বাংলাভাষার কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাঙালির গৌরবের নাম তাই
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান কবির স্মৃতিধন্য। কুষ্টিয়ার
কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ গ্রাম কবির ব্যক্তি, কর্ম ও কাব্যজীবনের
অনেকাংশের সাক্ষী হয়ে আছে। পদ্মা ও গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এই কুঠিবাড়ি
কবির উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের সুতিকাগার বলা চলে।
কবির বিভিন্ন রচনার
প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে কবির বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে
নিভৃত পল্লী শিলাইদহের নাম সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। শিলাইদহের মুগ্ধকর পরিবেশে
কবি বহু প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প রচনা করেছেন। তাঁর এসব লেখনীর মধ্যে সোনার
তরী, মানসসুন্দরী, উর্বশী, চিত্রা, ক্ষনিকা, গীতাঞ্জলীসহ অনেক গান ও কবিতা
নিভৃত এই পল্লীর পরিবেশেই রচিত হয়েছিল।
১৮৯১ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী পরিচালনার জন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। এই কুঠিবাড়ি থেকে তিনি পতিসর ও শাহজাদপুরের জমিদারিও দেখাশুনা করতেন। এখানে আসার পর শিলাইদহ গ্রামের ছায়াঘেরা অপরূপ দৃশ্য এবং পদ্মা-গড়াই নদী কবিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। শিলাইদহ গ্রামে কবি রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ এবং কৃষিবিদ রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব এক বিচিত্র সমন্বয় ঘটেছিল।
১৮৯১ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারী পরিচালনার জন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে আসেন। এই কুঠিবাড়ি থেকে তিনি পতিসর ও শাহজাদপুরের জমিদারিও দেখাশুনা করতেন। এখানে আসার পর শিলাইদহ গ্রামের ছায়াঘেরা অপরূপ দৃশ্য এবং পদ্মা-গড়াই নদী কবিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। শিলাইদহ গ্রামে কবি রবীন্দ্রনাথ, জমিদার রবীন্দ্রনাথ এবং কৃষিবিদ রবীন্দ্রনাথের অপূর্ব এক বিচিত্র সমন্বয় ঘটেছিল।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে পদ্মা নদীর তীরে বড় বড় নীলকুঠি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সময় নীলের ব্যবসা ছেড়ে সাহেবরা চলে গেলে নীলকুঠির নিচতলা জমিদারির কাচারি ঘর হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীকালে নদীর ভাঙনে ওই নীলকুঠি বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ১৮৯২ সালে পদ্মার তীর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শিলাইদহ গ্রামে ৩২ বিঘা জায়গা নিয়ে তিনতলার বর্তমান কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
১৮৯১ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি
পরিচালনার জন্য কবি শিলাইদহ গ্রামে থেকেছেন। পদ্মা-গড়াইয়ের মধ্যবর্তী স্থান
ছিল ঠাকুর পরিবারের জমিদারি এস্টেট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ
দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৯ সালে এই জমিদারি ক্রয় করেন। এই গ্রামের প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য ও জনজীবন অবলোকন করে কবি অনেক রচনা লিখেছেন।
৩২ বিঘা জায়গা ঘিরে পৌনে চার বিঘা জমির উপর ঢেউ আকৃতির প্রাচীরবেষ্টিত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি প্রতিষ্ঠিত। তিনতলা এই কুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮টি। এর নিচতলায় ৯টি কামরা, দোতলায় ৭টি ও তিনতলায় দুটি কামরা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮০টিরও অধিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহূত খাট, ইজি চেয়ার, লেখার টেবিল, স্পিড বোট, দুই বেহারার পালকি, ঘাষ কাটা মেশিন, গদি চেয়ার, নৌকাসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুঠিবাড়ি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানকার জমিদারির হাত বদল ঘটে। পরে ঢাকার ভাগ্যকূল জমিদার শিলাইদহের এস্টেট কিনে নেন। এরপর ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের মালিকানায় আসে।
উল্লেখ্য, শিলাইদহ থেকে জমিদারি ছেড়ে যাওয়ার পরও কবি বেশ কয়েকবার শিলাইদহে এসেছেন। কবির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনই এই কুঠিবাড়িতে প্রাণের টানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। প্রতি বছরের মত এবারো কবির জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে শিলাইদহে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবির জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
৩২ বিঘা জায়গা ঘিরে পৌনে চার বিঘা জমির উপর ঢেউ আকৃতির প্রাচীরবেষ্টিত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি প্রতিষ্ঠিত। তিনতলা এই কুঠিবাড়ির কামরার সংখ্যা ১৮টি। এর নিচতলায় ৯টি কামরা, দোতলায় ৭টি ও তিনতলায় দুটি কামরা রয়েছে। কুঠিবাড়িতে কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮০টিরও অধিক বিভিন্ন দুর্লভ ছবি ও কবির ব্যবহূত খাট, ইজি চেয়ার, লেখার টেবিল, স্পিড বোট, দুই বেহারার পালকি, ঘাষ কাটা মেশিন, গদি চেয়ার, নৌকাসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কুঠিবাড়ি দেখাশুনার দায়িত্বে রয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এখানকার জমিদারির হাত বদল ঘটে। পরে ঢাকার ভাগ্যকূল জমিদার শিলাইদহের এস্টেট কিনে নেন। এরপর ১৯৫২ সালে জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি সরকারের মালিকানায় আসে।
উল্লেখ্য, শিলাইদহ থেকে জমিদারি ছেড়ে যাওয়ার পরও কবি বেশ কয়েকবার শিলাইদহে এসেছেন। কবির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনই এই কুঠিবাড়িতে প্রাণের টানে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। প্রতি বছরের মত এবারো কবির জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে শিলাইদহে ২৫, ২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনব্যাপী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবির জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।