Tuesday, February 19, 2019

বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বর্ণকারকে পিটিয়ে হত্যা


বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে রফিকুল ইসলাম মিঠু (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী হত্যাকারী সজিবকে (২৫) আটক করে পুলিশে দেয়। 


নিহত রফিকুল ইসলাম মিঠু সদর উপজেলার ধাওয়া পিকশন গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেন তালুকদারের ছেলে। ঘাতক সজীব হোসেন একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। তারা দুই জনই পেশায় স্বর্ণকার। 

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠু মারা যায়। 

স্থানীয়রা বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান, নিহত মিঠু এবং সজিব এক সঙ্গে স্বর্ণের গহনা তৈরির কাজ করে আসছিল। মিঠু ছোট ভাই ইমনের সঙ্গে সজিবের প্রবাসী ভাই এর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। 
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সজিব লোকজন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মিঠুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তারা পালাতে গেলে গ্রামবাসী সজিবকে আটক করে। 
রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় মিঠুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান,  এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইমন তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছে। 

Monday, February 18, 2019

সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ার অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার

বগুড়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক কলেজ ছাত্র অপহরণের শিকার হন । এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাতেই কৌশলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে । তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ভোরে ওই ছাত্র উদ্ধার করা হয়।
আবুল হাসান জোহা


ওই ছাত্রের নাম আবুল হাসান জোহা। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ছাত্র। বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার মনিনাগ গ্রামে। 

গ্রেফতার করা দুজন হলেন ফেরদৌস হাসান ও শিবলু।  তাদের বাড়ি বগুড়া শহরের পূর্ব পালশা এলাকায়। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আবুল হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের কামারগাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এ সময় ১০/১২ জন যুবক একটি দল তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মোটরবাসে তুলে নিয়ে যান ।
পরে তাকে পূর্ব পালশা এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারী চক্রের একজন আবুল হাসান  জোহা'র ফোন থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।।

মুক্তিপণ না দিলে হাসান কে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আবুল হাসানের বাবা মোঃ হারেছ এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিষয়টি বগুড়া সদর পুলিশের কাছে জানান । ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কে অনুরোধ করেন। 

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীদের মুঠোফোন নম্বর ট্রাক করে একপর্যায়ে ফেরদৌস ও শিবলু কে গ্রেফতার করে। 

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে কলেজ ছাত্র আবুল হাসান জোহা কে উদ্ধার করা হয়।

Thursday, February 14, 2019

বগুড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর উদ্যেগে সুন্দরবন দিবস পালিত

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার পালিত হচ্ছে ১৮তম সুন্দরবন দিবস।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।  দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর উদ্যেগে ।  সকাল ১১ টায় পুরো ক্যাম্পাসে এক শোভায়াত্রার আয়োজন করা হয়।  শোভায়াত্রাটি কলেজের মূল ভবন থেকে বের হয়ে আবার মূল ভবনে এসে শেষ হয়।
উক্ত শোভায়াত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: শাহজাহান আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফজলুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন তীরের উপদেষ্টা জনাব মোঃ মতিউর রহমান,  জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ,  জনাব শাহ জাহান আলী,  জনাব এটিএম মাহবুবুল হাসান, জনাব অরপ রতন পাল, তীরের উপদেষ্টা ও  সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী জুয়েল,  সহ অত্র কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীর” এর সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান, সাধারন সম্পাদক মোঃজাহিদুর রহমান,  সহ তীর এর সদস্য বৃন্দ।

জানা যায়, সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।

Monday, February 11, 2019

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়। পুলিশ সপ্তাহ পরবর্তী মাদক বিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ মামলায় ৪৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এর মধ্যে সদর থানার ৮ মামলায় আটক হয়েছে ২৮ জন । উদ্ধার হয়েছে ২২৫ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি গাঁজা ২.৫ গ্রাম হেরোইন । 

https://www.youtube.com/channel/UCUJADqUZV2Xg0QxOaA_X8yg?sub_confirmation=1




পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার) জানিয়েছেন মাদক ব্যবসা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলতে থাকবে। এ ব্যাপারে গতকালের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে সুধী সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।

Sunday, February 10, 2019

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা কবে এবং কিভাবে যাবেন বিস্তারিত জানুন

বগুড়া উত্তর ডটকম : ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।



ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ , এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।
স্থান:
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া।
সময়কাল ও ব্যাপ্তি:
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।
প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার।
এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন
ঐতিহাসিক পটভূমি: মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়।
বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।
সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।
ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।

Thursday, February 7, 2019

করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

সারাদেশের মত বগুড়াতেও ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি।
কারণ করোতোয়া নদী ভূমিদস্যুদের কবলে পরে হাজার হাজার বিঘা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়েছে । 

 
করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

আর সে কারণে ভূমি দস্যুদের অলৌকিক ক্ষমতার বলে প্রতিনিয়ত এই করোতোয়া নদীতে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছেন নদী দখলকারীরা।
অচিরেই যদি এই ভূমিদস্যুদের করোতোয়া নদী থেকে উচ্ছেদ করা না হয় বা করোতোয়া নদী কে দখলমুক্ত করা না হয় তাহলে দেশের মানচিত্র থেকে এই নদীটির নাম মিশে যাবে। হারিয়ে যাবে বগুড়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আমাদের এই প্রিয় নদীটি।

আরো পড়ুন:   করতোয়া এখন মৃত নদী Karatoya River 

আসুন নিজের মতো করে সবাই পাশে দাড়ায় 

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,  দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। 


মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।

 দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা। 

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।

 মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়। 

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন