Tuesday, March 13, 2018

হানিমুনে নেপালে যেতে ইউএস-বাংলা বিমানে উঠার আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন তারা

সংবাদ হানিমুনে নেপালে যেতে ইউএস-বাংলা বিমানে উঠার আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন তারা 

মার্চ ১২, ২০১৮,

হানিমুনে নেপালে যেতে ইউএস-বাংলা বিমানে উঠার আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন তারা


হে আমার দেশ, পাঁচ দিনের জন্য বিদায়’ (টাটা মাই কান্ট্রি ফর ফাইভ ডেইস) বিমানের ওঠার আগে এভাবেই ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস লিখেছিলেন পিয়াস রায়। 

বেলা ১টার সময় তিনি তার ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস লেখেন। সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তার একজন যাত্রী ছিলেন পিয়াস।  

সোনামনি নামের আরেক নারী যাত্রী নেপালে তৃতীয়বার হানিমুন করতে যাচ্ছেন বলে তার ফেসবুকে বেলা ১২টার সময় উল্লেখ করেছেন। তিনি হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন তৃতীয় হানিমুন। 

মেহেদি হাসান অমির সঙ্গে নেপালের কাঠমান্ডু যাচ্ছি।  সোনামনির সঙ্গে থাকা আরেক যাত্রী এ্যানি প্রিয়ক দুপুর ১২টার সময় তার ফেসবুকে লিখেছেন, হযরত শাহজালাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত। 

আমাদের জন্য দোয়া করবেন।  এদিকে আজ বিকালে তার ফেসবুক টাইমলাইনে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই তাঁদের ফেসবুক টাইমলাইনে আহাজারি করছেন। বলছেন ফিরে এসো। কেউ বলছেন তোমরা কোথায়। 

প্লিজ কথা বলো। কিন্তু আট ঘণ্টা আগে পোস্ট দেয়া প্রিয়ক, এনি, অমি ও সোনামনি- কারো আইডি থেকেই কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায় নি।  

এদিকে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের ৫০ আরোহীর প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের সেনাসূত্র। 

৯ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে তারা।    ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিএস ২১১ নামের ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। 

নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে ৪ ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিল। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি।  

ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। 

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ , ২৭ জন নারী ও দুইজন শিশু ছিলেন। ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।    

ত্রিভূবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানান, ২৫ জনকে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৭ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

ওই সেনা মুখপাত্র জানান, নয়জনের এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment