Friday, June 1, 2018

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ২০২টি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে


টানা দুই বছর একজন শিক্ষার্থীও দাখিল পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ২০২টি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।  

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ২০২টি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছেএসব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ অনলাইনে পাসওয়ার্ড, মাদরাসা কোড নম্বর ও ইআইআইএন নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকে এসব প্রতিষ্ঠান দাখিল স্তরে কোনো শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবে না।  

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বুধবার এসংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বন্ধ ঘোষিত মাদরাসাগুলোতে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী নবম ও দশম
শ্রেণিতে পড়ছে তারা পার্শ্ববর্তী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অন্য মাদরাসা থেকে রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষা দিতে পারবে।  

এ ছাড়া চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে না পারা ৯৬টি মাদরাসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্যা জানান, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ২০২টি মাদরাসা থেকে কোনো পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এর কারণ দর্শাতে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ মাদরাসা থেকে সেই নোটিশেরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আর যারা জবাব দিয়েছে তাদের বক্তব্যও সন্তোষজনক নয়। তাই এসব মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্ধ হওয়া মাদরাসাগুলোর মধ্যে বাগেরহাটে চার, বরগুনায় পাঁচ, বরিশালে দুই, ভোলায় ছয়, বগুড়ায় চার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, চাঁদপুরে এক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে এক, কুমিল্লায় তিন, দিনাজপুরে ১৯, গাইবান্ধায় ১২, যশোরে পাঁচ, ঝিনাইদহে এক, জয়পুরহাটে দুই, খাগড়াছড়িতে এক, খুলনায় চার, 

কিশোরগঞ্জে এক, কুড়িগ্রামে এক, কুষ্টিয়ায় তিন, লালমনিরহাটে পাঁচ, মেহেরপুরে এক, ময়মনসিংহে চার, নওগাঁয় এক, নাটোরে ১১, নড়াইলে এক, নেত্রকোনায় এক, নীলফামারীতে তিন, নোয়াখালীতে এক, পাবনায় পাঁচ, পঞ্চগড়ে সাত, পটুয়াখালীতে সাত, রাজবাড়ীতে দুই, রাজশাহীতে ১১, রংপুরে ৯, সাতক্ষীরায় পাঁচ, সিরাজগঞ্জে ১০, সিলেটে এক ও ঠাকুরগাঁওয়ের ২৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

No comments:

Post a Comment