স্পোর্টস রিপোর্টার : আগের দিন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে হাফসেঞ্চুরিতে ভালো কিছুর আভাস দিয়ে রেখেছিলেন আবদুল মজিদ ও পিনাক ঘোষ। তাদের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মার্শাল আইয়ুব, তাইবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ হাফসেঞ্চুরিতে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড জমিয়ে তুলেছে ওয়ালটন।
প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়েছেন ওয়ালটনের ব্যাটসম্যানরা। তাদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়ালটন সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৯৩ রান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৭১ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে ইস্ট জোন। আগামীকাল শেষ দিনে জয়ের জন্য ২৫৫ রান করতে হবে ইস্ট জোনকে।
বিপরীতে বাকি ৮ উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অপেক্ষায় ওয়ালটন। ২ উইকেটে ১৩৯ রানে দিনের খেলা শুরু করে ওয়ালটন। আগের দিন আবদুল মজিদের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করা পিনাক ঘোষ অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি।
৫২ রান নিয়ে খেলতে নেমে আজ এক রান যোগ করতেই মোহাম্মদ আশরাফুলের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৩৫ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করেন পিনাক। পিনাকের পর ওয়ালটনের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মার্শাল আইয়ুব। দৃঢ় লড়াইয়ে দলের সর্বোচ্চ ইনিংসটা এসেছে তার ব্যাট থেকেই। ৯২ বলে ১০ চারে ৭০ রানের ইনিংস খেলে আবু জায়েদের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
এছাড়া তাইবুর রহমান ৫৯, শাহদাত হোসেন ৩৩ এবং অধিনায়ক শুভাগত হোম ১৪ রান করে আউট হয়েছেন। বরাবর ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়া শহিদুল ইসলাম। ইস্ট জোনের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিজের দখলে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
এছাড়া আবু জায়েদ ও ফরহাদ রেজা প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন। ওয়ালটনের ছুঁড়ে দেওয়া ৩২৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই শামসুর রহমানকে হারায় ইস্ট জোন। ব্যক্তিগত ১১ রানে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে পিনাক ঘোষের হাতে ধরা পড়েন এ ওপেনার। এরপর দলীয় ২৫ রানে শাহাদাতের শিকার হয়েছেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। তবে দলটির হয়ে ওয়ানডাউনে নামা মাহমুদুল হাসান ২৩ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।