Monday, February 19, 2018

আপনার সিমটি 4G কিনা এখনই জেনে নিন

4G, Grameenphone, Robi, Banglalink, airtel, Bogra News

গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন থেকে *১২১*৩২৩২# ডায়াল করলেই ফিরতি বার্তায় সিমটি ফোরজি কি না, তা জানতে পারবেন। 

রবির গ্রাহকদের এ জন্য ডায়াল করতে হবে *১২৩*৪৪# ... ডায়াল করলেই ফিরতি বার্তায় সিমটি ফোরজি কি না, তা জানতে পারবেন। 

বাংলালিংকের গ্রাহকেরা মোবাইল ফোন থেকে 4G লিখে ৫০০০ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠালে ফিরতি বার্তায় ফোরজি সিমের বিষয়ে তথ্য পাবেন। 

টেলিটক তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য এখনো এ ধরনের কোনো সেবা চালু করেনি।

আমাদের নিউজ গুলো আপনাদের কেমন লাগে কমেন্ট করে জানাবেনধন্যবাদ 
........ ........ ........

না হলে আমি তখন নিজেই আত্মহত্যা করব : অপু

না হলে আমি তখন নিজেই আত্মহত্যা করব : অপু
না হলে আমি তখন নিজেই আত্মহত্যা করব : অপু

বিয়ে খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির দাম্পত্যে ভাঙন শুরু। যার চূড়ান্ত পরিণতি পাবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। 

সংসারের ভাঙন নিয়ে নিয়ে শাকিব-অপু পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। এবার একান্ত আলাপকালে অপু বিশ্বাস এ ভাঙনের জন্য সন্তানের জন্মকেই দায়ী করেছেন।   

এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, আমার আর উপায় ছিল না। আমি অনেকভাবে শাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বাচ্চার কথা বলেছি। 

শাকিব কোনো কিছুই মানতে রাজি ছিল না। তখন আমার নিজের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। আমার সন্তানের স্বীকৃতি ছিল না। 

একজন মা হিসেবে এর চেয়ে বেদনার আর কী হতে পারে। আমার কাছে উপায় ছিল না বলেই আমি গণমাধ্যমে এসে মুখ খুলেছি। 

এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।  বাচ্চাকে বড় করে কী বানাতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, না না না.. এমন কোনো স্বপ্ন এখনো দেখিনি। 

তবে এরকম ইচ্ছে আছে আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন, আমি যেন ওকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।   

'যে মানুষটা আমার শ্বশুর-শাশুড়ি শাকিবকে করতে পারেননি। আমি যদি আমার বাচ্চাকে সে রকম মানুষ না করতে পারি আল্লাহ যেন আমাকে ওই দিনই পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেন। 

আমি একটি কমিটমেন্ট করেছিলাম, তা রাখতে পারিনি, আল্লাহ যেন আমাকে উঠিয়ে নেন। না হলে আমি নিজেই আত্মহত্যা করব। 

কারণ, আমি আমার ছেলেকে মানুষ করতে পারিনি।' 
সুত্র : বিডি-প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব

"বড় ছেলে" "বেকার" -প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন

আবারও প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন 18/ফেব্রুয়ারি/2018
"বড় ছেলে" "বেকার" -প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন

বিনোদন ডেস্ক: বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয় করে জুটি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অপূর্ব ও মেহজাবিন।

ইউটিউবে এরইমধ্যে নাটকটি ১ কোটি ৩৯ লাখের উপরে দেখা হয়েছে। তাই এ জুটির দর্শকপ্রিয়তা নাটকের অন্যান্য জুটির চেয়ে একটু বেশিই।

বড় ছেলের পর আরো অনেক নাটকেই জুটিবদ্ধ হয়েছেন তারা। এর মধ্যে আরো একটি নাটক দিয়ে আলোচনায় এ জুটি।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ইউটিউবে প্রকাশিত হয় এ জুটির নাটক ‘বেকার’।  তরুণ মেধাবী নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ পরিচালিত নাটকটি মাত্র দুই দিনেই ১০ লাখ ভিউর মাইলফলক স্পর্শ করে।

মুক্তির চারদিনে নাটকটি এখনও পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৬ লাখেরও বেশি বার।  নাটকটি প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারো প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব-মেহজাবিন।

টিভিতে প্রচারের পর ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে নাটকটি। সেখানেও দর্শক নাটকটি দেখে ইতিবাচক মন্তব্য করছেন।

এ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, এতে জীবনের গল্প আছে, আবেগ-অনুভূতির গল্প আছে। এমন ভালো কাজের জন্য কষ্ট করতেও আনন্দ হয়।

এবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নাটকটি দর্শক পছন্দ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল।

মেহজাবিন বলেন, দর্শকদের কাছ থেকে আবারো দারুণ সাড়া পাচ্ছি। বিশ্বাস ছিল দুটি নাটকই দর্শকের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

কারণ স্ক্রিপ্ট পড়েই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। দুটি নাটকের গল্পই দারুণ ছিল। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্ররের আত্মহত্যার কাহিনী
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে


আত্মহত্যার কারন ডিপ্রেশন। পরীক্ষায় ফেল করেছে কয়েকবার। স্যারদের অপমান, হ্যাংলা পাতলা গায়ের রং নিয়ে বন্ধুরা হাসাহাসি করতো। 

ছয়তালা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  ভালো করেছে। এই নষ্ট সমাজ, নষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর একজিস্ট না করাই বেটার। রুমে সবার সামনে ছাত্রকে অপমান করতে পারা অনেক স্যারদের কাছে একটা বিকৃত আনন্দের বিষয়। 

ছেলেটা ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ, সাবজেক্ট বদল করতেও চেয়েছিলো।  আর জাতি হিসেবে আমরা রেসিস্ট। গায়ের রং নিয়ে আমাদের ভেদাভেদ করা, পচানো, কটূক্তি করা একটা ফ্যাশন। 

বৃটিশরা শাদা চামড়ার লোভ আমাদের রক্তের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে।  আর আমাদের দেশে টিচার স্টুডেন্ট রিলেশনশিপ? 

আমার সার্জারি ডিপারট্মেন্টে পারসেন্টেজ ছিলো না। আমি পুনরায় ক্লাস করতে চাই, জাস্ট এই পারমিশন নিতে আপ্লিকেশন নিয়ে ডিপার্টমেন্ট হেডের কাছে গিয়েছি। শ্রদ্ধেয় স্যার আমাকে গুনে গুনে ৬ বার বের করে দিয়েছে তার রুম থেকে। 

এইটা তার ক্রেডিট। হয়তো সে গল্প করতো, আমি এভাবে বের করে দেই। এভাবে নষ্ট হয়েছে এক মাস। শেষে গার্জিয়ান ডাকিয়ে বলেছিলো, 'এমন ছেলে আমার হলে সে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিতেন।' 

আব্বা খুব মন খারাপ করছিলো সেদিন। আমার পারসেন্টেজ কম সে কারনে না, আমাকে এই স্যারের সাথে প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে, এর হাতে প্রফ দিতে হবে এগুলো ভেবে। কেমন স্যার, যে ছাত্রর মৃত্যুর কথা বলে অবলীলায়?  

অথচ সেদিন যদি স্যার শুধু বলতেন, তুই চেষ্টা কর। তুই পারবি। কি এমন ক্ষতি হত?  আমাদের দেশের স্যারদের গুটিকয়েক পছন্দের ছাত্র থাকে। স্যাররা তাদের নিয়েই ভাবে সারাদিন। পিছিয়ে পড়া ছেলেটা হয়ে যায় বেমানান। খুবই অপছন্দের।  

কয়েকদিন আগেও শুনলাম এক মেয়ের কথা। মেডিকেল পড়ুয়া। আমার নিজের সিনিয়র ভাই আত্মহত্যা করেছে কমুনিটি মেডিসিনে টানা ফেল করে। আত্মহত্যার পরের দিন কমুনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট হেড এসে লেকচারে বলে, ' শুনলাম কে মারা গেছে, আর দোষ আমার ডিপার্টমেন্টের। 

চাপ না নিতে পারলে ভর্তি হয় কেন? আমি করিয়েছি ভর্তি?' কোন সহানুভূতি নেই কন্ঠে, কোন দুঃখবোধ নেই। মৃত্যুর পরও যাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়, বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে কি পরিমাণ অপমান সইতে হয়েছে তাহলে ? 

 সবাই ফাইট করতে পারে না। সবার মন এক না। আমি পেরেছি। সার্জারি ডিপার্টমেন্টের হেড এখন কাগজে কলমে আমার কলিগ। স্যারকে একদিন বলবো, স্যার, পা মাটিতে ফেলে দেইখেন একদিন। একটা দিন একজন ছাত্রের মাথা হাত রাইখা সাহস দিয়েন সামনে যাবার। 

 এগুলা খুন, আত্মহত্যা না। একটা ছেলের বা মেয়ের, মেডিকেল, ডিইঊ পর্যন্ত আসতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে ভেবে দেখেছেন? তার ফ্যামিলি কতটা কষ্টে এখানে এনেছে। বিনিময়ে কি পাচ্ছে? 

একটা জীবনের মুল্য। দে আর জাস্ট মারডারিং ইনোসেন্ট স্টুডেন্টস। প্রতিদিন মারছে, মানসিক ভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে ।  

ক্রেডিট: Tanzir Islam Bitto  
ছবিটিতে ছেলেটি বুলিং, র‍্যাগিং এর স্বীকার হওয়া অবস্থায় তুলেছে তারা তাকে নিয়ে মজা করার।  (তথ্যসূত্রঃ ফেসবুকে তার পরিচিত লোকজন) 
 #FROM_INBOX

হামরা মরার পর পাব সরকারের দেয়া বিধবা ভাতার কার্ড

আদমদীঘি প্রতিনিধি সাগর খান : সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইতে আওয়ামীলীগ সরকার যখন ব্যস্ত ঠিক তখন কেঁদে উঠলেন দুই বিধবা নারী.

আদমদীঘি-Bogra-News-bogra-আওয়ামীলীগ-সরকার
"হামরা মরার পর কি কার্ড পাব" ? এই অকুতি দুই বয়স্ক নারীর

হামরা মরার পর পাব সরকারে দেয়া বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড কেউ হামাকরোর একটা কার্ড করে দিচ্ছে না এই কথাগুলো প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন, বগুড়ার আদমদীঘির জিনইর বাউস্ত পাড়া গ্রামের দুই বিধবা নারী।  

কেউ  আামাদের কথা শোনে না কাকে বললে কার্ড হবে। একাধিকবার মেম্বারের কাছে ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয়নি। 
জানা যায়, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের জিনইর গ্রামের বাউস্ত পাড়ার মৃত করিম প্রামানিকের বিধবা স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭১), তার স্বামী করিম উদ্দীন ১৬/১৭ বছর পূর্বে মারা যায়। 

এরপর সুফিয়া মানুষ সেবায় বাড়ী বাড়ী ঝিয়ের কাজ করেন। তার ৭১ বছর বয়স হলেও অদ্য বধি পর্যন্ত তার নামে কোন বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ড জুটলো না। 

একই পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী জইদা বেওয়ার (৭৩) তার স্বামী আবুল হোসেন মারা যায় ১৩/১৪ বছর পূর্বে তার কপালেও জুটলো না বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড। 

এই দুই নারী বয়স্ক বা বিধবা ভাতা কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। বিধবা সুফিয়া বেওয়া ও জইদা বেওয়া এই প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িন কন্ঠে আবদার করেন হামা করোর একটা কার্ড সরকার দিবে না।  

তাদের কাছে জনপ্রতিনিধির কথা বললে তারা জানায়, কত বার মেম্বার চেয়ারম্যান কে বলেছে কার্ড দেয় না এমনকি গ্রামের মেম্বার কে ছবি আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়েছি তবু কোন কার্ড করে দেয় নি। 

হামরা মরার পর কি কার্ড পাব ? এই অকুতি দুই বয়স্ক নারীর। 

এ ব্যাপারে আদমদীঘি সমাজ সেবা অফিসার শরিফ উদ্দীন জানান, চলতি বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রদানের আগে মাঠ পর্যায়ে মাইকিং করে যাচাই বাচাই করে ভাতা প্রদান করা হবে। 

বিধবা ভাতা সর্ম্পক জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম নীতি অনুসারে সে বিধবা ও গরীব হতে হবে, বয়সের কোন ব্যবধান নেই।
তথ্য সুত্র : বগুড়া সংবাদ 

বগুড়ায় ফেন্সিডিল সহ গ্রেপ্তার-২

বগুড়ায় ৪র্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর এক অভিযানে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সহ মোঃ রফিকুল ইসলাম রতন (৪০) ও ছগীর হোসেন হাওলাদার (২৮) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Bogra News, Bogra, বগুড়া আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ফেন্সিডিল, আটক

রফিকুল ইসলাম লালমনিরহাটের উত্তর বত্রিশ হাজারী,কালিগঞ্জ এলাকার আলিমুদ্দিনের ছেলে এবং ছগীর হোসেন হাওলাদার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দাওয়া গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে ।  

৪র্থ এপিবিএন’র একটি দায়িত্বশীল জানায় , গত শনিবার রাতে সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে ব্যটালিয়নের একটি বিশেষ টিম শহরের জয়পুরপাড়া এলাকায় চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে 

লালমনিরহাট হতে ঢাকা গামী হাজী সরকার পরিবহন (নং- ঢাকা মেট্রো- ব-১১-৯০৮৩ )নামক একটি যাত্রীবাহি বাসটি তল্লাশী করে । 

এসময় সেখান থেকে মোট ৮০ বোতল আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ।  এ সংক্রান্তে বগুড়া জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সূত্র-এফএনএস

Sunday, February 18, 2018

বগুড়ায় র‌্যাব’র অভিযানে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনায় চক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়ায় র‌্যাব’র অভিযানে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র  ফাঁস ঘটনায় চক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার 

বগুড়ায় র‌্যাব’র অভিযানে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনায় চক্রের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার


বহুল আলোচিত দেশব্যাপী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনায় বগুড়ায় এক অভিযানে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জরিত থাকার অভিযোগে রবিউল আলম (১৯) নামের চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) । 

গ্রেপ্তারকৃত রবিউল আলম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার শিবপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে এবং গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র। অন্যদিকে পলাতক সোহান পারভেজ গোপালগঞ্জের একই কলেজের ছাত্র ।  

১৮ ফেবরুয়ারী (রোববার)দুপুর দেড়টার সময় বগুড়া র‌্যাব-১২ কোম্পানী সদরে আয়োজিত একপ্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

 তিনি জানান ,সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন এক সংবাদের ভিত্তিতে শহরের জহুরুল নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিউল আলমকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা।  

মেজর মোর্শদ বিষয়টি নিশ্চিত করে আরো জানান , একই এলাকার সোহান পারভেজ নামের এক ব্যাক্তি প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত একটি চক্রের প্রধান বলে গ্রেপ্তারকৃতর স্বিকারোক্তি মূলক জবান বন্দিতে র‌্যাব প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে। 

তিনি জানান, চক্রটি নিদিষ্ট পরীক্ষার আগের দিন এসএসসি পরীক্ষার লিখিত প্রশ্নফাঁস করে প্রথমে হাতে লিখে। এরপর তাদের এজেন্টর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের অ্যাগ্লিকেশনের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে।পরে তাদে দেয়া বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয় । 

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, একইভাবে পরীক্ষা শুরু এক ঘণ্টা আগে এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তরসহ ফাঁস করে চক্রটি।গ্রেপ্তারকৃত রবিউল গোপারগঞ্জ থেকে বগুড়ায় এসেছিল ওই কাজেই ।  

শেষ খবর পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত রবিউল আলমের দেয়া তথ্যমতে চক্রের মূলহোতা সহ চক্রের অন্যন্য সদস্যদের আটকের জন্য র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মেজর এসএম মোর্শদ হাসান।  

সংবাদ সুত্র: এফএনএস থেকে সংগৃহীত -

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা। 

বগুড়ায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা

ঘটনাটি দু’টি ঘটেছে শনিবার ভোরে বগুড়ার শহরের দক্ষিন কাটনারপাড়া (বাদুড়লা) ও নন্দিগ্রামে ।  

নিহত ফারাদিন হক(১৫) বগুড়া শহরের বড়গোলা টিনপট্রি এলাকার কোটিপতি ব্যবসায়ী ও দক্ষিন কাটনারপাড়া (বাদুড়তলা) এলাকার বাসিন্দা ,

বগুড়া চেম্বরের সদস্য কোটিপতি আলহাজ এমদাদুর হক মাসুমের ছেলে এবং বগুড়া চেম্বার এন্ড কমার্স এর পরিচালক এনামুল হক দুলালের ভাতিজা ।  

সে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও পরে বগুড়া সেন্ট্রাল স্কুলে ১০ শ্রেণী অধ্যায়নরত করছিল । আগামী বছর তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবার কথা ছিল । এদিকে ফারদিন এর আত্মহত্যার কারন সমপর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

ফারদিন হক শনিবার ভোরে বাবার সাথে মসজিদ থেকে ফযরের নামাজ পড়ে বাসায় আসে। এর কিছু সময় পর সে নিজের ঘড়ে গ্যাস ট্রাবলেট খেয়ে অশুস্থ হয়ে পড়ে । 

মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকের কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।  

বাদ আসর জানাজা নামাজ শেষে শহরের শৈলেনপাড়া পারীবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় । এঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।  

এদিকে নিহতের একটি ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , ফারদিন হককে শনিবার ভোরে বেশ কিছু সময়ে ফেসবুকে অবস্থান করতে দেখা গেছে । ধারনা করা হচ্ছে সে এর পরেই কোন কারনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। 

গ্যাস ট্যাবলেটের বিষয়টি নিহতের ঘনিষ্টজনেরা জানালেও তার আত্মহত্যার প্রকৃত কারন সমপর্কে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে পৃথক এক ঘটনায় নন্দিগ্রামে মানিক মিয়া (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। 

উপজেলার ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে স্থানীয় কোশাষ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল। 

মানিক মিয়া শুক্রবার রাতে খাবারের পর ১০ টার দিকে শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি(শনিবার ) ভোর ৫ টার দিকে তাকে ছটফট করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। 

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। সে সবার অজান্তেই গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছিল বলে তার পরিবার জানায়।  

এ বিষয়ে ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ওই পরিবারের কিছুটা আর্থিক সঙ্কট ছিল। এছাড়াও তার পরীক্ষা ভালো হয়নি এমন শঙ্কায় সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
সংবাদ সংস্থা এফএনএস থেকে সংগৃহীত -