কাহালু প্রতিনিধি (শিহাব) : এস,এস,সি
বিদায় ২০১৮....
স্থান : জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়
জামগ্রাম,কাহালু,বগুড়া ।
মোট ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা :৭১ জন।
বিদায় ২০১৮....
স্থান : জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়
জামগ্রাম,কাহালু,বগুড়া ।
মোট ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা :৭১ জন।
সবার জন্য কিছু কথা,,,,,,,,
যে কোনে ক্ষেত্রে পরীক্ষা হচ্ছে মূল্যায়নের একমাত্র পদ্ধতি।
শিক্ষাক্ষেত্রে এস এস সি পরীক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনের প্রথম মাইলফলক। বিজ্ঞানি ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন শিক্ষা ব্যতীত একজন প্রতিভাবান, খনিতে থাকার রূপার মতন।
দীর্ঘ দশ বৎসরের শি্ক্ষা জীবনের মূল্যায়ন হয় এস এস সি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। তাই এই পরীক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনের প্রথম ধাপ এর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরম্ন হয় উচ্চশিক্ষার।
জীবনের লক্ষ স্থির করার পথ এই এস এস সি পরীক্ষা । সবকিছুর মত এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে গঠনমূলক অনেক পরিবর্তন এনে একে উন্নত করা হয়েছে।
আগের পরীক্ষা পদ্ধতি এখনকার পরীক্ষা পদ্ধতির মাঝে রয়েছে অনেক ফারাক। তাই এখনকার শিক্ষার্থীরা অনেক সৌভাগবান যে তারা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছে।
এতে শিক্ষা গ্রহণে পুরনো রীতিতে কষ্ট করতে হচ্ছে না বরং অল্প সময়ে বেশী শিখা সম্ভব।
অধিক মনোযোগী হয়ে পড়লে নিজের চিমত্মা শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে ভাল ফলা ফল করা খুব সহজ।
এখন আগের তুলনায় পাসের হার বেশী আবার গৌরবান্ধিত জি পি ৫ পাওয়ার সংখ্যা ও বেশী।
এটা অবশ্যই শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
আগের মত মুখসত্ম বিদ্যার ছড়াছড়ি নেই এখন।
মেধা ও মনের বিকাশ সাধন করে, নিজের প্রতিভার পরিচয় প্রকাশিত হওয়ার সময়। এখন নিজেদের বাকি বই মনোযোগ দিয়ে শুরম্ন থেকে শেষ পর্যমত্ম পড়ে এলেই হয়, পরীক্ষার হলে চিমত্মাভাবনা করে উত্তর বের কথা যায়।
আবার পরীক্ষার ফল বের হওয়ার সময় নম্বর নিয়ে চুলচেরা টানাটানি নেই, সবাই এখন একটা গ্রেড পায়।
যদিও জীবনের প্রথম সবচেয়ে গরম্নত্বপূর্ণ পরীক্ষা এইবার যারা দেবে স্বভাবতই কিছুটা ভয় জড়তা থাকার কথা। অভিভাবকরা চিমত্মা করতে পারেন।
কিন্তু এটা ভুল।
কারণ এই পরীক্ষার্থী ছেলে মেয়েরা খুবই সৌভাগ্যবান কারণ ওরা এর আগে পি, এস সি ও জে এস সি পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। তাই চিমত্মা বা উৎকণ্টার কোন কারণ নেই।
কারণ একজন পরীক্ষার্থী সাধারণত নির্বাচনী পরীক্ষার পূবেই তার পূর্ণাঙ্গ প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করে এবং নির্বাচনি পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে সে বিভিন্ন উপায়ে তার প্রস্ত্ততি নিশ্চিত করে।
তাই আর ভয় নয়।
নেপোলিয়ান বলেছেন, সাহস ভালবাসার মত, যার আছে আশা অঙ্গীকার।
এস এস সি পরীক্ষা শুরম্ন হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
এর মাঝেই সকল পরীক্ষার্থী তাদের প্রস্ত্ততি শেষ করে নিয়েছে।
কাজেই মেধার প্রকাশ করতে হলে, কয়েকটি বিষয়ে অধিক যত্মবান হতে হবে। সঠিক নিয়মে উত্তর লিখতে সৃজনশীল ও বহু নির্বাচনী আশা মিলে নববই শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর তোলা সম্ভব যেহেতু প্রত্যেকটা প্রশ্নের সাথে পাঠ্য বই এর সাথে সম্পর্কিত।
বইয়ের বিভিন্ন বিষয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক এবং সংশিস্নষ্ট চারটি করে প্রশ্ন থাকে।
উদ্দীপকটি ভালভাবে পড়ে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে সেটি পাঠ্য বইয়ের কোন অধ্যায়ের সংঙ্গে সংশিস্নষ্ট।
