নামুজা বার্তাঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূলে মসজিদের জায়গা দখলের চেষ্টা ও গাছ কর্তৃন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ৩ ফেব্র“য়ারি রবিবার সকাল ৯ টায় আটমূল ইউপির মোঘইলপাড়া গ্রামের জনৈক মফিজ উদ্দিন ও তার দুই পুত্র মিলে জামে মসজিদের ৩ শতক জায়গা দখলের জন্য টিনের বেড়া ভেঙ্গে মসজিদের লাগানো ১১ টি আম গাছ কর্তন করতে থাকে। এ সময় মসজিদ কমিটির লোকজন ও গ্রামবাসী তাদের বাধা প্রদান করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উক্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই জন আহত হয়। আহতরা হলেন মফিজ উদ্দিন ও মোছাঃ তানজিলা খাতুন। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ওইদিন দুপুরে ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। ০৩.০২.২০১৯
বগুড়া উত্তর ডটকম: ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা: লোভনীয় বড় বড় মাছের এক বিশাল প্রদর্শনীমাছের মেলা! নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বড় বড় মাছের কাল্পনিক সব সংগ্রহ। এ কল্পনাকে বাস্তবে নিয়ে আসে প্রতি বছরের শীতের শেষে অনুষ্ঠিত বগুড়ার পোড়াদহের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯এ যেন কেবল একটি মেলা নয় বরং তার চেয়েও বেশী কিছু। নামে মাছের মেলা হলেও কী নেই এতে! বড় বড় আর লোভনীয় মাছের বিশাল সংগ্রহ, প্রদর্শনী আর বিকিকিনি, সংসারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ, বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, পালাগান ইত্যাদি। কিন্ত এ সবকিছু ছাপিয়ে যায় যখন এ মেলা লক্ষ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ লেখায় রইল এ মেলারই আদ্যপান্ত।
প্রতি বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবার অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার। তবে এই বুধবারের আগের ০৩ দিনের সাথে পরের ০২ দিন পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে মেলার প্রধান দিন, বুধবারের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসে বৌমেলা। এদিন কেবল বিভিন্ন গ্রামের নববধূরা এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা কন্যারা তাদের স্বামীদের সাথে মেলায় আসেন।
প্রকৃতি ও বিবরণ:
মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বৃহদাকৃতির মাছ। নানা প্রজাতির বড় বড় মাছ এখানে পাওয়া যায়; বিশেষ করে নদীর বড় বড় বাঘাইর, আইড়, বোয়াল, কাতলা, পাঙ্গাস, সামুদ্রিক টুনা, ম্যাকরেল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেচা-কেনা হয়। তবে চাষকৃত বিভিন্ন ছোট বড় আকারের মাছও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানকালে জানা যায়, এ এলাকার অনেক মৎস্যচাষী কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়।
আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।মেলার সময় অতিথি ও ঝি-জামাই আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাবতলীর অন্যান্য বাজারেও দেখা যায় বড় বড় মাছে একাকার।
এছাড়াও কাঠের আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, লৌহজাত দ্রব্যাদি, ফলমূল, নানা ধরণের মিষ্টি ও মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং প্রচুর চুন মেলায় পাওয়া যায়। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা ও পালাগানের আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগঞ্জের সবাই তাদের জামাই-ঝিকে নিমন্ত্রণ করেন ও বড় আকৃতির মাছ দ্বারা আপ্যায়ন করেন। কৃষকেরা প্রয়োজনীয় ঘরোয়া সামগ্রী ছাড়াও সারা বছরের পান খাওয়ার চুন পর্যন্ত মেলা থেকে সংগ্রহ করেন
ঐতিহাসিক পটভূমি
:মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। তবে একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, প্রায় চার শত বছর পূর্বে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন।কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত।এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়।
বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে।
সড়ক যোগাযোগের পথ: ঢাকা (A) থেকে বগুড়া (B) পর্যন্ত ২০২ কিমি এবং বগুড়া (B) থেকে চেলোপাড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ (C) হয়ে চন্দনবাইসা রোড ধরে গোলাবাড়ি বাজারের পর পরেই মেলাস্থল পোড়াদহ (D) পর্যন্ত ১২.৭ কিমি।ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯যোগাযোগের ব্যবস্থা:বগুড়া হতে সরাসরি বাসে অথবা অটোরিক্সায় পোড়াদহ আসা যায়। মেলা চলার সময় বগুড়া হতে বাসে বা অটোরিক্সায় প্রথমে গোলাবাড়ি পর্যন্ত এসে পুনরায় অন্য অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে পোড়াদহ মেলা স্থলে আসা যাবে।
ঢাকা থেকে ভাল মানের বাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় বগুড়ায় আসা যায়। যাদের হাতে সময় কম তারা রাতের শেষ বাসে রওনা দিয়ে ভোরে বগুড়ায় পৌঁছে বাস বদল করে সকাল সকাল মেলা স্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন এবং দিন শেষ বগুড়া ফিরে ঐ রাতেই ঢাকায় ফিরতে পারেন। তবে হাতে সময় নিয়ে আসলে মাছের মেলার পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন বাংলার প্রাচীন নগরী পুণ্ড্রবর্ধন যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
গুরুত্ব:
ঐতিহ্যবাহী এ মেলা সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও মতের মানুষের এক মহামিলন কেন্দ্র। এটি হাজারো কাজের ব্যস্ততায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লক্ষ মানুষের বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এ মেলায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয় এবং লেনদেনের একটা বড় অংশ উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত গামী হওয়ায় এর গুরুত্ব আরও অনেক বেশী হয়ে দেখা দেয়।
বগুড়া উত্তর ডটকম ( মহাস্থান প্রতিনিধি: শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরি সংঘঠিত ৩০/৪০ হাজার টাকার ক্ষতি।
সরেজমিনে শনিবার দুপুরে জানা গেছে,বগুড়া সদরের আশোকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা ক্লিনিকের গ্রীলের তালা আটকিয়ে থাকা গ্রীল কেটে ১২ টা প্লাস্টিকের চেয়ার, সৌর বিদ্যুতের ৩০ হাজার টাকার ১ টি ব্যাটারী চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মাসুদ রব্বানীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ও সিএইচসিপি মৌসুমী আকতার প্রতিদিনের ন্যায় সকালে অফিসে এসে দেখতে পাই যে, অফিসের বারান্দার গ্রীলের তালা আটকিয়ে রাখার গ্রীল কেটে অফিসে ঢুকে কে বা কারা ঐ সব সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়েছে এবং সদর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বগুড়া উত্তর ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ) শিক্ষার কোন বয়স নেই, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহনের কোন বিকল্প নেই-এসব কথা নিজের মনের মধ্যে লালন করে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশের জন্য এবং বয়সটাকে তুচ্ছ করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন পঞ্চাশোর্ধ এক শিক্ষানুগারী ব্যাক্তি শফিকুল ইসলাম।
মেয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী হলেও অনেকটা নাতি-নাতনির বয়সীদের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ উদ্যোম দেখা যাচ্ছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এবছর অনুষ্ঠিত এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধ এই শিক্ষার্থীকে।
সরেজমিনে জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ সেখের ৫২ বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করে এবছর দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। যার রেজি নং ১৬৩৯১৫, রোল নং ৩০৩৪৪৩।
এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত, মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে অধ্যায়রত এবং ছোট মেয়েও স্কুলে লেখাপড়া করে। পারিবারিকভাবে সকলেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, তাহলে আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বিরত থাকবো। তাই তাদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি শিক্ষা জীবন শুরুর পর্যায়ে এবছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছি।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, অত্র কেন্দ্রে ২১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন সমাজের অনেক স্বল্প শিক্ষিতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বগুড়া উত্তর ডটকম (স্পেশাল কোম্পানী, র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এস,এম, জামিল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অদ্য ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখ ১৮১৫ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার সদর থানাধীন চান্দের বাজারস্থ জনৈক আলম শাকিদা এর চায়ের দোকানের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৮ ( আঠার) পিস মাদকদ্রব্য ইয়াবা,
০১ টি মোবাইল ফোন, ০২টি সীম এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ১১,০০০/-(এগার হাজার) টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ আমিনুর ইসলাম (৩৫) পিতা -মৃত জামাতুল্লা প্রামানিক সাং শাখারিয়া নামাবালা থানা ও জেলা বগুড়াকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল মর্মে জানা যায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা রুজু হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর এর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়া উত্তর ডটকম ( শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ১ম দিনে ৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে এসএসসি ও দাখিল সম্মানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৯০ জন, ছাত্র ৩৪০, ছাত্রী ২৫০ জন, অনুপস্থিত ৪ জন।
পরীক্ষা তদারকি করেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্ ও ভেটেনারী সার্জন আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রে সচিব অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান মন্ডল, হল সুপার সাইফুল ইসলাম।
শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন কিচক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুল ইসলাম।
গুজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৫১২ জন পরীক্ষার্থী, ছাত্র ২৪৮, ছাত্রী ২৬৩ জন, অনুপস্থিত ১জন। এ কেন্দ্রে তদারকি করেন উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,কেন্দ্র সচিব ছিলেন প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম। গুজিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৫২৮জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এদের মধ্যে ছাত্র ২৮১, ছাত্রী ২৪৭ জন, অনুপস্থিত ১ জন।
একেন্দ্র তদারকি করেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ তোজাম্মেল হক। মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, এখানে তদারকি করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
আলিয়ারহাট ডি ইউ ফাযিল মাদ্রাসায় ৬১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়,এ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপজেলা ইনন্সক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, হল সুপার ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালাম, শিবগঞ্জ ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় মোট ৬১৪ জন ছাত্রছাত্রী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়, এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েত রশিদ, কেন্দ্র সচিব ছিলেন অধ্যক্ষ এনামুল হক, হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু রায়হান। এসব পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেন ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবীর ও সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মৌলি মন্ডল।
২ ফ্রেরুয়ারী, গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর কর্মী সমর্থকদের প্রায় ৬শতাধিক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর পক্ষে মহাস্থান হযরত শাহ্ সুলতান (রহ:) আলিম মাদ্রাসা মাঠ থেকে এই মোটরসাইকেল বহরের শোডাউন বের হয়ে উপজেলা ব্যাপী প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই আলিম মাদ্রসা মাঠে জড়ো হতে থাকে।
বেলা ১২টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল শেষে প্রত্যেক মোটরসাইকেলে ২জন করে প্ল্যাকার্ড স্টিগার লাগিয়ে সারিবদ্ধভাবে এক যোগে শোভাযাত্রা শুরু করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান সময়ের তরুন নেতা ফিরোজ আহম্মেদ রিজুকে উপজেলা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে আমাদের হাজারো নেতা কর্মীবৃন্দদের এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়েছে।
এলাকার জন্য সাধারণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিবগঞ্জ রায়নাগর ইউনিয়ন পরিষদের ২বার বিপুল ভোটে জয়ী ও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ রিজু পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ন ব্যক্তি। তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভোটে পাস করলে শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।
চন্দনাইশ উপজেলার বরকল বাংলাবাজার এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে ডা. আকাশের সঙ্গে তানজিলা চৌধুরী মিতুর পরিচয় ২০০৯ সাল থেকে। আকাশ আত্মহত্যার পূর্বে তার ফেসবুকে বেশকিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করে, যেখানে স্ত্রী মিতুর পরকীয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার পেছনে তাঁর স্ত্রী মিতুর বন্ধুদের প্ররোচনা আছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডা. আকাশ ও স্ত্রী ডা. মিতুর জমকালো সেই বিয়ে । ১১ আগস্ট ২০১৬। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম।
LIKE COMMENT SHARE SUBSCRIBE
পরকিয়া আসক্ত সেই নারী গ্রেফতার। আত্মহত্যা করলো Dr Akash
https://youtu.be/_mdBss13GU4