Monday, March 18, 2019

বগুড়ায় ভোটার কম

বগুড়ায় ভোটার কম
মোর্শেদ নোমান ও আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া থেকে
১৮ মার্চ ২০১৯
 
বগুড়ায় সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আজ সোমবার সকাল থেকে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলার নয়টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। সকাল সাড়ে আটটায় শহরের পিটিআই কেন্দ্রে সাড়ে ৫ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দেন মাত্র চারজন।


বগুড়ার সিটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৫টি। সকাল নয়টায় শাহজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯০০ ভোটের মধ্যে ৪৮ ভোট পড়েছে। সকাল পৌনে দশটায় আড়িয়া রহিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৬টি।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বগুড়ায় ১২ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে শেরপুর ও আদমদীঘি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সেখানে শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। অন্য ১০টি উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ অন্য পদগুলোতে নির্বাচন হচ্ছে।


বিএনপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বগুড়ার ১২ উপজেলাতেই গত নির্বাচনে বিএনপি ৭টি ও জামায়াত ৫টি উপজেলায় নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ তখন একটিতেও জিততে পারেনি।

স্থানীয়রা বলছেন, ভোটার না থাকলেও যে অল্প কিছু ভোট পড়েছে সেগুলো আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ভাইস চেয়ারম্যানদের। তাঁরাই নির্বাচনকে কিছুটা জমিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
তথ্য: প্রথম আলো অনলাইন

Sunday, March 3, 2019

জাতীয় পর্যায়ে র‌্যাংকিং সেরা ৩ এ সরকারি আজিজুল হক কলেজ




রাজশাহী অঞ্চলের সেরা কলেজের মধ্যে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ রয়েছে সেরা তিন নম্বর স্থানে। 

এছাড়াও বেসরকারি কলেজ এর মধ্যে সেরা ৫ এ রয়েছে সৈয়দ আহমদ কলেজ, সুখানপুর, বগুড়া (বেসরকারি)





অন্যদিকে, জাতীয় পর্যায়ে সেরা মহিলা কলেজ, জাতীয় পর্যায়ে সেরা সরকারি কলেজ এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে-রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ এবং রাজশাহী কলেজ।


এছাড়া ৮টি অঞ্চলভিত্তিক তালিকাভুক্ত কলেজের মধ্য থেকে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে স্কোর অনুযায়ী ৬৮টি সেরা কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে।

আজ ২ মার্চ ২০১৯ এ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ ক্যাটাগরির ৭৬টি কলেজকে সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কৃত করা হয়। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের মধ্য থেকে জাতীয়ভিত্তিক স্কোরের ভিত্তিতে প্রথম ৫টি সেরা কলেজ নির্বাচন করা হয়। তালিকাভুক্ত কলেজসমূহের মধ্য থেকে জাতীয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী একটি সরকারি কলেজ, একটি মহিলা কলেজ এবং একটি বেসরকারি কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে। 

তাছাড়া ৮টি অঞ্চলভিত্তিক তালিকাভুক্ত কলেজের মধ্য থেকে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে স্কোর অনুযায়ী ৬৮টি কলেজ নির্বাচন করা হয়। নীতিমালার আলোকে সেরা কলেজসমূহের বিভাজন করা হয়েছে।



ঢাকা অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
২. সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইল,
৩. তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
৪. সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
৫. লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
৬. সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
৭. সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর
৮. সরকারি গুরুদয়াল কলেজ
৯. হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ, ঢাকা, (বেসরকারি)
১০. আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা (বেসরকারি)
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লা
২. ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী
৩. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
৪. সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
৫. ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
৬. নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
৭. হাটহাজারী কলেজ, চট্টগ্রাম
৮. সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম
৯. চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম
১০. চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর,
রাজশাহী অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
২. সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া
৩. সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা
৪. ভবানীগঞ্জ কলেজ, রাজশাহী
৫. সৈয়দ আহমদ কলেজ, সুখানপুর, বগুড়া (বেসরকারি)
৬. হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম কলেজ, সিরাজগঞ্জ ( বেসরকারি)
৭. সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
৮. দাওকান্দি কলেজ, রাজশাহী
৯. রাজশাহী কোর্ট কলেজ, রাজশাহী, (বেসরকারি)
১০. এন. এস. সরকারি কলেজ, নাটের
খুলনা অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, খুলনা
২. সরকারি এম এম কলেজ, যশোর
৩. কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া
৪. সীমান্ত আদর্শ কলেজ, সাতক্ষীরা, ( বেসরকারি)
৫. যশোর ক্যান্টমেন্ট কলেজ, যশোর, (বেসরকারি)
৬. ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ, যশোর, (বেসরকারি)
৭. এম.এস. জোহা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা, (বেসরকারি)
৮. কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সাতক্ষীরা (বেসরকারি)
৯. খানজাহান আলী আদর্শ কলেজ, খুলনা, (বেসরকারি)
১০.যশোর সরকারি মহিলা কলেজ, যশোর
বরিশাল অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, বরিশাল
২. সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল
৩. সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পিরোজপুর
৪. ভোলা সরকারি কলেজ, ভোলা
সিলেট অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. এম সি কলেজ, সিলেট
২. দক্ষিণ সুরমা কলেজ, সিলেট
৩. মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীাজার
৪. বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ
৫. সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট
৬. মদনমোহন কলেজ, সিলেট
৭. সরকারি শ্রীমঙ্গল কলেজ, মৌলভীবাজার
রংপুর অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. কারমাইকেল কলেজ, রংপুর
২. দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
৩. রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর
৪. উত্তরবাংলা কলেজ, কাকিনা, লালমনিরহাট (বেসরকারি)
৫. হাতিবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ, লালমনিরহাট
৬. সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর
৭. কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম
৮. লালমনিরহাট সরকারি কলেজ, লালমনিরহাট
৯. গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা
১০. কে বি এম কলেজ, দিনাজপুর, (বেসরকারি)
ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেরা কলেজ:
১. সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
২. জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ (বেসরকারি)
৩. মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়

Friday, March 1, 2019

বগুড়ায় "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন

কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশ বগুড়া কর্তৃক "পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০১৯” পালন করা হয়েছে। 


তৃতীয়বারের মতো পালিত হওয়া এ অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নিহত বগুড়া জেলার অধিবাসী ১৯ জন পুলিশ সদস্যের  স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুলিশ লাইন্স বগুড়ায় স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার।

 পিবিআই বগুড়ার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শরিফ উদ্দীন।


এরপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং  নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদ্যদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tuesday, February 19, 2019

বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে স্বর্ণকারকে পিটিয়ে হত্যা


বগুড়া উত্তর ডটকম: বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে রফিকুল ইসলাম মিঠু (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী হত্যাকারী সজিবকে (২৫) আটক করে পুলিশে দেয়। 


নিহত রফিকুল ইসলাম মিঠু সদর উপজেলার ধাওয়া পিকশন গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেন তালুকদারের ছেলে। ঘাতক সজীব হোসেন একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। তারা দুই জনই পেশায় স্বর্ণকার। 

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিঠু মারা যায়। 

স্থানীয়রা বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান, নিহত মিঠু এবং সজিব এক সঙ্গে স্বর্ণের গহনা তৈরির কাজ করে আসছিল। মিঠু ছোট ভাই ইমনের সঙ্গে সজিবের প্রবাসী ভাই এর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। 
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে সজিব লোকজন নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মিঠুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তারা পালাতে গেলে গ্রামবাসী সজিবকে আটক করে। 
রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় মিঠুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বগুড়া উত্তর ডটকম কে জানান,  এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইমন তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছে। 

Monday, February 18, 2019

সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ার অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার

বগুড়ায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক কলেজ ছাত্র অপহরণের শিকার হন । এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাতেই কৌশলে দুজনকে গ্রেপ্তার করে । তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ভোরে ওই ছাত্র উদ্ধার করা হয়।
আবুল হাসান জোহা


ওই ছাত্রের নাম আবুল হাসান জোহা। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ছাত্র। বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার মনিনাগ গ্রামে। 

গ্রেফতার করা দুজন হলেন ফেরদৌস হাসান ও শিবলু।  তাদের বাড়ি বগুড়া শহরের পূর্ব পালশা এলাকায়। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আবুল হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের কামারগাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এ সময় ১০/১২ জন যুবক একটি দল তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি মোটরবাসে তুলে নিয়ে যান ।
পরে তাকে পূর্ব পালশা এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারী চক্রের একজন আবুল হাসান  জোহা'র ফোন থেকে তার বাবার মুঠোফোনে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।।

মুক্তিপণ না দিলে হাসান কে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আবুল হাসানের বাবা মোঃ হারেছ এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিষয়টি বগুড়া সদর পুলিশের কাছে জানান । ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ কে অনুরোধ করেন। 

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে অপহরণকারীদের মুঠোফোন নম্বর ট্রাক করে একপর্যায়ে ফেরদৌস ও শিবলু কে গ্রেফতার করে। 

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে কলেজ ছাত্র আবুল হাসান জোহা কে উদ্ধার করা হয়।

Thursday, February 14, 2019

বগুড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর উদ্যেগে সুন্দরবন দিবস পালিত

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার পালিত হচ্ছে ১৮তম সুন্দরবন দিবস।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।  দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন “তীর” এর উদ্যেগে ।  সকাল ১১ টায় পুরো ক্যাম্পাসে এক শোভায়াত্রার আয়োজন করা হয়।  শোভায়াত্রাটি কলেজের মূল ভবন থেকে বের হয়ে আবার মূল ভবনে এসে শেষ হয়।
উক্ত শোভায়াত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: শাহজাহান আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফজলুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন তীরের উপদেষ্টা জনাব মোঃ মতিউর রহমান,  জনাব মোস্তাফিজুর রহমান ,  জনাব শাহ জাহান আলী,  জনাব এটিএম মাহবুবুল হাসান, জনাব অরপ রতন পাল, তীরের উপদেষ্টা ও  সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী জুয়েল,  সহ অত্র কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক বৃৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীর” এর সভাপতি মোঃ আরাফাত রহমান, সাধারন সম্পাদক মোঃজাহিদুর রহমান,  সহ তীর এর সদস্য বৃন্দ।

জানা যায়, সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।

Monday, February 11, 2019

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়

বগুড়ায় মাদক বিরোধী জোরদার অভিযানে আটক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৪০ জন মাদক ব্যবসায়। পুলিশ সপ্তাহ পরবর্তী মাদক বিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ মামলায় ৪৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এর মধ্যে সদর থানার ৮ মামলায় আটক হয়েছে ২৮ জন । উদ্ধার হয়েছে ২২৫ পিস ইয়াবা, ১২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি গাঁজা ২.৫ গ্রাম হেরোইন । 

https://www.youtube.com/channel/UCUJADqUZV2Xg0QxOaA_X8yg?sub_confirmation=1




পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার) জানিয়েছেন মাদক ব্যবসা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলতে থাকবে। এ ব্যাপারে গতকালের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে সুধী সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।

Sunday, February 10, 2019

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা কবে এবং কিভাবে যাবেন বিস্তারিত জানুন

বগুড়া উত্তর ডটকম : ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।



ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ , এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।
স্থান:
পোড়াদহ বটতলা, গোলাবাড়ী, মহিষাবান, গাবতলি, বগুড়া।
সময়কাল ও ব্যাপ্তি:
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।
প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার।
এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন
ঐতিহাসিক পটভূমি: মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়।
বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।
সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।
ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।