Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংবাদ. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংবাদ. Show all posts

Thursday, January 24, 2019

চুরি বা হারানো মোবাইল ফোন আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না

আপনার মোবাইল ফোন কি চুরি হয়ে গেছে? বা হারিয়ে গেছে? এই ফোনকে কি আপনি ব্যবহারের অনুপযোগী করতে চান?তাহলে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে এমন সুখবর পেতে যাচ্ছেন আপনি। 



বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্র বলছে, এবার থেকে চুরি হয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনকে আপনি লক করে ফেলতে পারবেন। ২২ জানুয়ারি থেকে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপম্যান্ট আইডেন্টি (আইএমইআই) নম্বর ডাটাবেস সেবা চালু হচ্ছে। 

আইএমইআই ডাটাবেসের মধ্যে ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের নম্বর, সিম কার্ডের নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ফলে, কোনো মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ওই ফোনটিকে লক করে দেয়া যাবে। 

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার হার কমে আসবে।আপনার মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন, সেটি ডাটাবেসে সংরক্ষিত হয়েছে কিনা।

Wednesday, January 23, 2019

নতুন রুপে এলো মেসেঞ্জার



ছবি- ফেইসবুক
নতুন নকশায় আনা হয়েছে ফেইসবুক মেসেঞ্জার। গত বছর মে মাসেই ফেইসবুকের এফ৮ ডেভেলপার সম্মেলনে এই আপডেটটি আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

ঘোষণার পর আপডেটটি আনতে অনেকটাই সময় নিয়েছে ফেইসবুক। এবার আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় ডিভাইসের জন্যই আপডেট উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সব গ্রাহকের কাছে আপডেট পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানানো হয়েছে।

চ্যাটিং আরও সহজ করতেই নতুন করে নকশা করা হয়েছে মেসেঞ্জার। এবার নকশায় বার্তাগুলোকে আবারও সামনে এবং মাঝখানের দিকে আনা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
গত অক্টোবর মাসেই এটি উন্মুক্ত করা শুরু করে ফেইসবুক। কিন্তু সেটি করা হয় শুধু ফেইসবুকের ‘পোর্টাল’ ভিডিও চ্যাটিং ডিভাইসের জন্য।
নতুন নকশায় লক্ষ্যণীয় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো- আগের নয়টি ট্যাবকে কমিয়ে তিনটিতে আনা হয়েছে যাতে ইন্টারফেইসটি দেখতে পরিচ্ছন্ন লাগে।
আগের মতোই সব ফিচার রাখা হয়েছে। কিন্তু এবারে বেশিরভাগ ফিচারই ‘ফোর-ডট’ আইকনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ গেইম, বট এবং রিমাইন্ডারের মতো ফিচারগুলো এখন আর সামনে দেখা যাবে না।

Tuesday, January 15, 2019

শেয়ার অ্যাকটিভিটি ফিচার’ সরাচ্ছে ইউটিউব


মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ইউটিউব অ্যাকটিভিটি’ শেয়ারের ফিচার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির পর বন্ধ হচ্ছে এই ফিচারটি। 



বর্তমানে টুইটারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করতে পারেন গ্রাহক। ইউটিউব সেটিংস থেকে সংযুক্ত অ্যাপগুলোর তালিকা থেকে ‘টুইটার বা অন্য কোনো অ্যাপের শেয়ারিং’ অপশন চালু করার মাধ্যমে গ্রাহক ইউটিউবে কোনো পাবলিক ভিডিও পোস্ট করলে তা সঙ্গেসঙ্গে টুইটার বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও দেখানো যায়।

স্বয়ংক্রিয় ফিচারটি বন্ধ করা হলে ইউটিউব থেকে শেয়ার বাটনের মাধ্যমে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন গ্রাহক। নতুন কোনো ভিডিও আপলোড করার সঙ্গেসঙ্গেই সেখানে শেয়ার বাটন দেখানো হবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইএএনএস।

স্বয়ংক্রিয় শেয়ারিং ফিচার বাতিল করা হলেও আগের মতোই ইউটিউব চ্যানেলে সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক দিতে পারবেন গ্রাহক এবং পেইজ থেকে ভিডিও শেয়ার করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউটিউবে নতুন আপডেট আনা হলে ইতোমধ্যেই যে ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে তার ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানানো হয়েছে।

Saturday, January 12, 2019

ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়।অনলাইন ডেস্ক: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়।ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। জেনে নিন এসব সম্পর্কে:

ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।  

নিজের ওয়েবসাইট তৈরি
এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
গ্রাফিকস ডিজাইন
অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
জরিপ, সার্চ ও রিভিউ
অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ভার্চ্যুয়াল সহকারী
এখন ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি। বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখন। ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। ২৪ / ৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।
অনুবাদ
ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।
অনলাইন টিউটর
কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।
ওয়েব ডিজাইন
এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।
কনটেন্ট রাইটিং
যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।
ব্লগিং
অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখেন। কিন্তু শখের বিষয়টি যদি পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন, তবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করেও আয় করার সুযোগ আছে। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে। ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হবে। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।
ইউটিউব
যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাবেন।
পিটিসি
অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে রাখা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
ডেটা এন্ট্রি
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।

Thursday, January 10, 2019

গ্রুপ অ্যাডমিনদের অর্থ আয়ের সুবিধা দিচ্ছে ফেসবুক

অনলাইন ডেস্ক:  গ্রুপ অ্যাডমিনদের অর্থ আয়ের সুবিধা দিচ্ছে ফেসবুক  ফেসবুক গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক গ্রুপের জন্য সাবস্ক্রিপশন মডেল আনার কথা বলেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বড় ফেসবুক গ্রুপগুলোতে সদস্য হতে গেলে গ্রুপ অ্যাডমিনরা সদস্যদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারবেন। 

এক ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রুপ সাবস্ক্রিপশন চালুর বিষয়টি ঘোষণা করে ফেসবুক। এর আগে ফেসবুক গ্রুপগুলোতে বিনা মূল্যে ঢোকার সুবিধা ছিল।  এখন অ্যাডমিনরা প্রিমিয়াম সাব গ্রুপ চালুর সুবিধা পেতে পারেন। এতে প্রিমিয়াম সাব গ্রুপের সদস্যরা অ্যাডমিনদের কাছ থেকে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট পাবেন। তবে অর্থের বিনিময়ে অনেকেই এই সুবিধাটি নিতে চাইবেন না। ফলে গ্রুপগুলো থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।  

 ফেসবুক জানিয়েছে, যে অ্যাডমিনরা গ্রুপগুলোকে বড় করে তুলতে চায় এবং এর পেছনে নিজের সময় ব্যয় করে, তাদের আয়ের সুযোগ করে দিতেই নতুন টুলটি যুক্ত করা হচ্ছে। সাব গ্রুপে আরও বেশি করে পোস্ট দিয়ে, ভিডিও তৈরি করে, অনলাইন মিটআপ ও ইভেন্ট তৈরির মাধ্যমে এ টাকা আয় করা যাবে।  আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রিপশন বিষয়টি ব্যবস্থপনার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। তথ্যসূত্র: ইকোনোমিক টাইমস।

Wednesday, January 9, 2019

২০১৮’র সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

প্রতি বছরের মত এই বছরও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ২০১৮’র পাসওয়ার্ড’র তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পাসওয়ার্ডের তালিকায় সবার উপরের স্থানগুলোতে আছে সহজে অনুমান করা যায় এমন সব পাসওয়ার্ড। এইবারও শীর্ষ পাসওয়ার্ড হলো 123456। 

পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৫০ লক্ষ পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে পাসওয়ার্ডের বাজে তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড হলো 123456 এবং password। তবে এই বছরে পাসওয়ার্ডের তালিকায় নতুন একটি পাসওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে তা হলো donald। এটি রয়েছে ২৩ নং স্থানে।

২০১৮ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাজে পাসওয়ার্ডগুলো হলোঃ

১। 123456 ২। password৩। 123456789৪। 12345678৫। 12345৬। 111111৭। 1234567৮। sunshine৯। qwerty১০।  iloveyou

এই পাসওয়ার্ডগুলো হলো সবচেয়ে বাজে। এইসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন। কারণ এইসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।

স্প্ল্যাশডাটা জানিয়েছে, অনলাইনে থাকা ১০% মানুষ সবচেয়ে বাজে পাসওয়ার্ডের একটি ব্যবহার করে থাকে। এই সব পাসওয়ার্ড ব্যবহার থেকে সবাইকে সর্তক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা আরো জানিয়েছে, এখন কমপক্ষে অক্ষর, সংখ্যা এবং চিহ্ন মিলিয়ে ১২ সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এতে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কমে যায়।

বাজে ১০০টি পাসওয়ার্ডের তালিকা দেখুন নিচে

11 princess
12 admin
13 welcome
14 666666
15 abc123
16 football
17 123123
18 monkey
19 654321
20 !@#$%^&*
21 charlie
22 aa123456
23 donald
24 password1
25 qwerty123
26 zxcvbnm
27 121212
28 bailey
29 freedom
30 shadow
31 passw0rd
32 baseball
33 buster
34 daniel
35 hannah
36 thomas
37 summer
38 george
39 harley
40 222222
41 jessica
42 ginger
43 letmein
44 abcdef
45 solo
46 jordan
47 55555
48 tigger
49 joshua
50 pepper
51 sophie
52 1234
53 robert
54 matthew
55 12341234
56 andrew
57 lakers
58 andrea
59 1qaz2wsx
60 starwars
61 ferrari
62 cheese
63 computer
64 corvette
65 mercedes
66 blahblah
67 maverick
68 hello
69 nicole
70 hunter
71 1989
72 amanda
73 1990
74 jennifer
75 banana
76 chelsea
77 ranger
78 1991
79 trustno1
80 merlin
81 cookie
82 ashley
83 bandit
84 killer
85 aaaaaa
86 1q2w3e
87 zaq1zaq1
88 test
89 hockey
90 dallas
91 whatever
92 admin123
93 pussy
94 liverpool
95 querty
96 william
97 soccer
98 london
99 1992
100 biteme

Tuesday, January 8, 2019

ফেসবুকে ‘ফরোয়ার্ড’ করার বিপদ

অনলাইন ডেস্ক: ফেসবুকে ‘ফরোয়ার্ড’ করার বিপদ  ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কারও কাছ থেকে কিছু পেলে সঙ্গে সঙ্গে কন্টাক্ট তালিকার সব বন্ধুর কাছে ফরোয়ার্ড করে দেন? সাইবার বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুক ঘিরে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রেখেছে।  



ফেসবুকে নতুন ধরনের প্রতারণা শুরু করেছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তারা বন্ধুর ছদ্মবেশে মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বলছে, ‘আপনার অ্যাকাউন্ট কেউ ক্লোন করেছে। সেখান থেকে নতুন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়েছি। দ্রুত এটি ঠিক করে নিন। আর সচেতন থাকতে এ বার্তা সব বন্ধুকে জানিয়ে দিন।’ সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বেশ পুরোনো একটি হোক্স বা ভুয়া বার্তার নতুন সংস্করণ। কেউ ফেসবুকে এ ধরনের বার্তা পাঠালে তাতে বিশ্বাস করবেন না। অ্যাকাউন্ট ক্লোন হওয়া নিয়ে যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে, সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।   

উইজটিভি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক ঘিরে নতুন যে হোক্স ছড়াচ্ছে, সেটি মূলত কপি পেস্ট হোক্স। এ ধরনের ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে ব্যবহারকারীকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এ ধরনের বার্তা পেলে তা আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা বন্ধুদের ফরোয়ার্ড করবেন না।  

ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট স্নোপসের কর্মীরা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ফেসবুক দুর্বৃত্তদের অ্যাকাউন্ট ক্লোন করার ভয়ে অনেকেই এ বার্তা পাঠান।  যাঁরা অ্যাকাউন্ট ক্লোন হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন, তাঁরা পরিচিত কয়েকজন বন্ধুর কাছে নতুন অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গেছে কি না, তা জেনে নিতে পারেন। আপনার নাম ও তথ্য দিয়ে ফেসবুকে আর কোনো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন। 

এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে ফেসবুকের কাছে অভিযোগ পাঠাতে পারেন। এ বিষয়ে অন্য বন্ধুদের কাছে বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।  এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে ফেসবুক ঘিরে নতুন একটি হোক্স বা ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ‘ক্লোন’ বা নকল করা হচ্ছে—এমন ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করে ফেসবুক।  

ফেসবুক জানায়, অনেকের কাছে সতর্কতামূলক একটি বার্তা যাচ্ছে। যাতে বলা হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্টের মতো আরেকটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে ফেসবুকে। বার্তাটি অন্যকে ফরোয়ার্ড করুন। অনেকেই না বুঝে অন্যদের কাছে বার্তাটি পাঠাচ্ছেন। ফলে, বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেছে। এতে অনেকের মধ্যে তাঁদের অ্যাকাউন্ট বেহাত হওয়ার ভয় কাজ করছেন।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে এ ধরনের ভাঁওতাবাজির কোনো পোস্ট বা লিংকে কখনো ক্লিক করবেন না।  

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ভাঁওতাবাজি পোস্ট সম্পর্কে ডব্লিউএসওয়াইআর টিভিকে বলেছে, এটা পুরোপুরি হোক্স বা ভাঁওতাবাজির পোস্ট। যাঁরা এ ধরনের কোনো বার্তা পাবেন, তাঁরা এতে ক্লিক করবেন না। এর পরিবর্তে ফেসবুকে আপনার নাম দিয়ে সার্চ করে দেখবেন, সত্যিই আপনার নাম বা ছবি ব্যবহার করে হুবহু কোনো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে কি না। যদি ভুয়া অ্যাকাউন্ট দেখেন, তবে ফেসবুককে সে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানান।  

ভুয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ফেসবুককে না জানালে দুর্বৃত্তরা প্রতারণা করে বন্ধুদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে বা নজরদারি করতে পারে।  ফেসবুকে অভিযোগ জানানোর লিংক  ফেসবুকে সাহায্য পাতা