শেরপুর প্রতিনিধি রায়হানুল ইসলাম : এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরন বাবদ সরকারি নির্ধারিত ফি’র তুলনায় তিন গুন ফি আদায় করছে সামিট স্কুল এন্ড কলেজ কতৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের জিম্মি করে বিভিন্ন অজুহাতে এই ফি আদায় করছেন তারা।
জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুরে অবস্থিত সামিট স্কুল এন্ড কলেজে এবার তিন বিভাগ মিলে সর্বমোট ২১৬ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাদের নিকট থেকে ফরম ফিলাম বাবদ ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত টাকা), পরীক্ষার ফি বাবদ ৩০০ (তিনশত টাকা), উন্নয়ন ফি বাবদ ৫০০ (পাঁচশত টাকা), মোবাইল বিল বাবদ ৩০০ (তিনশত টাকা), পরীক্ষার প্রস্তুতি মূলক ক্লাস বাবদ ২৪০০ ( দুই হাজার চারশত টাকা) আদায় করছে। অথচ এবার শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ফি ১৮০০ ( এক হাজার আটশত টাকা) নির্ধারন করে দেয়া হয়।
এব্যাপারে (নাম প্রকাশে অনিশ্চুক) স্কুলের এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে বলে, দুদকের নাম্বার ১০৬ ফোন দিয়েছি বন্ধ। সারাবছর ভালো ভাবে ক্লাস নিলে কোচিং করার কি দরকার। অত্র স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ওয়াহেদ স্যারের সামনে ফরম ফিলাপ করতে আসা এক শিক্ষার্থী বলে, আমাদের ঠিকমত ক্লাস হয় না। তাই কোচিং করতে হবে । ক্লাস হলে কোচিং এর কি দরকার?
সামিট স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিপু মোবাইলে বলেন, আমারা ৬ হাজার টাকা ফি নিচ্ছি। ফরম পূরনে ২ হাজার কোচিং খরচ ৩ হাজার এবং গাড়ী ও অন্যান্য ভাড়া ১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাযায় ভিন্ন তথ্য। যারা স্কুলের গাড়ী ব্যবহার করে না তাদের কাছেও একই হারে ফি আদায় করছে। আগের তুলনায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়ানো কম হয় বলে তারা জানান। আমাদের নাম দিয়েন না তাহলে স্যাররা গালাগালি করবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত আলী শেখ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বলছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে।