Showing posts with label Bogra News. Show all posts
Showing posts with label Bogra News. Show all posts

Saturday, February 2, 2019

শেরপুরে মেয়ে অনার্স শিক্ষার্থী বাবা দাখিল পরীক্ষার্থী

বগুড়া উত্তর ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ) শিক্ষার কোন বয়স নেই, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহনের কোন বিকল্প নেই-এসব কথা নিজের মনের মধ্যে লালন করে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশের জন্য এবং বয়সটাকে তুচ্ছ করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন পঞ্চাশোর্ধ এক শিক্ষানুগারী ব্যাক্তি শফিকুল ইসলাম। 


মেয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী হলেও অনেকটা নাতি-নাতনির বয়সীদের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ উদ্যোম দেখা যাচ্ছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এবছর অনুষ্ঠিত এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ এই শিক্ষার্থীকে।

সরেজমিনে জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ সেখের ৫২ বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করে এবছর দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। যার রেজি নং ১৬৩৯১৫, রোল নং ৩০৩৪৪৩।

এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত, মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে অধ্যায়রত এবং ছোট মেয়েও স্কুলে লেখাপড়া করে। পারিবারিকভাবে সকলেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, তাহলে আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বিরত থাকবো। তাই তাদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি শিক্ষা জীবন শুরুর পর্যায়ে এবছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছি।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, অত্র কেন্দ্রে ২১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন সমাজের অনেক স্বল্প শিক্ষিতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।


বগুড়া র‌্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

বগুড়া উত্তর ডটকম (স্পেশাল কোম্পানী, র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এস,এম, জামিল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অদ্য ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখ ১৮১৫ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন চান্দের বাজারস্থ জনৈক আলম শাকিদা এর চায়ের দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৮ ( আঠার) পিস মাদকদ্রব্য ইয়াবা,
  


০১ টি মোবাইল ফোন, ০২টি সীম এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১১,০০০/-(এগার হাজার) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ আমিনুর ইসলাম (৩৫) পিতা -মৃত জামাতুল্লা প্রামানিক সাং শাখারিয়া নামাবালা থানা ও জেলা বগুড়াকে গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা রুজু হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর এর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শিবগঞ্জে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে

বগুড়া উত্তর ডটকম  ( শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি:   শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ১ম দিনে ৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে এসএসসি ও দাখিল সম্মানের  পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৯০ জন, ছাত্র ৩৪০, ছাত্রী ২৫০ জন, অনুপস্থিত ৪ জন।



 পরীক্ষা তদারকি করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্ ও ভেটেনারী সার্জন আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রে সচিব অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান মন্ডল, হল সুপার সাইফুল ইসলাম। 

শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন কিচক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুল ইসলাম। 

গুজিয়া  উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৫১২ জন  পরীক্ষার্থী, ছাত্র  ২৪৮, ছাত্রী ২৬৩ জন, অনুপস্থিত ১জন।  এ কেন্দ্রে তদারকি করেন উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,কেন্দ্র সচিব ছিলেন প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৫২৮জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এদের মধ্যে ছাত্র ২৮১, ছাত্রী ২৪৭ জন, অনুপস্থিত ১ জন। 

একেন্দ্র তদারকি করেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ তোজাম্মেল হক। মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা  গোলাম রব্বানী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম। 

আলিয়ারহাট ডি ইউ ফাযিল মাদ্রাসায় ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়,এ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন  উপজেলা ইনন্সক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, হল সুপার ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালাম, শিবগঞ্জ ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় মোট ৬১৪ জন ছাত্রছাত্রী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়, এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েত রশিদ, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ এনামুল হক, হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু রায়হান। এসব পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেন ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীর ও সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মৌলি মন্ডল।


বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী রিজুর সমর্থনে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন

২ ফ্রেরুয়ারী, গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর কর্মী সমর্থকদের প্রায় ৬শতাধিক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়েছে।



শনিবার সকাল ১১টায় রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষে মহাস্থান হযরত শাহ্ সুলতান (রহ:) আলিম মাদ্রাসা মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল বহরের শোডাউন বের হয়ে উপজেলা ব্যাপী প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই আলিম মাদ্রসা মাঠে জড়ো হতে থাকে। 

বেলা ১২টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল শেষে প্রত্যেক মোটরসাইকেলে ২জন করে প্ল্যাকার্ড স্টিগার লাগিয়ে সারিবদ্ধভাবে এক যোগে শোভাযাত্রা শুরু করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান সময়ের তরুন নেতা ফিরোজ আহম্মেদ রিজুকে উপজেলা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে আমাদের হাজারো নেতা কর্মীবৃন্দদের এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়েছে। 

এলাকার জন্য সাধারণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিবগঞ্জ রায়নাগর ইউনিয়ন পরিষদের ২বার বিপুল ভোটে জয়ী ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ রিজু পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন ব্যক্তি। তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভোটে পাস করলে শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।



.. ... ... 

ডা আকাশ ও স্ত্রী ডা মিতুর জমকালো সেই বিয়ে Wedding Off Mitu And Akash Video

চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে ডা. আকাশের সঙ্গে তানজিলা চৌধুরী মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। আকাশ আত্মহত্যার পূর্বে তার ফেসবুকে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করে, যেখানে স্ত্রী মিতুর পরকীয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার পেছনে তাঁর স্ত্রী মিতুর বন্ধুদের প্ররোচনা আছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।






ডা. আকাশ ও স্ত্রী ডা. মিতুর জমকালো সেই বিয়ে । ১১ আগস্ট ২০১৬। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম। LIKE COMMENT SHARE SUBSCRIBE পরকিয়া আসক্ত সেই নারী গ্রেফতার। আত্মহত্যা করলো Dr Akash https://youtu.be/_mdBss13GU4







Friday, February 1, 2019

বগুড়ার শাজাহানপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  বগুড়া শাজাহানপুরের বগুড়া-নাটোর সড়কের দু’পাশে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান চালিয়েছে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।


বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বীরগ্রাম থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তা বিকেল পর্যন্ত চলে। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ঢাকা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী (উপসচিব)। 

উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করেন শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ফুয়ারা খাতুন, সওজ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল বারি ইবনে কুদ্দুস, শাজাহানপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা লিজা, শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম। 

এ সময় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান, দমকল বাহিনী, ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। সওজ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া-নাটোর সড়কের বীরগ্রাম, রানীহাট বন্দর এলাকায় সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে দীর্ঘদিনের গড়ে উঠা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তারপরও নিয়ম রক্ষার্থে উচ্ছেদের দশদিন পূর্বে নোটিশ, গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করার পরও অবৈধ দখলদাররা কর্ণপাত করেনি।

বুড়িগঞ্জে নদীতে বালু উত্তোলণে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ॥ অশুভ শক্তির ছায়া!


-------------------------------------
সরকারি প্রকল্পে খনন করা নাগর নদীতে বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করার সময় দুইজন শ্রমিক নিহত ঘটনাটিতে অশুভ শক্তির ছায়ায় পরিনত হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউপির দক্ষিণ ছাতড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র নাসির উদ্দিন সরকারি প্রকল্পে খনন করা নাগর নদীর তলদেশে অবৈধভাবে বোরিং করে বালু উত্তোলণ করে আসছিল। উক্ত বালু উত্তোলণ বোরিং স্থলে গত ১৮ জানুয়ারি দুপুরে কলেজ পড়–য়া মোশারফ হোসেন ও এক সন্তানের জনক খায়রুল ইসলাম দুর্ঘটনায় নিহত হয়।

বালু উত্তোলণ পয়েন্টে দুইজন নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ছাতড়া গ্রামের জনৈক নজরুল ইসলাম ও জনৈক ভুট্ট বালু উত্তোলণ করার মেশিন পাইপ ও যন্ত্রাংশ যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকার মালামাল তড়িঘড়ি করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সরকারি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করার সময় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। 

এ সময় শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে তারা নিজের জায়গায় বালু উত্তোলণ করেছে এবং বিভিন্ন ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে অশুভ শক্তির ছায়ায় দফায় দফায় অভিযুক্তর আত্মীয়দের কাছ থেকে নিহত পরিবার, পুলিশ, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। 

বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজানি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই নিহত মোশারফ সরকারের পিতা ক্ষেতলাল উপজেলার আলামপুর ইউপির বানিয়াচাপড়  গ্রামের মোস্তফা সরকার বাদী হয়ে বালু উত্তোলণকারী নাসির উদ্দিন ও মেশিন মালিক নজরুল ইসলাম এ  দু’জনকে আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন। 

বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, বুড়িগঞ্জের একটি রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় দুইজন জনৈক নেতা উপরোক্ত টাকাগুলি ভাগবাটোয়ারা ও রফাদফা করার গুনজন উঠেছে। উল্লেখ্য যে, বালু উত্তোলণে নিহত শ্রমিকদের দুইটি মোবাইল ফোন নগদ টাকা পরিধেয় বস্ত্র উত্তোলণে ব্যবহৃত মেশিন ও পাইপসহ তাদের বেশকিছু মালামাল অদ্যবধি উদ্ধার হয়নি। 

এ ব্যাপারে ১ ফেব্র“য়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে, তিনি আরও জানান, বালু উত্তোলণের কাজে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সরকারি নাগর নদীতে অবৈধভাবে বোরিং করে বালু উত্তোলণ কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী জানান সচেতন মহল। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ০১.০২.২০১৯

বগুড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার




: বগুড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে নিশিন্দারা ইউপির নুনগোলা চাদপুর আমবাগানের পাশে সুবিল খাল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তবে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
বগুড়ার অতি: পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। তিনি সহ সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। এদিকে ঐ লাশের কেউ পরিচয় জানলে তাকে বগুড়া সদর থানায় যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মুখে দাড়ি, পরনে লুঙ্গি, ফুলহাতা চেক শার্ট ও হাফ হাতা সোয়েটার ছিল।

Thursday, January 31, 2019

বগুড়ার শাজাহানপুরে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি আটক

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলেন, হিউম্যান হলার চালক উপজেলার রহিমাবাদ দক্ষিনপাড়ার মৃত মোবারক আলীর পুত্র হুমায়ন কবির (৩২) এবং হেলপার কাটাবাড়িয়া গ্রামের ইমতিয়াজ আলীর রাজু আহমেদ (২৪)।
এ ঘটনায় থানার এসআই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মাদক মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসআই রুম্মান হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাঝিড়াবন্দর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের ব্যবহৃত হিউম্যান হলারের চালকের সিটের নীচ থেকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। হিউম্যান হলার জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের নিয়মিত মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

দুপচাঁচিয়ায় ফার্নিচারের কারখানায় অগ্নিকান্ড।। ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি আবু রায়হান) : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ রোডে মন্ডলপাড়ার সামনে অবস্থিত টুটুল কাঠ এন্ড স্টিল ফার্নিচারের ঢেউটিন দিয়ে তৈরি কারখানায় অগ্নিকান্ডে কাঠ, পারটেক্স বোর্ড ও স্টিলের তৈরি আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হলে পাশের ভবনের মালিক আগুন দেখতে পেয়ে কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুলকে মোবাইল ফোনে জানান। টুটুল কারখানায় উপস্থিত হয়ে আগুনের তীব্রতা দেখে দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে খবর দিলে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পার্শ্ববর্তী কাহালু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইউনিটকে খবর দিলে দুই ইউনিট মিলে প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। ততক্ষণে কারখানাসহ কারখানায় রাখা সকল আসবাবপত্র, কাঠ ও পারটেক্স বোর্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
 
কারখানার মালিক বিধান কুমার সাহা টুটুল বলেন, তার বাড়ি ও শো-রুমের পিছনে কারখানায় অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ১৬ হতে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
 
দুপচাঁচিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর ইউনিট লিডার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Tuesday, January 29, 2019

নন্দীগ্রামে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের রণবাঘা বাজারসহ মহাসড়কের দেড় পাশের প্রায় দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল এ অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন সওজ অধিদপ্তরের উপ-সচিব এবং ঢাকা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী। এ সময় অনেকর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শারমিন আখতার, বগুড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে দুটি বুলডোজার দিয়ে রণবাঘা মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় দেড় শতাধিক দোকান ও বিল্ডিং সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
 
সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট থেকে রণবাঘা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সওজ এর পক্ষ থেকে কয়েক দফা অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দেয়া হলেও কর্ণপাত করেনি দখলকারীরা।
 
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের দুই পাশে কুন্দারহাট থেকে রণবাঘা পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ব্যক্তি অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এসব সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। পরে এক সপ্তাহ আগে গণবিজ্ঞপ্তি জারিসহ মাইকিং করে মঙ্গলবার উচ্ছেদ করার কথা জানানো হয়।
 
প্রথম দিন বগুড়া-নাটোর মহাড়কের রণবাঘা বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

বগুড়া র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বগুড়া  উত্তর ডটকম :  র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখ ০৬.৪৫ ঘটিকায় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন রানিহাট বাজারস্থ তিন ভাই ফার্নিচার প্রোঃ জনৈক মোঃ ইউনুস আলী এর সামনে বগুড়া টু নাটোর হাইওয়ে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে||



 মোট ৪০ (চল্লিশ) বোতল ফেন্সিডিল, ০২টি মোবাইল ফোন, ০৪টি সিম, ০১(এক) টি মাইক্রোবাস এবং নগদ ৩১০/-(তিনশত দশ) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। শ্রী বাদল চন্দ্র দাস(৩০), পিতা মৃত নরেন্দ্র বিশা দাস, সাং মধু মাঝিরা পানাতাপাড়া, থানা ও জেলা বগুড়া, ২। শ্রী রনজিত চন্দ্র রায় (৩৫), পিতা শ্রী রাজেশ^র চন্দ্র রায়, সাং আশেকপুর হিন্দুপাড়া, ৩। ড্রাইভার শ্রী বিষ্ণ মহন্ত (২৫), পিতা শ্রী নীল কমল চন্দ্র মহন্ত, সাং গন্ডগ্রাম কালিতলা মধ্যপাড়া, উভয় থানা শাজাহানপুর জেলা বগুড়াদ্বয়কে গ্রেফতার করে। 

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে মা আহত

বগুড়া  উত্তর ডটকম : (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট  প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ছেলের লাঠির আঘাতে এক মা সহ তিন জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে চৌকিবাড়ী গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা হলো- চৌকিবাড়ী গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন শেখের স্ত্রী লতিরুন বেওয়া (৬৫), তার ছোট ছেলে জিলানী (৩৫) ও স্ত্রী আলেফা খাতুন (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতিরুন বেওয়া বলেন, বাড়ীর পাশে আমার বড় ছেলে লোকমান শেখ কিছু কলার গাছ রোপন করে। সেই কলার গাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় আমি রান্নার জন্য গাছের শুকনা পাতা জোগাড় করে ওই কলার গাছের পাশ দিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই। পরে তার বড় ছেলে লোকমান শেখ কলার গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে গালাগালি করতে থাকে। 
এসময় প্রতিবাদ করলে সে আমাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। আমার চিংকারে আমার ছোট ছেলে জিলানী ও তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাদেরকেও সে মারপিটে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Monday, January 28, 2019

এক ঘর পালানো কন্যা ও তার বাবার গল্প


বগুড়া উত্তর ডটকম: ২৬ জানুয়ারি রাত দশটা। নিজ অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছিলেন বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী। তার মুখে শোনা কথো গুলোই এখানে তুলে ধরা হলো, এমন সময় অফিসে এলো ছোটভাই সাংবাদিক নৃত্যশিল্পী সজল   এবং পরিচিত আরেক ভদ্রলোক হামিদ ভাই। তাদের সাথে এক ভদ্রলোক একজন ভদ্রমহিলা এবং একটি বোরকাচ্ছাদিত বালিকা। বয়স ১৩/১৪ । 

সজলকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা কি? তখন সাথের লোকটি কথা বলা শুরু করলেন। তার ভাষ্যমতে তার নাম মোঃ সৌখিন মিয়া। তিনি বগুড়া ময়মনসিংহ রুটের যুগান্তর বাসের একজন সুপারভাইজার। বাড়ি বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নে। 

গত ১৭ তারিখে তার বাস ময়মনসিংহ থেকে ছাড়ার সময় এই মেয়েটি উঠেছিল পাবনা যাবার নাম করে। মেয়েটির হাটিকুমরুল চাররাস্তা (সিরাজগঞ্জ রোড) মোড়ে নামার কথা ছিল। আসার পথে এলেঙ্গা এবং অন্যান্য এলাকায় যানজটের কারনে গাড়ি সিরাজগঞ্জ রোডে আসতে রাত ১১ টা বেজে যায়। 

নামার সময় মেয়েটা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সে নামতে রাজি না হওয়ায় সুপারভাইজার তাকে জিজ্ঞেস করে যে তার সাথে যাবে কিনা। মেয়েটা রাজি হয়ে তার সাথে তার বাড়িতে চলে আসে।   


সুপারভাইজার সাহেবের দুই মেয়ে একছেলে। ছেলেটা প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তার স্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন। মেয়েটি সেই বাড়িতে গিয়ে বাড়ির মেয়ের মতো মিশে গেল। রান্নাবান্না ঘরকন্না সবই করছিল। 

বিষয়টা যে থানাতে অবগত করা উচিৎ তা সুপারভাইজার বা তার পরিবারের কারো মাথাতেই আসে নাই। দশদিন পর তাদের কানে পানি যায়। বিষয়টা সজলকে জানালে সজল তাদের নিয়ে আমার অফিসে আসে। 


আমি মেয়েটির সাথে কথা শুরু করলাম। খুবই লাজুক, কথাই বলতে চায় না। কোন রকমে তার মুখ দিয়ে বের করালাম তার নাম, পিতার নাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের আরোংবাজ। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালি ময়মনসিংহের সাথে কথা বললাম। তিনি খুব দৃঢ়তার সাথে বললেন এই নামে ময়মনসিংহ সদরে কোন জায়গা নাই। ফুলবাড়ি ফাড়ির ইনচার্জ আমবারকে বললাম খোঁজ নিতে। সে অনেকদিন সেখানে ছিল। সেও খোঁজখবর নিয়ে বলল এই নামের কোন জায়গা ময়মনসিংহে নাই।  


মেয়েটির সাথে আবার কথা বলা শুরু করলাম। এবার তার কাছ থেকে জানলাম সে একটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসার নাম নারায়ণডহর। জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে বড় কোন বাজার আছে। সে বলল পূর্বধলা বাজার আছে। গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার পাশে নারায়ণডহর পাওয়া গেল। 

ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। খুলে বললাম ঘটনা। তিনি একটু সময় নিলেন। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বললেন ১৯ জানুয়ারি একটা মিসিং জিডি হয়েছে। ভিক্টিমের নাম মিলে গেল কিন্তু বাবার নাম মিলল না।  


মেয়েটিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। এবার আমার সাথে যোগ দিলেন ওসি সদর জনাব এসএম বদিউজ্জামান। দুজনের সম্মিলিত জিজ্ঞাসাবাদে সে বাবার নামের কথা স্বীকার করল, কেন বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাও বলল। আবার ফোন করলাম ওসি পূর্বধলাকে। জানালাম সবকিছু। তিনি মেয়েটির বাড়িতে খবর দিলেন। 


২৭ তারিখ সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা তার সাথে দুইজন লোক নিয়ে থানায় এসে হাজির। বাবা মেয়ের মিলন হলো, সৃষ্টি হলো এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। বাবার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি গাজীপুরে একটা ছোট চায়ের দোকান চালান, তার স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজ করে। মেয়েটা তার দাদার সাথে গ্রামের বাড়ি লাউজানা, পূর্বধলায় থাকে।

 দাদা বকা দেয়ায় সে অভিমান করে মা বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে ভুল করে বগুড়ার গাড়িতে উঠে পড়ে। বাবার ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটা হারানোর পর থেকে তাদের বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। 


(ছবিতে মেয়েটিকে তার বাবার সাথে এবং আমার সাথে দেখা দেখা যাচ্ছে, বাবা মেয়ের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবি প্রকাশ করা হলো)

বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-১৯ শুরু

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করা হয়েছে।  সোমবার সকাল ১০ টায়  বেলুন  উড়িয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা।  উদ্বোধন শেষে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহীদ খোকন পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।






শোভাযাত্রায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্রাফিক পুলিশের প্রায়  ৪ শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশ নেয়। পাশাপাশি জেলা মোটর শ্রমিকের নেতাকর্মীরাও শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহ রবিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারী-২০১৯ পর্যন্ত চলবে। 


‘পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় এসময় জনসাধারণের কাছে পুলিশের নানামুখি সেবা সমূহ উপস্থাপন করা হয়। সেবা সমূহের মাঝে প্ল্যাকার্ডে উল্লেখযোগ্য ছিল- জনতার পুলিশ, আপনার থানা, আসতে যেতে নেইকো মানা, পুলিশ জনতা সবাই মিলে সমাজ গড়ি তিলে তিলে, টিপলে ফোনে তিনটি ৯৯৯ এসে হাজির হয়, থানার জিডির মাধ্যমে সেবা প্রদান, আইন মেনে চলুন, 

নিরাপদ দেশ গড়ে তুলুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করুন, মাদককে না বলুন, যৌতুক দিবেন না, যৌতুক নিবেন না, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করুন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করুন,যে কোন জরুরী অবস্থায় ৯৯৯ (টোল ফ্রি) এ ডায়াল করুন, জঙ্গী কর্মকান্ডে প্রতিরোধে পুলিশকে সহায়তা করুন ইত্যাদি। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য পুলিশের বিভিন্ন কাজ নিয়ে  লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

subscribe করুন : http://bit.do/eGTMs

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।



ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।





স্থান:
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া।সময়কাল ও ব্যাপ্তি:প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।

প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। 

মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন। 

মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার। এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন।


ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


ঐতিহাসিক পটভূমি:
মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন। 

কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত। 

এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।

সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


যোগাযোগের ব্যবস্থা:
বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।

ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।

 গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।

Sunday, January 27, 2019

সারিয়াকান্দির হাসনাপাড়ায় পিসি দোকানে আগুন

বগুড়া উত্তর ডটকম: (রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন) : বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া বাজারে একটি কম্পিউটার সর্ভিসিং দোকানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। 


রবিবার ভোরে হাসনাপাড়া বাজারের পঙ্কজের কম্পিউটার সার্ভিসিং এবং মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে এঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী ধারনা করছেন যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত।
এদিকে এঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করেছেন দোকানের পরিচালক পঙ্কজ মিয়া।

Thursday, January 24, 2019

বগুড়ায় নবগঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিটের উদ্বোধন

সাইবার অপরাধ দমনে বগুড়ায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত সাইবার পুলিশ ইউনিট (সিপিবি) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ওই ইউনিটের উদ্বোধন করেন।

ভিডিও দেখুন :




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানো জানানো হয়, ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটার-এর মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোসহ মোট ২১ ধরনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সাইবার পুলিশ বগুড়া (সিপিবি) ইউনিটের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি টিম ওই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট ‘সাইবার পুলিশ বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জেলায় সাইবার অপরাধের উপর প্রথম কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮টি অভিযোগ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে হবে। পরে সেই অভিযোগের কপি বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত সিপিবি ইউনিটে জমা দিতে হবে।’
সিপিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুক সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি বা মামলায় ফেসবুক আইডির ইউআরএল লিঙ্ক ও নিউমেরিক ভ্যালু অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি অপরাধ সংশ্লিষ্ট পেইজের স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করতে হবে। তাছাড়া কোন আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও থাকলে তার কপি এবং লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।
বগুড়ায় পুলিশের সাইবার ইউনিটের উদ্বোধন করে উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকেই সাইবার অপরাধ বাড়তে শুরু করেছে। যার প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। তিনি বলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অধীন অন্যান্য জেলাতে সাইবার ইউনিট গঠিত হলেও বগুড়ার পুলিশ সবচেয়ে সক্রিয়। আশা করছি তারা সাইবার অপরাধ দমনে আরও সফল হবে এবং এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


যে ২১টি কর্মকাণ্ডকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও, মিথ্যা তথ্য, বিভিন্ন ধরণের গুজব ইত্যাতি ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম ও টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো।
২. ওয়েব ফিশিং বা অন্য কোন উপায়ে তথ্য চুরি করে ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মাধ্যমে জিম্মি করে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা।
৩. হ্যাকিং-এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠিত দল কর্তৃক কোনো ব্যক্তি বা পরিবারকে ভীতি বা শক্তি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও তথ্য ছিনতাই সংক্রান্ত অপরাধ।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগের মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচারণা এবং সমর্থক সদস্য সংগ্রহ করা।
৬. ইউটিউবে আপত্তিকর ও অশালীন খারাপ ভিডিও প্রচার করা।
৭. বিভিন্ন ধরনের পর্ণো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন পর্ণো সােইটে প্রচার করা।
৮. ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু পর্ণোগ্রাফি প্রচার।
৯. অবৈধ, অশ্লীল, ধর্মীয় অবমাননা হয় এমন কোন কনটেন্ট প্রকাশ বা প্রচার করা।
১০. সরকার বিরোধী কোন গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করা।
১১. ভূয়া অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও গুজব ছড়ানো।
১২. বিকাশ বা রকেট-এর মত মোবাইল ব্যাংকিং এর মেবায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
১৩. মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদাবাজি করা।
১৪. মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লটারী বা পুরষ্কারের লোভ দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা।
১৫. অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা করা।
১৬. পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে এটিএম কার্ড ও পিওএস জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা
১৭. অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত অপরাধ।
১৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করা।
১৯. ভূয়া বা মিথ্যা ই-মেইল প্রেরণের মাধ্যমে প্রতারণা।
২০. ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
২১. পাইরেসির মাধ্যমে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির ক্ষতি সাধন।