হাদিসুর রহমান : বর্ণিল আয়োজনে বগুড়া, কাহালু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ভালশুন উচ্চ বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তিতে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীর অয়োজন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০ টাই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সামাদ মণ্ডল, জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়, এর পর বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল দিনভর। সবকিছু ছাপিয়ে এই আয়োজন রূপ নেয় নবীণ প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায়। শুক্রবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে দিনভর অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে নতুন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং স্কুলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নাচ, গান ও ভেপু বাজিয়ে শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলেন যা শোভাযাত্রাটি ভালশুন বাজার হয়ে স্কুল মাঠে এসে শেষ হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী স্মৃতিচারন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মূল মঞ্চ তৈরিসহ পুরো স্কুলকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে স্কুলের ৭০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করতে সবকিছুই করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উৎসবে স্কুলের ১৯৪৭ সালের এসএসসি ব্যাচ থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। উৎসবে যোগ দেয়া সরকারি চাকুরীজীবী সহ বিভিন্ন স্থানে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাদের স্মৃতিকথা যেন ফুরোতেই চায় না। সবকিছু ছাপিয়ে এটি একটি মহামিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
সেইস্কুল জীবনের সহপাঠীদর সাথে অনেকদিন পর প্রাণ খুলে কথা বলতে পারা, স্কুল জীবনের ওইসব মধুর দিনগুলো আজ যেন ফিরে এসেছে। প্রাণের টানে মায়ার বাঁধনে আজ আবার সবাই একসাথে মিলিত হতে পারার আনন্দটাই যেন আলাদা।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন জান্নাতুন বাকী মিনু, স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য প্রদান করেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, মো: বেলাল হোসেন, শিক্ষা অফিসার, সোনাতলা, প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার ইসলাম, রব্বানী, জাহিদুল ইসলাম, হযরত আলী, মকবুল হোসেন, আঃ সাত্তার, আঃ রইস, সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সাজ্জাদুর রহমান, আশরাফুদ্দলা ( ডলার ) সহ অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আঃ রহমান সহ বর্তমান ও প্রক্তন শিক্ষক বৃন্দ ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফজলুল বারী মরিচ, জুলফিকার আলী সুইট, মেসবাউল হক, শহিদুল ইসলাম লিটন, রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম রানা, সহ অনেকেই ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুখস্মৃতির মধুময় মিলনমেলা শেষ হয় রাত ৮টায়।