বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ২ মাস ২১ দিন পর বুধবার দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল মিয়াপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরাস্থান হতে সাব্বির হোসেন (২৩) এর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ মন্ডল, পুলিশ বোরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়ার এস আই নুর হোসেন সহ পিবিআই এর সদস্যবৃন্দ। গত ১৭/০৯/১৮ ইং তারিখে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪, মৃতঃ সাব্বির হোসেনের পিতা কাহালু উপজেলার মুরইল মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান স্বপন বাদী হয়ে সন্দেহ জনক ভাবে ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা নম্বর ১৫৫২সি/২০১৮ (বগুড়া সদর)। গত ১০/০৮/১৮ইং তারিখে সন্ধ্যায় কাহালু উপজেলার দরগাহাট-উচলবাড়িয়া সড়কের বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ী এলাকায় মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় সাব্বির হোসেন ও তার কলিক রিপন (২৪) গুরুতর আহত হন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বির হোসেনকে মৃতঃ ঘোষনা করেন এবং রিপনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ময়না তদন্ত ছাড়াই সাব্বির হোসেনের লাশ দাফন করা হয়। তার কলিক রিপন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন পর মারা যায়। নিহত রিপন জামালপুর জেলার ইসলাসপুর উপজেলার দক্ষিণ গিলাবাড়ী গ্রামের লিয়াকত আলীর পুত্র। নিহত সাব্বির হোসেন ও রিপন কাহালুর মুরইল আল নুর এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিস এর শ্রমিক ছিলেন। মামলার বাদীর অভিযোগ আসামীগন পূর্বশত্রুতা মূলক নৃশংস ভাবে সাব্বির হোসেন ও তার কলিক রিপন হত্যা করে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বলে চালানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।