এস আই সুমনঃ রংপুরের ভগিবালা পাড়া রহমানিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র তানভীর আব্দুল্লাহ তালহার (১৩) কাটা-মাথা এক দিন পর পাওয়া গেছে মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে।
কিন্তু কারা তাকে হত্যার পর মাথা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় তার কোনো সূত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
তালহার মাথার খুঁজে বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধানের সময় স্থানীয় লোকজন গতকাল শুক্রবার দুপুরে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মাথা উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ১৩ জনকে আটক করেছে।
তালহা ওই মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করে হাফেজ হয়েছিল । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
তালহার মাথার খুঁজে বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধানের সময় স্থানীয় লোকজন গতকাল শুক্রবার দুপুরে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মাথা উদ্ধার করে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ১৩ জনকে আটক করেছে।
তালহা ওই মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করে হাফেজ হয়েছিল । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনার সত্য নিশ্চিত করে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন নগরীর ভগিবালপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালহার মস্তকহীন লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় আশপাশে খুঁজে তার মাথাটি পাওয়া যায়নি। আজ দুপুরে স্থানীয়রা খুঁজে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাথা উদ্ধার করে।
থানার সাধারণ ডায়েরির সূত্রে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু মিয়া বলেন, তালহা বুধবার দুপুরে নগরীর ভগিবালা পাড়ার বাসায় দুপুরের খাবার খেয়ে মাদ্রাসায় যায়। পরে রাত থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই রাতেই তার বাবা খানজাহান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত।
ওসি বলেন, ওই দিনই পুলিশ তালহার খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার লাশ ভগিবালাপাড়ার মসজিদের নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তলায় পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা তাকে জবাই করে সেখানে ফেলে রাখা হয়।
পুলিশ তালহার পরিবারের বরাত দিয়ে জানায়, তালহা কোরআন শরিফ পুরো মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার রীতি অনুযায়ী তাকে পাগড়ি পরিয়ে বিদায় দেয়া হতো।
রংপুর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব বিষয়ে মাথায় রেখেই এগুচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এর মূল কারণ এবং অপরাধীকে খুঁজে পাবো।
জানা যায় তালহা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা শালমারা ইউনিয়নের কলাকাটা গ্রামের ফেরদৌস মন্ডলের নাতি।রংপুরে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত তালহা।
কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
Very....sad news
ReplyDeleteআল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করুন, আমিন
Delete