Saturday, September 22, 2018

বগুড়ায় রেলসেতু ডেবে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া ও সৈয়দ আহম্মদ কলেজ রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী মধ্য দিঘলকান্দী গ্রামের চকচকিয়া ব্রীজের পিলারের নিচে মাটি ধ্বসে গেছে। এতে রেল সড়ক বেঁকে যাওয়ায় বেলা ১১টা থেকে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 



ফলে উত্তরের লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলার ট্রেন যাত্রীরা মহা দূর্ভোগে পড়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দূর্ঘটনার আশংকায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর থেকে বগুড়ার সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ব্রীজের নিকট এসে দূর্ঘটনার আশংকায় ভেলুরপাড়া রেল স্টেশনে ফেরত নেওয়া হয়। 

লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনও সোনাতলা স্টেশনে দুপুর ১টা থেকে থেমে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রেল বিভাগের কর্মচারীরা ট্রেন চলাচল সাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

সরেজমিনে দুপুর ডেরটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলওয়ে কর্মচারীদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে উর্দ্ধতন কোনও কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষনের মধ্যেই কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে আসবেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছে। সোনাতলা স্টেশন মাষ্টার আব্দুল হামিদ জানান, রেল সড়ক বেঁকে যাওয়ায় ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনও দুপুর ১টা ৯মিনিট থেকে সোনাতলা স্টেশনে থেমে রাখা হয়েছে।


ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর আলম, জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডলসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। রেলেয়ের কর্মকর্তারা আমাদের কে জানিয়েছেন, তারা কাজ শুরু করেছেন। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

বগুড়ায় ৩১ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া:  আর মাত্র দেড় থেকে দুই মাস পরেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতেই শিক্ষার্থীদের বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা।



কিন্তু বন্যার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেমন বিপাকে পড়েছে তেমনি অভিভাবকরাও এ দুর্যোগ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বগুড়া জেলার ৩টি উপজেলায় ৩১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, যমুনা নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল বেষ্টিত এই তিনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সারিয়াকান্দি উপজেলা।

এই উপজেলায় সোমবার পর্যন্ত ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১টি ও মাধ্যমিক একটি। সোনাতলা উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে ধুনট উপজেলায় ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।


সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, উপজেলায় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ১০টি বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে প্লাবিত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের উঁচু স্থানে কোনো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। 

বিশেষ করে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদানের চেষ্টা চলছে। এই উপজেলায় মাধ্যমিকে কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। 

সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুগুমারী এলাকার বাসিন্দা ও এক স্কুলছাত্রের অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার বাকি আর মাত্র দেড়মাস। আর এখনোই বন্যার কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। তারা ভালো ফলাফল করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। শিক্ষকদের উচিৎ এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার। লিমন বাসার/আরএ/জেআইএম

টাঙ্গাইলে "বিডি ক্লিন" এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু




রবিউল ইসলাম : ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার ২০১৮ইং টাঙ্গাইল। বিডি ক্লিন একটি অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই সংগঠনের শাখা রয়েছে। তারা প্রতি সপ্তাহে একটি করে ইভেন্ট পরিচালনা করে থাকেন, তারই অংশ হিসেবে শহরের নিরালা মোড় থেকে নিউ মার্কেট এলাকা পর্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালান করেন। 


ইভেন্ট শুরু করার আগে শপথ পাঠ ও নতুন সকল সদস্যদের একটি করে টি শার্ট বিতরণ করা হয়| বিডি ক্লিন টাঙ্গাইল এর জেলা সমন্বয়ক, শাহীন চাকলাদার বলেন, আমরা এই শহরটাকে সব সময় পরিচ্ছন্ন দেখতে চাই কেউ যেনো যত্রতত্র একটি ময়লা আবর্জনা না ফেলেন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ইভেন্টের আয়োজন করা হবে । 



যে কেউ চাইলে আমাদের সাথে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। উক্ত ইভেন্ট পরিচালানার দায়িত্ব রয়েছেন টীম লিডার, মাসুদ পারভেজ বিকাশ, নাফিজুল ইসলাম রানা এবং রবিউল ইসলাম।

উল্লেখ্য ‘বিডি ক্লিন‘ রাজধানী শহর ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে জেলা শহরে অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

Wednesday, September 19, 2018

ওজন কমানোর তিন সহজ উপায়

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। না খেয়ে থাকাসহ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেন অনেকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে না পারেন তাহলে আগের পরিকল্পনাগুলো ছেড়ে দিন। নিতে পারেন নতুন কোনো পদ্ধতি। আপনার খাওয়া কমিয়ে দিন। তবে কখনোই না খেয়ে থাকবেন না। আপনি ৩ বেলা খাবারকে ৫ বা ৬ বেলা করে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরও আগের চেয়ে ভালো থাকবে। 

ওজন কমানোর তিনটি কার্যকরী উপায়। 

১. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন, তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে কাজ করুন। চর্বি কমানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো পানি পান করা। বিশেষ করে হালকা গরম পানি। বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। এটি পেট মোটা হওয়া কমাবে।

 এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রথম সপ্তাহে ১০ পাউন্ড বা তারও বেশি ওজন কমানো সম্ভব। এতে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন কমবে। এর ফলে আপনার কম ক্যালরিযুক্ত খাবারে অভ্যাস তৈরি হবে। সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। চর্বি কমানো এ পদ্ধতি সহজভাবেই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় কথা শর্করাজাতীয় খাবার এবং স্টেক খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।


 ২. খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন।

আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার যুক্ত করুন যাতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার খাবারের তালিকায় একটি প্রোটিনযুক্ত খাবার, একটি চর্বিযুক্ত এবং সবুজ শাকসবজি রাখুন। পুষ্টির এ উপকরণগুলো রেখে প্রতিদিন ২০ থেকে ৫০ গ্রাম রাখুন। আপনার খাবারের তালিকার প্রোটিনের উৎসগুলোও রাখুন। এগুলো হলো গরু ও মুরগির মাংস, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ এবং ডিম।

 ওজন কমানোর সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত না। উচ্চ প্রোটিন আছে এমন ৬০ শতাংশ খাবার বাদ দিলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। রাতে ঘুমানোর আগে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমালেও একটি জিনিস আপনাকে মানতে হবে। প্রোটিন হলো পুষ্টির রাজা। ফুলকপি, টমেটো, পাতাকপি, লেটুস পাতা, শসা ইত্যাদি কম কার্বনযুক্ত সবজি। আপনি কম কার্বনযুক্ত উপকরণ দিয়ে প্লেট ভর্তি করে ফেলেন।

 এ উপকরণগুলো দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ খাবার খেলেও ওজন বাড়বে না। মাংস, মাছ, সবজি, ভিটামিন এবং খনিজ খেলে আপনার শরীর ভালো থাকবে। প্রতিদিন আপনি ৫ থেকে ৬ বার খাবার খান। যখনই আপনি নিজেকে ক্ষুধার্ত মনে করবেন, তখনই খাবার গ্রহণ করুন। ওজন কমাতে চাইলেও আপনি চর্বি খেতে ভয় পাবেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিদিন আপনার খাবারের তালিকায় পরিপূর্ণ পুষ্টি উপকরণ রাখুন।

 ৩. ব্যায়াম করতে পারেন। এটি খুবই কার্যকর। সপ্তাহে আপনাকে দুই থেকে তিনবার জিমে যেতে হবে। শুধু গিয়ে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামগুলোও করতে হবে। যদি জিমে নতুন যাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রথম দিনেই কষ্টকর ব্যায়াম করা উচিত নয়। এতে উল্টো ফল হতে পারে। তাই ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তাহলে আপনি যার জন্য ব্যায়াম করবেন সেই ফলটা পাবেন। সূত্র: হেলথলিংক

৮-০ গোলে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও বিশাল ব্যবধানে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা। ৮-০ গোলে হারতে হয় লেবাননকে। 
৮-০ গোলে লেবাননকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরাআজ বুধবার বেলা ১১টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। খেলা শুরুর ১৪ মিনিট পর মনিকার বাড়ানো বল গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন সাজেদা।
এর ফলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০ মিনিটের মাথায় ফের জটলার মধ্যে থেকে সাজেদার পাসে তহুরার শট গোলকিপারের গায়ে লাগার পর ডিফেন্ডার মারিয়া ইসলামের পায়ে লেগে প্রতিপক্ষের জালে জড়ায়। এতে গোল ব্যবধান দ্বিগুন হয়। এর ঠিক তিন মিনিট পর লেবাননের জালে ফের বল জড়ান তহুরা।  আখিঁ খাতুনের লম্বা করে বাড়ানো বল তহুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন। এতে স্কোরলাইন দাড়ায় ৩-০। 
২৬ মিনিটের মাথায় আবারও আখিঁর বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের ভিতরে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোল করেন আনাই মোগিনী। ১৪ মিনিট পর আবারও আক্রমণে আসেন আখিঁ। তার বাড়ানো বল থেকে আসে পঞ্চম গোল। 
পাঁচ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৪৭ মিনিটে ষষ্ঠ গোল তুলে নেয় শামসুন্নাহার জুনিয়র। এবার তিনি প্রতিপক্ষের গোলকিপারের পাশ দিয়ে এবার লক্ষ্যভেদ করেন। ৬৩ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা সুলতানার নিচু ক্রসে সাইড ভলিতে আবারও জাল কাঁপান শামসুন্নাহার। ৭০ মিনিটে ইলা মনির মাইনাসে রোজিনা আক্তার ফের প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান। এতে স্কোর দাড়ায় ৮-০। এর পর আর কোনো গোল করতে না পারলেও বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। অপরদিকে লেবানন লজ্জাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
জানা গেছে, এর আগে বাহরাইনকেও ১০-০ গোলে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল এই মেয়েরা।

