Sunday, January 13, 2019

সারিয়াকান্দিতে ট্রলীর চাপায় কিশোরী নিহত

বগুড়া উত্তর ডটকম: (রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন, সারিয়াকান্দি প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাটিবাহী ট্রলীর চাপাতে একজন কিশোরী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ ঘাট এলাকায় ভ্যানে করে যাওয়ার সময় ট্রলী ধাক্কা দিলে ভ্যান থেকে পরে যায় কিশেরী সুমাইয়া আক্তার (১২)। 







এরপর ট্রলীর চাকার নিচে পৃষ্ট হলে আহত অবস্থায় তাকে জরুরী ভিত্তিতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় সে মারা যায়। সে উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের লক্ষীর খোলা চরের সুজন মিয়ার কন্যা। 

এই ঘটনার পরে গাড়ীর চালক কামালপুর ইউনিয়নের বুরুইল পাইকড়তলী এলাকার মোখলেছুর রহমান বলাই এর ছেলে সোহেল রানা (২২) কে গাড়ী সহ আটক করে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ।বর্তমান শেরপুর উপজেলায় বসবাসরত সুজনের পরিবারের সাথে এই ঘটনার বেপারে বিবাদী পক্ষ মিমাংশার জন্য চেষ্টা করছে বলে জানান একটি সুত্র। তবে সারিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ আল আমিন বলেন- উক্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বগুড়া জিলা স্কুলের একটি পুরাতন বইএর গোডাউনে আগুন

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া জিলা স্কুলের একটি পুরাতন বইএর গোডাউনে আগুন লেগে বেশকিছু বই পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। রোববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। 


বগুড়া জিলা স্কুলের ১০ শ্রেণীর ছাত্র তাওহীদ জানায়, দুপুরে তারা স্কুল মাঠেই খেলছিল। হঠাৎ করে স্কুলের দক্ষিনের একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষ থেকে ধুয়া বের হতে দেখে। এরপর তারা দৌরে এসে প্রথমে সবাই মিলে নিভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ায় ৯৯৯ এ ফোন করে খবর দেয়। সেখানথেকে বলাহয় কিছুক্ষনের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাবে। এর মিনিট দশেক পরেই ফায়ার সার্ভিসের লোকজন চলেআসে।

ঘটনাস্থলে আসা জেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ জোবাইদুর রহমান বলেন, স্কুলের দক্ষিন পার্শ্বের একাডেমিক ভবনের নীচলরার একটি কক্ষে গত বছরের ছাপা ভ’ল হওয়ার কারনে বাতিল হওয়া ৩০/৪০ হাজার বই রাখাছিল। বইগুলি ছিল ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর। আজ দুপুরে স্কুলের মসজিদের ইমামের ফোনপেয়ে জানতে পারি ওই গোডাউনে আগুন লেগেছে। 

খবর পেয়ে এসে দেখি স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীমিলে আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের চেষ্টার পরেও ঘড়ের ভেতরথেকে অনেক ধুয়া বেরহেতে দেখে উদ্ধোতন কর্মকর্তাদের খবর দেই। তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাঠিয়ে দেয়। আগুন লেগে অল্পকিছু বই পুড়েগেছে।বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ছারোয়ার হোসেন জানান, গোডাউনে রাখা বইগুলি পুরাতন ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারনাকরা হচ্ছে সিগারেটের আগুন থেকেই এখানে আগুন লেগেছে

সড়কে কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেল পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার

বগুড়া উত্তর ডটকম:  বগুড়া-সান্তাহার সড়কে শ্রমিকদের কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে সুশান্ত কুমার সরকার (৩৫) নামে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সড়কে গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 



বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিদর্শক সুশান্ত কুমার সরকার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে শনিবার বিকালে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। 

এসময় বগুড়া-নওগাঁ সড়ক প্রশস্থকরণের জন্য উপজেলার বাজারদীঘি এলাকায় সড়কের পাশে বন বিভাগের লাগানো গাছ কাটছিল একদল শ্রমিক। সুশান্তকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাজারদীঘি এলাকায় পৌঁছার পর একটি গাছ সরাসরি তার মাথার ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন এবং প্রকৌশলী রাশেদুল আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাতে সুশান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সড়কের পাশে গাছ কাটায় নিয়োজিত ঠিকাদার এবং তাদের নিয়োজিত শ্রমিকদের খামখেয়ালি আচরণের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুশান্ত কুমার সরকার রোটারী ক্লাব অব বগুড়া করতোয়া’র পাস্ট প্রেসিডেন্ট এবং পূজা উদযাপন পরিষদ কাহালু উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন, নিহত ১

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে সুমন নামের এক হেলপার নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের তিশিগাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হেলপারের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, নওগাঁ থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী অপরূপা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৭৬২৮) দুপচাঁচিয়া উপজেলার তিশিগাড়ী এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে বাসটি রাস্তার ডান পাশে নেমে গিয়ে একটি তালগাছে ধাক্কা দেয়। এতে দরজায় থাকা হেলপার সুমনের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ সময় পাঁচ যাত্রী আহত হন।
আহতদের দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার এসআই আবদুস সালাম জানান, বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। সুমনের পকেটে থাকা আইডি কার্ড নষ্ট ও মুখ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কন্ঠে "কারার ঐ লৌহকপাট"



১২ই জানুয়ারি ২০১৯ তে সারেগামাপাতে বাংলাদেশি শিল্পী নোবেলের কাজি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট





Karar oi louho kopat-- nobleman saregamapa

#nobleman_saregamapa #saregamapa_nobel
#Karar_oi_louho_kopat

Saturday, January 12, 2019

বগুড়ায় ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার সাথে পিক-আপ এর সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৩

বগুড়া উত্তর ডটকম: (সাদ্দাম হোসাইন বগুড়া) বগুড়ায় ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার সাথে পিক-আপ এর সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। 


শনিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বগুড়া- নামুজা সড়কে চাঁদমুহা হরিপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।  দুর্ঘটনায় নিহতরা হচ্ছেন বগুড়া সদরের ছোট টেংরা গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে সামছুর রহমান (৫২) ও সাজনা গ্রামের বিলেত আলীর ছেলে আনিছার রহমান (৪৫)। আহতদের মধ্যে শিহাব ও নুরু মিয়াকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দু

দুর্ঘটনাস্থলরিদর্শনকারী বগুড়া সদর থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, হতাহতরা ঘোড়াধাপ বাজার থেকে অটোরিক্সা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চাদমুহা হরিপুর এলাকায় সড়কে মোড় ঘুরতে গিয়ে বিপরীতমুখি পিকআপ ( ঢাকা মেট্রো - ন-১১-৪৭২৪) এর সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে অটোরিক্সার যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুইজন মারা যায়।

ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়।অনলাইন ডেস্ক: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়।ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। জেনে নিন এসব সম্পর্কে:

ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।  

নিজের ওয়েবসাইট তৈরি
এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
গ্রাফিকস ডিজাইন
অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
জরিপ, সার্চ ও রিভিউ
অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ভার্চ্যুয়াল সহকারী
এখন ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি। বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখন। ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। ২৪ / ৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।
অনুবাদ
ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।
অনলাইন টিউটর
কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য। অনলাইনে গ্রাহক টানা, প্রচার করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।
ওয়েব ডিজাইন
এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।
কনটেন্ট রাইটিং
যাঁরা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে। কাজদাতা নির্দিষ্ট নীতি মেনে লেখার জন্য বলতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আয়ের ধারা বেড়ে যায়।
ব্লগিং
অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখেন। কিন্তু শখের বিষয়টি যদি পেশাগত কাজে লাগাতে পারেন, তবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং করেও আয় করার সুযোগ আছে। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে নিজে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করার দরকার হবে। ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হবে। নিজের ব্লগ শুরু করাটাই ভালো। কারণ, এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে। অনেকের ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে কাজ করে যেতে হয়।
ইউটিউব
যাঁরা ব্লগ লিখে আয় করতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য সৃজনশীল আর ভালো সম্পাদনা জানতে হবে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাবেন।
পিটিসি
অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে রাখা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
ডেটা এন্ট্রি
অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তাঁরা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যাঁদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তাঁরা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে পারেন।

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেফতার ৬

বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়া শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তিন নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের শহরে নিয়ে এসে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ছোট কুমিড়া এলাকার ব্লুবেরি হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার ছয় জনের মধ্যে রয়েছেন, ব্লুবেরি হোটেলের পরিচালক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মধ্যকাতুলী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (৩০), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে বিপুল ইসলাম (২৬) ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে পল্লব মিয়া (২৬) । তাদের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তি চালানো ও মানব পাচারের অভিযোগ মামলা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) নির্মল কুমার সাহা জানান, গ্রেপ্তার সাগর হোসেন, বিপুল ইসলাম ও রুহুল আমিন নামের পলাতক একজন ব্লুবেরি হোটেল ভাড়া নেন। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীদের নিয়ে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছিলেন তারা। নির্মল কুমার আরও জানান, গোপনে খবর পেয়ে সাড়ে ১২টার দিকে ওই হোটেলে অভিযান চালানো হয়। 

অন্যরা পালিয়ে গেলেও পরিচালক সাগর, বিপুল এবং পল্লব নামের আরও এক ব্যক্তিকে তিন নারীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ মামলা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।