Thursday, February 7, 2019

করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

সারাদেশের মত বগুড়াতেও ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি।
কারণ করোতোয়া নদী ভূমিদস্যুদের কবলে পরে হাজার হাজার বিঘা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়েছে । 

 
করতোয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বগুড়া বাসি

আর সে কারণে ভূমি দস্যুদের অলৌকিক ক্ষমতার বলে প্রতিনিয়ত এই করোতোয়া নদীতে দখলের মহোৎসব চালাচ্ছেন নদী দখলকারীরা।
অচিরেই যদি এই ভূমিদস্যুদের করোতোয়া নদী থেকে উচ্ছেদ করা না হয় বা করোতোয়া নদী কে দখলমুক্ত করা না হয় তাহলে দেশের মানচিত্র থেকে এই নদীটির নাম মিশে যাবে। হারিয়ে যাবে বগুড়ার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আমাদের এই প্রিয় নদীটি।

আরো পড়ুন:   করতোয়া এখন মৃত নদী Karatoya River 

আসুন নিজের মতো করে সবাই পাশে দাড়ায় 

Wednesday, February 6, 2019

বগুড়ার ধুনটে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) থেকে: দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানাসূত্রে জানাগেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। 

দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারী ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা।


রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। 

এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারনে সে আত্বহত্যা করেছে এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রæয়ারী রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রানীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। এছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারনেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,  দাম্পত্য কলহের জের ধরে বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। 


মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়।

 দাম্পত্য জীবনে মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪) জন্ম হয়। স্বামী হাসান আলী চাকুরীর সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রোজিনা। 

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, ৫/৬ বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রোজিনার ভাড়া বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। এরপর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।

 মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়। 

রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

তবে রোজিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ২১ মিনিটে লিখেছেন ‘মৃত্যু এমন এক মেহমান যে দরজায় দাঁড়াইলে তাকে ফিরিয়ে দেবার মত ক্ষমতা দুনিয়ার কোন প্রাণীরই নাই’। আর এটাই ছিল তার ফেসবুক পেজের শেষ ট্যাটাস। 

এ ছাড়া গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই তার ফেসবুক পেজে ভালবাসা ও মান অভিমানের বিভিন্ন কথা শেয়ার করেছেন তিনি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই এএসআই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইমরান হোসেন ইমন

Tuesday, February 5, 2019

সারিয়াকান্দিতে দাখীল পরিক্ষায় তিন শিক্ষার্থী বহিস্কার

বগুড়া উত্তর ডটকম: রাহেনূর ইসলাম স্বাধীন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চলমান দাখীল/এসএসসি সমমান পরিক্ষায় তিন শিক্ষার্থী বহিস্কার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, সোমবার সারিয়াকান্দি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কেন্দ্রে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আরবী দ্বিতীয় পত্র পরিক্ষার সময় পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন কালে নকল করার দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ।
এব্যাপারে সারিয়াকান্দি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ কেন্দ্র সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, বহিস্কৃতদের বিরুদ্ধে আমরা উপর মহলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এবারের পরিক্ষায় নকলের কোন সুযোগ নেই।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ জানান, নকল মুক্ত পরিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলতেই এই বহিস্কার। যে শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেনা সে তো নকল করবেই। মান সম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই, তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের যত্নবান হতে হবে। যাতেকরে তারা নকলের উপর নির্ভর না করে।

ধুনটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে সাংবাদিক পত্নী রোমানা

বগুড়া উত্তর ডটকম (ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবনের পত্নী শিক্ষক রোমানা আফরোজ।
 



তিনি ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারী শিক্ষার প্রসার এবং নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নিচ্ছেন। রোমানা আফরোজ শিক্ষা জীবনে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

 বর্তমানে তিনি আনন্দপাঠ নামে স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষার আলোয় সমাজ উন্নয়নের কর্মী হিসেবে কাজ করতে ভালবাসেন রোমানা আফরোজ। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন তিনি।

রোমানা আফরোজ জানান, গ্রামীণ জনপদের নারীরা সমাজের অন্ধকারে বন্দি রয়েছে। শিক্ষার আলো ছাড়া এসব নারীর মুক্তি সম্ভব নয়। অধিকাংশ নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের আগেই ঝড়ে পড়ে। তিনি বলেন নির্বাচিত হলে ধুনট উপজেলায় নারীর উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। এজন্য ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবেন তিনি। 

রোমানা আফরোজ বলেন, সরকার নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মকান্ড গুলোর সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নারীর শিক্ষা ছাড়াও ধুনট উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নির্যাতিত ও অবহেলিত নারীর কল্যাণে এবং মাদকমুক্ত উপজেলা গঠনে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য পদ্মা ও গড়াই পাড়ের কুঠিবাড়ি

বাংলাভাষার কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাঙালির গৌরবের নাম তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান কবির স্মৃতিধন্য। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রাম কবির ব্যক্তি, কর্ম ও কাব্যজীবনের অনেকাংশের সাক্ষী হয়ে আছে। পদ্মা ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এই কুঠিবাড়ি কবির উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের সুতিকাগার বলা চলে।




কবির বিভিন্ন রচনার প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে কবির বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নিভৃত পল্লী শিলাইদহের নাম সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিলাইদহের মুগ্ধকর পরিবেশে কবি বহু প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প রচনা করেছেন। তাঁর এসব লেখনীর মধ্যে সোনার তরী, মানসসুন্দরী, উর্বশী, চিত্রা, ক্ষনিকা, গীতাঞ্জলীসহ অনেক গান ও কবিতা নিভৃত এই পল্লীর পরিবেশেই রচিত হয়েছিল।

১৮৯১ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী পরিচালনার জন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। এই কুঠিবাড়ি থেকে তিনি পতিসর ও শাহজাদপুরের জমিদারিও দেখাশুনা করতেন। এখানে আসার পর  শিলাইদহ গ্রামের ছায়াঘেরা অপরূপ দৃশ্য এবং পদ্মা-গড়াই নদী কবিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। শিলাইদহ গ্রামে কবি রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ এবং কৃষিবিদ রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব এক বিচিত্র সমন্বয় ঘটেছিল।




ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে পদ্মা নদীর তীরে বড় বড় নীলকুঠি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সময় নীলের ব্যবসা ছেড়ে সাহেবরা চলে গেলে নীলকুঠির নিচতলা জমিদারির কাচারি ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীকালে নদীর ভাঙনে ওই নীলকুঠি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ১৮৯২ সালে পদ্মার তীর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শিলাইদহ গ্রামে ৩২ বিঘা জায়গা নিয়ে তিনতলার বর্তমান কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করা হয়। 

১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনার জন্য কবি শিলাইদহ গ্রামে থেকেছেন। পদ্মা-গড়াইয়ের মধ্যবর্তী স্থান ছিল ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৯ সালে এই জমিদারি ক্রয় করেন। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জনজীবন অবলোকন করে কবি অনেক রচনা লিখেছেন।

৩২ বিঘা জায়গা ঘিরে পৌনে চার বিঘা জমির উপর ঢেউ আকৃতির প্রাচীরবেষ্টিত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি প্রতিষ্ঠিত। তিনতলা এই কুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮টি। এর নিচতলায় ৯টি কামরা, দোতলায় ৭টি ও তিনতলায় দুটি কামরা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮০টিরও অধিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহূত খাট, ইজি চেয়ার, লেখার টেবিল, স্পিড বোট, দুই বেহারার পালকি, ঘাষ কাটা মেশিন, গদি চেয়ার, নৌকাসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুঠিবাড়ি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানকার জমিদারির হাত বদল ঘটে। পরে ঢাকার ভাগ্যকূল জমিদার শিলাইদহের এস্টেট কিনে নেন। এরপর ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের মালিকানায় আসে।

উল্লেখ্য, শিলাইদহ থেকে জমিদারি ছেড়ে যাওয়ার পরও কবি বেশ কয়েকবার শিলাইদহে এসেছেন। কবির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনই এই কুঠিবাড়িতে প্রাণের টানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। প্রতি বছরের মত এবারো কবির জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে শিলাইদহে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবির জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Monday, February 4, 2019

"এক পেরিয়ে দুই, চলো স্বপ্ন ছুঁয়""ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা" এর এক বছর পূর্ন হলো

বগুড়া উত্তর ডটকম: "এক পেরিয়ে দুই, চলো স্বপ্ন ছুঁয়""ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা" এর এক বছর পূর্ন হলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে মাত্র ২০ টি সুবিধাবঞ্চিত  শিক্ষার্থী নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিন্ন দৃষ্টি এর উদ্যোগে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া রেলওয়ে বস্তি সংলগ্ন শিশু পার্কে শুরু হয়েছিল  এই পাঠশালা।


স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগীতায় ঠিক এক বছরের মাথায়  বর্তমানে পাঠশালার শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬৪ জন। একই সাথে  শিশু শিক্ষার পাশাপাশি বয়স্কশিক্ষা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টি'র স্বেচ্ছাসেবীরা। শুধু শিক্ষায় না, শিক্ষার পাশাপাশি তাদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ভিন্ন দৃষ্টি।

ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা এর ১ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি পাঠশালাতে একটি ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে কেক কেটে দিনটি উৎযাপন করা হয়।উল্লেখ,  ভিন্ন দৃষ্টি একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।  গত ৩ বছর যাবত তারা সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে নানা ধরনের কাজ করে আসছে।


Sunday, February 3, 2019

বগুড়ায় কুলখানি দাওয়াত খেয়ে ৩৪ ব্যক্তি হাসপাতালে

বগুড়া উত্তর ডটকম:  (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কুলখানি দাওয়াত খেয়ে ৩৪ জন ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফুড পয়জনিং হয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।


কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ও নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে।
 
নন্দীগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অসুস্থ রফিকুল ইসলাম, হারুন, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ আলম জানান, গত শুক্রবার কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নের চিরতা গ্রামে মরহুম আকতারুজ্জামানের কুলখানি (মজলিস) অনুষ্ঠিত হয়। 

সেখানে প্রায় তিন হাজার এলাকার লোকজন কুলখানির খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে এসে পরদিন থেকে পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হতে থাকেন তারা। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের ভর্তি করা হয় কাহালু ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে। রোববার ভোরে থেকে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন ব্যক্তি ভর্তি হয়।
 
জামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম কামাল বলেন, কুলখানি দাওয়াত খেয়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ফুড পয়জনিংয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
 
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ইকবাল মাহমুদ জানান, দাওয়াত খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৭ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফুড পয়জনিংয়ে তাঁরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।