Thursday, January 31, 2019

বগুড়ার শাজাহানপুরে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি আটক

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলেন, হিউম্যান হলার চালক উপজেলার রহিমাবাদ দক্ষিনপাড়ার মৃত মোবারক আলীর পুত্র হুমায়ন কবির (৩২) এবং হেলপার কাটাবাড়িয়া গ্রামের ইমতিয়াজ আলীর রাজু আহমেদ (২৪)।
এ ঘটনায় থানার এসআই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মাদক মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসআই রুম্মান হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাঝিড়াবন্দর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলারের চালকের সিটের নীচ থেকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের নিয়মিত মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

দুপচাঁচিয়ায় ফার্নিচারের কারখানায় অগ্নিকান্ড।। ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি আবু রায়হান) : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ রোডে মন্ডলপাড়ার সামনে অবস্থিত টুটুল কাঠ এন্ড স্টিল ফার্নিচারের ঢেউটিন দিয়ে তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ডে কাঠ, পারটেক্স বোর্ড ও স্টিলের তৈরি আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে পাশের ভবনের মালিক আগুন দেখতে পেয়ে কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুলকে মোবাইল ফোনে জানান। টুটুল কারখানায় উপস্থিত হয়ে আগুনের তীব্রতা দেখে দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দিলে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কাহালু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইউনিটকে খবর দিলে দুই ইউনিট মিলে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। ততক্ষণে কারখানাসহ কারখানায় রাখা সকল আসবাবপত্র, কাঠ ও পারটেক্স বোর্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
 
কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুল বলেন, তার বাড়ি ও শো-রুমের পিছনে কারখানায় অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১৬ হতে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
 
দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর ইউনিট লিডার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রকাশ হয়েছে অপূর্ব, তাহসান ও নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ (ভিডিওসহ)

জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশোর ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ প্রকাশ হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’-এ ৬০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছে।
  




এদিকে এটাই প্রথম  প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাহসান খান ও আফরান নিশো। ওয়েব ফিল্ম ‘দ্বিতীয় কৈশোর’র মাধ্যমে তাদের তিনজনকে এক করেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।  

জানা গেছে, ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন তরুণের ভিন্নধর্মী সঙ্কটের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ওয়েব ফিল্মের কাহিনি।  নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘এই তিন তারকাকে একসঙ্গে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে গল্পের প্রয়োজনে প্রথমবারের মতো তারা এক হয়েছেন। নির্মাণের দিক দিয়ে কাজটি চলচ্চিত্রের আদলে করা হয়েছে।’ 

 তিনি আরও বলেন, ‘বিনোদনের ক্ষেত্রে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নতুন আইডিয়া ও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের উৎসাহিত করছে। প্রেম-ভালোবাসা ও জীবন দর্শনের মজাদার ও উপভোগ্য দিক নিয়ে নির্মিত নতুন ধরনের কাজটি আশা করি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।’ 

 অপূর্ব, তাহসান ও আফরান নিশোর পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন সানজীদা প্রীতি, রাইসা অর্পা, নাজিয়া হক অর্ষা, রিফাত জাহান ও আবুল হায়াত প্রমুখ।  ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ ওয়েব ফিল্মটি দেখতে নিচে  ক্লিক করুন

Tuesday, January 29, 2019

নন্দীগ্রামে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের রণবাঘা বাজারসহ মহাসড়কের দেড় পাশের প্রায় দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল এ অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন সওজ অধিদপ্তরের উপ-সচিব এবং ঢাকা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী। এ সময় অনেকর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শারমিন আখতার, বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে দুটি বুলডোজার দিয়ে রণবাঘা মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় দেড় শতাধিক দোকান ও বিল্ডিং সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
 
সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট থেকে রণবাঘা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সওজ এর পক্ষ থেকে কয়েক দফা অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেয়া হলেও কর্ণপাত করেনি দখলকারীরা।
 
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের দুই পাশে কুন্দারহাট থেকে রণবাঘা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ব্যক্তি অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এসব সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। পরে এক সপ্তাহ আগে গণবিজ্ঞপ্তি জারিসহ মাইকিং করে মঙ্গলবার উচ্ছেদ করার কথা জানানো হয়।
 
প্রথম দিন বগুড়া-নাটোর মহাড়কের রণবাঘা বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

বগুড়া র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বগুড়া  উত্তর ডটকম :  র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখ ০৬.৪৫ ঘটিকায় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন রানিহাট বাজারস্থ তিন ভাই ফার্নিচার প্রোঃ জনৈক মোঃ ইউনুস আলী এর সামনে বগুড়া টু নাটোর হাইওয়ে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে||



 মোট ৪০ (চল্লিশ) বোতল ফেন্সিডিল, ০২টি মোবাইল ফোন, ০৪টি সিম, ০১(এক) টি মাইক্রোবাস এবং নগদ ৩১০/-(তিনশত দশ) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। শ্রী বাদল চন্দ্র দাস(৩০), পিতা মৃত নরেন্দ্র বিশা দাস, সাং মধু মাঝিরা পানাতাপাড়া, থানা ও জেলা বগুড়া, ২। শ্রী রনজিত চন্দ্র রায় (৩৫), পিতা শ্রী রাজেশ^র চন্দ্র রায়, সাং আশেকপুর হিন্দুপাড়া, ৩। ড্রাইভার শ্রী বিষ্ণ মহন্ত (২৫), পিতা শ্রী নীল কমল চন্দ্র মহন্ত, সাং গন্ডগ্রাম কালিতলা মধ্যপাড়া, উভয় থানা শাজাহানপুর জেলা বগুড়াদ্বয়কে গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে মা আহত

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট  প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে এক মা সহ তিন জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে চৌকিবাড়ী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা হলো- চৌকিবাড়ী গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন শেখের স্ত্রী লতিরুন বেওয়া (৬৫), তার ছোট ছেলে জিলানী (৩৫) ও স্ত্রী আলেফা খাতুন (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতিরুন বেওয়া বলেন, বাড়ীর পাশে আমার বড় ছেলে লোকমান শেখ কিছু কলার গাছ রোপন করে। সেই কলার গাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় আমি রান্নার জন্য গাছের শুকনা পাতা জোগাড় করে ওই কলার গাছের পাশ দিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই। পরে তার বড় ছেলে লোকমান শেখ কলার গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে গালাগালি করতে থাকে। 
এসময় প্রতিবাদ করলে সে আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। আমার চিংকারে আমার ছোট ছেলে জিলানী ও তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সে মারপিটে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Monday, January 28, 2019

বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শিবগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া।


জানা যায় শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া তেলিপাড়া গ্রামের সাজুর  কন্যা সারমিন আক্তার (১৯) পরিবারের সদস্যর উপর অভিভান করে সোমবার দূপূর ১২ টার দিকে সবার  অগোচরে গলায় ওড়না দিয়ে তীরে সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। 

বিষয়টি শিবগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর  নির্দেশে এসআই আনোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের লোকজন জানায় বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে সারমিন আক্তার গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের নানা আশরাফ আলী থানায় ইউডি মামলা করেন। 

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে। সারমিন এর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরবর্তী আপলোড পেতে কমেন্ট_এবং_শেয়ার করে পাশে থাকুন।

এক ঘর পালানো কন্যা ও তার বাবার গল্প


বগুড়া উত্তর ডটকম: ২৬ জানুয়ারি রাত দশটা। নিজ অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছিলেন বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী। তার মুখে শোনা কথো গুলোই এখানে তুলে ধরা হলো, এমন সময় অফিসে এলো ছোটভাই সাংবাদিক নৃত্যশিল্পী সজল   এবং পরিচিত আরেক ভদ্রলোক হামিদ ভাই। তাদের সাথে এক ভদ্রলোক একজন ভদ্রমহিলা এবং একটি বোরকাচ্ছাদিত বালিকা। বয়স ১৩/১৪ । 

সজলকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা কি? তখন সাথের লোকটি কথা বলা শুরু করলেন। তার ভাষ্যমতে তার নাম মোঃ সৌখিন মিয়া। তিনি বগুড়া ময়মনসিংহ রুটের যুগান্তর বাসের একজন সুপারভাইজার। বাড়ি বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নে। 

গত ১৭ তারিখে তার বাস ময়মনসিংহ থেকে ছাড়ার সময় এই মেয়েটি উঠেছিল পাবনা যাবার নাম করে। মেয়েটির হাটিকুমরুল চাররাস্তা (সিরাজগঞ্জ রোড) মোড়ে নামার কথা ছিল। আসার পথে এলেঙ্গা এবং অন্যান্য এলাকায় যানজটের কারনে গাড়ি সিরাজগঞ্জ রোডে আসতে রাত ১১ টা বেজে যায়। 

নামার সময় মেয়েটা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সে নামতে রাজি না হওয়ায় সুপারভাইজার তাকে জিজ্ঞেস করে যে তার সাথে যাবে কিনা। মেয়েটা রাজি হয়ে তার সাথে তার বাড়িতে চলে আসে।   


সুপারভাইজার সাহেবের দুই মেয়ে একছেলে। ছেলেটা প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তার স্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন। মেয়েটি সেই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মেয়ের মতো মিশে গেল। রান্নাবান্না ঘরকন্না সবই করছিল। 

বিষয়টা যে থানাতে অবগত করা উচিৎ তা সুপারভাইজার বা তার পরিবারের কারো মাথাতেই আসে নাই। দশদিন পর তাদের কানে পানি যায়। বিষয়টা সজলকে জানালে সজল তাদের নিয়ে আমার অফিসে আসে। 


আমি মেয়েটির সাথে কথা শুরু করলাম। খুবই লাজুক, কথাই বলতে চায় না। কোন রকমে তার মুখ দিয়ে বের করালাম তার নাম, পিতার নাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের আরোংবাজ। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালি ময়মনসিংহের সাথে কথা বললাম। তিনি খুব দৃঢ়তার সাথে বললেন এই নামে ময়মনসিংহ সদরে কোন জায়গা নাই। ফুলবাড়ি ফাড়ির ইনচার্জ আমবারকে বললাম খোঁজ নিতে। সে অনেকদিন সেখানে ছিল। সেও খোঁজখবর নিয়ে বলল এই নামের কোন জায়গা ময়মনসিংহে নাই।  


মেয়েটির সাথে আবার কথা বলা শুরু করলাম। এবার তার কাছ থেকে জানলাম সে একটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার নাম নারায়ণডহর। জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে বড় কোন বাজার আছে। সে বলল পূর্বধলা বাজার আছে। গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার পাশে নারায়ণডহর পাওয়া গেল। 

ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। খুলে বললাম ঘটনা। তিনি একটু সময় নিলেন। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললেন ১৯ জানুয়ারি একটা মিসিং জিডি হয়েছে। ভিক্টিমের নাম মিলে গেল কিন্তু বাবার নাম মিলল না।  


মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। এবার আমার সাথে যোগ দিলেন ওসি সদর জনাব এসএম বদিউজ্জামান। দুজনের সম্মিলিত জিজ্ঞাসাবাদে সে বাবার নামের কথা স্বীকার করল, কেন বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাও বলল। আবার ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। জানালাম সবকিছু। তিনি মেয়েটির বাড়িতে খবর দিলেন। 


২৭ তারিখ সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা তার সাথে দুইজন লোক নিয়ে থানায় এসে হাজির। বাবা মেয়ের মিলন হলো, সৃষ্টি হলো এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। বাবার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি গাজীপুরে একটা ছোট চায়ের দোকান চালান, তার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করে। মেয়েটা তার দাদার সাথে গ্রামের বাড়ি লাউজানা, পূর্বধলায় থাকে।

 দাদা বকা দেয়ায় সে অভিমান করে মা বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ভুল করে বগুড়ার গাড়িতে উঠে পড়ে। বাবার ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটা হারানোর পর থেকে তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। 


(ছবিতে মেয়েটিকে তার বাবার সাথে এবং আমার সাথে দেখা দেখা যাচ্ছে, বাবা মেয়ের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবি প্রকাশ করা হলো)

বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-১৯ শুরু

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করা হয়েছে।  সোমবার সকাল ১০ টায়  বেলুন  উড়িয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।  উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহীদ খোকন পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।






শোভাযাত্রায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্রাফিক পুলিশের প্রায়  ৪ শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেয়। পাশাপাশি জেলা মোটর শ্রমিকের নেতাকর্মীরাও শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহ রবিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ পর্যন্ত চলবে। 


‘পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় এসময় জনসাধারণের কাছে পুলিশের নানামুখি সেবা সমূহ উপস্থাপন করা হয়। সেবা সমূহের মাঝে প্ল্যাকার্ডে উল্লেখযোগ্য ছিল- জনতার পুলিশ, আপনার থানা, আসতে যেতে নেইকো মানা, পুলিশ জনতা সবাই মিলে সমাজ গড়ি তিলে তিলে, টিপলে ফোনে তিনটি ৯৯৯ এসে হাজির হয়, থানার জিডির মাধ্যমে সেবা প্রদান, আইন মেনে চলুন, 

নিরাপদ দেশ গড়ে তুলুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করুন, মাদককে না বলুন, যৌতুক দিবেন না, যৌতুক নিবেন না, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করুন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করুন,যে কোন জরুরী অবস্থায় ৯৯৯ (টোল ফ্রি) এ ডায়াল করুন, জঙ্গী কর্মকান্ডে প্রতিরোধে পুলিশকে সহায়তা করুন ইত্যাদি। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য পুলিশের বিভিন্ন কাজ নিয়ে  লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

subscribe করুন : http://bit.do/eGTMs

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।



ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।





স্থান:
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া।সময়কাল ও ব্যাপ্তি:প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।

প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। 

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন। 

মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।


ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


ঐতিহাসিক পটভূমি:
মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন। 

কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত। 

এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।

সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


যোগাযোগের ব্যবস্থা:
বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।

ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।

 গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।

Sunday, January 27, 2019

গ্রামের পাতা খেলা দেখুন Gramer Patha Khela Dekhun Village Tradition Game 2019

গ্রামের পাতা খেলা দেখুন Gramer Patha Khela Dekhun Village Tradition Game 2019



সারিয়াকান্দির হাসনাপাড়ায় পিসি দোকানে আগুন

বগুড়া উত্তর ডটকম: (রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন) : বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারে একটি কম্পিউটার সর্ভিসিং দোকানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। 


রবিবার ভোরে হাসনাপাড়া বাজারের পঙ্কজের কম্পিউটার সার্ভিসিং এবং মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে এঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী ধারনা করছেন যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।
এদিকে এঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করেছেন দোকানের পরিচালক পঙ্কজ মিয়া।

বগুড়ার মহাস্থান দই-মিষ্টি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই প্রায় ৮০/৯০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

বগুড়া উত্তর ডটকম: (এস আই সুমন) : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান দই- মিষ্টি ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা অনুমান করলেও এলাকাবাসীরা অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন।



স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শনিবার ভোর ৫টায় মহাস্থান মাছ বাজারের পাশে দই মিষ্টির দোকানের একটি চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর আগুন মুহুর্তই পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা হলো মীর আলম, আমিনুর ইসলাম, মিষ্টার, ফারুক, আনিছার। 

পরে স্থানীয়রা শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে প্রথমে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় তাদের রিজার্ভকৃত পানি ফুরিয়ে গেলে তারা বগুড়া সদর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এরপর বগুড়া সদর ফায়ার সার্ভিস ও শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট মহাসড়কের পাশে একটি ডোবা থেকে তাদের সরঞ্জাম দিয়ে পানি উত্তোলণ করে। তারা প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। 

এবিষয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হামিদ জানান, রাত সাড়ে ৫টায় সংবাদ পেয়ে আমাদের ইউনিট আগুন নিভাতে আসে। কিন্তু আমাদের মজুদ পানি শেষ হলে আগুন নিভাতে হিমশিম খেতে হয়। বগুড়ার ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ সরোয়ার হোসাইন জানান, আগুন পুরো মার্কেটে লাগার কারণে অনেক দুর থেকে পানির সংযোগ দিয়ে আগুন নিভাতে হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, মহাস্থান একটি ঐতিহাসিক এলাকা। 

এখানে অনেক দোকানপাট ও বসতবাড়ি রয়েছে। অতচ এখানে নিরাপত্তার স্বার্থে আগুন নিয়ন্ত্রণের পানি রিজার্ভের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনি মহাস্থান হাট ইজারাদার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার্থে পানি বোরিং রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে নিজেদের একমাত্র রুজির পথ শেষ পুঁজি হারিয়ে ব্যবসায়ীদের মাটিতে লুটিয় আহাজারি করতে দেখা গেছে। অনেকেই এখন সরকারি অনুদান আশা করছেন। অগ্নিকান্ডের কারণে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা সকল যানচলাচল বন্ধ ছিল। এলাকাবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

বগুড়ায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বগুড়া উত্তর ডটকম : বগুড়ায় ৪ ঘন্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। এসময় ভিকটিমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।



গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। শহরের রহমান নগর এলাকার বর্তমান সাং-খান্দার নতুনপাড়া (চাপড় পাড়া) এলাকার আবুল কালাম এর ছেলে রেজাউল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (২৪) ২। মালগ্রাম দক্ষিনপাড়া এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ওয়াহেদ ফারুকী ওরফে মেঘ (১৯) ৩। একই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে সজিব (২৫)। অভিযান কালে অপর আসামী খান্দার চারতলা এলাকার সামাদ হোসেন এর ছেলে সোহেল রানা (২৬) পালিয়ে যায়।  

থানা সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম থানার দামরুল এলাকার রফিকুল ইসলাম এর ছেলে সাকিবুল ইসলাম (২০) শনিবার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিআইআইটি কলেজে তার সেউজগাড়ীস্থ মেস হতে রিক্সা যোগে যায়। পরীক্ষা শেষ করে মেসে ফেরার পথে দুপুর ১.৩০ টার সময় খান্দার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছা মাত্র অপহরণকারীরা তার পথরোধ করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই অপহরণকারীরা সাকিবুলের মুক্তিপনের জন্য মোবাইল ফোনে ১ লক্ষ টাকা তার পরিবারের কাছে দাবি করে। ছেলের জীবন বাঁচাতে তারা বিকাশে ৩০ হাজার টাকা অপহরণকারীকে দেয়।

এঘটনায় সাকিবুলের পিতা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি সদর থানার ওসিকে জানালে এস.আই সোহেল সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি এস. এম বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের জানান অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Saturday, January 26, 2019

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার ছোট ছেলে নিহত, বড় ছেলে আহত

বগুড়া উত্তর ডটকম: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বগুড়ার সোনাতলা শাখা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা তারাজুল ইসলামের ছোট ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র জুলহাস জিম (২৩) নিহত ও বড় ছেলে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র জাকারিয়া আহত হয়েছে। 




ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটেছে। ওইদিন জিম ও জাকারিয়া দুই ভাই মোটর সাইকেল যোগে ঢাকা থেকে বগুড়ার সোনাতলায় নিজ বাড়িতে আসার পথে সিরাজগঞ্জের ঝাউল নামক স্থানে মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের সাথে ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ছোট ভাই জুলহাস জিম নিহত ও বড় ভাই জাকারিয়া আহত হয়। 

শুক্রবার বাদ জুমা সোনাতলা উপজেলার উত্তর করমজা গ্রামে নিহত জুলহাস জিমের নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন অনুষ্ঠিত হয়। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়ে।

Thursday, January 24, 2019

চুরি বা হারানো মোবাইল ফোন আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না

আপনার মোবাইল ফোন কি চুরি হয়ে গেছে? বা হারিয়ে গেছে? এই ফোনকে কি আপনি ব্যবহারের অনুপযোগী করতে চান?তাহলে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে এমন সুখবর পেতে যাচ্ছেন আপনি। 



বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্র বলছে, এবার থেকে চুরি হয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনকে আপনি লক করে ফেলতে পারবেন। ২২ জানুয়ারি থেকে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপম্যান্ট আইডেন্টি (আইএমইআই) নম্বর ডাটাবেস সেবা চালু হচ্ছে। 

আইএমইআই ডাটাবেসের মধ্যে ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের নম্বর, সিম কার্ডের নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ফলে, কোনো মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ওই ফোনটিকে লক করে দেয়া যাবে। 

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার হার কমে আসবে।আপনার মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন, সেটি ডাটাবেসে সংরক্ষিত হয়েছে কিনা।

১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা



আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫,১৬ ও ১৭ তারিখ টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দুইপক্ষ ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করছে। গত কয়েক বছর দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার এক পর্বেই শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা। জানালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ। ।তিনি বলেন, একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা করতে সম্মত হয়েছে তাবলীগ জামায়াতের দুই পক্ষ। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। তারা যৌথভাবে বিশ্ব ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন। যাকে নিয়ে বিরোধ সেই দিল্লি মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধলভী সাহেব ইজতেমায় আসবেন  না।

ইজতেমায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রতি বছর আমরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিই। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী করে থাকে, প্রয়োজন বিশেষে সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করে থাকে, সেটা থাকবে। বিশ্ব ইজতেমাটা যাতে সুন্দরভাবে হয় প্রতিবারের মতো সে জন্য নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব নেবে।

বগুড়ায় তিন ইটভাটায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা


বগুড়ায় তিন ইটভাটায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানাবগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তিনটি ইটভাটার ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার বেতগাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ও ৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

৪-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নিজাম উদ্দীন জানান, লাইসেন্স ব্যতীত ইট প্রস্তুতের অপরাধে বেতগাড়ী এলাকার এল.জি.কে ব্রিকস” এর ম্যানেজার মো. শামীম সরকার ওরফে মিঠুকে (৩৫) ২০ হাজার টাকা, সুজাবাদ এলাকার মেসার্স আরিফ ব্রিকস ফিল্ড'র ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা ও 'মেসার্স এ. আর. ব্রিকস্ ফিল্ড'র ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলামকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

শজিমেক হাসপাতালের সরকারি ওষুধ পাচারের সময় যুবক আটক

 শজিমেক হাসপাতালের সরকারি ওষুধ পাচারের সময় যুবক আটকবগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সেবিকার সহযোগিতায় সরকারি ওষুধ বাইরে পাচারের সময় যুবক সাহাদত হোসেনকে (৩০) আটক করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে তাকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়।  

শজিমেক হাসপাতালের সরকারি ওষুধ পাচারের সময় যুবক আটক


এই ঘটনায় হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একজন নার্সসহ দুই জনের বিরূদ্ধে বুধবার রাতে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে শজিমেক হাসপাতালের গার্ড আনসার সদস্য আতিকুর রহমান হাসপাতালের বেশ কিছু ওষুধ পাচারকালে সাহাদত হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের ২ নং গেটে ওষুধসহ আটক করে। পরে তাকে মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেরণ করে।

বগুড়া সদর থানার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাহাদতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বগুড়ার মেডিকেল কলেজ ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ মন্ডল জানান, ওষুধ চোর সাহাদত হোসেন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলার উপজেলার বড়াইল বিনাই উত্তরপাড়ার সামছুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

বগুড়ায় নবগঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন

সাইবার অপরাধ দমনে বগুড়ায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিট (সিপিবি) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

ভিডিও দেখুন :




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানো জানানো হয়, ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটার-এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোসহ মোট ২১ ধরনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সাইবার পুলিশ বগুড়া (সিপিবি) ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টিম ওই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট ‘সাইবার পুলিশ বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জেলায় সাইবার অপরাধের উপর প্রথম কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮টি অভিযোগ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে হবে। পরে সেই অভিযোগের কপি বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত সিপিবি ইউনিটে জমা দিতে হবে।’
সিপিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি বা মামলায় ফেসবুক আইডির ইউআরএল লিঙ্ক ও নিউমেরিক ভ্যালু অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি অপরাধ সংশ্লিষ্ট পেইজের স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করতে হবে। তাছাড়া কোন আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও থাকলে তার কপি এবং লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।
বগুড়ায় পুলিশের সাইবার ইউনিটের উদ্বোধন করে উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকেই সাইবার অপরাধ বাড়তে শুরু করেছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। তিনি বলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অধীন অন্যান্য জেলাতে সাইবার ইউনিট গঠিত হলেও বগুড়ার পুলিশ সবচেয়ে সক্রিয়। আশা করছি তারা সাইবার অপরাধ দমনে আরও সফল হবে এবং এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


যে ২১টি কর্মকাণ্ডকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও, মিথ্যা তথ্য, বিভিন্ন ধরণের গুজব ইত্যাতি ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো।
২. ওয়েব ফিশিং বা অন্য কোন উপায়ে তথ্য চুরি করে ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা।
৩. হ্যাকিং-এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠিত দল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে ভীতি বা শক্তি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও তথ্য ছিনতাই সংক্রান্ত অপরাধ।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারণা এবং সমর্থক সদস্য সংগ্রহ করা।
৬. ইউটিউবে আপত্তিকর ও অশালীন খারাপ ভিডিও প্রচার করা।
৭. বিভিন্ন ধরনের পর্ণো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন পর্ণো সােইটে প্রচার করা।
৮. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু পর্ণোগ্রাফি প্রচার।
৯. অবৈধ, অশ্লীল, ধর্মীয় অবমাননা হয় এমন কোন কনটেন্ট প্রকাশ বা প্রচার করা।
১০. সরকার বিরোধী কোন গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করা।
১১. ভূয়া অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও গুজব ছড়ানো।
১২. বিকাশ বা রকেট-এর মত মোবাইল ব্যাংকিং এর মেবায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
১৩. মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করা।
১৪. মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লটারী বা পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা।
১৫. অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা করা।
১৬. পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে এটিএম কার্ড ও পিওএস জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা
১৭. অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত অপরাধ।
১৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করা।
১৯. ভূয়া বা মিথ্যা ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
২০. ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
২১. পাইরেসির মাধ্যমে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির ক্ষতি সাধন।