নাজমুল হোসেন (১৬), বগুড়া শহরের রেলস্টেশনের পাশের বস্তিতে নেই কোনো পয়ঃনিষ্কাষণের ব্যবস্থা। পানিও আনতে হয় দূর থেকে।
বস্তিটিতে পঞ্চাশটির বেশি পরিবারে কয়েকশ মানুষের বাস। যার এক তৃতীয়াংশ শিশু।
তাদের পানি টেনে আনতে হয় অন্য এলাকা থেকে। আর শৌচকর্ম করেন যেখানে সেখানে। নারীরা ভুগছেন বেশি।
দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষের মৌলিক অধিকার দূরে থাক, প্রাকৃতিক নিত্যকর্মের মতো কাজের জন্য অন্ধকার বা ঝোপঝাড়ের আড়াল খুঁজতে হয় বলে জানান একজন নারী।
অনেক দূর থেকে পানি টেনে আনতে কষ্ট হয় বলে জানায় একটি শিশু।
অপর শিশু জানায়, তারা রেলপথের ওপরেই মলত্যাগ করে। খুব অভাব আর কষ্টের সাথে পানি ও শৌচাগারের কষ্টের কথা বলেন আরেক নারী।
এ ব্যাপারে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শাহ মো. ইসাহাক আলী হ্যালোকে জানান, এসব সমস্যা সমাধান করার কথা তার নয়। তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশা দেন।
সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে পারলে, শিশুদের এসব সংকটের সমাধান করতে ও শিশুদের আনন্দদায়ক পরিবেশ দিতে চেষ্টা করবেন জানান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ নূরে আলম সিদ্দিকী।
No comments:
Post a Comment