Tuesday, September 18, 2018

আদমদীঘিতে বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রি, কৃত্রিম সংকেট কৃষক

বগুড়ার আদমদীঘিতে চলতি আমন মৌসুমে কিছু অসাধু ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া সার সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে সার বিক্রি করছে এমন অভিযোগ উঠেছে। কতিপয় অসাধু ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ঘরে সার নেই, জমাট বাঁধানো সার বলে কৃত্রিম সংকট করে এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের ঠকিয়ে তাদের নিকট বেশি দামে সার বিক্রয় করছে। ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীরা সরকারি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করেই এ সব জমাট বাঁধানো বিভিন্ন কোম্পানীর ইউরিয়া সার প্রতি বস্তায় ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রয় করে আসছে।
ফলে জমাট বাঁধানো সার বেশি দামে ক্রয় করে প্রতারিত ও আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে এলাকার কৃষকরা। তাছাড়া জমাট বাঁধা সারের গুণগত মান নিয়েও দেখা দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। এ সব সার জমিতে প্রয়োগ করে কোন ফল পাচ্ছে না কৃষকরা। আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য উপজেলায় বিসিআইসির ডিলার রয়েছে মোট ১০ জন ও সাব-ডিলার (কার্ডধারী সার ব্যবসায়ী) রয়েছে প্রায় ১৮ জন এবং কার্ডধারী কীটনাশক বিক্রেতা রয়েছে পাইকারী ১৭, খুচরা ১৪৭ জন।
ফলে বাজারে সারের কোন সংকট নেই। তবে খুচরা সার ব্যবসায়ীরা বেশী দাম ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে কৃষকরা অভিযোগ তুলেছেন। বিএডিসি ১৫ জন বিসিআইসি ১০ খুচরা ৫৫ জন। এলাকার কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিদেশী চায়না, সৌদি/আবুধাবি, আমেরিকা থেকে আমদানী করা বিভিন্ন প্রকারের ইউরিয়া সার হওয়ায় বিপাকে ও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকরা আরোও বলেন যত প্রকারেরই সার হোক না কেন সরকারের বেঁধে দেয়া দাম তো একই।
তাছাড়া সারে বিভিন্ন ভেজাল ও ডিএপি বাংলাদেশী সারের বস্তায় ৪/৫ কেজি ওজনে কম দিয়ে নিজস্ব সেলাই মেশিনে সেলাই করে প্রতি বস্তা ৫০ কেজি স্থলে ৪৫ কেজি বিক্রয় করে থাকে এমন অভিযোগও রয়েছে। খোদ ডিলাররা এ সব সারের বস্তা সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্য ৮০০ টাকার ইউরিয়া সার ৮৩০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রয় করছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। বাজারে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতাও মিলেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষকরা জানান, ইউরিয়া সার সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চাইতে অনেক বেশি দামে ডিলারদের নিকট থেকে সার নিয়ে এসে খুচরা ব্যবসায়ী আরো বেশি দামে বিক্রি করছে।
তাছাড়া এসব জমাট বাঁধানো সার জমিতে প্রয়োগ করে কোন কাজ হচ্ছে না বলে তারা জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ডিলার জানান, দেশী বস্তায় বিদেশী সার ভরে প্রতি বস্তায় কম দেয়া ও দামের হেরফের সব তুঘলকি কারবার হয়ে থাকে অনেক ডিলারের ঘর থেকে, আমাদের করার কিছু নেই। এতে আমরা ব্যসায়ীরাও মার খাচ্ছি।
উপজেলার নসরতপুর বাজারের মেসার্স মঙ্গল সাহা ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী, মের্সাস নুরুল ইসলাম ট্রের্ডাসের স্বত্বাধীকারী ও মের্সাস রুমা কৃষি ভান্ডারের স্বত্বাধীকারী জানান, বিদেশী ইউরিয়ার বস্তা খারাপ হওয়ায় বস্তা পরিবর্তন করতে হয় অনেক সময়। তাছাড়া বস্তায় বাফার গুদাম থেকেই অনেক সময় সার কম দেয়া হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে ভালো কোন সার নেই যা আছে সব জমাট বাঁধানো নষ্ট সার। কৃত্রিম সংকট ও দামের ব্যাপারে তাদের কে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, চলতি ভরা মৌসুমে সার ঠিকমত পাওয়া যায় না তাই অনেক ডিলাররা একটু বেশি দাম নিয়ে থাকে।
এতে কৃষকরা ক্ষতি গ্রস্থ হবেন না বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কামরুজ্জামান বেশি দামে সার বিক্রি ও জমাট বাঁধা সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গোপনে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোন ব্যবাসায়ীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমরা জেনেছি বাফার গুদাম থেকেই এ ধরনের জমাট বাঁধা সার দেওয়া হচ্ছে ডিলাদের মাঝে।

এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় ।। আদমদীঘিতে হঠাৎ বালি খাওয়া পাগলের আর্বিভাব

অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্য। হঠাৎ করেই এলাকায় আর্বিভাব হয়েছে এক পাগলের। সে যেখানেই বালির স্তুপ দেখছে সেখানেই বালির স্তুপের উপরে বসে ডান হাত দিয়ে সমানে শুধু বালিই খেয়ে যাচ্ছেন। তার বাম হাত নেই। পরনে ছিল শুধু ছেঁড়া ফাঁকা প্যান্ট ও শার্ট। 

অবিশ্বাস্য এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদরের পুরাতন কৃষি ব্যাংকে সামনে পাকা রাস্তার ধারে। আর এই ঘটনা স্বচোক্ষে এক নজর দেখার জন্য ভীড় করছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা উৎসুক জনতা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার সদরে হঠাৎ করে আর্বিভাব ঘটে নাম না জানা এক পাগলের। সে কোন কথা বলে না। শুধু বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরে যেখানে বালির স্তুপ দেখছে সেই বালির স্তুপের উপরে বসে সমানে খেয়ে যাচ্ছেন শুধু বালি আর বালি। আর মাঝে মধ্যে সে বালি মিশ্রিত হাত দিয়ে উৎসুক জনতার হাতে বালি ঘুষে দিচ্ছে। অবাক করা কান্ড হলো সেই বালি মিশ্রিত হাত থেকে বেলি ফুল আতরের সু-ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। তার এ সব কর্মকান্ড দেখে স্থানীয়রা হতবাক। 

আবার অনেকে মনে করছেন ঘটনাটি অলৌকিক। আবার উৎসুক জনতা তাকে টাকা দিতে চাইলেও সে টাকা গ্রহণ করছে না বা কারো কাছ থেকে কোন খাবারও গ্রহণ করছে না। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এ দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য ভীড় জমাচ্ছে শত শত উৎসুক জনতা। উপজেলার পুরাতন কৃষি ব্যাংকের সামনে ওই পাগল একটি বালির স্তুপের উপরে বসে সমানে বালি খেয়ে যাচ্ছেন। 

সে মাঝে মধ্যে উৎসুক জনতার হাতে বালি ঘুষিয়ে দিলে বালি মিশ্রিত হাত থেকে আতরের সুগন্ধি ছড়াচ্ছে। এ দিকে এ ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় এক সাংবাদিক আনোয়ার হোসাইন বলেন, এই রকম ঘটনা আজ পর্যন্ত কোথাও দেখেনি এবং এ রকম কথাও শুনেনি। এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। 

সাগর খান

ধুনটে মানাস নদী পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই গ্রামবাসীর ভরসা

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের মানাস নদীতে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকোই কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। আর নদীতে পানি বাড়লে একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে নৌকা। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীদের নদী পারাপার হতে হয়।
সরেজমিনে জানাযায়, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের পাশ দিয়ে বহমান মানাস নদী। স্থানীয় লোকজন ঐ নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মান করেছে। প্রতিদিন ঐ সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে চিকাশী, জোড়শিমুল, গোসাইবাড়ী, পূর্ব গুয়াডহুরী ও গজারিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী সহ হাজারো লোকজন যাতায়াত করে। সাঁকোর উপর দিয়ে লোকজন পারাপার হলেও মালামাল ও কৃষি পন্য পরিবহনে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া অতিরিক্ত চলাচলের কারনের সাঁকোটি মাঝে মধ্যে ভেঙ্গে গেলে বা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে নৌকায় পারাপার হতে হয়। নড়বড়ে সাঁকোটির উপর দিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামের শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কয়েকটি গ্রামের ছেলে মেয়েদের গোসাইবাড়ী কলেজ ও স্কুলে যাতায়াত করতে হয়।
এছাড়া মালামাল ও কৃষিপন্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গোসাইবাড়ী মনিং সান স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র শ্রী সুফল কুমার বলেন, স্কুলে যেতে এই সাঁকোর উপর দিয়েই পারাপার হতে হয়। তবে নদীতে পানি বাড়লে নৌকায় করে যেতে আরো দূর্ভোগ বেড়ে যায়। উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, ওই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
ইমরান হোসেন ইমন