বগুড়ায় সমকামিতায় পরিবারের বাঁধার কারনে এক যুবকের লিঙ্গ কেঁটে দিয়েছে ক্ষুব্ধ এক হিজরা
বগুড়ায় সমকামিতায় পরিবারের বাঁধা কারনে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রুবেল (২০)নামের এক যুবকের লিঙ্গ কেটে নিয়েছে তৃতীয় লীঙ্গের দাবীদার ক্ষুব্ধ এক হিজরা ।
নৃশংস ও অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে সদরের ডাকুরচক রাজাপুর গ্রামে ।
জানা গেছে , ভুক্তভোগি রুবেলের বাবা আনসার আলী ও বড় ভাই আরিফ অটো চালক। শহরের বৃন্দাবনপাড়া (পূর্বপাড়া) এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ীতে বস্ববাস করতো তারা ।
রুবেল তার চাচার দোকানে কর্মচারী হিসাবে চাকুরী করতো । ইতি পূর্বে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে হিজরা সোহেল(৩০) এর সাথে রুবেলের গভীর সখ্যতা গড়ে ওঠে । তাদের দীর্ঘ দিনের মেলা মেশা ও গভীর সমপর্কের মাঝে বিয়েও করে সোহেল ।
তাদের ঘড়ে একটি কণ্যা সন্তানের জন্ম হলেও সোহেলের সে সংসার ভেঙ্গে যায় । এর কিছু দিন পর পারীবারিক চাপের কারনে রুবেল তার এক নিকট আত্বিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিন্ত পরবর্তিতে সমকামিতার বিষয়টি জানাজানিতে তার সে সংসারও টেকেনি বেশী দিন । পরে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটে রুবেলের ।
এদিকে বিষয়টি আমলে নিয়ে গত গত কয়েক মাস আগে সদরের ডাকুরচক রাজাপুর এলাকায় স্থানান্তরিত হয় রুবেলের পরিবার । সেখানে বাড়ী করে সেখানেই চলে যায় তাদের গোটা পরিবার ।
তার পর থেকেই কোন ভাবেই যেন সোহেলের সাথে রুবেল যেন দেখা সাক্ষাত মেলা মেশা করতে না পারে সে বিষয়ে রুবেলের পরিবার কড়া নজরদারী শুরু করে। যে, কারনে রুবেলকে চোখে চোখে রাখতে তার চাচা তাকে শহরে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রুবেলকে রেখে দেয় ।
এতে করে সাঙ্ঘাতিক ভাবে ক্ষিপ্ত হয় হিজরা সোহেল । তার মনে প্রতিহিংসার জন্ম নেয় । সে সুযোগ খুঁজতে থাকে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য । তারই এক পর্যায়ে শুক্রবার সোহেল রাজাপুর এলাকায় যায় ।
দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় সকলের অজান্তে রুবেলকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় সে । সেখানে বিশেষ মূহুর্তে মেলামেশার এক পর্যায়ে সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবেলের লিঙ্গ গোড়া থেকে কেটে দেয় ।
পরে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ছিলিমপুর ফাঁড়ী ইনচার্জ টিএসআই আজিজ মন্ডল বিষয়টি প্রথমে এফএনএসকে নিশ্চিত করেন।
পরে এব্যপারে রুবেলের পরিবার ও তার বড় ভাই জানায়, ঘটনার পর মোবাইল ফোনে সোহেল তাকে জানায়, তোর ভাইয়ের বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে গেলাম ,পারলে ওকে বাঁচা ।
একই সময়ে সে আরো হুমকি দেয় এই বলে যে, তোর ভাইয়ের কারনে আমার সংসার ভেঙ্গে গেছে ,তাই তোর ভাইয়ের এমন দশা করলাম । এবার সুযোগ পেলে তোকেও একই অবস্থা করব ।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রুবেলের শরীরে অস্ত্র প্রচার করলেও অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে তার অবস্থা আশংকামুকত নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত রুবেরের বাবা আনসার আলী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন । সূত্র-এফএনএস