Saturday, December 8, 2018

বগুড়ায় শেষ দিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষা

স্পোর্টস রিপোর্টার : আগের দিন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে হাফসেঞ্চুরিতে ভালো কিছুর আভাস দিয়ে রেখেছিলেন আবদুল মজিদ ও পিনাক ঘোষ। তাদের সঙ্গে  হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মার্শাল আইয়ুব, তাইবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ হাফসেঞ্চুরিতে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড জমিয়ে তুলেছে ওয়ালটন। 

বগুড়ায় শেষ দিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষা
প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়েছেন ওয়ালটনের ব্যাটসম্যানরা। তাদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ালটন সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৯৩ রান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৭১ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে ইস্ট জোন। আগামীকাল শেষ দিনে জয়ের জন্য ২৫৫ রান করতে হবে ইস্ট জোনকে। 

বিপরীতে বাকি ৮ উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অপেক্ষায় ওয়ালটন। ২ উইকেটে ১৩৯ রানে   দিনের খেলা শুরু করে ওয়ালটন। আগের দিন আবদুল মজিদের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করা পিনাক ঘোষ অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি।

 ৫২ রান নিয়ে খেলতে নেমে আজ এক রান যোগ করতেই মোহাম্মদ আশরাফুলের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৩৫ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করেন পিনাক। পিনাকের পর ওয়ালটনের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মার্শাল আইয়ুব। দৃঢ় লড়াইয়ে দলের সর্বোচ্চ ইনিংসটা এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ৯২ বলে ১০ চারে ৭০ রানের ইনিংস খেলে আবু জায়েদের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। 
এছাড়া তাইবুর রহমান ৫৯, শাহদাত হোসেন ৩৩ এবং অধিনায়ক শুভাগত হোম ১৪ রান করে আউট হয়েছেন। বরাবর ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়া শহিদুল ইসলাম। ইস্ট জোনের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিজের দখলে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। 
এছাড়া আবু জায়েদ ও ফরহাদ রেজা প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন। ওয়ালটনের ছুঁড়ে দেওয়া ৩২৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই শামসুর রহমানকে হারায় ইস্ট জোন। ব্যক্তিগত ১১ রানে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে পিনাক ঘোষের হাতে ধরা পড়েন এ ওপেনার। এরপর দলীয় ২৫ রানে শাহাদাতের শিকার হয়েছেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। তবে দলটির হয়ে ওয়ানডাউনে নামা মাহমুদুল হাসান ২৩ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এরইমধ্যে ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি বেশ কয়েকজন সাবেক এমপিও।
বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত যেসব শীর্ষ নেতা

এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু প্রমুখ।
এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেক নেতাকর্মী। এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করেন। অনেক বিক্ষুব্ধ কর্মী কার্যালয়ের ফটকে ইট-পাটকেল পর্যন্ত ছোড়েন।   
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিককেও কুমিল্লা-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সাবেক মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১), নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি ছিলেন।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বামপন্থি নেতা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামকে। 
ঢাকা-২০ আসনে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এবার মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন।
নেত্রকোনা সদর আসনে আশরাফ উদ্দিন খান মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় নেই। তার স্থলে জায়গা পেয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন।
প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খান রীতা মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। যদিও তার আসনটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
খুলনা- ৪ আসনে ২০০৮ সালে দলের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ এবার মনোনয়ন পাননি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল।  যিনি ২০০৮ সালেনির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।
মনোনয়ন পাননি ২০০৮ সালের সংসদে নির্বাচিত মেহেরপুর-২ আসনের আমজাদ হোসেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। তবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির তার বাবার আসন পঞ্চগড়-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
নির্বাচন করছেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল। 

রাজনীতি আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ খালেদার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল হলো। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজনীতি  আপিলেও বাতিল খালেদার মনোনয়নপত্র

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল শুনানির পর সন্ধ্যায় ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের এ রায়ের পর সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে খালেদাকে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শনিবার দুপুরে তার অাপিলের শুনানি হয়। ১২টা ৩৮ মিনিট থেকে ২২ মিনিট ধরে শুনানি করে কমিশন। শুরুতেই কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ফেনী-১ আসনের ওপর শুনানি করতে চাইলে খালেদার আইনজীবীরা তিনটি আসনের ওপরেই শুনানির আবেদন জানান। পরে আইনজীবীদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান আইনজীবীদের কাছে।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে মামলার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন, তিনি সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নন।
বারবার তিনি একই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। তখন ইসি সচিব শুনানির রায় পরে দেওয়ার কথা বলেন।
তখন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, রিটার্নিং অফিসার যে অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, সে বেআইনি সিদ্ধান্তটা ইসি বাতিল করবেন।’
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। নামঞ্জুর হলো খালেদার আপিল।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর করা হবে প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বগুড়া র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল পৃথক পৃথক অভিযানে ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ ১৬.৩০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন উমোরদিঘী বাজারস্থ জনৈক মোঃ রাজু মেডিক্যাল স্টোর এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে ৪০ (চল্লিশ) পিস ইয়াবা, 
বগুড়া র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার


০১টি মোবাইল,০২টি সীম এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ৮,৩৯০/-(আট হাজার তিনশত নব্বই) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ সুলতান মাহমুদ(৩৩) পিতামৃত মহির উদ্দিন সাং কলমা সোনারপাড়া থানা কাহালু জেলা বগুড়া বগুড়াকে গ্রেফতার করে এবং ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ইং তারিখ ১৭.৪৫ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ছোহের উদ্দিন নিউ মার্কেটের ৩য় তলায় আল-আমিন স্পোর্টস দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ৪০ (চল্লিশ) পিস ইয়াবা, ০২টি মোবাইল, ০৩টি সীম এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১,৯৫৫/-(এক হাজার নয়শত পঞ্চান্ন) টাকাসহ 

মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ গোলজার হোসেন(২৩) পিতা মোঃ ফরিদ হোসেন সাং কর্ণপুর থানা ও জেলা বগুড়া ও ২। মোঃ লিমন (৩২) পিতা মোঃ আঃ বাছেদ আলী সাং বাদুরতলা থানা ও জেলা বগুড়াদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এবং সদর থানা এলাকায় ক্রয়- বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এবং সদর থানায় মামলা দায়ের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ও বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ভোট যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। 
বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির হেভিওয়েট দুই এমপির ভোট যুদ্ধ


৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচনে দেশের বড় দুই দল আওয়ামীলীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষের ভোট যুদ্ধে কে জয়ী হবেন তা নিয়েই এখন জনসাধারনের মাঝে চলছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব নিকাশ। তবে নির্বাচন নিয়ে দুই দলেই কিছুটা কোন্দল ও অভিমান থাকলেও বিএনপিতে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। 

জানাগেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি খ্যাত বগুড়া-৫ আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। শেরপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন এবং ধুনট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এই আসনের বর্তমান ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন। 

নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাগেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাংবাদিক আমানউল্লাহ্ খান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, ১৯৮৬ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফেরদৌস জামান মুকুল, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী তালুকদার নির্বাচিত হন। 

এছাড়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে পর পর চার দফায় বিএনপির প্রার্থী শেরপুরের সন্তান গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এমপি নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০০৮ নির্বাচনের আগে সংস্কারপস্থী নেতা হিসাবে পরিচিতি পাওয়ায় গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। 

পরবর্তীতে জানে আলম খোকা বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জানে আলম খোকাকে পরাজিত করে ধুনটের সন্তান সাবেক পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় আবারও হাবিবর রহমান বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। 

এদিকে পরপর দুইবার এই আসনটি দখলে থাকায় বিএনপির ঘাঁটিতে শক্ত অবস্থান তৈরী করে আওয়ামীলীগ। গত দশ বছরে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে এখনও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা সর্বত্র রয়েছে বলে দাবি করছে নেতাকর্মীরা। 

আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ধুনট-শেরপুর এলাকায় যে উন্নয়ন কোন সরকার করতে পারেনি। সেই উন্নয়ন আওয়ামীলীগ সরকারের একজন এমপি হয়ে আমি করতে পেরেছি। আগামীতে আবারও এমপি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি গ্রামকে শহরে পরিনত করব। তাই আসন্ন এই নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এদিকে বিএনপির চার বারের সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজেরও রয়েছে পুরানো জনপ্রিয়তা। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জানে আলম খোকার সাথে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে পৌছেছে। জানে আলম খোকার পক্ষে শেরপুর ও ধুনট উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অবস্থান নিয়েছে। 

সংবাদপত্রের মাধ্যমেও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে অবাঞ্চিতও ঘোষনা করেন জানে আলম খোকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এভাবেই হেভিওয়েট দুই নেতার কোন্দন প্রকোশ্যে রুপ নেয়। তাই ওই দুই নেতার সমঝোতা না হলে এই আসনটি আবারও হাত ছাড়া হতে পারে বলে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশংকা করেছেন।


বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা বলেন, দল যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই নির্বাচনী কাজ করছে। তবে দলীয় কোন্দল সমঝোতা করতে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও তার (জানে আলম খোকা) সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে যোগাযোগ না করলেও তিনি ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবেন।

এবিষয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, দলের মধ্যে কোন কোন্দাল নেই। তাই সাবাইকে সাথে নিয়েই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব এবং বিজয় নিশ্চিত হবে।

