় ইরি-বোরো চাষে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে; সময়মত রোপণ করতে না পারায় চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতুল কুমার চন্দ্র জানান, ঘন কুয়াশা আর শীতের মধ্যে সূর্যের আলো না আসায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
জেলার গাবতলী, সারিয়াকান্দি, ধুনট, কাহালু উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, দুই-একটা বাদে সব ইরি-বোরোর বীজতলা লালচে হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় শুকিয়ে যাচ্ছে।
গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের শমসের আলী আমাদের কে বলেন, “তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আমার ইরি-বোরোর চারা বড় হচ্ছে না। লালচে রং হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। চারাগুলো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। দুর্বল চারায় ফলন ভালো হবে না।”
ধুনটের চিথুলিয়া গ্রামের রাব্বানী অন্যের জমিতে কাজ করেন।
“শীতের কারণে অধিক পারিশ্রমিক নিয়ে মাঠে গেলেও চারা রোপণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ কাজ করার পর হাতে আর অনুভূতি পাওয়া যায় না। তাই বসে আছি।”
ওই গ্রামের সেচপাম্পের মালিক রাবিন সরকার বলেন, “মজুররা মাঠে নামছে না। তাই জমির মালিকরাও চাষের জন্য জমি তৈরি করছে খুব কম। এ কারণে প্রায় সময়ই পাম্প বন্ধ থাকছে। অথচ প্রতিবছর এই সময় কৃষকরা বীজতলা থেকে চারা তোলা, সেচ দেওয়া, রোপণে ব্যস্ত থাকত।”
বগুড়ার চারমাথা বাসস্ট্যান্ডে কথা হল নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আব্দুল বাছেদ ও রংপুরের গঙ্গাচরার কুদ্দুস মিয়ার সঙ্গে।
তারাও একই কথা বললেন।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা প্রতুল কুমার।
তিনি বলেন, “কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রাতে বীজতলা সেচ দিয়ে ডুবিয়ে রেখে সকালবেলা সেই পানি আবার নিষ্কাশন করার জন্য। এছাড়া পলি পেপার দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
বগুড়ায় এ বছর এক লাখ ৯২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment