Saturday, January 12, 2019
বগুড়ার এরুলিয়া পলিবাড়ী সরকারপাড়া জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
Friday, January 11, 2019
বগুড়ায় ১২ বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার ২
বগুড়া উত্তর ডটকম : বগুড়ায় এবার নারী মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় আরেকটি নাম যুক্ত করলো উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি। ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন নারী।
উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এস আই আব্দুল কুদ্দুস, এএসআই মেহেদী হাসান, মহুবার রহমান, এটিএসআই সোহেল রানা ও আনিস সহ একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার বগুড়া সদরের রামশহর ও হাজরাদিঘী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে।
তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের রামশহর পশ্চিম পাড়া এলাকার জনৈক আবেদ আলীর পুত্র রেজাউল করিম (২৯) ও হাজরাদিঘী আকন্দপাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শামিম এর স্ত্রী চম্পা বেগম (২২)।
কাহালুর নাগর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটার মহোৎসব
বগুড়া উত্তর ডটকম, কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু, শিবগঞ্জ ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরীত সেই ছোট নাগর নদীতে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও ড্রেজার দিয়ে মাটিকাটার মহোৎসব চলছে।
নদীর আশে-পাশের মানুষ ফসলী জমি এবং বসত বাড়ির ক্ষতির আশঙ্কায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মতো অনেক কর্মসূচী পালন করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন এবং মাটিকাটা।
অবৈধভাবে যারা দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বালু উত্তোলন ও মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আইগত কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে প্রতি বছর ক্ষতির মুখে পড়ছেন এই নদীর তীরবতী মানুষ। প্রতি বছরই আমন মৌসুমে চাষিরা পড়েন মহাবিপাকে।
বিভিন্নভাবে তথ্য নিয়ে ও সরোজমিনে দেখা গেছে কাহালু উপজেলার কালীতলা, শিবতলা, ঘোন কালাই, আটালিয়া, কাশ্মিমালা, ঝিনাই ও টিটিয়াসহ নাগর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটছে। তারা ১৫/২০ ফিট গভীর করে ট্রাকে ট্রাকে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।
এই মাটি গুলো যাচ্ছে আশে-পাশের ইটভাটা গুলোতে। আর বালু বিক্রি করছে যারা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের কাছে। ইতিপূর্বে মদনায় গ্রামের মানুষ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়াসহ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মতো কর্মসূচী পালন করেছে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটা বন্ধের জন্য। তারপরেও বন্ধ হয়নি নাগর নদী থেকে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরাফাত রহমান জানান, নির্বাচনের কারনে অভিযান কিছুটা শিথিল ছিলো। নাগর নদী থেকে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটা বন্ধে শিঘ্রই অভিযান চালানো হবে।
Thursday, January 10, 2019
বগুড়ায় শুরু হয়েছে নয় দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা
বগুড়ার ধুনট পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে নয় দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে পৌরসভার পূর্বভরনশাহী গ্রামে এ ইজতেমা শুরু হয়।
টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে এবারই প্রথম ধুনট পৌর এলাকায় এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন করেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান।
এ দিকে বুধবার বিকাল থেকেই মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। ইজতেমার আশপাশে মুসল্লিদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের দোকানপাটও গড়ে উঠেছে।
ইজতেমার সূরা সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নয় দিনব্যাপী দেশ ও বিদেশের ওলামায়ে একরামগণ কুরআন ও হাদিসের আলোকে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বয়ান করবেন।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য পৌর মেয়র এজিএম বাদশাহ্ জানান, ইজতেমায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে চাঁদ, জর্ডান, তিউনিশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের বিদেশি মুসল্লিগণ এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিগণ জামাত বন্দি হয়ে অংশ নিচ্ছেন। ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লি এবং মহিলাদের জন্য পৃথক থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
শনিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ আঞ্চলিক ইজতেমা। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, ইজতেমা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গ্রুপ অ্যাডমিনদের অর্থ আয়ের সুবিধা দিচ্ছে ফেসবুক
ধুনটে দেশী-বিদেশী মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত বিশ্ব ইজতেমার ময়দান
তিনি তার বয়ানে ঈমান ও আমল মজবুত করতে মুসল্লিদের হযরত মোহাম্মদের (সা:) সুন্নত ও আদর্শ নিয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় বের হওয়ার আহবান জানান। এছাড়া বাদ আছর মাওলানা রেজাউল করিম সাহেব এবং বাদ মাগরিব ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব বয়ান করেন। এসময় মুসল্লিদের সুবাহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবর ধ্বনীতে মুখরিত হয় ইজতেমা ময়দান। শনিবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
বগুড়ার রানার প্লাজা প্রথম তালায় অপ্সরী ফ্যাশানে চুরি (ভিডিও সহ)
বগুড়ার রানার প্লাজা প্রথম তালায় অপ্সরী ফ্যাশানে চুরি
.. সবাই সাবধানে থাকুন এই কামনায়।
... ভিডিও দেখুন এখানে
বগুড়ার শেরপুরে ‘ভূতের বাড়ি’র সন্ধান, রাত হলেই বিছানাসহ উল্টে যায় খাট!
শেরপুর একবিংশ শতাব্দির এ যুগে পৃথিবী যখন এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে সমান তালে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবেশ করেছে ডিজিটাল যুগে, যেখানে বিশ্ব মানুয়ের হাতের মুঠোয়। এই ডিজিটাল যুগে ভুতপ্রেত বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায়না। অথচ বর্তমান সময়ে এমন একটি ভৌতিক বাড়ীর সন্ধান মিলেছে বগুড়ার শেরপুরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর-নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক সড়ক ধরে কিছুদুর এগিয়ে গেলে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের বানিয়া গোন্দাইল গ্রাম। এই গ্রামের শুরুতেই রাস্তার ডান পাশে চোখে পড়ে টিনসেড একটি সেমি পাকা বাড়ি। বাড়িটির দরজা জানালা সম্প্রতি খুলে ফেলা হয়েছে। লোকমুখে এই বাড়িটি স্থানীয় লোকজনের কাছে ভুতের বাড়ি নামে পরিচিত।
ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি এলাকার সিরাজ আকন্দ প্রায় ৬-৭ বছর আগে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাড়িটি নির্মাণের পর থেকেই সিরাজ আকন্দ পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। কিন্তু ২-৩ দিন থাকার পর রাতে বিছানায় ঘুমাতে গেলে অদৃশ্যভাবে বিছানাসহ খাট উল্টে যায় এবং পানি ঝড়তে থাকে। এভাবে কয়দিন দেখার পর ভীত হয়ে তারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করায় বর্তমানে এই বাড়িটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বাড়িটির আশে পাশে বসবাসরত লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ ওই বাড়ির ভিতর থেকে অদ্ভুদ কিছু শব্দ শুনা যায়, গভীর রাতে ওই পথ দিয়ে চলাচলরত লোকজন প্রায়ই বিভিন্ন পশু দেখতে পায় এবং তা মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়ে যায়। এছাড়াও উক্ত বাড়ীর ভেতর এক ঘরের জিনিসপত্র অন্যঘরে কে বা কারা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অনেকেই বলেছেন। বর্তমান বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী ও মো. সামছুল আলমসহ অনেকের সাথে কথা বললে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন জানান, ‘ধুনটের গোসাইবাড়ী এলাকা থেকে এসে সিরাজ আকন্দ নামের এক ব্যাক্তি বাড়িটি নির্মাণ করার পর বসবাস শুরু করলেও তিনি কথিত ভুতের উপদ্রপে বাড়িটিতে থাকতে পারেননি। পরে সেখানে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা করলেও ছাত্ররা ভূতের উপদ্রবে থাকতে পারেনি। তাই এখন বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক সিরাজ আকন্দ বলেন, “ওখানে বাড়ি করে বসবাস করতে চেয়েছিলাম কিন্তু রাতের বেলায় মনে হয় খাট বিছানা উল্টে যায়। ভয়ে আমার পরিবার নিয়ে চলে এসেছি। পরে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা করেও তারা থাকতে পারেনি।”