Friday, December 7, 2018

বগুড়ায় লোকালয়ে ছুটে আসা হনুমান উদ্ধার করতে নেই কোন উদ্যোগ

বগুড়ায় লোকালয়ে ছুটে আসা হনুমান উদ্ধার করতে নেই কোন উদ্যোগ

গোলাম রব্বানী শিপন, স্টাফ নিউজঃ বগুড়ায় কয়েক দিন যাবৎ খাবারের খোঁজে দলচূত্য হয়ে লোকালয়ে ছুটে আসা সেই হনুমানটি উদ্ধার করতে এখনোও কোন উদ্যোগ নেই। এখনো বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় হনুমানটি ঘোরাফেরা করছে। বিষয়টি জেনেও হনুমানটি উদ্ধার করতে বনবিভাগ বা স্থানীয় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তার নজরে আসেনি। 

শুক্রবার দুপুরে শহরের সূত্রাপুর এলাকায় হনুমানটির দেখা মেলে। সেখানে উৎসুক জনতা হনুমানটিকে দেখা মাত্র আপেল, কলা, পাউরুটিসহ হরেক রকম খাবার ছুড়ে দিচ্ছে। এর পূর্বে শহরের অদূরে সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া সুবিল খাল এলাকায় প্রথম এই হনুমানটি দেখা যায়। এরপর হনুমানটি শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় চলে আসে।
স্থানীয়রা জানান, হনুমানটি দ্রুত উদ্ধার করে সঙ্গীয়দের মাঝে অবমুক্ত না করলে এটি চীরতরে হারাতে হবে।

Tuesday, December 4, 2018

বগুড়ায় বিপন্ন গন্ধগোকুল উদ্ধার করলো পরিবেশবাদী সংগঠন তীর

 

শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনরমন্টাল রিসার্চ “তীর” সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া আজ ০৪/১২/১৮ তারিখে বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলার চক কাতুলী গ্রাম হতে একটি বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার করে। “তীর” এর সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান বলেন আজ সকালে পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর সদস্যরা চক কাতুলী গ্রামে গিয়ে গন্ধগোকুলটি উদ্ধার করি। 
বাংলাদেশ সরকারের বন্যপ্রাণি সংরক্ষন আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং আইইউসিএন এর তথ্য মতে প্রানিটি বিপন্ন্ প্রাজাতির অন্তভুক্ত। গত দুই দিন আগে চক কাতুলী গ্রামের মোঃ ইমরান হোসেন নামে এক যুবক তার নিজ বাড়িতে ফাঁদ দিয়ে ধরে বলে জানিয়েছেন। প্রানিটির নাম গন্ধগোকুল, ইংরেজী নাম: Indian palm civet. গন্ধগোকুল একটি নিশাচর প্রাণি।
বগুড়ায় বিপন্ন গন্ধগোকুল উদ্ধার করলো পরিবেশবাদী সংগঠন তীর

উল্লেখ্য যে গত ০৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে রাতে দৈনিক কালেরকন্ঠ প্রত্রিকার ফটোসাংবাদিক জনাব ঠান্ডা আজাদ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান ও সদস্য মোঃ হোসেন রহমান গন্ধগোকুলটি উদ্ধার কওে নিয়ে আসে। আজ গন্ধগোকুলটি বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক এ হস্তান্তর করা হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র, বন্যপ্রাণি ও পাখি সংরক্ষনে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” ২০১১ সাল হতে কাজ করে আসছে।

Monday, December 3, 2018

পকীয়ার জেরে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিল প্রেমিকা

গোলাম রব্বানী শিপন, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও প্রেমিকের জোরপূর্বক পরকীয়া সম্পর্ক রাখার চেষ্টা। এরপর কৌশলে ডেকে বটি দিয়ে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে ওই কাটা পুরুষাঙ্গ এবং এ কাজে ব্যবহৃত বটি নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে প্রেমিকা। পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে থানায় প্রেমিকা: প্রেমিক বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি

রোববার সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাগবাড়ি খাঁ পাড়ায় রাতে এই ঘটনা ঘটে। আহত প্রেমিককে রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘আহত ব্যক্তির নাম দুলাল হোসেন (৫১)। সে উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রেমিকা রওশন আরা (৪৫) একই গ্রামের প্রতিবেশি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। 

উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। দুলালের সংসারে স্ত্রী ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। আর রওশন আরার স্বামী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এর আগে এ সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় একাধিক বার দেনদরবারও হয়েছিল।ওসি আরও বলেন, প্রেমিকা রওশনারা পরিবার ও সমাজের কথা ভেবে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার জন্য দুলালকে একাধিকবার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রেমিক দুলাল রাজি না হয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। যে কারণে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক রওশন আরা গতরাতে তার বাড়ির পেছনে বাঁশ বাগানে ডেকে এনে কৌশলে ধারালো বটি দিয়ে দুলালের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়। পরে প্রেমিকা থানায় এসে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দুলালের স্বজনরা থানায় মামলা করায় সোমবার সকালে ওই গৃহবধূকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।