সৃজনশীলের ক্ষেত্রে একটি গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রশ্নের উত্তরে সৃজনশীলের প্রতিটি সত্মর স্থান অনুধাবন প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার উপস্থিতি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরের পরিধি কোনো বিষয় নয়, এখানে বাড়তি বা অপ্রাসঙ্গিক কথা সাবলীল।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর একটি শব্দে দেওয়া যায়
, তবে পূণাঙ্গ বাক্য লিখলে ভালো। অনুধাবনে প্রথমে এক বাক্যে জ্ঞান মূলক অংশটি লিখে তা বিশেস্নষণ করবে, পরে পাঁচ সাত লাইনের এক প্যারায়, খেয়াল রাখতে হবে যা লিখছো তা যেন অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হয়।
প্রয়োগ অংশে এক প্যারায়ই সব কথা থাকতে পারে, তবে এতে জ্ঞান, অনুধাবন ও উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্য বইয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে।
উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটি সিদ্ধামেত্মর ব্যাপার এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অনুধাবন ও প্রয়োজনীয় অংশ লিখার পর একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হবে।
এতো গেল প্রশ্নপত্র লেখার আগে করনীয় ভাবনা।
এছাড়াও অনেক আনুষঙ্গিক প্রাসঙ্গিক বিষয় রয়েছে।
কিন্তু মনের ভেতর কোনো টেনশন রাখা যাবে না।
কয়েকদিন আগে একটা প্রতিযোগীতার নির্বাচন দেখছিলাম হঠাৎ লক্ষ করলাম একজন প্রতিযোগী বেশ নরমাল পোষাকে নাচ করলো, এটা জাতীয় পর্যায়ের নাচের প্রতিযোগিতা ছিল।
তো ঐ প্রতিযোগী ওর ব্যাগ এবং ব্যাগের ভেতরে থাকা নাচের কস্টিউম হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ওর মনোবল এত ভাল যে, ঐ পোশাকে সে ভাল নাচ দেখিয়ে প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিল। তাই মনের সাহস যে কোন ব্যাপারে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এর জন্য কয়েকটা বিষয়ে একটু গুরম্নত্ব দেয়া ভাল পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ামাত্র এর ফটোকপি করে নিতে হবে।
বাড়ী থেকে পরীক্ষার হলের উদ্দীশে বের হওয়ার আগে দরকারি জিনিসপত্র প্রবেশপত্র, রেজিষ্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেনসিল, ঘড়ি ইত্যাদি সঙ্গে আছে কি না, তা দেখে নেবে।
দিন পরীক্ষা শুরম্নর অমত্মত এক ঘন্টা আগে হলে পৌঁছার চেষ্টা করবে। পৌঁছেই প্রথমে সিটপ্ল্যান দেখে নেবে। এ কাজে প্রস্ত্ততির পাশা পাশি শারীরিক প্রস্ত্ততি জরম্নরী। ব্যাবহারিক সহ প্রায় দেড় মাস পরীক্ষা হবে।
এই সময়ে শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকটা জরম্নরী পড়াশুনার পাশাপাশি খাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম এগুলোও নিয়ম মতো করতে হবে।
বেশী রাত জাগবে না অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে ভালো প্রস্ত্ততি নিয়েও পরীক্ষায় তা প্রয়োগের সুযোগ পাবে না।
টানা পড়াশুনা অনেক সময় বিরক্তির জন্ম দেয়। তাই কিছু সময় বিনোদনের জন্য রাখা যেতে পারে। আশে পাশের কারো কাছ থেকে সহায়তা পাবে এমন আশা নিয়ে পরীক্ষার হলে না যাওয়াই ভাল। নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখো তুমি পারবে। এর আগে নির্বাচনি, প্রাক নির্বাচনি, অনেক পরীক্ষায় সফল হয়ে এসেছো। তাই এই চূড়ামত্ম পরীক্ষায় তোমাকে পারতে হবে, তুমি পারবে। পরীক্ষার কেন্দ্রে কী কী নেওয়া যাবে বা কী কী করা যাবে না - এসব নিয়ম লেখা আছে প্রবেশ পত্রের পেছনের অংশে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে উত্তরপত্র দেওয়া হয় তাতেও কিভাবে উত্তরপত্রে লিখতে হবে, অতিরিক্ত পাতা নিলে তা কোথায় উল্যেখ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment