আজ ৯ই জানুয়ারি।
যতদূর জানা যায়, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে পাঁচজন প্রকৌশলী বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমাদের বগুড়ার সন্তান ইঞ্জিনিয়ার এ.কে.এম শামসুদ্দিন একজন।
১৯২৮ সালের এ দিনে বগুড়া জেলার গোকুল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এ. কে. এম. শামসুদ্দীন (আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন)। বাবা আবুল খায়ের মোহাম্মদ সুলায়মান, মা সারেজাহান নেছার। অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৪৫ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও ১৯৪৭ সালে প্রথম বিভাগে আইএসসি এবং ঢাকার আহছানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ১৯৫১ সালে বিএসসি
(ইলেকট্রিক্যাল) পাস করেন। ১৯৫২ সালে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে যোগ দেন। কর্মজীবনে ইংল্যান্ড ও আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন প্রকৌশলী এ কে এম শামসুদ্দীন । এই প্রকল্পের সঙ্গে তিনি প্রথম থেকেই যুক্ত ছিলেন। এখানকার তিনটি বিদ্যুৎ ইউনিট তাঁর হাতেই তৈরি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ছেড়ে তিনি কোথাও যাননি। একাত্তরের ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা কাপ্তাইয়ের অবাঙালিদের (উর্দুভাষী) হত্যা করার মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে কাপ্তাইয়ের প্রধান বাঁধের ওপর দাঁড় করিয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
তথ্যঃ রাশেদুর রহমান।
ছবিঃ তাপস ভাই।
পোষ্ট: Akbar Ahmad
জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য... হে জীবন উৎসর্গকারী...
No comments:
Post a Comment