Tuesday, January 15, 2019

বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার দুই চোর সদস্যকে গ্রেফতার Bogura news

বগুড়া উত্তর ডটকম : বগুড়া সদর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম বদিউজ্জামান এর নেতৃত্বে নামুজা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা পেশাদার চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৩২ টি এলইডি টেলিভিশন উদ্ধার করে ..




ভিডিও টি দেখুন  .....

বগুড়া র‌্যাব ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক মাদক সেবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

বগুড়া উত্তর ডটকম : র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখ ১৩: ৩০ ঘটিকা হতে ১৯: ০০ ঘটিকা পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপার এস,এম, জামিল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার, স্পেশাল কোম্পানী, র‌্যাব-১২, বগুড়া এবং বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী বগুড়া দ্বয়ের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকায় মাদক সেবনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন।


২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ধারা মোতাবেক মাদক সেবনের অপরাধে বিজ্ঞ ভ্রাম্যমান আদালত ধৃত আসামী ১। মোঃ রাসেল (২২), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-তালোড়া সন্ধাবাড়ী, থানা- ধুপচাঁচিয়া জেলা-বগুড়া, ২। মোঃ জনি (২৯), পিতা- শফিক হোসেন, সাং-লতিফপুর কালোনী , ৩। মোঃ জাকারিয়া রকি (৩০), পিতা-আঃ সামাদ আজাদ, সাং-লতিফপুর পশ্চিমপাড়া, উভয় থানা ও জেলা-বগুড়া, ৪। শ্রী বিপ্লব রায় (১৯), পিতা-বিনয় রায়, সাং-জোড়া হিন্দু পাড়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়া, 

৫। মোঃ রাজু (৪০), পিতা-মৃত ইউনুস আলী, সাং-উত্তর ঠেলোপাড়া, ৬। মোঃ শিফাত হোসেন (১৯), পিতা-মৃত আসলাম উদ্দিন, সাং-বৃন্দাবন দক্ষিণ পাড়া, ৭। অমিত হাসান (২৮), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, সাং-রিয়াজ বাড়ীলেন সুত্রাপুর ৮। মোঃ শামিম হোসেন (২৬), পিতা-মৃত মাহাযুজার রহমান, সাং-সুত্রাপুর, এবং 

৯। মোঃ মেহেদী হাসান (২৫), পিতা-বোরাজুল ইসলাম, সাং-ঠনঠনিয়া পশ্চিম পাড়া, উভয় থানা ও জেলা বগুড়াদেরকে সর্বমোট ১৯,০০০/- টাকা অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করলে তাদের অভিবাবকগণ জরিমানার টাকা জমা প্রদান করায় তাদের জামিনে মুক্তি প্রদান করেন। 

অপর ধৃত আসামী ১০। মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মোঃ নুর ইসলাম, সাং-দত্তবাড়ী, ১১। মোঃ মানিক শেখ (৪০), পিতা- মোঃ তারা শেখ, সাং-মাল গ্রাম মধ্যপাড়া, ১২। শ্রী বাঁধন চন্দ্র দাস (২০), পিতা- বিনয় চন্দ্র দাস, সাং- লাহিড়ী পাড়া(মহাস্থান), ১৩। মোঃ আঃ মজিদ (৫৫), পিতা-মৃত বাল্টু শেখ, সাং-নাটাই পাড়া এবং 

১৪। মোঃ আঃ লতিফ (৪৫), পিতা-মৃত নয়া মিয়া, সাং-দক্ষিণ কাটনার পাড়া উভয় থানা ও জেলা বগুড়াদেরকে প্রত্যেককে ২০০০/- টাকা করে সর্বমোট ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডসহ প্রত্যেককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করিলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত কারাদন্ডের কয়েদের পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগার বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়।

বগুড়া সংবাদ থেকে সংগৃহীত

বগুড়ায় মোবাইল ট্রাকিং করে চুরি হওয়া আলু ভর্তি ট্রাক উদ্ধার, আটক ৩


বগুড়া উত্তর ডটকম: সদ্য চুরি হওয়া আলুবাহী ট্রাক মোবাইল ট্রাকিং করে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকের মালিক ও ট্রাক চালকসহ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ আটক করেছে।


চুরির ২৬ দিনপর আলু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীহাট থেকে ২শ’৩ বস্তা আলু কিনেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বেড়াবালা গ্রামের মৃত গোলাম উদ্দিন প্রামাণিকের পুত্র আলু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক।

ওইদিন রাতেই একটি ভাড়া ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো ট ২২-২৭৭৪) করে ক্রয়কৃত আলু চট্টগ্রামের ইয়াজউদ্দিন বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক।
পথিমধ্যে ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুরের বি-ব্লক এলাকায় পৌঁছুলে ট্রাক চালক আলহাজ আলী (২৩) আলু ব্যবসায়ীকে জানায়, বিশ্রাম না নিয়ে একটানা গাড়ি চালিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে না। তাই বি-ব্লক এলাকায় একটি হোটেলে বিশ্রামে যান।

এর কিছু পরেই ট্রাকটি সাইড করে রাখার নামে চালক হোটেল থেকে বের হয়। আধা ঘণ্টা পার হওয়ার পরও চালক ফিরে না আসায় আলু ব্যবসায়ীর সন্দেহ হয় এবং তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রাক চালক আলুসহ ট্রাকটি নিয়ে উধাও হয়েছেন।

এরপর আলু ব্যবসায়ী শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই সাধারণ ডায়েরীর সূত্রধরে শাজাহানপুর থানা পুলিশ গত শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন আমান ফিড লিমিটেড এর ভিতর থেকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুখিবাড়ি সায়েদাবাদ গ্রামের শাজাহান আলীর পুত্র ট্রাক মালিক আল মাহমুদ আলী (৪০),

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন সেনগাতী দক্ষিণপাড়া গ্রামের হানিফ আলীর পুত্র ট্রাক চালক আলহাজ আলী (২৩) এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুখিয়াবাড়ি সায়েদাবাদ গ্রামের গাজী মোল্লার পুত্র মোস্তফা (৩৪) কে গ্রেফতার করে।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার প্রতারক। আলু চুরির উদ্দেশ্যে তারা ট্রাকের প্রকৃত নম্বর ঘষা-মাজা করে পরিবর্তন করে দালাল অফিসে দেয় এবং সেখানে যে মোবাইল নম্বর দিয়েছে তা ছিল একটি ছিনতাই করা মোবাইল।

ট্রাক চুরির পর উক্ত ছিনতাই করা মোবাইল ফোনটি প্রতারকরা একটি ফাঁকা জমিতে ফেলে দেয়। এছাড়া হেলপার পরিচয়ে ট্রাক মালিক ট্রাকের সাথে ছিলেন। ব্যাপক তদন্ত ও মোবাইল ট্রাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খোয়া যাওয়া ট্রাক উদ্ধার এবং জড়িত ৩ ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

Monday, January 14, 2019

পপিকে বিয়ে করতে চান হিরো আলম!

২০১৮ এর শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানো এবং পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে আসা নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন হিরো আলম। 
সিংহ মার্কায় দাঁড়ানো ব্যতিক্রমী এই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে জমে উঠেছিলো বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। তবে নির্বাচনের পরে নায়িকা পপিকে বিয়ে করতে চেয়ে আবারো আলোচনায় উঠে এলেন তিনি।



একটি 'ইউটিউব শো'তে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপিকে বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। সম্প্রতি অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঞ্চালনায় এক 'ইউটিউব শোয়ে' অংশ নিয়ে হিরো আলম এ ইচ্ছা পোষণ করেন। 

ওই ভিডিওতে হিরো আলম বলেন, বাংলাদেশে অনেক নায়িকা আছে, যারা 'বিয়ে করুম', 'বিয়ে করুম' বলতেছে; কিন্তু এরা বিয়ে করতেছে না। কোনো নায়িকার যদি দায়িত্ব নিতে হয়, তা হলে নিতে পারি।  

সেই সময় সঞ্চালক জয় প্রশ্ন করেন, প্রস্তাব দিলে কোনো নায়িকাকে আপনি বিয়ে করতে চান?

জবাবে হিরো আলম বলেন, পপির কথাই বলি। 'খালি বলে বিয়ে করুম, বিয়ে করুম।' এখনও বিয়ে করতেছে না।

এ সময় কলকাতা থেকেও তাকে অনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হিরো আলম বলেন, না আমার স্ত্রী সন্তান আছে বিয়ে করব না।'

বিদায় নিলেন চার পুলিশ, পুরস্কৃত হলেন ২১জন

বগুড়া উত্তর ডটকম:  বিদায় নিলেন চার পুলিশ, পুরস্কৃত হলেন ২১জন !
- - - -  

ডিসেম্বর মাসের কার্যবিবরণীর আলোকে পেশাগত দক্ষতা মূল্যায়ন করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২১ জন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভুঞা বিপিএম। সেইসাথে চারজন পুলিশ সদস্যকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।


সোমবার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ১০টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় গত ডিসেম্বর মাসের দক্ষতা মূল্যায়ন করে সম্মাননা ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন পুলিশ সুপার।

এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী।

পুরস্কৃত (সম্মাননা ক্রেস্ট) পুলিশ সদস্যরা হলেন- শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ, গাবতলী থানার ইন্সপেক্টর সনাতন চন্দ্র সরকার, সদর ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন, বগুড়া সদর থানার এসআই রহিম উদ্দিন, এএসআই আব্দুস সালাম, শিবগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই রফিকুল ইসলাম, সান্তাহার ফাঁড়ির এএসআই রুস্তম ফারুক, উপশহর ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কুদ্দুস, সদর ট্রাফিকের সার্জেন্ট গোপাল চন্দ্র মন্ডল, ডিএসবি’র এসআই নজরুল ইসলাম, ডিবি’র এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম, মোকামতলা তদন্দ কেন্দ্রের এসআই শামীম আক্তার। 

অর্থ পুরস্কৃতরা হলেন- সারিয়াকান্দি থানার ছাম্মাক হোসেন, সদর থানার এসআই জিয়াউর, এএসআই সালাম, এএসআই শাহাদত হোসেন, এএসআই এরশাদ সরকার, শিবগঞ্জ থানার এএসআই মামুন, কাহালু থানার এএসআই মোজাম্মেল এবং এএসআই আতাউর।

বগুড়া জেলা পুলিশের এই মাসিক সভায় অবসরগমনকারী চারজন পুলিশ সদস্যকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। তাঁরা হলেন- মুখলেসুর রহমান, আব্দুল হামিদ, নুরুল ইসলাম এবং আব্দুর রাজ্জাক।


অনুষ্ঠিত সভায় পুরস্কার প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার) সফিজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, গাজিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আলমগীর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার। 

শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপার রোকসানা ইসলাম সুজানা’র সঞ্চালনায় পুলিশ লাইন্স কলেজের প্রিন্সিপাল শাহাদত আলম ঝুনু এবং ডাঃ অসীম কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন।


১০দিনের ব্যবধানে বগুড়ার গোকুলে আবারও যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ৫

বগুড়া উত্তর ডটকম: গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া): উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও গামী শ্যামলী পরিবহণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাস্থানের অদূরে গোকুল ইউনিয়নের সবুজ নার্সারীর সামনে এক অটো ভ্যানচালককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে দুমড়ে মুচড়ে যায়।  



এঘটনায় আহত হয়েছিল ১৫জন। এরই রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার (১৪জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া নামক স্থানে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পরপর এমন দূর্ঘটনায় সাধারণ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সম্পূর্ণ ফ্রিতে খাবার পাওয়া যায় যে হোটেলে

বিনামূল্যে খাবারের হোটেল! এমন কথা শুনলে অবাক হওয়ারই কথা। বর্তমান যুগে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। কিন্তু ক’জন এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন তা অজানাই থেকে যায়। 



যিনি এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি হলেন মরহুম আকবর আলী মিঞা। বিনামূল্যে খাবারের হোটেল তৈরি করে তিনিই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।সারাদিন হোটেলে উন্নতমানের খাবার বিক্রি করার পর রাতে গরিব, ভিক্ষুক, ভাসমান ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষদের মুখে বিনামূল্যে খাবার তুলে দেয়ার নজির স্থাপন করে আসছে সেই বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল।হোটেলটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আকবর আলী মিঞা। তার হোটেলে বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি রাতে দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে খাবার দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা চলবে বলে জানিয়েছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ 

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলটির কার্যক্রম চলছে। ভবিষ্যতেও এভাবেই চলবে।হোটেলটি বগুড়া শহরের কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত। হোটেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ৯৬ বছর ধরে শহরের ভিক্ষুক, গরিব, ভাসমান, ছিন্নমূল ও অভাবী মানুষকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে আসছে। শহরের নাম-পরিচয়হীন মানুষদের একবেলা ভালোমানের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

একেবারে আলাদা রান্না করে খাবার বিতরণ করা হয়। এ খাবারের জন্য প্রতিদিন শহরের অভাবী মানুষ হোটেলে ভিড় করে থাকে। বিনিময়ে কোনো শ্রম বা দাম নেয়া হয় না।অভাবী মানুষদের খাবার বিতরণ করে মরহুম আকবর আলী মিঞা এক অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। প্রায় শত বছর ধরে এ ধরনের সেবামূলক কাজ করে আসছে আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ।জানা গেছে, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আকবর আলী মিঞা তৎকালীন ভারতের মুর্শীদাবাদ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ভাগ্য অন্বেষণে সপরিবারে বাংলাদেশের পাকশী, সান্তাহার এবং পরে বগুড়ায় আসেন।

আকবর আলী মিঞা ভাইয়ের সঙ্গে মেকানিকের কাজ শুরু করেন। ওই সময় বগুড়া শহরে মুসলমানদের খাবারের কোনো হোটেল ছিল না। হিন্দু সম্প্রদায়ের হোটেলে মুসলমানরা যেত না। হিন্দুরা তাদের হোটেলের আসবাব মুসলমানদের ছুঁতেও দিত না।এ থেকেই হোটেল দেয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেন আকবর আলী মিঞা। কিন্তু হোটেল দেয়ার মত তার প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। হোটেল করার জন্য তিনি মিষ্টি তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি শুরু করেন। 

মিষ্টি বিক্রির পুঁজি নিয়ে শহরের চকযাদু রোডের মুখে মাসিক ৮ টাকা ভাড়ায় হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।বগুড়া শহরে সে সময় আকবর আলীর ছোট্ট পরিসরে হোটেল ছিল। মুসলমানদের একমাত্র খাবার হোটেল এটি। 

হোটেলের নাম-ডাক খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বগুড়ায় সে সময় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানে খদ্দেরের স্থান সংকুলান হতো না। পরে তিনি শহরের (বর্তমান) থানা রোডে হোটেলটি স্থানান্তর করেন। সে থেকেই আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল হিসেবে পরিচিতি পায়।চল্লিশ থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত তিনি তার হোটেলে মাসিক ১৫-২০ টাকায় তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দিতেন। সে সময় ঘি দিয়ে রান্না করা বিরিয়ানির দাম ছিল ১ টাকা প্লেট। বিদ্যুৎ না থাকলেও তিনি নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন।বগুড়ার সাদা সেমাইয়ের যে কদর দেশব্যাপী ছিল, তার মূলে ছিলেন আকবর আলী।

 সে সময় কলকাতা থেকে সেমাই আসতো বাংলাদেশে। এ অঞ্চলের মুসলমান বা সাধারণ মানুষকে অল্প দামে সেমাই খাওয়ানোর তাগিদে সেমাই তৈরি করেন তিনি। তাতে সফলও হন।ধর্মভীরু মানুষ আকবর আলী ব্যবসায় উন্নতি এবং প্রসারে ব্যাপক সফলতা পান। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রেখে আয়ের একটা অংশ দিয়ে প্রতিদিন রাতে ফকির-মিসকিনদের খাওয়াতেন তিনি। সেটা তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে গেছেন।

১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগে তিনি ছেলেদের হোটেলের আয় থেকে ফকির, মিসকিন, গরিবদের খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়ে যান। আজও সে কথার এতটুকু নড়চড় হয়নি। পিতার আদেশ মেনে তার ছেলেরা আজো তা পালন করে যাচ্ছেন।আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের এখন চারটি শাখা শহরেই। কবি নজরুল ইসলাম সড়কে আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল, ইয়াকুবিয়ার মোড়স্থ মিষ্টি মেলা, কোর্ট চত্বরে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও শজিমেক হাসপাতালে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। 

এসব শাখায় সংযোজন করা হয়েছে আবাসিক, বেকারি, চাইনিজ, থাই ও ফাস্টফুড, লাচ্ছা-সেমাই, দই। কর্মচারী রয়েছেন অন্তত সহস্রাধিক। আকবর আলীর সেই লাচ্ছা-সেমাই এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রফতানি হয়।বগুড়া শহরে ভিক্ষা করা ধুনট উপজেলার বৃদ্ধা ছমিরন নেছা সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে স্টেশনের পাশে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন। ১৮-১৯ বছর ধরে রাতে আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে যাচ্ছেন তিনি।

৬৫ বছরের বৃদ্ধ রমজান আলী বেপারী আয় রোজগার করতে পারায় আকবরিয়া হোটেলের খাবার খেয়ে থাকেন।মরহুম আকবর আলী মিঞার ছোট ছেলে ও আকবরিয় গ্রুপের পরিচালক মো. হাসান আলী আলাল বাবার নিয়ম পালন করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এক মণেরও বেশি চাল আলাদাভাবে রান্না করে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। 

রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হোটেলের সামনের রাস্তায় খাবার বিতরণ করা হয়।১৯১৮ সালের আগে আকবর আলী মিঞা প্রথম গরিব মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবার নিয়ম পালন করে যাচ্ছেন তার ছেলে।লত খাবার বিতরণ শুরু হয়েছিল মুসাফিরদের জন্য। কালক্রমে মুসাফিরের জায়গায় এখন দীনহীন মানুষকে খাবার দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে যে কেউ খাবার নিতে পারে।

বগুড়ায় অটো ভ্যান দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

বগুড়া উত্তর ডটকম: (আনোয়ার হোসেন, নামুজা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার পল্লীতে ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষক নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউপির রামপুর ভালুঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আফাজ উদ্দিন (৫৫) গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পার্শ¦বতী পিরব ইউপির সিহালীহাট থেকে বাজার করে ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান যোগে বাড়ী যাবার সময় পিরব মাঠপাড়া নামকস্থানে ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যানটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিচের জমিতে পড়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এসময় ভ্যানের যাত্রী শিক্ষক আফাজ উদ্দিন মাথায় প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাত সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।