ছাগলে সিমের গাছ খাওয়া নিয়ে দু ভাইয়ের মধ্যে মারামারি শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান : বগুড়ার শাজাহানপুরে ছাগলে শিমের গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মারামারিতে উভয়ই আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বড় ভাই মিনহাজুল হক সরকার ওরফে রঞ্জু (৫৫) গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। অপর ছোটভাই ফরহাদ হোসেন সরকার ওরফে বাদশা (৫০) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান
করছেন। এঘটনায় বড়ভাইয়ের ছেলে মনিরুজ্জামান সরকার ওরফে মিঠু (৪০) বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর সরকারপাড়ার মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের দু’পুত্র মিনহাজুল হক সরকার ওরফে রঞ্জু (৫৫) ও ফরহাদ হোসেন সরকার ওরফে বাদশা (৫০)’র মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রায়ই বিনা কারনে অন্যায়-অত্যাচার করে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বড়ভাইয়ের লাগানো শিম গাছ ছোইভাইয়ের ছাগল খেয়ে ফেলে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকির ঘটনা ঘটে। সন্ধায় বড়ভাই মিনহাজুল হক সরকার ওরফে রঞ্জু মাঠের কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছোটভাই ফরহাদ হোসেন সরকার ওরফে বাদশা ও তার স্ত্রী মালেকা বেগম (৪৫) বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে। এতে মিনহাজুল হক সরকার ওরফে রঞ্জুর মাথা ফেটে রক্তাক্ত এবং বাম হাত ভেঙ্গে যাওয়া সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় রঞ্জুর ছেলে মনিরুজ্জামান সরকার ওরফে মিঠু বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে সরেজমিনে গেলে ছোটভাই ফরহাদ হোসেন সরকার ওরফে বাদশা জানান, ওই দিন সকালে কাজের উদ্যেশ্যে বগুড়া শহরে গিয়েছিলেন। সন্ধার দিকে বাড়ি ফিরলে স্ত্রী মালেকা বেগমের নিকট জানা যায় যে ছাগলের শিমের গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড়ভাই রঞ্জু জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ছাগলকে লক্ষ্য করে কোদাল ছুড়ে মারে। এসময় অল্পের জন্য স্ত্রী মালেকা বেগম কোদালের আঘাত থেকে বেচে যায়। এঘটনায় রাগের মাথায় ওই শিমের মাচা ভেঙ্গে ফেলার উদ্যেশ্যে মাচায় হাত দিতেই বড়ভাই রঞ্জু লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাতে মাথা কেটে রক্ত বের হলেও পুনরায় আঘাত করতে ধরলে লাঠি কেড়ে নেয়া হয়। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। স্বজনদের অনুরোধে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment